ইনসাইড গ্রাউন্ড

টোটাল ফুটবলের কাছে আটকে গেলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে রাউন্ড অব সিক্সটিনের। যেখানে দুই দলের সামনেই একই সমীকরণ। জিতলে চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে আর হারলে নিতে হবে বিদায়। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নকআউট পর্বের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করলো নেদারল্যান্ডস।

নকআউটের যুদ্ধের আবহ নিয়ে ম্যাচ শুরু করে নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের ৩ মিনিটেই ডাচ গোলরক্ষকের ভাল পরীক্ষা নেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। গোলপোষ্টে ১২ গজ সামনে থেকে জোরালো এক শট নেন তিনি। তবে সে শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে পরীক্ষা উতরে যান নোপার্ট। ৭ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে বল পেয়ে ডাচদের ডি-বক্সে জটলা পাকলেও, তা জালে জড়াতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।

উল্টো  ম্যাচের ১০ মিনিটেই জাল খুঁজে নেন ডাচ তারকা মেমফিস ডিপাই। ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে ডেনজেল ডামফ্রিসের দারুণ এক ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর বল পান ডিপাই। ঠান্ডা মাথার শটে যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষকে পরাস্ত করে বল জড়ান জালে। এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ১৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিলো ব্লিন্ডের সামনে। এলোমেলো শটে হতাশ করেন দলকে। ২১ মিনিটে ভাল সুযোগ পেয়েও পোষ্টের বাইরে দিয়ে পাঠান ডিপাই।

২৮ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে যান ডিপাই। তার নেয়া শট ডিফ্লেক্টেড হয়। খেলায় ফিরতে চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। বেশ কয়েকবার ডাচদের রক্ষণে ঢোকার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি দলটি। তবে ৪৩ মিনিটে ম্যাচে ফিরতে পারতো মার্কিনিরা। ডাচ ডিফেন্ডারের ভুল পাস থেকে বল পান টিমোধি উইয়াহ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। তবে বামে ঝাপিয়ে সে শট ঠেকিয়ে দেন নোপার্ট। আবারো ত্রাতা হন ডাচদের। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণ চালায় নেদারল্যান্ডস। মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে একাই যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণভাগে ডুকে পড়েন গাকপো। তবে সতীর্থের অভাবে তার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে আবারো ডাচদের চমক। যোগ করা সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ নেন দালি ব্লিন্ড। ফাঁকা জায়গা থেকে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এবারো গোলে সহায়তাকারী ড্যানজেল ডামফ্রিস। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।

বিরতির পর দুই দলের খেলার ধারই বাড়ে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকেন দুই দলের ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলে পরিবর্তন আনেন ডাচ কোচ লুইস ফন গাল। ক্লাসেন-ডি রনকে উঠিয়ে তাদের বদলি হিসেবে নামান টিওন কোপমেইনার্স ও স্টিভেন বার্গউইনকে। 

৪৯ মিনিটে রিয়াম ও ম্যাককিনি গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন। তবে পরের মিনিটেই আক্রমণ প্রতিহত করতে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন টিম রিয়াম। তার পায়ে লেগে বল ঢুকে যাচ্ছিলো নিজেদের জালেই। তবে টার্নার কোন বিপদ ঘটতে দেননি। ৫১ মিনিটে ডাচদের ডি-বক্সের বাইরে থেকে এলোমেলো শট নেন ডেস্ট। ৫৩ মিনিটে পুলিসিচের শট সরাসরি গ্লাভসে জমা করেন নোপার্ট। ৫৪ মিনিটে ম্যাককিনির শট পোষ্টের খানিক উপর দিয়ে চলে যায়। হতাশা বাড়তে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের।

৬০ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কোডি গাকপো। তবে তার শট ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফিরে আসে। সেখান থেকে ডিপাইকে পাস দেন গাকপো। পোষ্ট লক্ষ্য করে বুলেট গতির শট নেন ডিপাই। তবে লাফিয়ে উঠে বলের গতিমুখ বদলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টার্নার। বাজে ট্যাকল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেদারল্যান্ডসের কোপমেইনার্স।

৬৩ মিনিটে রাইট উইং দিয়ে আক্রমণে যান টিমোথি উইয়াহ। তার নেয়া প্রথম শট ডিফেন্ডাররা প্রতিহত হয়। তার পায়েই যায় ফিরতি বল। সেখান থেকে সতীর্থ কাউকে দিতে পারেন নি তিনি। ৬৭ মিনিটে উইয়াহ-ম্যাককিনিকে উঠিয়ে নেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অ্যারনসন ও হাজি রাইট। ৭১ মিনিটে দুর্দান্ত দুটি সেভ করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টার্নার। ডামফ্রিসের শট পুশ করে ফিরিয়ে দেয়ার পর সেখান থেকে বল যায় ডিপাইয়ের কাছে। শূন্যে ভেসে সে বলে হেড করেন ডিপাই। তবে টানারর্কে পরাস্ত করতে পারেন নি তিনি। 

৭৫ মিনিটে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি হাজি রাইট। তবে পরের মিনিটেই বধান কমান তিনি। পুলিসিচের ডিফেন্স চেরা পাসে পা ছুঁইয়ে গোলমুখে বল পাঠান তিনি। নোপার্ট ও ডামফ্রিস চেষ্টা করলেও বল জালে জড়িয়ে যায়। ৭৯ মিনিটে পুলিসিচের শট ফিরিয়ে দেন ডাচ কিপার। তবে ৮১ মিনিটে আবার ডাচদের এগিয়ে প্রথম দুই গোলে অ্যাসিস্ট করা ডেনজেল ডামফ্রিস। বাম প্রান্ত থেকে ব্লিন্ডের ক্রসে দারুণ এক ভলিতে ব্যবধান ৩-১ করেন এই রাইটব্যাক।

৮৬ মিনিটে পুলিসিচের শট কর্নার বিনিময়ে ক্লিয়ার করে দেন ভার্জিল ফর ডাইক। ৮৭ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। শেষদিকে দুই দলই মরিয়া হয়ে গোলের চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি। নির্ধারিত সময় শেষে আর কোন গোল না হলে জয়ের উল্লাসে মাতে ডাচরা। 

এ জয়ে প্রথম দল হিসেবে পায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। গ্যালারিতে ঝড় উঠে কমলা রং এর। আর স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় পুড়তে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বিদায় নিতে হলো পরের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটিকে।


কাতার বিশ্বকাপ   নেদারল্যান্ডস   যুক্তরাষ্ট্র   খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাঠে গড়ানোর পূর্বেই বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন টাইগাররা।

তবে সিরিজের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সিরিজের ভেন্যু প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স মাঠের বেশিরভাগ স্থাপনাই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে শঙ্কার মুখে পড়েছে আসন্ন এই সিরিজ।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা পেনা এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঝড়ের কারণে হিউস্টন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে অস্থায়ীভাবে যেসব স্থাপনা বসানো হয়েছিল, তা–ও ধ্বংস হয়ে গেছে।’

আগামী ২১ মে থেকে ‍যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভেন্যুতে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজ শুরুর সূচি নির্ধারিত। পরবর্তীতে ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ। তার আগে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ দলের প্রথমবার অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেটিও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে, মূল সিরিজ ঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না তৈরি হয়েছে সেই অনিশ্চয়তা!

এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই দলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার, ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৪টায় হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় টাইগাররা। এরপরই টেক্সাস শহরটিতে শুরু হয় বজ্রসহ লাগাতার বৃষ্টি। যার কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে হিউস্টনে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ মাইল। শুক্রবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল অন্তত ৯ লাখ বাসাবাড়ি। গোটা দিন অন্ধকারে ছিল ৬ লাখ আবাসন। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় বন্যার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ চারের শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে তিন দলের প্লে-অফ। বাকি শুধুমাত্র একটি। আর এই শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে ওঠার লড়াইটা যেন বর্তমানে পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে আজ শনিবার (১৮ মে) রাতে ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবং শিরোপা খরায় থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

যে জিতবে শেষ চারে তারাই যাবে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে আজ মাঠে নামছে চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরু জয় পেলে গ্রুপ পর্ব শেষে চার দলের পয়েন্ট হবে সমান। লখনৌ সুপার জায়ান্টস, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুর পয়েন্ট হবে সমান ১৪ করে। তার মধ্যে লখনৌ ও দিল্লির নেট রান রেট চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুর থেকে কম। তাই এরই মধ্যে দিল্লি-লখনৌ আসর থেকে ছিটকে গেছে।

বাকি দুই দলের মধ্যে চেন্নাই কিছুটা এগিয়ে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তাদের নামের পাশে আছে ১৪ পয়েন্ট। তাই ব্যাঙ্গালুরুকে হারাতে পারলে কোনো হিসেব ছাড়াই প্লে অফের টিকিট পাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

এছাড়া কোনো কারণে যদি খেলা মাঠে না গড়ায় বা পরিত্যাক্ত হয় তাহলেও প্লে অফ নিশ্চিত করবে চেন্নাই। এমনকি আজকের ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারলেও সুযোগ থাকবে চেন্নাইয়ের।

এদিন ব্যাঙ্গালুরু যদি আগে ব্যাটিং করে ২০০ রান করে তাহলে চেন্নাইকে অন্তত ১৮৩ রান করতে হবে। এমন হলে ১৮ রানের চেয়ে কম ব্যবধানে হারলেও প্লে অফে যাবে গায়কোয়াড়ের দল। আর চেন্নাই আগে ব্যাটিং করে যদি ২০০ রান করে। তাহলে ১৮ ওভার ১ বলের মধ্যে সেই রান তাড়া করে জিততে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। এর বেশি বল খেললে কোহলিরা ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেটের ব্যবধানে প্লে অফে যাবে চেন্নাই।

তবে অঘোষিত ফাইনালে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রকৃতি। ম্যাচের সময় বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা আছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের খবর বলছে—বিকালের পর থেকে ব্যাঙ্গালুরু ও তার আশে-পাশের এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।

বৃষ্টিতে যদি ভেসে যায় এই ম্যাচ তাহলে আসর থেকে ছিটকে যাবে ব্যাঙ্গালুরু। অন্যদিকে প্লে অফ নিশ্চিত হবে চেন্নাইয়ের। কোহলিদের জন্য আবহাওয়া অফিসের খবর শঙ্কার বড় কারণ। তবে তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে এই মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এখানে। তাই বৃষ্টি থামলে খুব বেশি সময় লাগবে না মাঠ প্রস্তুত করতে।


চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির বার্সাচুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপারের মূল্য ১১ কোটি

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে ন্যাপকিন পেপারের মাধ্যমে বার্সার সাথে চুক্তি করেছিলেন আজকের ফুটবল বিশ্বের মহাতারকা লিও মেসি, সেই ন্যাপকিন পেপার অবশেষে নিলামে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস-এর নিলামে পেপারটির বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

জানা গেছে, বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল- এই লেখাটি ছিল সেই ন্যাপকিন পেপারে।

শুক্রবারের সেই নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার। তবে ধারণা চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই নেপকিন পেপারটি। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তিপত্র হিসেবে এই ন্যাপকিন পেপারকে বিবেচনা করা হয়। ১৩ বছর বয়সী মেসি এই ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।


লিও মেসি   বার্সালোনা   চুক্তি   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শান্ত-লিটনকে নিয়ে হাথুরুর ভাবনা কি?

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ১৯তম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের পূর্বে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আর এজন্যই গতকাল শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে বিসিবির বিশেষ আয়োজন ‘দ্য রেড অ্যান্ড গ্রিন স্টোরির’ দ্বিতীয় অংশে বিশ্বকাপ দলে থাকা বাংলাদেশ দলের ১৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

অধিনায়ক নাজমুলকে নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের নেতা। খুব ভালো নেতা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে জানে। ড্রেসিংরুমে সে ছেলেদের সঙ্গে মেশে, মাঠে সে খুবই প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ।আমার মনে হয় প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে তার হাতে এবার বড় দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত সে এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত।’

সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং থেকে আমি বড় কিছু প্রত্যাশা করি। সে খুবই প্রতিভাবান অ্যাথলেট। অন্যতম সেরা ফিল্ডারও। যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে, স্লিপে, আউটফিল্ডে যেকোনো জায়গায়। খুবই শান্ত থাকে, খেলাটা খুব ভালো বুঝে। দলকে ট্যাকটিক্যালিও সহযোগিতা করে।’

স্কোয়াডে থাকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয় ও তানজিদ হাসান তামিমদের নিয়েও বেশ আশাবাদী হাথুরুসিংহে।


নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   হাথুরুসিংহে   লিটন দাস বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লাব ও আন্তর্জাতিকের ব্যস্ত সূচিতে ফিট থাকাটাই চ্যালেঞ্জ মেসির

প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবল জাদুকর।

আসছে ২৪ জুন, ৩৭ বছরে পা দেবেন তিনি। আর লিও’র এবারের জন্মদিনের সময় সময় চলবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। আর এবারের কোপার আসরে আলবিসেলেস্তেরা চাইবে গতবারের মতো শিরোপা নিজেদের ঘরেই রাখতে। সেজন্য ইতোমধ্যেই কোচ লিওনেল স্কালোনি ছক কষছেন, করছেন পরিকল্পনা। আর শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কোচ লিওনেল স্কালোনির পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছেন লিও মেসি।

তবে চলতি মৌসুমে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বেশ ভোগাচ্ছে লিও মেসিকে। যার জন্য বেশ কয়েকবার পড়েছিলেন ইনজুরিতে। যে কারণে খেলতে পারেননি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির সর্বশেষ ম্যাচেও। আর মেসি না খেলায় সে ম্যাচে পয়েন্ট হারায় ফ্লোরিডার দলটি।

কিন্তু শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে) দলের অনুশীলনে যোগ দেন মেসি। পরে ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো জানান শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর সাড়ে ৫টা) ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলবেন দলের অধিনায়ক। ফলে এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টাইন শিবিরে।

গত শনিবার (১১ মে) মন্ট্রিয়েলের ফুটবলার জর্জ ক্যাম্পবেলের বাজে ট্রাকেলের শিকার হন মেসি। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার পর পুরো ম্যাচ খেললেও অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যায় তাকে। তাই সতর্কতার কারণে গত বুধবার (১৫ মে) অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে খেলা হয়নি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। ফলে ম্যাচটি গোলহীন ড্রতে শেষ করে মায়ামি। চলতি মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচে খেলতে পারেনি মেসি। ১০ গোল করে আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে।

মেসির সামনে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ত সূচি রয়েছে। শনিবার ডিসি ইউনাইটেডের মুখোমুখি হওয়ার কোপার আগে ইন্টার মায়ামির আরও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। ২৫ মে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস, ২৯ মে আটলান্টা ইউনাইটেড আর ১ জুন সেন্ট লুইস সিটি বিপক্ষে লড়বে ইন্টার মায়ামি।

১৪ ম্যাচে ২৮ ম্যাচ নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। এই শীর্ষস্থান ধরে রাখতে আর্জেন্টাইন তারকার সুস্থ থাকাটা বড্ড প্রয়োজন। ক্লাবের পর জাতীয় দলের জার্সিতেও ব্যস্ত সূচির রয়েছে মেসির।

২০ জুন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকা। লাতিন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরের আগে ৯ জুন শিকাগোয় ইকুয়েডর এবং ১৪ জুন মেরিল্যান্ডের ল্যান্ডওভারে গুয়াতেমালার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এই দুই ম্যাচে খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন মেসি।

শতবর্ষী কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। গত আসরে ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ট্রফি নিয়ে শিরোপা উৎসব করে আলবিসেলেস্তারা। এরপর কাতারে যেতে বিশ্বকাপ ট্রফি। ফলে কোপা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হয়ে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে খেলবে আর্জেন্টিনা।

গ্রুপ পর্বে ২০ জুন আটলান্টায় কানাডান বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোপার শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করবে আর্জেন্টিনা (বাংলাদেশ সময় ২১ জুন ৬টা)। এরপর ২৫ জুন নিউ জার্সিতে কোপার সাবেক চ্যাম্পিয়ন চিলির মুখোমুখি হবে মেসিরা (বাংলাদেশ সময় ২৬ জুন সকাল ৭টা)। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন পেরুর বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ সময় ৩০ জুন ভোর ৬টা)।

এমন ব্যস্ত সূচিতে ৩৬ বছর বয়সী মেসির ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আর চলতি মৌসুমে এমনিতেই তার চোটের পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কোপার শিরোপা ধরে রাখতে ব্যস্ত সূচিতে নিজের ফিট রাখার বড় চ্যালেঞ্জ আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সামনে।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   কোপা আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন