ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসের দায় শোধ করলো ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০৫:৩৯ পিএম, ১৩ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বিশ্বকাপের ফাইনাল। মঞ্চও ছিলো প্রস্তুত। ফাইনালকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিলো ক্রিকেটর অন্যতম তীর্থভূমি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ৮১ হাজার দর্শক। সেখানে আধিপত্য ছিলো পাকিস্তান সমর্থকদের। কিছু ইংলিশ সমর্থক থাকলেও, সবুজ-সাদার আড়ালে তা প্রায় ঢাকাই পড়ে ছিলেন পুরোটা সময়।

তবে ম্যাচ শেষ হতেই দেখা গোলো ভিন্ন চিত্র। সংখ্যায় নগণ্য এই ইংলিশ সমর্থকদের উল্লাসে ভারী হয়ে উঠলো মেলবোর্নের আকাশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো ইংল্যান্ড। সেই সাথে ৩০ বছর আগে মেলবোর্নেই ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো ইংলিশরা। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাসের দায় শোধ করলো জশ বাটলারের দল। আর ১৩ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপার জন্য অপেক্ষা বাড়লো পাকিস্তানের।

লড়াইটা চলছিলো সমানে সমানে। কখনো পাকিস্তান, কখনো ইংল্যান্ড- ম্যাচের পাল্লা দুলছিলো দুই দলের দিকেই। তবে শাহিন শাহ আফ্রিদির চোটে মুহুর্তেই বদলে গেলো ম্যাচের চিত্র। নিজের স্পেলের ১.৫ ওভার বাকি রেখেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শাহিনকে। আর সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ পরিষ্কার করে নেয় ইংল্যান্ড। ৭ বল হাতে রেখেই নোঙর করে জয়ের বন্দরে।

পাকিস্তানের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসের উইকেট হারায় দলটি। চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন হারিস রউফ। তুলে নেন ফিল সল্টের উইকেট। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে পাকিস্তানকে ম্যাচের চালকের আসনে নিয়ে আসেন রউফ। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা ইংলিশ অধিনায়ক বাটলারকে রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দী করেন তিনি। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।

টুর্নামেন্টজুড়ে ইংল্যান্ডের মিডলঅর্ডার বলার মতো কোন রান পায়নি। আজ ফাইনালে দলকে শিরোপা জেতানোর গুরুদ্বায়িত্ব পড়ে মিডলঅর্ডারের কাঁধে। হ্যারি ব্রুকসকে সাথে নিয়ে সে পথ পাড়ি দিতেন থাকেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তবে দারুণ লড়াই করেছেন পাকিস্তানের বোলাররা। রানের চাকার লাগাম টেনে ধরে আস্তে আস্তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালায় দলটি। সেই চাপে খেই হারায় ইংলিশরাও। ১৩তম ওভারে হ্যারি ব্রুককে নিজের শিকারে পরিণত করেন শাদাব খান। কাভারের উপর দিয়ে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন ব্রুক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করেন দুজনে। সে ক্যাচটি নিতে গিয়েই পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা পান শাহিন আফ্রিদি। তখনই ফিজিও'র সাথে মাঠের বাইরে চলে যান শাহিন।

নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে হাত খুলে রান তুলতে দেয়নি পাকিস্তানের বোলাররা। এতে ম্যাচের ভাগ্য দুলতে থাকে পেন্ডলামের মতো। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবারো মাঠে ফেরেন শাহিন। চিৎকার করে তাকে স্বাগত জানায় গ্যালারি ভর্তি পাকিস্তান সমর্থকরা। কারণ তখনো দুটি ওভার বাকি পাকিস্তানের বোলিং বিভাগের অন্যতম কান্ডারি আফ্রিদির। তবে ১৬তম ওভারে বোলিং এসে একটি বল করেই মাঠ ছেড়ে উঠে যান আফ্রিদি।

ম্যাচে আসে নাটকীয় মোড়। সে ওভার শেষ করতে ইফতিখার আহমেদের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগান বেন স্টোকস। ৫ বল থেকে তুলে নেন ১৩ রান। এতে চাপ কাটিয়ে খোলস থেকে বেরিয়ে আসে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।

মোহাম্মাদ ওয়াসিমের করা পরের ওভারে তিন বাউন্ডারি মেরে ইংল্যান্ডকে ম্যাচের চালকের আসনে নিয়ে আসেন মঈন আলী। ষষ্ঠ বোলারের অভাবে শিরোপা স্বপ্ন ফিকে হতে থাকে পাকিস্তানের। দলকে জয়ের কাছাকাছি এনে মঈন আউট হলেও, স্টোকস ছিলেন ক্রিজ আঁকড়ে। তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম অর্ধশতক। ৫২ রানে অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডকে এক যুগ পর এনে দেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক ইংলিশদের এনে দিলেন আরো একটি বিশ্বকাপ।

এর আগে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। নো-বল দিয়ে ফাইনালে বোলিংয়ের সূচনা করেন বেন স্টোকস। যা এবারের আসের কোন ইংলিশ বোলারের প্রথম নো বল। দুই ওপেনারের ব্যাটে শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মাদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে ইংলিশদের প্রথম সাফল্য এনে দেন স্যাম ক্যারেন। ১৪ বলে ১৫ রান করেন রিজওয়ান। রিজওয়ানের বিদায়ে ক্রিজে আসেন বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে চমক দেখানে মোহাম্মাদ হারিস। তবে এদিন খোলস ছেড়ে বের হতে পারেন নি তিনি। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের প্রথম বলেই তাকে সাজঘরে ফেরান আদিল রশিদ। ১২ বল খেলে হারিসের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।

দলকে টেনে নিচ্ছিলেন বাবর ও শান মাসুদ। তবে আবারো ইংল্যান্ডকে স্বস্তি এনে দেন রশিদ। ১২তম ওভারে তার গুগলিতে পরাস্ত হয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন পাকিস্তান অধিনায়ক। গুরুত্বপূর্ণ  উইকেটের পাশাপাশি তুলে নেন মেডেন। পরের ওভারে আঘাত হানেন বেন স্টোকস। আউট সুইংয়ে পরাস্ত করেন ইফতিখার আহমেদকে। ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান।

শাদাব খানকে নিয়ে শান মাসুদ প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে এসে মাসুদের উইকেট তুলে নেন স্যাম ক্যারেন। আরেকপ্রান্তে থাকা শাদাব খানকে পরের ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন ক্রিস জর্ডান।

১৯তম ওভারে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নওয়াজ ক্যারেনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় স্কোরের স্বপ্নভঙ্গ হয় পাকিস্তানের। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ায় ১৩৭ রান।

ইংলিশদের হয়ে ম্যাচটিতে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন স্যাম ক্যারেন। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও উঠে তার হাতে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হেড-ক্লাসেনদের তাণ্ডব নেই, ৬ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঠিক ১০ দিন আগে এই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে আইপিএল রেকর্ড ২৮৭ রান তুলেছিলেন ট্রাভিস হেড–হাইনরিখ ক্লাসেনরা। এবার সেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের মাঠেই আটকা পড়ল হায়দরাবাদ। ফাফ ডু প্লেসিদের ৭ উইকেটে ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে প্যাট কামিন্সের দল থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। 

হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়ে টানা ৬ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু। ৯ ম্যাচে ডু প্লেসিদের পয়েন্ট ৪, আর ৮ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ১০।

টানা হারের মধ্যে থাকা বেঙ্গালুরু শুধু জয়েই ফেরেনি, হায়দরাবাদের তাণ্ডবও থামিয়েছে। ১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রান তোলার পরের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৬৬ রান তুলেছিল কামিন্সের দল। সেটি ছিল এবারের আইপিএলে হায়দরাবাদের ৮ ম্যাচে চতুর্থ দ্বিশতক আর তৃতীয় ২৬০‍+ ইনিংস।

আজ নিজেদের মাঠে রান তাড়ায় আরেকবার দুই শ পার করার সুযোগ ছিল কামিন্সদের সামনে। কিন্তু হেড–ক্লাসেনদের 'হাত খোলা'রই সুযোগ দেয়নি বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাকসের বলে হেড ফেরেন প্রথম ওভারেই, করেন ৩ বলে ১ রান। পাঁচে নামা ক্লাসেন নিজের দ্বিতীয় বলে স্বপ্লিল সিংকে ছয় মারলেও পরের বলেই ক্যাচ তোলেন। 

অন্যদের মধ্যে ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে ফেরেন যশ দয়ালের বলে। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা হায়দরাবাদ শেষ পর্যন্ত শাহবাজ আহমেদ (৩৭ বলে ৪০) ও কামিন্সের (১৫ বলে ৩১) সৌজন্যে দেড় শ পার করে।

এর আগে বেঙ্গালুরুর রান দুই শ পার করাতে বড় ভূমিকা রাখেন রজত পাতিদার ও ক্যামেরন গ্রিন। বিরাট কোহলি ৪৩ বলে ৫১ ও ডু প্লেসি ১২ বলে ২৫ রান করে ফিরে যাওয়ার পর এ দুজনই বেঙ্গালুরুকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন। পাতিদার ২০ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেন ৫০ রান। আর গ্রিন ২০ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।


বেঙ্গালুরু   হায়দরাবাদ   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য ইংলিশদের

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাকি আর মাত্র কয়েকদিন, এরপরেই  শুরু হতে চলেছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর সেই আসরকে ঘিরেই একরকম ব্যস্ত সূচিতে রয়েছে প্রায় সবকটি প্রতিযোগী দেশ।

আসন্ন আসরটিকে নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা না থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটা কথা আসছে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে।যেমন- পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির বলেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কথা। অন্যদিকে এবার টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শিরোপা জয়ের লক্ষ্য জানান দেন ইংল্যান্ড তারকা আদিল রশিদ।

সর্বশেষ ২০২২ সালের বিশ্ব আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। আর সেখানেই ২২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখা লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। তবে সর্বশেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চরম বাজে সময় পার করেছে ইংল্যান্ড। ছয় হার ও তিন জয় নিয়ে তারা বিশ্বকাপ শেষ করেছিল সপ্তম অবস্থানে থেকে। 

অবশ্য নিজেদের খারাপ সময় নিয়ে কোথাও বলেছেন রশিদ। এ প্রসঙ্গে ইসিবির জাতীয় টেপ-টেনিস বল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে রশিদ বলেন, ‘আমরা একেবারে কম রান করেছি, যাইহোক যা হওয়ার হয়েছে। এটা (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) আমাদের সেরা টুর্নামেন্ট ছিল না, ব্যাট–বল কিংবা দল হয়ে কোনো বিভাগেই আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি। তবে আমি মনে করি আসন্ন (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন ফরম্যাটের, যেখানে আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।’

তিনি আরও বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের যে দল রয়েছে, এখানে থাকা ক্রিকেটারদের ভালো মাইন্ডসেট ও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। যদি আমরা একই বিশ্বাস নিয়ে সেখানে যেতে পারি, আমি আশাবাদী আমরা বাকি পথ সামলাতে পারব।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরো আসরে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল একটি ম্যাচে হারে ইংল্যান্ড। তবে পরবর্তীতে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৬৯ রান তাড়া করে ১৬ ওভারেই ১০ উইকেট হাতে রেখে জয় লাভ করে দলটি। 

অন্যদিকে সহজলভ্যভাবেই ফাইনালে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইংলিশরা। তাই এবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক অতীতে ভালো খেলিনি, কিন্তু মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দলও সেখান থেকে কামব্যাক করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের দিকে। 

যদি টি-টোয়েন্টিতে আপনি অনেক বেশি পরিকল্পনা সাজান, তবে আপনি নিজেদের ১৮০–১৭০ এ আটকে ফেললেন। আবার আপনি যদি সত্যিকার স্বাধীনতা নিয়ে খেলেন তাহলে আপনি ২৫০–৩০০ রানও করতে পারবেন।'

উল্লেখ্য, ১ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠার  আগে শেষবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। 

মে মাসের শেষদিকে দুই দল চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামবে। আর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪ জুন স্কটল্যান্ডকে মোকাবিলা করবে ইংলিশরা।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

১৪ হাজার মাইল পাড়ি দিচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের পিচ

প্রকাশ: ১১:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। যাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই প্রতিটি দল শুরু করেছে প্রস্তুতি, গোছাচ্ছে স্কোয়াড। শুধু তাই নয়, এবারের আসরের ভেন্যুগুলো পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে আইসিসি। 


তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। আর এই স্টেডিয়ামের জন্য ১০টি পিচ নেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে। ফলে সে পিচগুলো বিশ্বকাপের অংশ হতে পাড়ি দিচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার মাইল (প্রায় ২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার)। অ্যাডিলেড থেকে জাহাজে করে ফ্লোরিডা, এরপর সেখান থেকে সড়কপথে সেগুলোর গন্তব্য নিউইয়র্ক।


এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্ট। নিউইয়র্কের এ স্টেডিয়াম ছাড়াও টেক্সাস ও ফ্লোরিডার দুটি ভেন্যুতে হবে বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্র-অংশের ম্যাচগুলো। সব মিলিয়ে ১৬টি ম্যাচ হবে সেখানে, ৩৯টি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নিউইয়র্কের মাঠটিতে হবে ৮টি ম্যাচ।


এর মধ্যে নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘অস্থায়ী’ স্টেডিয়াম। এ প্রযুক্তিতে স্টেডিয়ামটির বেশির ভাগ অংশই বানানো হচ্ছে অস্থায়ীভাবে, যেগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। গ্যালারির একটা অংশ যেমন ফর্মুলা ওয়ানে গত বছরের লাস ভেগাস গ্রাঁ প্রিঁ ব্যবহার করা হয়েছিল।


ড্রপ-ইন পিচগুলো তৈরির দায়িত্বে থাকা অ্যাডিলেড ওভালের কিউরেটর ড্যামিয়েন হোউ সম্প্রতি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গতি ও সমান বাউন্স থাকবে, এমন পিচ তৈরি করা। যেখানে খেলোয়াড়রা শট খেলতে পারবেন। আমরা বিনোদনদায়ী ক্রিকেট চাই, কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে।’


গত অক্টোবরে হোউ ১০টি ড্রপ-ইন পিচ তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে এগুলো ট্রেতে বসানো হয়। প্রতিটি পিচকে ভাগ করা হয়েছে দুটি ট্রেতে। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলার মতো ৪টি ও অনুশীলনের জন্য আরও ৬টি পিচ প্রস্তুত করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রে বেসবলের ভেন্যুগুলোতে যেমন দেখা যায়, তেমন মাটি ব্যবহার করা হয়েছে পিচগুলো তৈরিতে। সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট ধরনের ঘাসও আছে, যেটি উষ্ণ আবহাওয়া এবং রোলিং ও ভারী ব্যবহারের উপযোগী।


পিচগুলো যে ট্রেতে স্থাপিত, সেগুলো কনটেইনারে ভরে জাহাজে করে অ্যাডিলেড থেকে ফ্লোরিডা নিয়ে যাওয়া হয়েছে গত জানুয়ারিতে। এর পর থেকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় রেখে দেওয়া হয়েছে, কারণ, নিউইয়র্কে তখন আবহাওয়া ছিল বেশ শীতল। ফ্লোরিডা থেকে সড়কপথে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাবে পিচগুলো। রাস্তায় যাতে বেশিক্ষণ না থাকতে হয়, সে কারণে বহনকারী প্রতিটি ট্রাকে থাকবেন দুজন করে চালক। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর নির্দিষ্ট স্থানে পিচগুলো বসাতে হোউ ও তাঁর দলের লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টা।


পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে হোউয়ের অনুভূতি এ রকম, ‘আমার আসলে মিশ্র অনুভূতি। সত্যিই রোমাঞ্চিত, কিন্তু একই সঙ্গে একটু চিন্তাও হচ্ছে। কিছু ব্যাপার এখনো অজানা। বেশ লম্বা একটা প্রক্রিয়া। আমরা যা জানি, নিজেদের সেরাটি দিয়েছি। সম্ভাব্য সব রকমের ফলই আমরা বিস্তারিত ভেবে রেখেছি, সামনে কী কী হতে পারে। আশা করছি, এগুলো বেশ ভালো ক্রিকেট পিচই হবে।’


আগামী ১ জুন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচটি ৩ জুন, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ১০ জুন এ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন কুইন অব ফুটবল?

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা। ইতোমধ্যেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন ‘কুইন অব ফুটবল’খ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, ‘এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।’

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দু’বার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, ‘আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।’

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মে’র উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা   ব্রাজিল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বলে আখ্যায়িত করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail মুস্তাফিজুর রহমান

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।

তবে শেষ কয়েক ম্যাচে ছন্দপতন হয়েছে তার। যদিও এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষের দিকে আছেন এ টাইগার পেসার।

যদিও টানা কয়েক ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের পরও তার ওপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, তাকে নিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই।

চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলের শুরু থেকেই খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ। অবশেষে এবারের আসরে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন