ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসের দায় শোধ করলো ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বিশ্বকাপের ফাইনাল। মঞ্চও ছিলো প্রস্তুত। ফাইনালকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিলো ক্রিকেটর অন্যতম তীর্থভূমি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ৮১ হাজার দর্শক। সেখানে আধিপত্য ছিলো পাকিস্তান সমর্থকদের। কিছু ইংলিশ সমর্থক থাকলেও, সবুজ-সাদার আড়ালে তা প্রায় ঢাকাই পড়ে ছিলেন পুরোটা সময়।

তবে ম্যাচ শেষ হতেই দেখা গোলো ভিন্ন চিত্র। সংখ্যায় নগণ্য এই ইংলিশ সমর্থকদের উল্লাসে ভারী হয়ে উঠলো মেলবোর্নের আকাশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো ইংল্যান্ড। সেই সাথে ৩০ বছর আগে মেলবোর্নেই ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো ইংলিশরা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসের দায় শোধ করলো জশ বাটলারের দল। আর ১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপার জন্য অপেক্ষা বাড়লো পাকিস্তানের।

লড়াইটা চলছিলো সমানে সমানে। কখনো পাকিস্তান, কখনো ইংল্যান্ড- ম্যাচের পাল্লা দুলছিলো দুই দলের দিকেই। তবে শাহিন শাহ আফ্রিদির চোটে মুহুর্তেই বদলে গেলো ম্যাচের চিত্র। নিজের স্পেলের ১.৫ ওভার বাকি রেখেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শাহিনকে। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ পরিষ্কার করে নেয় ইংল্যান্ড। ৭ বল হাতে রেখেই নোঙর করে জয়ের বন্দরে।

পাকিস্তানের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসের উইকেট হারায় দলটি। চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন হারিস রউফ। তুলে নেন ফিল সল্টের উইকেট। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে পাকিস্তানকে ম্যাচের চালকের আসনে নিয়ে আসেন রউফ। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারকে রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দী করেন তিনি। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।

টুর্নামেন্টজুড়ে ইংল্যান্ডের মিডলঅর্ডার বলার মতো কোন রান পায়নি। আজ ফাইনালে দলকে শিরোপা জেতানোর গুরুদ্বায়িত্ব পড়ে মিডলঅর্ডারের কাঁধে। হ্যারি ব্রুকসকে সাথে নিয়ে সে পথ পাড়ি দিতেন থাকেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তবে দারুণ লড়াই করেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। রানের চাকার লাগাম টেনে ধরে আস্তে আস্তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালায় দলটি। সেই চাপে খেই হারায় ইংলিশরাও। ১৩তম ওভারে হ্যারি ব্রুককে নিজের শিকারে পরিণত করেন শাদাব খান। কাভারের উপর দিয়ে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন ব্রুক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করেন দুজনে। সে ক্যাচটি নিতে গিয়েই পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা পান শাহিন আফ্রিদি। তখনই ফিজিও'র সাথে মাঠের বাইরে চলে যান শাহিন।

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে হাত খুলে রান তুলতে দেয়নি পাকিস্তানের বোলাররা। এতে ম্যাচের ভাগ্য দুলতে থাকে পেন্ডলামের মতো। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবারো মাঠে ফেরেন শাহিন। চিৎকার করে তাকে স্বাগত জানায় গ্যালারি ভর্তি পাকিস্তান সমর্থকরা। কারণ তখনো দুটি ওভার বাকি পাকিস্তানের বোলিং বিভাগের অন্যতম কান্ডারি আফ্রিদির। তবে ১৬তম ওভারে বোলিং এসে একটি বল করেই মাঠ ছেড়ে উঠে যান আফ্রিদি।

ম্যাচে আসে নাটকীয় মোড়। সে ওভার শেষ করতে ইফতিখার আহমেদের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগান বেন স্টোকস। ৫ বল থেকে তুলে নেন ১৩ রান। এতে চাপ কাটিয়ে খোলস থেকে বেরিয়ে আসে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।

মোহাম্মাদ ওয়াসিমের করা পরের ওভারে তিন বাউন্ডারি মেরে ইংল্যান্ডকে ম্যাচের চালকের আসনে নিয়ে আসেন মঈন আলী। ষষ্ঠ বোলারের অভাবে শিরোপা স্বপ্ন ফিকে হতে থাকে পাকিস্তানের। দলকে জয়ের কাছাকাছি এনে মঈন আউট হলেও, স্টোকস ছিলেন ক্রিজ আঁকড়ে। তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতক। ৫২ রানে অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডকে এক যুগ পর এনে দেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক ইংলিশদের এনে দিলেন আরো একটি বিশ্বকাপ।

এর আগে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নো-বল দিয়ে ফাইনালে বোলিংয়ের সূচনা করেন বেন স্টোকস। যা এবারের আসের কোন ইংলিশ বোলারের প্রথম নো বল। দুই ওপেনারের ব্যাটে শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মাদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ইংলিশদের প্রথম সাফল্য এনে দেন স্যাম ক্যারেন। ১৪ বলে ১৫ রান করেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের বিদায়ে ক্রিজে আসেন বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে চমক দেখানে মোহাম্মাদ হারিস। তবে এদিন খোলস ছেড়ে বের হতে পারেন নি তিনি। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের প্রথম বলেই তাকে সাজঘরে ফেরান আদিল রশিদ। ১২ বল খেলে হারিসের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।

দলকে টেনে নিচ্ছিলেন বাবর ও শান মাসুদ। তবে আবারো ইংল্যান্ডকে স্বস্তি এনে দেন রশিদ। ১২তম ওভারে তার গুগলিতে পরাস্ত হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক। গুরুত্বপূর্ণ  উইকেটের পাশাপাশি তুলে নেন মেডেন। পরের ওভারে আঘাত হানেন বেন স্টোকস। আউট সুইংয়ে পরাস্ত করেন ইফতিখার আহমেদকে। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান।

শাদাব খানকে নিয়ে শান মাসুদ প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে এসে মাসুদের উইকেট তুলে নেন স্যাম ক্যারেন। আরেকপ্রান্তে থাকা শাদাব খানকে পরের ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন ক্রিস জর্ডান।

১৯তম ওভারে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নওয়াজ ক্যারেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরের স্বপ্নভঙ্গ হয় পাকিস্তানের। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ১৩৭ রান।

ইংলিশদের হয়ে ম্যাচটিতে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন স্যাম ক্যারেন। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও উঠে তার হাতে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে রোহিতের মত কোহলিরও ‘না’

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ম্যাচের মাঝে যেকোনো সময় একজন ক্রিকেটারকে বদলে ফেলতে পারবে দু’টি দল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত আসর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নামে এই নিয়ম। এই নিয়ম আসার পর আইপিএলে বদলেছে অনেক কিছুই। যেমন- এখন আর প্রথম একাদশ বেছে নিলেই হয় না। বেছে নিতে হয় একজন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারকেও। তাই এখন ১১ জন নয়, বরং ১২ জনের খেলা হয়ে গেছে। যেদিন থেকে আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম এসেছে, সেদিন থেকে অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কমে যাবে কি না সবার মনে এই একটাই প্রশ্ন ছিলো।

তবে এখন  প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় দলে এই নিয়মের কোন প্রভাব পড়ছে কি না, সেই নিয়ম কি বিপদে ফেলছে ভারতীয় দলকেই, নাকি হচ্ছে সুবিধা? আইপিএলের এই নিয়মটা পছন্দ না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার। সম্প্রতি রোহিত ক্লাব ফ্রেইরে পডকাস্টে বলেছিলেন তার ভাবনার কথা। এবার রোহিতের সঙ্গেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে নিজের সুর মিলিয়েছেন ভিরাট কোহলি।

কোহলি বলেন, চার-ছক্কা হলেই ম্যাচ জমে না। ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থাকলেই ক্রিকেট হয়ে ওঠে আনন্দদায়ক। জিও সিনেমায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ভিরাট। রোহিতের কথায় সমর্থন জানিয়ে কোহলি বলেন, আমি রোহিতের সঙ্গে একমত। খেলার একটা দিক হচ্ছে বিনোদন, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে কোনো সমতা থাকছে না। এ অবস্থায় বোলারদের খারাপ লাগারই কথা। আমি আগে কখনো এমন পরিস্থিতি দেখিনি, যেখানে একজন বোলারকে প্রতিটি বলে চার বা ছয় হজমের কথা ভাবতে হচ্ছে। সব দলে তো আর বুমরাহ কিংবা রশিদ খান নেই।

কোহলি আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে নিয়মটা আমি ভালো বলতে পারি। কিন্তু ম্যাচ তো জমজমাট হতে হবে। ক্রিকেটে চার-ছক্কা হলেই যে ম্যাচ জমে ব্যাপারটা এমন না। ১৬০ রান ডিফেন্ড করতে পারলেও কিন্তু ম্যাচ জমে, সেখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আবহ দর্শকরা উপভোগ করতে পারে।

উল্লেখ্য, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে আছে, কোনো খেলোয়াড় আউট হয়ে গেলে তার পরিবর্তে নামা কেউ ব্যাট করতে পারবেন। তবে ১১ জনের বেশি ব্যাট করতে পারবেন না। আবার বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোনো প্লেয়ারের কোটা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বদলি হিসেবে নামা একজন পূর্ণ ৪ ওভার বল করতে পারবেন। মূলত, এই সিস্টেমে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা কমছে। সুবিধামত সময়ে অতিরিক্ত একজন পূর্ণ ব্যাটার কিংবা বোলার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন অধিনায়করা।


ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার   আইপিএল   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

একবছরেই অনুষ্ঠিত হবে দুই বিপিএল!

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া আসর হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। প্রতিবারই বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটির। শুধু তাই নয়, নানা জটিলতা ও নানা কারণে প্রতি আসরেই টুর্নামেন্টটির সময়-সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল পিছিয়ে শুরু হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টটির আগামী আসর শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক হয়ে আছে ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবারও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে পূর্বে নির্ধারিত তারিখে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে ২০২৫ সালের বিপিএলের সময় এগিয়ে আনতে হতে পারে। এতে বিপিএলের একাদশ আসর মাঠে গড়াতে পারে চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। যদি তাই হয় তবে এক বছরে দুইবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

অবশ্য এর জন্য আয়োজক কমিটি দায়ী নয়। ২০২৫ সালের শুরুতেই হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ আইসিসির এই ওয়ানডে টুর্নামেন্টের সময় ঠিক হয়ে আছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য হলেও বাংলাদেশ দলের কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে।

এ কারণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক সূচির সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

সাত দলের বিপিএল ডাবল লিগ ভিত্তিতে ৪৪টি ম্যাচ খেলা হয়। টুর্নামেন্ট শেষ করতে সময় লাগে ৪০ দিনেরও বেশি। একাদশ আসর ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলে শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। সে ক্ষেত্রে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ওয়ানডে প্রস্তুতি নেয়ার সময় থাকবে না।

এ অবস্থায় টুর্নামেন্ট শেষ করেই পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে। ৫০ ওভারের ম্যাচের প্রস্তুতি নেয়ারও সুযোগ পাবে না খুব একটা। এই বিষয়ে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির সময় ধরে আমরা বিপিএল স্লট ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা কবে থেকে অনুশীলন শুরু করতে চায়। আমার মনে হয় না যে স্লট দেওয়া আছে, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন করতে হবে। এক-দুই দিন এদিক-ওদিক করতে হতে পারে।’

ডিসেম্বরের শেষদিকে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হলে আসরকে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য তিনটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট- আরব আমিরাতের আইএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএটি২০ ও বিগ ব্যাশের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে।


বিপিএল   বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

প্লে-অফের দৌঁড় থেকে ছিটকে মুস্তাফিজের জন্য চেন্নাইয়ের আক্ষেপ

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ জাকজমকপূর্ণভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল আইপিএলের ১৭তম আসরের। যেখানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। আসরের শুরু থেকেই নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকেই ছিল তারা। তবে শেষ দিকে এসে যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলে ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দল। যার জন্য প্লে-অফের দৌড় থেকেও ছিটকে গেছে তারা।

শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ৩৫ রান। তবে রান রেটের হিসেবে ১৭ রান তুলতে পারলে প্লে-অফে জায়গা হতো চেন্নাইয়ের। কিন্তু সেটি করতে পারেনি তারা। মার্ক দয়ালের সে ওভার থেকে তোলে মোটে ৭ রান। এতে হারের পাশাপাশি রান রেটের হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচ হেরে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে পুরো মৌসুম না পাওয়ার আক্ষেপ ঝরল চেন্নাইয়ের অধিনায়কের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাথিরানার ইনজুরি, তারপর ফিজের না থাকাটা। এরপর পাথিরানা আসলো, দেশে ফিরে গেল, ফিজকেও আমরা হারিয়েছি। এরকম চলতে থাকলে স্কোয়াডে ভারসাম্য আনাটা কষ্ট। ম্যাচের জন্য একাদশ বাছাইও কঠিন হয়ে যায়। পুরো আসরে যেভাবে চোট, ক্রিকেটারদের না পাওয়ার সঙ্গে আমরা লড়েছি তাতে ১৪ ম্যাচে ৭ জয় খারাপ কিছু নয়।’

মুস্তাফিজ আর পাথিরানাকে চেন্নাইয়ের সম্পদ উল্লেখ করে রুতুরাজ বলেন, ‘আমাদের সামনের সারির দুজন বোলার ছিল না। যারা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্পদ ছিল। কনওয়েকে আমরা শুরুতে পাইনি। তিন জন মূল ক্রিকেটারের না থাকাটা বড় ধরনের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চেন্নাইয়ের ম্যানেজমেন্ট, স্টাফরা সবাই পুরো আসর জুড়ে আমাদের অনেক সমর্থন করেছে।’

প্রসঙ্গত, এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ততার কারণে দেশে ফিরতে হয় তাকে। অন্যদিকে ইনজুরির কারণে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরতে হয় মাথিশা পাথিরানাকেও।


Indian Premier League   IPL T20   আইপিএল   মুস্তাফিজুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বন্ধ চোখে থমথমে ধোনি, আনন্দে কাঁদলেন কোহলি

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ১৭তম আসরের প্লে-অফ। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল তিন দলের শেষ চার। বাকি ছিল মাত্র একটি দল। আর সেই শেষ দল হিসেবে লড়াই জমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস বনাম র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। যেখানে প্লে অফে ওঠার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ছিল শুধু জয়। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দরকার ছিল অঙ্ক কষে জয়। প্লে অফের অঙ্ক মিলিয়ে আইপিএলের শেষ চারে পৌঁছে গেছে বিরাট কোহলিরা। বিপরীতে বিদায় নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।

ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকার লড়াই হিসেবে আগেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল শনিবারের ম্যাচ। ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। ইয়াশ দয়াল চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ বলটি করতেই কোহলির পাগলাটে উচ্ছ্বাস দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

শুধু উচ্ছ্বাস নয়, আনন্দে-আবেগে চোখের কোণও ভিজে গেল কোহলির। গ্যালারিতে কাঁদলেন তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। কাঙ্ক্ষিত জয় আসতেই চিন্নাস্বামীর মাঠে কোহলির দৌড়ের মধ্যে ছিল মুক্তির ছোঁয়া।

একটা সময় প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আরসিবির। সেখান থেকে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর কোহলি যেন ডানা মেলে উড়লেন মাঠে। মুদ্রার অন্য পিঠও চোখ এড়ায়নি ক্রিকেটভক্তদের।

দলকে আইপিএলের প্লে অফে তুলতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ৪২ বছরের ধোনি। ২০তম ওভারের প্রথম বলে দয়ালকে মারা বিশাল ছক্কাটায় তার পরিচিত সিংহ মেজাজ ধরা পড়েছিল।

ধোনির ছক্কায় ব্যাঙ্গালুরুর শিবিরে যেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তেমনই আশার আলো জ্বলেছিল চেন্নাইয়ের ডাগআউটে। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মুখ চকচক করছিল ধোনির ছক্কার পর।

পরের বলে আবার ছক্কা মারার চেষ্টা করতে গিয়ে বাউন্ডারির লাইনের কাছে থাকা স্বপ্নিল সিংহের হাতে ধরা পড়েন ধোনি। মুহূর্তে বদলে গেল দুই শিবিরের ছবি। হতাশায় ব্যাটে ঘুষি মারলেন ধোনি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়তো তখনই ভবিতব্য পড়ে ফেলেছিলেন।

ধোনি যখন হতাশ হয়েছেন, তখনই উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে কোহলিকে। আবার কোহলির হতাশায় স্বস্তি পেয়েছেন ধোনি। টান টান ম্যাচে ক্রমাগত বদলেছে দুই ক্রিকেটারের মুখের অবয়ব। তাদের স‌ঙ্গে বদলেছে চিন্নাস্বামীর আবহ। ক্রিকেট তো এমনই!


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইদুনা পার্কে রয়েসের রাজকীয় বিদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে সমাপ্তি হলো মার্কো রয়েস-বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দীর্ঘ এক যুগের সম্পর্ক। বয়স ভিত্তিক দলের সাথে সম্পর্ক হিসেব করলে এই সম্পর্কের স্থায়িত্ব আরও বেশি। হিসেব করলে এই সম্পর্কের সময় দাড়ায় ২১ বছর। পৃথিবীর সব সম্পর্কেরই শেষ আছে। তেমনি শেষ হয়েছে মার্কো রয়েসের ডর্টমুন্ডের সম্পর্কও। আর তার এই বিদায় হয়েছে রাজকীয় ভাবে।

ডর্টমুন্ডের সাথে রিউসের এই পথ চলার সময়ে কতো কিছুই না পাল্টেছে। কত ফুটবলার তারকা হয়েছেন, নিজের শৈশবের ক্লাব থেকে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য ক্লাবে, বহু চড়াই-উৎরায় পাড় করে অনেক ক্লাব উঠে এসেছে লিগের শীর্ষ স্থানে, কেউ আবার নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে নেমে গেছে তলানিতে। কিন্তু এই সময় বদলায়নি খালি মার্কো রিউসের ঠিকানা।

ইউরোপের বহু নামি-ক্লাব থেকে অফার পেলেও ছাড়েনি ক্লাব। তাই ফ্যানদের কাছ থেকে ‘লয়ালটির’ ট্যাগও পেয়েছে সে।

এর আগে ২০১২ সালে ডর্টমুন্ডের হয়ে মূল দলে অভিষিক্ত হয় রয়েস। এরপর কেটে গেছে ১২ টি মৌসুম। এই ১২ মৌসুমে ডর্টমুন্ডের উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছেন রয়েস। অবশেষে গত ৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জার্মান তারকা ঘোষণা দেন এই মৌসুমেই ক্লাব ছাড়বেন তিনি।

গতকাল (১৮ মে) ডর্টমুন্ডের ইদুনা পার্কে ডার্মস্টাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ডর্টমুন্ড। এই ম্যাচটি কাগজে-কলমে গুরুত্বহীন হলেও ডর্টমুন্ড সমর্থকদের জন্য ছিল ভিন্ন। কারণ এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ইদুনা পার্কে হলুদ জার্সি পড়ে শেষ বারের মতো দেখা যাবে ক্লাবের ‘লয়াল বয়’ মার্কো রয়েস। ম্যাচের শুরুতেই তাকে দল থেকে দেওয়া হয় ‘গার্ড অব হনার’। ম্যাচ শেষে তাকে অশ্রু সিক্ত বিদায় দেন ডর্টমুন্ড ফ্যান ও খেলোয়াড়রা।

ইদুনা পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটি অবশ্য রাঙ্গিয়ে নিয়েছে রয়েস। ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে এক অসাধারণ ফ্রি কিকের মাধ্যমে গোল করেন রয়েস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ৪-০ তে ডার্মস্টাটকে বিধ্বস্ত করেছে ডর্টমুন্ড। দলের পক্ষে অন্য তিনটি গোল করেন জুলিয়ান ব্রান্ডট, মালেন ও ইয়ান মাতসেন।

ডর্টমুন্ডের হয়ে ৪২৪ ম্যাচে খেলেছেন রয়েস। তাতে ১৬৮ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ১২৮টিতে। বরুশিয়ার হয়ে দুটি জার্মান কাপ এবং তিনটি জার্মান সুপার কাপ জিতেছেন রয়েস।


মার্কো রয়েস   ডর্টমুন্ড   বুন্দেসলিগা   ইদুনা পার্কে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন