ইনসাইড গ্রাউন্ড

কেমন হলো বিপিএলের ৭টি দল?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের নবম আসর শুরু হচ্ছে আজ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে এই টুর্নামেন্টের। ৭ দলের লড়াই শেষে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের। আসর শুরু আগে এক নজরে দেখে নেয়া যাক কেমন হলো এবারের বিপিএলের দলগুলো।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস:

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। রেকর্ড ৩টি বিপিএল শিরোপা রয়েছে তাদের ঝুঁলিতে। এবারও শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়েই মাঠে নামবে দলটি। সে লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে শক্তিশালী দলই গড়েছে কুমিল্লা। ইমরুল- লিটন-মোস্তাফিজ-মোসাদ্দেকদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে রয়েছেন তরুণ জাকের আলী-মাহিদুল-মুকিদুল ইসলামরা।

কুমিল্লার বিদেশী ক্রিকেটারদের তালিকাটাও বেশ সমৃদ্ধ। ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাডউইক ওয়ালটন, ব্র্যান্ডন কিং, পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খান ও আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি ফজলহক ফারুকির মতো খেলোয়াড়।

দলটির বড় শক্তিমত্তার জায়গা তাদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ও পেস বোলিং অ্যাটাক।

ফরচুন বরিশাল:

সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল বিপিএলের সবশেষ আসরের রানার্সআপ। এবারো দলের নেতৃত্ব রয়েছে সাকিবের কাঁধেই। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের হাত ধরে এবার শিরোপার স্বাদ পেতে চায় বরিশাল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের একগাদা তারকা ক্রিকেটারের পাশাপাশি বিদেশিদের তালিকাটাও বেশ বড়। সাকিব-মিরাজ-মাহমুদুল্লাহ-ইবাদত-খালেদ-এনামুল হকদের সাথে রয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ-কুশল পেরেরা-ইব্রাহিম জাদরান-করিম জানাত-মোহাম্মদ ওয়াসিম, কেসরিক উইলিয়ামস-নাভিন-উল-হক, হায়দার আলী-চতুরঙ্গা ডি সিলভা। ফলে কাগজে-কলমে সেরা দল বলা হচ্ছে বরিশালকেই।

তবে পুরো টুর্নামেন্টে বরিশালের বিদেশি রিক্রুটদের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

দলটির সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা তাদের অফ স্পিন। সাকিব-মিরাজ-কর্নওয়ালদের পাশাপাশি ইবাদত-খালেদ-কেসরিক উইলিয়ামস-নাভিন-উল-হকদের নিয়ে গড়া পেস আক্রমণও ভীতি জাগানিয়া।

রংপুর রাইডার্স:

বিপিএলে বরাবরই শক্তিশালি দল গড়ে রংপুর রাইডার্স। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। তরুণ ও অভিজ্ঞদের স্বমন্বয়ে দারুণ এক দল নিয়ে মাঠে নামবে রুংপুর। মিরপুরে নয় নিজেদের মাঠে অনুশীলন করে নিজেদের ঝাঁলিয়ে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। প্রস্তুতি ম্যাচে খুলনাকে হারিয়ে আত্নবিশ্বাসীও তারা।

নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, রিপন মণ্ডল, রনি তালুকদার, পারভেজ হোসেনদের সাথে রয়েছেন শোয়েব মালিক, হারিস রউফ, মোহাম্মদ নেওয়াজ, সিকান্দার রাজা, পাথুম নিশাঙ্কার মতো বিদেশি ক্রিকেটার।

তবে টপ অর্ডারের দুর্বলতা লক্ষ্যণীয়। যা টুর্নামেন্টে ভোগাতে পারে দলটিকে। তবে শক্তিশালী মিডলঅর্ডার এবং বোলিং আক্রমণে আশা দেখছে রংপুর।

সিলেট স্ট্রাইকার্স:

বিপিএলের সর্বশেষ তিন আসরে তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে খেলেছে সিলেট। তবে টুর্নামেন্টটিতে তাদের ফল খুব একটা সুখকর নয়। সবশেষ ৩টি আসরই দলটি শেষ করেছে তলানির দিকে থেকে। তবে এবার বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে সওয়ার হয়ে ভিন্ন ফলের আশা করছে দলটি। রয়েছে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমও।

সেই সাথে রুবেল হোসেন-নাজমুলদের সাথে বিদেশি কোটায় আছেন বেশ কয়েকটি বড় নাম। মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস, থিসারা পেরেরা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, রায়ান বার্ল, কামিন্দু মেন্ডিস, কলিন অ্যাকারম্যান, টম মুরস, গুলবদিন নাইবদের নিয়ে আশা করতেই পারে দলটি।

দলটির সবচেয়ে শক্তির জায়গা অলরাউন্ডাররা। একগাদা অলরাউন্ডার থাকায় দলটির ব্যাটিং-বোলিং বেশ ভারসম্যপূর্ণই। তবে টপঅর্ডার আর স্পিন বিভাগে দুর্বলতাও লক্ষ্যণীয়।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স:

তারুণ্য ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য নিয়ে বিপিএলের এবারের আসর শুরু করবেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। একঝাঁক স্থানীয় ও বিদেশি তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে দল সাজিয়েছে চট্টগ্রাম। আগের আসরের চমক দেখানো মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী-আফিফ হোসেন-মেহেদী হাসান রানা ও ইরফান শুক্কুরের মতো দেশিয় ক্রিকেটারের সাথে রয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো-আশান প্রিয়াঞ্জন-কার্টিস ক্যাম্ফার-ম্যাক্স ও’ডাউড-উন্মুক্ত চাঁদের মতো বিদেশিরা।

দলটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র তাদের পেস আক্রমণ। স্পিন আক্রমণও বেশ ভারসম্যপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বড় দুর্বলতার জায়গা দলটির টপ অর্ডার ব্যাটিং।

খুলনা টাইগার্স:

দলটির আইকন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, দলের সবচেয়ে বড় তারকাও তিনি। তরুণ ইয়াসির আলীর কাঁধে দেয়া হয়েছে অধিনায়কের দ্বায়িত্ব। তামিম, সাইফউদ্দিন, ইয়াসির, নাসুম, মুনিমদের সাথে রয়েছেন আজম খান, ওয়াহাব রিয়াজ, নাসিম শাহ, অ্যান্ড্রু বলবার্নি, আভিস্কা ফার্নান্ডো, ফখর জামান ও আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি।

দেশিয় ক্রিকেটারদের নিয়ে দলটি বেশ ভারসম্যপূর্ণ হলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের পুরো টুর্নামেন্টে পাবে না দলটি। যা তাদের ভোগাতে পারে।

ঢাকা ডমিনেটরস:

শেষ মুহুর্তে তড়িঘড়ি করে দল সাজিয়েছে ঢাকা ডমিনেটরস। ফলে দলে দেশি ও তরুণ ক্রিকেটারদেরই আধিক্য। তাসকিন আহমেদ দলটির আইকন ক্রিকেটার। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, শরীফুল ইসলাম, আরাফাত সানি, নাসির হোসেন, আল আমিন হোসেনের মতো পরিক্ষিত ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে ঢাকা। বিদেশিদের মধ্যে রয়েছে চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মুনাবিরা, , শান মাসুদ, আহমেদ শেহজাদরা। দলটির কোচের ভূমিকায় রয়েছেন লঙ্কান কিংবদন্তি চামিন্দা ভাস।

টুর্নামেন্টে সাফল্য পেতে ঢাকা নির্ভর করবে তাদের ফার্স্ট বোলিংয়ের উপর। এটিই দলটির মূল শক্তিমত্তার জায়গা। তবে নিয়মিত রানের মধ্যে থাকা কোন ব্যাটসম্যান না থাকায় ব্যাটিং বিভাগে বিপাকে পড়তে হতে পারে দলটিকে। তবে দলটির ব্যাটসম্যানদের একটি বড় অংশের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে তারা জ্বলে উঠলে স্বস্তিতে থাকবে ডমিনেটরসরা।


বিপিএল   কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস   ফরচুন বরিশাল   সিলেট স্ট্রাইকার্স  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অবশেষে সত্যি হচ্ছে গুঞ্জন, ভারতের কোচ হচ্ছেন গম্ভীর!

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ২০০৭ এর টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকের মনে অনেকরকম উত্তর আসতে পারে। মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিংদের মতো কিংবদন্তিদের নাম নিতে পারেন অনেকেই। কিন্তু সেই ফাইনালের আসল নায়ক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। যার ব্যাট থেকে এসেছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ ৭৫ রান। গম্ভীরের এমন পারফরম্যান্সের উপর ভর করে সেবার শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারত।

শুধু সেই বিশ্বকাপই নয়, ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভারতের জয়ে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সেই সাথে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে শিরোপা জেতার জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গম্ভীর। আর সর্বশেষ আইপিএলের ১৭তম আসরে যেবার তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলল কলকাতা, সেবার ছিলেন কোচের দায়িত্বে।

জীবনে অর্জনের ঝুলিতে গম্ভীরের রয়েছে অনেক কিছু। তবে এর মধ্যে আরেক অর্জনের দিকে ছুঁটছেন তিনি। আর সেটি হচ্ছে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ। আর এই দৌঁড়ে বেশ ভালো অবস্থানে আছেন তিনি। কারণ ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদে একমাত্র আবেদনকারী গৌতম গম্ভীর।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে মঙ্গলবার (১৮ জুন) তার সাক্ষাৎকার নিবে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর শেষ হবে বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি একক প্রার্থী হওয়ায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটারই হতে পারেন রোহিত কোহলিদের পরবর্তী কোচ। এর আগে আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর ছিলেন তিনি।

মেন্টরশিপে কয়েকদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলের ১৭তম আসরে শিরোপা যেতে কেকেআর। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) উপদেষ্টা কমিটিতে থাকা অশোক মলহোত্র, যতীন পারাঞ্জপে এবং সুলক্ষণা নায়েক গম্ভীরের সাক্ষাৎকার নেবেন।

মঙ্গলবারই এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআইয়ের এক সূত্র, ‘প্রধান কোচ এবং একজন নির্বাচক নেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। উপদেষ্টা কমিটি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বোর্ডের তরফে ঘোষণা করা হবে কোচ এবং নির্বাচকের নাম।’

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার দুই কিংবদন্তি রিকি পন্টিং এবং জাস্টিন ল্যাঙ্গার বলেছিলেন, তারা ভারতের প্রধান কোচ হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হননি। যদিও বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় ভারত জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য কোনো অস্ট্রেলিয়ানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ বলেন, আমি বা বোর্ডের কেউ কোনো অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারকে কোচ হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিইনি।’

আইপিএলের ১৭তম আসর চলাকালে ভারতের কোচের পদের অন্য আবেদনপত্র আহবান করে বিসিসিআই। গত ২৭ মে ছিল আবেদন করার শেষ দিন। সেই সময় কেকেআরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন গম্ভীর।

কয়েকদিন আছে দুবাইয়ের এক অনুষ্ঠানে গম্ভীর বলেছিলেন, ‘ভারতীয় দলের কোচ হতে পারলে ভালো লাগবে। দেশের কোচ হওয়ার থেকে বড় গর্বের কিছু হয় না। কোচ হলে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের প্রতিনিধি হওয়া যায়।’ এখন সবকিছু ঠিক থাকলে, রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব পাবেন গৌতম গম্ভীরই।


গৌতম গম্ভীর   ভারত   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘নাম নয়, পারফরম্যান্স দিয়েই দলে রোনালদো’

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এইতো কিছুদিন আগের কথা, কাতারে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে পর্তুগাল দল যখন মাঠে খেলছে, তখন দলটির মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেঞ্চে বসে দলের ছিটকে যাওয়া দেখছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে পর্তুগাল দলে প্রতিভার যে ছড়াছড়ি, তাতে কেউ কেউ প্রায়ই সুর তোলেন দলে রোনালদোর গুরুত্ব নিয়ে। তবে ইউরো শুরুর পূর্বেই আয়ারল্যান্ডের সাথে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও জোড়া গোল করে বিশ্ব ফুটবলের এই মহাতারকা জানান দেন যে তিনি ফুরিয়ে যাননি।

বয়স ৩৯ হলেও আল নাসর তারকা একের পর এক চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করে চলেছেন। কিন্তু ক্লাবে রোনালদোর আধিপত্য থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে যেন কিছুটা উপেক্ষিত মনে হয়েছিল তাকে। কিন্তু চলতি ইউরো কাপের মধ্য দিয়ে আবারও তিনি ফিরেছেন নিজস্ব আঙ্গিকে।

আর তাইতো নাম দেখে নয়, পারফরম্যান্সের উপর ভর করেই দলে রাখা হয়েছে রোনালদো। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির কোচ রবের্তো মার্তিনেজ। তিনি বলেন, “কেউই নামের কারণে জাতীয় দলে সুযোগ পায়নি, পারফরম্যান্স করেছে বলেই সুযোগ মিলেছে। রোনালদো আমাদের জন্য গোলস্কোরার। সে এমন একজন যে তার মুভমেন্ট দিয়ে ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখতে পারে, আর আমাদের জন্য জায়গা তৈরি করে দেয়। সে তার খেলার ধরণ চেইন্জ করেছে। জাতীয় দলে তার গোল সংখ্যাই তাকে ডিফেন্ড করার জন্য যথেষ্ট।”

ইউরোতে এবার ফেভারিট হিসেবেই খেলতে যাবে পর্তুগাল। তবে সব ছাপিয়ে মূল আলোচনা রোনালদোকে নিয়ে। পর্তুগাল অধিনায়ক নিয়মিত দলটির একাদশে থাকবেন কিনা, সেদিকেই নজর সবার। আলোচনাটা আসছে গত বিশ্বকাপের কারণেই। সেবার আগের কোচের অধীনে আসর শেষের দিকে একাদশে জায়গা হারান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

তবে মার্তিনেজ শুরু থেকেই পরিকল্পনায় রাখছেন রোনালদোকে। চেকি রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আরও একবার শিষ্যর প্রশংসা করেন তিনি। আর শুধু গোলই নয়, রোনালদোর অভিজ্ঞতাই দলের কাজে আসবে বলেও মানছেন মার্তিনেজ। তিনি আরও বলেন, “ক্রিস্টিয়ানো একমাত্র খেলোয়াড় যিনি পাঁচটা ইউরোতে খেলেছেন এবং তিনি এখন ছয় নম্বরটিও খেলবেন। তার অভিজ্ঞতা ড্রেসিংরুমে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে আমাদের কঠিন সময় পার করতে হতে পারে, দেখার বিষয় আমরা সেটা করতে পারি কিনা।”

এবার সহ রেকর্ড টানা ছয়টি ইউরো খেলতে যাওয়া রোনালদো শেষ পাঁচ ইউরোতেই গোলের দেখা পেয়েছেন। এই আসরে গোল করতে পারলে সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে গোল করার রেকর্ড গড়বেন রোনালদো।

পর্তুগিজ অধিনায়কের থাকাটাকে সতীর্থ রুবেন দিয়াস দারুণ ব্যাপারই মানছেন। “তাকে আমাদের সাথে পেয়ে আনন্দিত। এই বয়সেও সে দলের সাথে থাকার জন্য সেরাটাই দিয়ে যাচ্ছে। সে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার সে আমাদের অধিনায়ক।”


ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো   পর্তুগাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘ডট’-এর রাজ্যে মোস্তাফিজের আধিপত্য

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ ক্রিকেটের রত্ন মোস্তাফিজুর রহমান। ‘কাটার মাস্টার’, ‘দ্য ফিজ’- হিসেবে পরিচিত এই পেসার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক ঝলক দেখিয়ে গেছেন। গড়েছেন নানা কীর্তি, বিভিন্ন রেকর্ডে গড়েছেন নিজের আধিপত্য।

চলতি বিশ্বকাপেও যেন অনন্য নজির গড়ছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজ সুপার এইটে ওঠা ৮টি দলের পেসারদের মধ্যে গ্রুপপর্বে ‘ডট’ বল করেছেন সবচেয়ে বেশি ৬৭টি। আর এর মধ্য দিয়েই ডটের রাজ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছেন তিনি।

মোস্তাফিজ এবারের বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৭টি, ১০.২৮ গড়ে বোলিং করে যাওয়া মোস্তাফিজের ইকোনমিও অবিশ্বাস্য (৩.৩৭)। এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজ ডেথ ওভারে বল করেছেন ৬টি ওভার, রান দিয়েছেন মাত্র ১০। গতকাল তো নেপালের বিপক্ষে ১৯তম ওভারে কোনো রান না দিয়েই উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। চূড়ান্ত আধিপত্য বলতে যা বোঝায়, এবারের বিশ্বকাপে মোস্তাফিজ যেন ঠিক তাই করে দেখাচ্ছেন।

অথচ মোস্তাফিজকে কদিন আগে ঘরের মাঠের বাইরের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কন্ডিশন পক্ষে থাকলেই তাঁর সেরাটা বেরিয়ে আসে, আলোচনাটা ছিল এমনই। উইকেট মন্থর ও অসম বাউন্সের না হলে এই মোস্তাফিজের বলেই তরতরিয়ে রান উঠতে থাকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনে তেমন কিছুই হচ্ছে না; বরং কাটার ও গতির বৈচিত্র্য মেশানো মোস্তাফিজের ‘ট্রেডমার্ক’ ডেলিভারিগুলোতে ব্যাট ছোঁয়াতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। মাঝ উইকেট থেকে বাঁক খেয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলগুলোতে চার-ছক্কা তো দূরের কথা, অনেকের ব্যাট বলেই হচ্ছে না!

মোস্তাফিজের এমন পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা ভক্ত-সমর্থকসহ সকলের। আর সংশ্লিষ্টদের মতে, সুপার এইটে মোস্তাফিজের এই বোলিং-ই হতে পারে বাংলাদেশের তুরূপের তাস।


মোস্তাফিজুর রহমান   ক্রিকেট   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশকে তামিমের ‘বিশেষ পরামর্শ’

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে মাঠের লড়াই চলমান। দীর্ঘ ১৬ দিন যাবত উত্তাপ ছড়াল সুপার এইটের লড়াই। এরই মধ্যে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সেরা আট নিশ্চিত হয়েছে।

কাগজে-কলমে সুপার এইটে উঠেছে ৮ দল। যেখানে রয়েছে বাংলাদেশের নামও। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নিজেদের শেষ খেলায় নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে হারলেও বাকি তিন ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম দল হিসেবে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে নাজমুল শান্তর দল।

পরের পর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং আফগানিস্তান। তাদের টপকে সেমি-ফাইনালে যাওয়া টাইগারদের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ইএসপিন ক্রিকইনফোর এক শোতে তামিম বলেন, ‘আসলে আমি বুঝতে পারছি ব্যাটিং কঠিন হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। আজকেও (মঙ্গলবার) উইকেটে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। মাঝেমধ্যে নিজেকে আরেকটু বেশি ঢেলে দিতে হয়। আজকে যদি তানজিদের (তানজিদ হাসান তামিম) উইকেট দেখেন প্রথম বলে হিট করতে চাইলো। এই ধরনের কঠিন উইকেটে আসলে আরেকটু সময় নিতে হয়। সবাই ভালো ব্যাটার।’

তিনি বলেন, ‘তানজিদ দারুণ এক্সাইটিং, লিটনও (দাস) ভালো। (নাজমুল হোসেন) শান্ত বড় মঞ্চে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে। আমার মনে হয় তারা উইকেটে আরেকটু সময় কাটানো দরকার। উইকেট বোলারদের পক্ষে কথা বলছে। ফলে এই বিষয়ের প্রতি সম্মান রেখে নিজেদের আরো ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে।’


তামিম ইকবাল   লিটন দাস   তানজিদ তামিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হেড করতে গিয়ে সংঘর্ষ, নাক ভাঙল এমবাপের

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ১৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোর প্রতি আসরেই ফেভারিটের তালিকায় থাকে ফ্রান্স। তবে দুইবারের ইউরো জয়ীরা ২৪ বছরেও জিততে পারেনি এই টুর্নামেন্টের শিরোপা। সেই খরা কাটানোর লক্ষ্য নিয়ে চলমান ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স। যেখানে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে ফরাসিরা। তবে জয়ের দিনে একটা দুসংবাদও সঙ্গী হয়েছে ফরাসিদের। এই ম্যাচে খেলার সময় নাক ভেঙেছে দেশটির বর্তমানে সবচেয়ে বড় তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপের।

ম্যাচের ৯০তম মিনিটে্র ঘটনা। হেড করতে গিয়ে কেভিন দানসোর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এমবাপের। দানসোর কাঁধের সঙ্গে নাখ লাগে এমবাপের। সঙ্গে সঙ্গে তার নাক দিয়ে ঝরঝর করে রক্ত পড়ছিল। ঝুঁকি না নিয়ে এই তারকাকে মাঠে থেকে তুলে নেন দিদিয়ের দেশম।

এএফপি জানিয়েছে, তার নাক ভেঙেছে। ডুসেলডর্ফের একটি হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল এমবাপেকে। স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে হাসপাতাল ছেড়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি জানিয়েছেন, নতুন পরীক্ষার পর দলের মেডিকেল স্টাফরা মনে করছেন এমবাপের নাকে ‘অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই’।

মাস্ক পরে এমবাপেকে মাঠে নামতে হবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন। এফএফএফর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি মাস্ক বানানো হবে, চিকিৎসার পর যেটি পরে মাঠে ফিরবেন তিনি।’

তবে ফ্রান্সের কোচ দেশমের কথায় বোঝা গেল, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে এমবাপের খেলা নিয়ে তিনি খুব একটা আশাবাদী নন। তিনি বলেন, ‘তার নাকের অবস্থা খারাপ। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। মেডিকেল টিম এ নিয়ে কাজ করছে। কী হয় এবং (সুস্থ হয়ে উঠতে) কত দিন লাগে সেটি জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। এটি আমাদের জন্য খুব খারাপ খবর। অবশ্যই তাকে ছাড়া কিংবা তাকে নিয়ে ফ্রান্স দল একইরকম নয়। আশা করি সে (নেদারল্যান্ডস ম্যাচে) থাকবে।’


কিলিয়ান এমবাপ্পে   পিএসজি   ফুটবল   ইউরো কাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন