কালার ইনসাইড

দেশের সংগীতের সেকাল-একাল-ক্রান্তিকাল!

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ২১ জুন, ২০২২


Thumbnail দেশের সংগীতের সেকাল-একাল-ক্রান্তিকাল!

বাংলাদেশের সঙ্গীতের যুগ বলতে যেই সময়টাকে বোঝায় তা এক কথায় আশি নব্বইয়ের দশক নামে পরিচিত। আধুনিক গানের পাশাপাশি অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য ব্যান্ডেরও আবির্ভাব হয় সেই সময়টাতেই। গানের জগতে টিকে থাকার ও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখার সবচেয়ে বড় একটা সময়ও ছিল সেই সময়টাই। ক্যাসেট, সিডির সেই সময়টায় ট্যাকনিকাল পরিবর্তন এসেছে খুব কমই। খুব বেশি দিবস কেন্দ্রিক চর্চাও ছিলনা। বছরে দুই ঈদ 'ডেইজ ইভেন্ট' হিসেবে স্বীকৃত হলেও সারা বছরই ইন্ডাস্ট্রি ব্যস্ত সময় পার করতো। এখনও তাই হয়, ব্যস্ততার কমতি নেই আজও। কিন্তু যাদের জন্য এই সৃষ্টিশীল কাজ, সেই শ্রোতাদের আগ্রহের ঘাটতি বেশ চোখে পড়ার মত। 

এই অনাগ্রহের কারণ কি? শ্রোতাদের অভিরুচির নেতিবাচক কোনো পরিবর্তন? একদমই না। সেই যুগে শ্রোতাদের মন জয় করে যারা শিল্পী হিসেবে সমাদৃত হয়েছিলেন, তারা আজও এক নামেই সবার কাছে পরিচিত। এক্ষেত্রে অপ্রিয় সত্যটা হলো এখনকার মৌলিক গানে এমন কিছু একটার অভাব আছে যা শুধু মাত্র সুর আর গানের কথা দিয়ে পূরণ হচ্ছে না। 

নতুন নতুন অনেক গান হচ্ছে, কিন্তু তা মনে নাড়া দেবার সামর্থ পাচ্ছে না। অনেক নতুন শিল্পীর আবির্ভাব হচ্ছে, কিন্তু লেগেসি ধরে রাখার ও শ্রোতাদের জিইয়ে রাখার মতো আবেদন সেই অর্থে কেউ তৈরি করতে পারছে না। বিভিন্ন রিয়ালিটি শো, লাইভ শো বা প্লেব্যাকের হাত ধরে শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও একালে মৌলিক গানের দূরাবস্থা অত্যান্ত পীড়াদায়ক। একজন শিল্পী বেঁচে থাকে তার মৌলিক গানে। কিন্ত সেই বাস্তবতা ছাপিয়ে এখনকার দিনে শিল্পীদের মধ্যে তারকাখ্যাতি মূখ্য হয়ে উঠেছে। আবার যারা নতুন গান নিয়ে কাজ করছে, বলা চলে সংগীতবোদ্ধারা তাতে কোন ভাবেই আকৃষ্ট হচ্ছেন না, আগ্রহ হারাচ্ছেন। এখানে গানগুলির মান প্রশ্নাতীত হতে পারছে না। অথচ সৃজনশীলতার প্রশ্নে পারফেকশনই প্রথম কথা। আর এই পারফেকশনের জন্য শুধু কন্ঠ বা গায়কিই যথেষ্ট নয়। একটি গান শ্রোতাতের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য, কালজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন কথা, সুর ও দর্শন-এই তিনের সমন্বয়। 

এমনতো আর নয় যে, কোন কালেই দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে প্রতিভাবান গায়ক, গীতিকার, সুরকাররা ছিলেন না। বরং একটা সময় রাজকীয় হালেই দাপট দেখিয়েছেন এদেশের সংগীতাঙ্গনের তারকারা। ফেইসবুুক, ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর চল তখন ছিলনা, প্রচার-প্রসারের সুযোগ ছিল খুবই সীমিত, যার ফলে দেশের গানগুলো বিশ্বমঞ্চ মাতানোর খুব বেশি সুযোগ হয়তো পায়নি, কিন্তু যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সে সময় বাংলাদেশের গান পার্শ্ববর্তী দেশে ভীষণভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এদেশের শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে শুরু করে পপ ও ব্যান্ড সংগীতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ওপার বাংলার সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পী-কলাকুশলীরা। 

আশি নব্বই দশকের পরও একটা সময় নতুন কয়েকজন গুণী শিল্পীদের হাত ধরে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের সৃষ্টি হয়েছিল। ফুয়াদ, হাবীব, বাপ্পা মজুমদার, বালাম, ন্যান্সি, অর্ণব, তাহসানদের তো প্রতিশ্রুতিশীল বেশ কয়েকজন গুণী শিল্পী অনেকটা নতুনভাবে নতুন একটা যুগের শুরু করেছিল এবং এফএম রেডিওর কল্যাণে গানগুলোর জনপ্রিয়তা সে সময় ছিল তুঙ্গে। এটি খুব বেশি আগের কথাও নয়। মাত্র দশ বছর আগের সেই গানগুলোর জনপ্রিতার কাছে কখনো মনেই হয়নি, দশ বছর পর মনমাতানো গানের জন্য শ্রোতাদের মনে এমন হাহাকার সৃষ্টি হবে। 

সৃষ্টিশীল মানুষগুলো এখনো তাদের কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে নতুন শিল্পীদেরও আর্বিভাব হচ্ছে। তারা দু-একটা মৌলিক গান উপহার দিচ্ছেন, তবে সেই সময়ে যেমন একটি যুগ সৃষ্টি হয়েছিল সেরকম একটা যুগ সৃষ্টি হতে পারেনি। 

কিন্তু বিষয়টিকে মেনে নেওয়ারও সুযোগ নেই। সংস্কৃতিপ্রেমী কোন জাতি তাদের যুগশ্রেষ্ঠ সময়কে হাতে নিয়ে বসে নেই। বরং অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন যুগের সুচনা করছে। তাতে আগের সময়টি ম্লান হয়ে যায়নি, বরং পূর্বসূরীদের আদর্শ মেনে সংস্কৃতির আরো বিস্তার হয়েছে। সংস্কৃতির হয় বিস্তার হবে নয়তো ম্লান হবে, এটিই সত্য। আর এই সত্যকে মেনে নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মের উচিৎ হবে আরো উদার মানসিকতার সাথে, সমন্বিতভাবে এবং অহংবোধকে দূরে রেখে কার করে যাওয়া, একই সাথে ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীলতার উৎকর্ষতা সাধন করা। নিজেকে যেমন সৃজনশীল হতে হবে তেমনি সম্মান করতে হবে সৃষ্টিশীল মানুষদেরও। সৃষ্টিশীল কাজ প্রতিযোগীতায় চলতে পারে না, শুধুমাত্র সমঝোতা ও সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়েই চলতে পারে। 

আমাদের সঙ্গীতের জগতে অসংখ্য গুণী সুকণ্ঠী গায়ক গায়িকা আছেন। কিন্তু অভাববোধের জায়গাটা তৈরি করেছে গানের স্রষ্টারা। শিল্পীর গায়কি একটি গানে অনন্য মাত্রা যোগ করতে পারে। কিন্তু কথা, সুর ও দর্শন- এই তিনটির সমন্বিত প্রয়াস পারে একটি গানকে কালজয়ী সৃষ্টি হিসেবে উপহার দিতে। আর এই দায়িত্বটি সবার আগে নিতে হবে গীতিকার-সুুরকার তথা গানের স্রষ্টাকেই। 

এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান নিজে তৈরি করে নেওয়ার ধারণা নিতান্তই বোকামী। অবস্থান তৈরি হবে শ্রোতাদের ভালবাসায়। আর এই ভালবাসা সৃষ্টি হবে মানসম্মত ও সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে। এদিকে বিভিন্ন গানের সাথে মিউজিক ভিডিওর নামে বিদেশি অনুকরণের প্রবণতাও এখনকার দর্শক-শ্রোতাদের মনে বিরক্তির সৃষ্টি করছে। দর্শকগেলানোর ধ্যানধারণার ব্যবসায়িক প্রভাব যে স্লো পয়জনের মতো ধীরে ধীরে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকেই গিলে নিচ্ছে, বর্তমান সময়ের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীতের এই বোধটুকুও আসতে হবে। 

সৃষ্টিশীল কাজে অর্থলিপ্সা বা পেশার দৌরাত্ব নয়, নেশা থাকা চাই। একইসাথে বিদেশি অনুুকরণ থেকে দূরে থেকে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চাকেই ধরে রাখতে হবে। তাহলেই সম্ভব হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনে, আমাদের বাংলা গানকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা। দেশের কোটি মানুষের মন জয় করে এদেশের গান একদিন বিশ্বমঞ্চেও জায়গা করে নেবে, বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে এই কামনা দেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের।

বিশ্ব সঙ্গীত দিবস   বিশ্বমঞ্চ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঐশ্বর্যর কানের জামা পরেই মেট গালায় চলে গেলেন মিন্ডি কালিং!

প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মেট গালায় ২০২৪ এ ঝড় তুলেছে তারকাদের লুক। বলিউডের আলিয়া ভাট, ইশা আম্বানি থেকে শুরু করে হলিউডের মিন্ডি কালিং, জেনিফার লোপেজ...নজরকাড়া লুকে ঝলমল করছে 'মেট গালা'র রেড কার্পেট । তবে, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে মিন্ডি কালিং-এর 'মেট গালা' ড্রেস । যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হলিউড নায়িকাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং। 

২০২২ সালে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই 'কান' উৎসবে যে পোশাক পরে গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে দারুণ মিল পাওয়া গেছে হলিউড নায়িকা মিন্ডি কালিংয়ের 'মেট গালা'য় পরা জামাটির। 

এ ঘটনার পর অনেকে মিন্ডি-কে 'কপি ক্যাট' বলতেও শুরু করেছেন । 

গত ৬ মে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের ভিতরে পা রাখেন কালিং। ফটোগ্রাফাররা তার লুকের প্রশংসা করলেও, সোশ্যাল মিডিয়া দেরি করেনি 'চুরি' ধরতে। ঠিকই তারা খুঁজে খুঁজে বের করেছেন, লুকিয়ে থাকা মিলগুলো। 

মিন্ডি কালিং ভারতের গৌরব গুপ্তের ডিজাইন করা শ্যাম্পেন রঙের গাউনে মেট গালা ২০২৪-এ রেড কার্পেটে ঝড় তোলেন। 'গার্ডেন অব টাইম' থিম অনুসারে, গাউনটির পিছনে বানানো হয়েছিল ফুলের মতো কাঠামো। পোশাকের পিছনটা দেখলে কারও কারও মনে হবে, যেন কোনও ফুলের পাঁপড়ি। থরে থরে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মেট গালাতে সকলেই বাহবা জানান, কালিংয়ের ফ্যাশন স্টেটমেন্টকে।

কিছু ভারতীয় ফ্যাশন উৎসাহী ঐশ্বরিয়ার কান পোশাকের সঙ্গে এর অদ্ভুত মিল খুঁজে পান। আশ্চর্যজনকভাবে সে পোশাকটিও ডিজাইন করেছিলেন গৌরব গুপ্তই। গোলাপি এবং ব্লাশ রঙের আশ্চর্য মেলবন্ধন ছিল সেটি। যা তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৩ হাজার ৫০০ ঘণ্টা। সে গাউনের কাট থেকে শুরু করে ভেইল, সবই যেন হুবহু এক। 

এক নেটিজেন মিন্ডি কালিংয়ের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন, 'আমি ভেবেই চলেছি কোথায় যেন দেখেছি… কোথায় যেন দেখেছি। এ যে কান থেকে আমাদের ঐশ্বরিয়া'। দ্বিতীয়জন লিখলেন, 'কালিংকে দেখতে সুন্দর লাগছে ঠিকই, তবে কানে ঐশ্বরিয়া যে পোশাক পরেছিলেন, তার থেকে লুকটা একটু অন্যরকম হতে পারত।' 


ঐশ্বরিয়া রাই   মিন্ডি কালিং  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগে টিজারেই নকলের আভাস দিল শাকিবের ‘তুফান’

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মিত ‘তুফান’ সিনামাটি মুক্তির আগেই কুড়ালো নকলের দুর্নাম। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই আরেক দফা হাসাহাসি রাফির নির্মাণ নিয়ে। অবশ্য এই পরিচালকের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তার ওপর আসা নকলের অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বা। ‘কপিরাজ’ শব্দটি যেন রায়হান রাফির পদবী হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ছবির অফিসিয়াল টিজার ছবির নায়ক শাকিব খানের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এর মেকিংয়ে ভারতীয় সিনেমা কেজিএফ ও অ্যানিমেলের মিশ্রণ খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এরপরই রাফিকে একহাত নিচ্ছেন সিনেমাপ্রেমীরা।

রাহাত নামে একজন তো তুফানকে সরাসরিই কেজিএফ ও অ্যানিমেলের কপি বলে ফেলেছেন। রাশেদ নামে একজন টিজার দেখে বলেছেন, মনে হচ্ছে সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির টিজার দেখলাম। তুফানে নায়কের পোশাক ও অভিব্যক্তিকে কেজিএফ স্টার যশ ও অ্যনিমেল স্টার রণবীরের লুকের খিচুড়ি পাকিয়েছেন নির্মাতা রাফি। লুক, গেটআপ, সেট ও মেকআপ সব কিছুতেই কেজিএফ সিনেমার কপির আলামত রেখেছেন এই পরিচালক। যদিও রাফির দাবি, এই ছবির লুক ও অ্যাকশন নাকি একদমই আলাদা। তবে কেজিএফ সিনেমার বাজেট নকল করতে পারেননি নির্মাতা। বড় বাজেট না থাকায় ছোট ছোট অস্ত্র সস্ত্র দিয়েই কেজিএফফের স্বাদ তুফানে মেটাতে চেয়েছেন নির্মাতা। কপির অপবাদে অবশ্য নির্মাতা রাফির কিছু যায় আসে না।

এর আগেও এসব অপবাদ টলাতে পারেনি এই কপিরাজ পরিচালককে। টিজার মুক্তির পর রাফি জানান, তুফান তার লাইফের একটা ড্রিম প্রজেক্ট। দেশের একজন নির্মাতার স্বপ্ন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমদানি হতে দেখে হেসেছেন নেটিজেনদের অনেকে।

এর আগে, ওয়েব ফিল্ম ‘নিঃশ্বাস’-এর টাইটেল ট্রাকের মিউজিক চুরির অভিযোগ উঠেছিল রাফির বিরুদ্ধে। অবশ্য তিনি সেটিকে নকল বলতে নারাজ। অভিযোগ সামাল দিতে অভিধান ঘেঁটে ‘অনুপ্রাণিত’ শব্দটি এনে সে যাত্রায় পিঠ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া আফরান নিশো অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’-র বিরুদ্ধেও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নকলের অভিযোগ উঠেছে। এটিও রাফির নির্মাণ। নেটিজেনরা নকলের তথ্য-উপাত্ত হাজির করলেও রাফি মেরুদণ্ড টান রেখেই জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন, সহি পদ্ধতিতেই করেছেন।

রাফি যে মিউজিক থেকেই অনুপ্রাণিত হন, তা কিন্তু নয়। অন্যের পোস্টারও তাকে অনুপ্রাণিত করে। এর আগে তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘ফ্রাইডে’র পোস্টারটিও নকল বলে চিহ্নিত করেছিল নেট নাগরিকরা। সেটি নাকি ছিল সাউথ কোরিয়ান সিনেমা ‘প্যারাসাইটের নকল!

এবার তুফান সিনেমার টিজার বেরোতেই উঠল নকলের অভিযোগ। তবে শাকিবিয়ানরা তাদের পছন্দের নায়ককে এমন লুকে দেখ বেজায় আনন্দিত। ফলে সোশ্যাল মাধ্যমে দুর্নামের ঝড়টা বয়ে যাচ্ছে কেবল রাফির ওপর দিয়েই। আসছে ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাবে তুফান। এ সিনেমায় আরও থাকবেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা অনেকে।


‘তুফান’   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দিয়েছে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এই গুণী শিল্পী।

অনুষ্ঠানে বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ। এ সময় রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও কবি তারিক সুজাত ও ‘মাত্রা’ পরিবারসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাহফুজ আনাম, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, সৌমিত্র শেখর, কবি কামাল চৌধুরী, শাহীন সামাদ, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, ইফ্ফাত আরা দেওয়ান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শিল্পী কলাকুশলীসহ দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার এই অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে অভিহিত করেন। প্রতিক্রিয়ায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

পদ্মশ্রী পুরস্কার   রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঝড়ের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা, অল্পের জন্য বেঁচে গেল সায়নী

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন টালিউট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার (৬ মে) নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে এক প্রকার বিপদে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রচারণাকালীন সময়ে তার গাড়ির সামনে ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যান এই অভিনেত্রী। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সোমবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র‌্যালির সামনেই ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এসময় নেতা-কর্মীরা সতর্কতার সাথে সরিয়ে নেন অভিনেত্রীকে এবং গাছের ডাল সরিয়ে আবারও প্রচারণায় বের হতে দেখা যায় তাদের।

উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।


লোকসভা নির্বাচন   সায়নী ঘোষ   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বলিউড তারকা প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন হেমা মালিনী, অরুণ গোভিল ছাড়াও টালিউড অভিনেতা দেব, রবি কিষান, অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মত তারকারা। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে যাচ্ছেন বলিউডেরআইটেম গার্লখ্যাত রাখি সাওয়ান্তও। কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন তিনি। বিজেপি সমর্থিত আরেক তারকা প্রার্থী কঙ্গণার বিরুদ্ধে লড়তে চান তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিউড এই তারকার আশা ছিল নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া। কিন্তু তা হয়নি। তাই তিনি কংগ্রেসের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে নির্বাচনের টিকেট দিতে কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে আবদারও করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। গত ১৯ এপ্রিল নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয়, যা চলবে আগামী জুন পর্যন্ত। সাত দফার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনের ভোটগ্রহণ হয়ে গেছে, এবং তৃতীয় দফায় আজ ( মে) ১২ রাজ্যের ৯৪ টি লোকসভার ভোটগ্রহণ চলছে।


লোকসভা নির্বাচন   রাখি সাওয়ান্ত   কঙ্গনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন