ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফুটবলেই ছিলো তাঁর পৃথিবী!

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাবা জোয়াও রামোস ডু নাসিমেন্টো নিজেও ছিলেন ফুটবলার। আর তাঁর স্ত্রী সেলেস্তে আরান্তেস ছেলেকে ডাকতেন ডিকো বলে। সেই ডাকনাম যে একদিন তলিয়ে যাবে স্মৃতির চোরাবালিতে, কেউ হয়তো জানতো না। এমনকি, যে নামে সারা বিশ্ব তাকে চিনলো, তাও ছিল না তাঁর নাম। ভাস্কো দ্য গামার গোলকিপার বিলে ছিলেন ছেলেবেলার হিরো। চেয়েছিলেন, স্কুলের বন্ধুরা বিলে নামেই ডাকুক। কিন্তু হললো যে তাঁর উল্টোটা। বিলের বদলে পেলে নাম ধরে রাগাতে শুরু করল বন্ধুরা। কে জানতো, রাগানোর জন্য ব্যবহার করা ওই নামই একদিন সোনালী অক্ষরে লিখতে হবে স্কুলের বন্ধুদের থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের? ফুটবল বিশ্বে চিরকাল অমর থেকে যাবেন! দারিদ্র, সাফল্য, স্বপ্নপূরণ, ব্রাজিল, এমনকি ফুটবলও হয়ে যাবে পেলে নামের সমার্থক!

খেলার এই এক দারুণ মহিমা। কেউ কেউ মানুষের হৃদয় ছাপিয়ে জায়গা পেয়ে যান খেলারই হৃদয়ে। প্রিয় ছাত্র কিংবদন্তি হয়ে কেউ কেউ ছাপিয়ে যান খেলাটাকেই। যেমন ক্রিকেটে ডন ব্র্যাডম্যান কিংবা  বক্সিংয়ে মোহম্মদ আলি। ফুটবলে তেমন পেলে। গ্যারিঞ্চা, ভাভা, দিদারা এসেছেন। কিংবদন্তি হয়েছেন। ম্যারাডোনা, মেসি, রোনাল্ডোরা এসেছেন। কিংবদন্তি হয়েছেন। কিন্তু পেলের নাম লেখা হয়েছে খেলার উর্ধ্বে। তাকে দেখার জন্য থেমে গিয়েছে যুদ্ধ। মুছে গিয়েছে সামাজিক ভেদাভেদ। দুঃখ, যন্ত্রণা এমনকি প্রিয়জনের মৃত্যু ভুলেও ছুটে এসেছে অগণিত মানুষ। জাতীয় সম্পদ ঘোষিত হয়েছেন। দেশের দুর্নীতি মুছতে ক্রীড়ামন্ত্রী বাছতে হয়েছে তাঁকে। ফুটবল আসলে সেতু ছিল তাঁর। জীবন বদলের গানই শুনিয়েছেন পেলে।

তীব্র গতি, ভীষণ শক্তিশালী, ক্ষুরধার মস্তিষ্ক, পরিস্থিতি অনুযায়ী মুহূর্তেই নিজে গতিবিধি পাল্টে ফেলা, আকন্ঠ টিমম্যান- মাঠ ও মাঠের বাইরে পেলে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই ক’টা শব্দই গত ষাট বছর ধরে ব্যবহার করেছেন ভক্ত থেকে বিশেষজ্ঞরা। বাবা পেশাদার খেলোয়াড় হলেও অসম্ভব দারিদ্র ঠেলে সাফল্যের এভারেস্টে উঠেছিলেন পেলে। একটি ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে পা ভেঙে যায় বাবার। ছোট্ট পেলের কাছে তখন থেকেই দুনিয়া হয়ে গিয়েছিল অসংখ্য গোলকিপারে ঢাকা পড়া একটা গোলপোস্ট।  পরিবারকে আর্থিক স্বচ্ছন্দ দেওয়া জন্য চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছে ছেলেবেলায়। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে বেছে নিয়েছিলেন এই পথ। সেই ছেলেবেলা থেকেই পেলে ছিলেন টিমম্যান। নিজে জিততে চেয়েছেন। জেতাতে চেয়েছেন টিমকে। পরিবারের ক্ষেত্রে, ব্রাজিলের ক্ষেত্রে সেই পেলেকেই বারবার চিনেছে বিশ্ব।


১১ বছর বয়সে ফুটবল সাম্রাজ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেলেন পেলে। কিংবা বলা যায় ফুটবল পেয়ে গেলো তার সম্রাট! সে সময় ব্রাজিলের অত্যন্ত নামী ফুটবলার ওয়াল্টার ডি’ব্রিটো ঞ্ছিলেন স্কাউটিংয়ের দায়িত্বে। নতুন প্রতিভা তুলে আনার জন্য ব্রাজিলের অলি-গলি ঘুরছিলেন ব্রিটো। মিনাসের ছোট্ট শহর ত্রেস কোরাসোয়েসে গিয়ে এক বিস্ময়কর প্রতিভার খোঁজ পেয়ে গেলেন তিনি। ১১ বছরের কিশোর। কিন্তু গোলটা চেনে খুব ভালোভাবে। দুরন্ত ড্রিবল পায়ে। দু’পায়ে জোরালো শট। সবচেয়ে বড় কথা, ওই পুঁচকে ছেলের আশ্চর্য জয়ের খিদে। ব্রিটো বুঝেছিলেন, ব্ল্যাক পার্ল খুঁজে পেয়েছেন তিনি। টানা দু’বছর কোচিং দিলেন। ব্রিটোই রাজি করালেন বাবা-মা জোয়াও আর আরান্তেসকে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সান্তোসে ট্রায়াল দিলেন পেলে। ট্রায়ালে দেখেই কোচ লুলা বুঝেছিলেন, এ ছেলে অনেক দূর যাবে। ব্রিটো আর লুলার জন্য পেলেকে সই করাতে দেরি করেনি সান্তোস। সিনিয়র টিমের সঙ্গে প্র্যাক্টিস করতে করতে ১৯৫৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পেলে খেললেন তাঁর প্রথম পেশাদার ম্যাচ। কোরিন্থিয়ান্সের বিরুদ্ধে সান্তোস জিতেছিলো ৭-১ ব্যাবধানে। অভিষেক ম্যাচে ৪ গোল করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন পেলে। সান্তোসের সমর্থকরা, মিডিয়া এবং ব্রাজিলের ফুটবল ভক্তরা জেনে গেলো, এক বিস্ময় বালকের আবির্ভাব হয়েছে।

আরও বছর খানেক পর আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখবেন তিনি। সেটাও জুলাই মাসের এক ৭ তারিখ। পেলের অভিষেক ম্যাচের সাক্ষী থাকবে ঠাসাঠাসি মারাকানো স্টেডিয়াম। সাক্ষী থাকবে আর্জেন্টিনা। ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল করবেন পেলে। আর এক বছর পর, ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপ জিতবেন। ব্রাজিলের প্রথম, নিজেরও।

তখনও সাবালক হননি পেলে। বয়স মাত্র ১৭। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে শেষ গোলটা তারই। নিজেই বর্ণনা দিয়েছিলেন ওই গোলের- খেলা শেষ হতে ১১ মিনিট বাকি। তখনই স্কোরলাইন ৩-১ করি। নিল্টনকে চেঁচিয়ে বলেছিলাম, লম্বা সেন্টার পাঠাতে। বলটা বুকে নামিয়ে নিয়েছিলাম। সুইডেনের ডিফেন্ডার গুস্তাভসন এগিয়ে আসছিলো। ওর মাথার উপর দিয়ে বলটা ফ্লিপ করে এগিয়ে যাই। তারপর, ভলিতে গোল… সেই শুরু। পরের বিশ্বকাপটাও জিতবেন, জেতাবেন দেশকে। ১৯৭০ সালে আবার।

১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপের শুরু। তারও অনেক আগে যাত্রা শুরু ফুটবলের। বাস্কেটবল, ফর্মুলা ওয়ান, গল্ফ, ক্রিকেটের মতো খেলাগুলোকে কিভাবে পিছনের সারিতে ফেললো ফুটবল? সহজ উত্তর- পাঁচের দশকের শেষ দিকে পেলের মতো এক তারকার উত্থানে। ছয়ের দশক জুড়ে পেলের ধারাবাহিক সাফল্যের মাধ্যমে। পেলের আগে, পেলের সময়, পেলের সঙ্গে কি কেউ ছিলেন না? ছিলেন অনেকেই। কিন্তু কেউই পেলের মতো বর্ণময় চরিত্র ছিলেন না। সাফল্যে ভরপুর থাকতে পারেননি। ফুটবলকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি।

তখন ফুটবল চাইছে পেলেকে। আর ইউরোপিয়ান টিমগুলো খুঁজছে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ড, ইতালির বেশ কয়েকটা বড় টিম পেলের পিছনে ছুটছে টাকার থলি নিয়ে। পেলে যদি সান্তোস ছেড়ে চলে যান, দেশীয় ফুটবলের কী হবে? ওই ভাবনা থেকেই ব্রাজিলের সরকার পেলেকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে দিয়েছিল। তার অর্থ ছিল, পেলেকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না! বিখ্যাত ইংলিশ ফুটবল সাংবাদিক লিখেছিলেন, দে স্তেফানো তৈরি হয়েছেন পৃথিবীতে। আর পেলে, তাঁকে তৈরি করেছেন ঈশ্বর!


১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাস। নাইজেরিয়ায় ফুটবল ম্যাচ খেলতে চলেছে সান্তোস। দু’বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটিতে। পুরো দেশ বারুদে গন্ধে আচ্ছন্ন, বিপর্যস্ত। সান্তোস কি মাঠে নামতে পারবে? ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের কর্তারাও ছিলেন সন্দিহান। কিন্তু পেলে জানতেন, তিনি মাঠে নামবেন। হয়েও ছিলো তাই। পেলে নাইজেরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। লাগোসের ক্লাবের বিরুদ্ধে পেলের মাঠে নামার সময় গ্যালারি প্ল্যাকার্ডে, পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল— পেলে খেলতে নামছেন, শান্তি বজায় রাখুন। ওই বছরই নভেম্বর মাসের মারাকানো দেখল এক আশ্চর্য ঘটনা। ঘরোয়া লিগের একটা ম্যাচ খেলতে নেমে পেলে করেছিলেন তাঁর ক্যারিয়ারের হাজারতম গোল। স্টেডিয়াম থেকে কাতারে কাতারে মানুষ নেমে পড়েছিলেন মাঠে। আধঘণ্টা ম্যাচ বন্ধ রাখতে হয়েছিল রেফারিকে। ১৯ নভেম্বর পেলের জন্যই সান্তোসে শুরু হল ফুটবল দিবস পালন। সেই তিনিই কসমসে গিয়ে আমেরিকার রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিলেন ফুটবল।

কেন পেলে কিংবন্তিরও উর্ধ্বে? কেন পেলে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত? শুধু ফুটবল দিয়ে কেন মাপা যাবে না পেলেকে? মহানায়কের মঞ্চে উঠে দাঁড়ানো পেলের জীবনের ছত্রে ছত্রে রয়ে গিয়েছে লড়াই। হারিয়ে যেতে যেতে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। আসলে আমজনতার দারিদ্রতার গল্পকে স্বপ্নের মোড়কে পেশ করেছিলেন পেলে। চায়ের দোকানে কাজ করা একটা বাচ্চা ছেলের ফুটবল পায়ে দৌড়, গোলের সেলিব্রেশন, বিশ্বকাপে চুম্বন আবেগে-অনুষঙ্গে ঢুকে পড়েছিল ব্রাজিলের, বিশ্বের। দুর্নীতি আক্রান্ত ব্রাজিল সরকার তাঁকেই ক্রীড়ামন্ত্রী করত না, ইউনেসকো তাঁকে বিশ্বদূত হিসেবে পেশ করত না। এমনকি, হলিউডের রুপালি পর্দা সিলভারস্টার স্ট্যালোনের পাশে দাঁড় করিয়ে দিত না পেলেকে!

আসলে পেলেই বেছে নিয়েছিলেন ফুটবলকে। এই পৃথিবীর অসংখ্য স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ, অগণিত ভক্ত, এই খেলাটাতে স্থায়ী ছাপ রেখে যাওয়ার জন্য। একটা আস্ত পৃথিবী তৈরি করার জন্য। যে পৃথিবীর নাম— পেলে’জ় ওয়ার্ল্ড!


পেলে   ব্রাজিল   কিংবদন্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিলামের আগেই আইকন হিসেবে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। যা চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।

আর এই বৈশ্বিক আসরের দুদিন পরেই শ্রীলংকায় গড়াবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া এ আসরের আগে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। তবে নিলামের আগেই আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভিড়িয়েছে ডাম্বুলা থান্ডার্স।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুস্তাফিজকে দলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডাম্বুলা। ফ্যাঞ্চাইজিটি লিখেছে, ‘বিদেশি আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজকে পরিচিত করে দিতে পেরে ডাম্বুলা থান্ডার্স গর্বিত।’

সম্প্রতি ডাম্বুলার মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল স্পোর্টস গ্রুপ এই ফ্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা কিনেছে। শ্রীলংকার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির গত আসরে রানার্সআপ হওয়া ডাম্বুলা অরা এখন নাম বদলে ডাম্বুলা থান্ডার্স।

এলপিএলের পরবর্তী আসর শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। আর ২১ জুলাই ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে আসরটির।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, নেই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের নবম আসরে এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। যার মধ্যে ১৭টি দল ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। বাকি ছিল নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

তবে এবার বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। সোমবার আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ফলে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার রোয়েলফ ফন ডার মারওয়ে ও ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। তাদের পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গেল, তরুণ পেসার কাইল ক্লেইন এবং হার্ড-হিটিং ওপেনার মাইকেল লেভিটকে বেছে নিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালে খেলা একটি টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে একটি ঝলমলে সেঞ্চুরি করেছিলেন লেভিট। ৬২ বলে ১১টি চার ও ১০টি ছক্কায় খেলেছিলেন ১৩৫ রানের ইনিংস।

নিয়মিত অধিনায়কের ভূমিকায় আবারো নেদারল্যান্ডসকে নেতৃত্ব দেবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার স্কট এডওয়ার্ডস। তারকা অলরাউন্ডার বাস ডি লিডে ডাচ দলের প্রধান খেলোয়াড়।

দল নিয়ে প্রধান কোচ রায়ান কুক বলেছেন, ‘আমরা একটি সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন করতে পেরেছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে কন্ডিশনে মুখোমুখি হব তাতে পারফর্ম করতে সক্ষম হব।’

বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে নেদারল্যান্ডস। যেখানে তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, এবং নেপাল। আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ডাচদের বিশ্বকাপ। তাদের ম্যাচটি গড়াবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে।

নেদারল্যান্ডসের টি-২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াড: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিড, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বেক, ম্যাক্স ও’দৌদ, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকারেন, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গেল, বিক্রম সিং, ভিভ কিংমা এবং ওয়েসলি বারেসি।


নেদারল্যান্ডস   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার কোপায় আলবিসেলেস্তেদের স্কোয়াড যেমন হবে

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শীর্ষ টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর সবমিলিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে কেমন হবে আলবিসেলেস্তাদের কোপার স্কোয়াড।

টুর্নামেন্টের ১৫বারের শিরোপাজয়ীদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এখনো স্কোয়াড ঘোষণা করেনি বিশ্বজয়ীরা। দেরি হওয়ার মূল কারণ কয়েকজন ফুটবলারের ইনজুরি।

কোপা আমেরিকার স্কোয়াড ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনার মাঝে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় গণমাধ্যম টিওয়াসি স্পোর্টস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বকাপজয়ী ৭ ফুটবলারকে দলে নিয়ে আসছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। এর মধ্যে রয়েছেন রদ্রিগো ডি পল, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, এজেকুয়েল প্যালাসিওস, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো এবং অবশ্যই লিওনেল মেসি।’

আর গোলকিপার হিসেবে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফ্রাঙ্কো আরমানি এবং ওয়াল্টার বেনিতেজের সঙ্গে বিবেচনায় আছেন জেরোনিমা রুল্লি। রক্ষণে থাকতে পারেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, জার্মান পাজেল্লা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, নাহুয়েল মলিনা ও মার্কাস আকুনা। আর মিডফিল্ডে থাকতে পারেন এনজো ফার্নান্দেজ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো এবং এজেকুয়েল প্যালাসিওস, গুইডো রদ্রিগেজ।

আক্রমণভাবে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে থাকতে পারেন লাউতারো মার্টিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ, পাওলো দিবালা, নিকো গঞ্জালেস এবং আলেহান্দ্রো গারনাচো।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিটন-সৌম্য: বিশ্বকাপে কে হবেন তামিমের সঙ্গী?

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি।
 
সর্বশেষ টাইগারদের ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সুযোগ পাওয়া প্রথম তিন ম্যাচে লিটন দাসের রান ছিল যথাক্রমে- ১, ২৩, ১২। টানা অফ ফর্মে থাকা এই ওপেনার এমন পারফরম্যান্সের কারণে পরের দুই ম্যাচের একাদশেই ছিলেন না। তার জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।

আর লিটনের এমন বাজে ফর্মের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাদশ থেকে লিটন বাদ পড়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দলে তার জায়গা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন।

তবে গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। শান্ত বলেছেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে। আমরা এই সিরিজে সব কিছু ট্রাই করেছি। এটা পরিকল্পনাই ছিল লিটনকে দুটি ম্যাচ বিরতি দিয়ে সৌম্যকে সুযোগ দেওয়া। ৩ জনেরই একাদশে থাকার সুযোগ আছে, প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে বেছে নেব।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। আমরা কোনো ম্যাচ হারতে চাইনা। আমাদের টপ অর্ডার ভালো শুরু করলে, দল ভালো অবস্থায় থাকবে। ছন্দ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ ফিরে পাবে তারা।’

ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে শান্তর বক্তব্য, ‘আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। এই জিনিসটাতে সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলা শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর... তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে।’

অধিনায়ক শান্তর এমন বক্তব্যের পর ক্রীড়াঙ্গনে একটা গুঞ্জন উঠেছে যে, এবারের বিশ্বকাপে লিটন হয়তো ধারাবাহিক হবেন না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, কিছু ম্যাচে লিটনকে খেলানো হতে পারে, আবার কিছু ম্যাচে সৌম্যকে দিয়ে ট্রাই করা হতে পারে।

আর লিটন-সৌম্যের অন্য প্রান্তের প্রশ্ন উঠলে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে সেখানে তানজিদ তামিমই থাকছেন। কারণ সম্প্রতি সময়ে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মত এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে উড়ন্ত সূচনাও করেছিলেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও ছিল ১৪০ এর আশেপাশে। আর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তামিম ওপেনিংয়ে ফিক্সড থাকছেন। তার সাথে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় লিটন বা সৌম্যকে খেলানো হতে পারে।

এদিকে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ১৭টি দল স্কোয়াড প্রকাশ করেছে। তবে বাকি তিনটি দল এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। আর সেই তিনটি দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। যদিও আইসিসিকে একটি স্কোয়াডের তালিকা ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা থাকলেও, আজ সেটি হচ্ছে না। আর তার কারণ হচ্ছে তাসকিন আহমেদের এমআরআই রিপোর্ট। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় বহুল প্রতিক্ষিত বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। সোমবার দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ।

টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাব্য দল:

লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক),  সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন/তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ/হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।


লিটন কুমার দাস   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ   বিসিবি   তানজিদ তামিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইউনাইটেডকে হারিয়ে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার আর্সেনালের

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ইপিএলে জমে উঠেছে শিরোপার লড়াই। রোববার (১২ মে) নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনরায় দখল করেছে গানাররা। এর আগে ফুলহামকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে ম্যান সিটি।

আর্সেনালের এই জয়ে ৩৭ ম্যাচ খেলে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৮৫।

রোববার (১২ মে) ওল্ড ট্রাফোর্ডে আর্সেনালকে আতিথেয়তা দেয় ম্যান ইউনাইটেড। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে ভালো সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী আর্সেনালকে আটকাতে পারেননি তারা বেশিক্ষন। ম্যাচের ২০ মিনিটেই দারুণ ছন্দে থাকা ট্রোসার্ডের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কাই হার্ভাটজের বাড়ানো বলকে দারুনভাবে কাজে লাগান বেলজিয়ান এই উইংগার।

বিরতির আগে ইউনাইটেডের খেলায় মরিয়া ভাব ফুটে ওঠে। ৪৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে ঢুকে আলেসান্দ্রো গার্নাচো বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন। কিন্তু বল তার কোনো সতীর্থের কাছে পৌঁছানোর আগেই রুখে দেন গোলরক্ষক ডেভিদ রায়া।

দ্বিতীয়ার্ধেও চলতে থাকে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ইউনাইটেড এবং ৭৯ মিনিটে আর্সেনাল দারুন সুযোগ সৃষ্টি করলেও কেউ জালে বল জড়াতে পারেননি। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল।

আগামী সপ্তাহে শেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে এভারটনের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। আর শিরোপার আরেক দাবিদার সিটি বাকি দুই ম্যাচ খেলবে টটেনহাম হটস্পার ও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষে। 


ইপিএল   শিরোপা   আর্সেনাল   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন