ইনসাইড পলিটিক্স

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সঙ্কটের শঙ্কা দেখছেন না কাদের!


Thumbnail

দেশের রাজনীতিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে সঙ্কটের শঙ্কা দেখা যাচ্ছে, সেটা কেটে যাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। সচিবালয়ের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। 

ওবায়দুল কাদের মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে বিরোধের কারণে রাজনীতিতে যে শঙ্কা দেখা যাচ্ছে, সেটা কেটে যাবে। তবে বিএনপির দাবি অনুযায়ী নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ফিরবে না’ বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কালো মেঘ আসে, সেটা আমাদের দেশে নতুন নয়। কী হবে সেটা পূর্বানুমাণ করে তো বলা যাবে না। তবে আমি আশাবাদী মানুষ, মেঘ কেটে যাবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে নির্বাচন হয়; কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে এবং এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে সংবিধানের বাইরে যেতে হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো ছাড় দেব না। অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই হবে। সংবিধান পরিবর্তন করে কারও সঙ্গে আপস করতে হবে এমন বিপদে পড়িনি। এ সংবিধান কাটাকাটির কোনো সুযোগ নেই।’

এদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও প্রয়োজন হলে কথা বলার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সেক্ষেত্রে তিনিও যেমন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করতে পারেন, তেমনি বিএনপি নেতাও তাকে কল করতে পারেন। তবে যাই হোক না কেন, সব প্রকাশ্যে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘গোপনে’ কিছু তারা করেন না।’

নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা বা ‘গোপনে’ কোনো আলোচনা হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, ‘আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি, গণতন্ত্রে ব্যাক ডোরে (গোপনে) আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই। দরকার হলে আমিই ফখরুল সাহেবকে ফোন করব, না হয় উনি দেবেন।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে দুই পক্ষকে সংলাপে বসে বিরোধ মেটানোর আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকেই। এর মধ্যে গত শনিবার (৪ মার্চ) বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরুর আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।

গত শনিবার (৪ মার্চ মান্না বলেন, ‘তথাকথিত সংলাপের কথাবার্তা বাজারে ছাড়ছেন। কার সঙ্গে সংলাপ? যিনি আমাদের ডেকে নিয়ে সংলাপে (২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে) বললেন, তার স্বর্গীয় পিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, তার কসম খেয়ে বললেন- আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি না। আমি বলছি আপনারা নির্বাচনে আসেন। আমরা এই নির্বাচন সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য, সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত করব। সেই নির্বাচনের ফলাফল আপনারা (জনগণ) দেখেছেন। অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) না যাচ্ছেন, তার এ সমস্ত কোনো কথাই বিশ্বাস করছি না। যদি সংলাপ করতে চান আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন। তারপর আমাদের কথা আছে।’

সচিবারয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তরকালে- বিএনপির আন্দোলন এবং অর্থনৈতিক সংকট কোনটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের হুমকি তারা ‘পাত্তা দিচ্ছেন না’। অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়াকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’। তর্জন গর্জনই সার। পদযাত্রা, নীরব পদযাত্রা থেকে এখন তারা নিঃশব্দ মানববন্ধনে। আন্দোলনের যতটুকু গতি আশা করেছিল, সেটা নেই। আন্দোলনে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ কিছুটা থাকলেও জণগণের অংশগ্রহণ নেই। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। আর আন্দোলন করলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করব, সহিংসতা করলে জনগণের জানমাল রক্ষায় যা করার প্রয়োজন তাই করব।

কাদের বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ অচিরেই থেমে যাবে এমন নয়। ফলে সারা দুনিয়াতে সংকট আছে, বাংলাদেশেও সংকট আছে। আমাদের বেশি দামে আমদানি করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সংকট সামাল দেওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। আর সরকারের সেই চেষ্টার ওপর জনগণের আস্থা আছে। তারা (বিরোধী রাজনৈতিক দল) উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে সাড়া পায়নি। 


দ্বাদশ   জাতীয় সংসদ   নির্বাচন   সঙ্কট   শঙ্কা   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

এভারকেয়ার হাসপাতালে আবার গত রাতে ভর্তি হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার ভর্তি করা হয়। একাধিক বিএনপির সূত্রগুলো এ ব্যাপারে দুই রকমের মতামত দিয়েছে। 

বিএনপির কোন কোন নেতা বলছেন যে, খালেদা জিয়ার কিছু শারীরিক জটিলতা আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। এ কারণেই চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে তারা কী করবেন। অন্য একটি সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে নতুন করে বিদেশে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বিএনপির কয়েকজন নেতা বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা দলের বাইরে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তারা যে কোনো মূলে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চান। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ ব্যাপারে মূল ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও লন্ডনে অবস্থানরত প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথিও বেগম খালেদা জিয়াকে যে কোনো মূল্যে বিদেশে নেওয়ার পক্ষপাতী। আর এ কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদেরকে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে তা হল বেগম জিয়া যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা মার্জনা আবেদন করেন তাহলে সরকার সেটি বিবেচনা করবে। এবং এই বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার পক্ষে। বেগম জিয়ার পরিবারের অন্তত দুজন সদস্য শামীম ইস্কান্দার এবং শর্মিলা সিঁথি মনে করেন যে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন করার মধ্যে অসম্মানের কিছু নেই। তারা এ নিয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গেও কথা বলেছেন। এমনকি বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ডেকে নিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

তবে বিএনপির প্রায় সব নেতাই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন এর তীব্র বিরোধী। তারা মনে করছেন, এই ধরনের আবেদন করা অনভিপ্রেত এবং বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবনের রাজনৈতিক অর্জন এক নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। এ কারণে তারা কোন অবস্থাতেই এ ধরনের আত্মসমর্পণের পক্ষে নয়। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেছেন, তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার এটাই একমাত্র উপায় নেই। 

বিএনপির পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বেগম জিয়া যে বয়স এবং যে শারীরিক অবস্থা তাতে তিনি ক্ষমা চাইলেই কী আর না চাইলে কী। তিনি এই শারীরিক অবস্থায় আপাতত রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। এ কারণে তার সহজ সমাধানে যাওয়াটাই উচিত। তবে বিএনপির কোন কোন সদস্য বলছেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া মানে হল দোষ স্বীকার করে নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণের জন্যই সরকারের এটি কৌশল। এই কৌশলের ফলে বিএনপির রাজনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এটি করা কোনভাবেই উচত না বলে তারা মনে করেন। তবে তারেক জিয়া এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা বা রাষ্ট্রপতির কাছে অনুকম্পা ভিক্ষা করার তীব্র বিরোধী। তিনি এখন পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার সব ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। তিনি কোন ভাবেই এটি হতে দিতে রাজি নন। কিন্তু শামীম ইস্কান্দারের সাথে তারেক জিয়ার মতপার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব এখন বিএনপিতে প্রকাশ্যে বিষয়। দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত শামীম ইস্কান্দার জয়ী হন নাকি বেগম জিয়ার ব্যাপারে তার সন্তানের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে পরিগণিত হয়।

রাষ্ট্রপতি   খালেদা জিয়া   শামীম ইস্কান্দার   তারেক জিয়া   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না। 


আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রথমে পরিবারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তান এরাই হল পরিবার। অন্যরা স্বজন নয়। সেই বিবেচনায় যারা শ্যালক, ভাতিজা, খালাতো ভাই, চাচাতো ভাইদের প্রার্থী করেছেন তারা পার পেয়ে যাবেন। 

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপির সন্তান বা পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের নানা কমিটিতে আছে। কেউ আগে থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পৌরসভার চেয়ারম্যান আছেন। তারা রাজনীতির মধ্যে আছেন। এখন তাদেরকে নির্বাচনে বারণ করা যায় কীভাবে। অর্থাৎ এই যুক্তিতে ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান সহ যে সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বজনরা আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, বিভিন্ন কমিটিতে আছে বা আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের নির্বাচনে আর কোন বাধা থাকল না। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যারা তৃণমূলের নেতাকর্মী আছেন তাদেরকেও যেন সুযোগ দেওয়া হয়। সব পথ যেন তারা না নিয়ে নেয়। অর্থাৎ এটি একটি অনুরোধ। কোন নির্দেশনা নয় বা আবশ্যক পালনীয় বা বাধ্যতামূলকও নয়। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এই বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে বসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্য দিয়ে সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, ওবায়দুল কাদের যে কথাগুলো বলেছিলেন বা যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন তা আসলে তেমন ভাবে কার্যকর হচ্ছে না। অন্তত আপাতত আওয়ামী লীগ দলের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আর এটির প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। ওই দিন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলায় যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে মর্মে আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু ওই বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। কৌশলগত কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি আনেননি। এখন বুঝা গেল যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা কোন রকম শাস্তি পাচ্ছেন না। 

তবে আওয়ামী লীগে অনেক ধরনের শাস্তি হয়। আওয়ামী লীগ সরাসরি কাউকে বহিষ্কার বা কাউকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নীতি কম অনুসরণ করে। বরং আওয়ামী লীগের শাস্তি হয় তিলে তিলে এবং নানা রকম ভাবে। অদূর ভবিষ্যতে বুঝা যাবে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে প্রার্থী হয়েছেন তাদের পরিণতি কী হয়।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশ ছেড়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী।

তিনি বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘এক জায়গা বউকে, আরেক জায়গা ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না’

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ কেউ আগে থেকেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, বা উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন। আবার নিজের স্ত্রী বা ছেলেকে নির্বাচনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। এক জায়গা বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, এগুলো ঠিক না। কর্মীদের মূল্যায়ন করা উচিত।

থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
 
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, পারিবারিক ফর্মুলায় কারা পড়েন? নিজের ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী, এই তো? হিসাব করে দেখেন কয়জন ছেলে-মেয়ে, কয়জন স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন? এর বাইরে তো পরিবার ধরা হয় না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন যেন প্রভাবমুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, আমার নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখবো না, এটা হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। যেন প্রভাব বেশি না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, নির্বাচন করছে, সেটার লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে অর্থবহ করা।’ 

তিনি বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্জন করে কেন? নির্বাচন করার মতো সক্ষমতাই নাই। পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে হলে জাতিকে দেখাতে হবে যে পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে, নেতা কে হবে? একটা নেতা দেখাতে হবে। আপনার কাছে উপযুক্ত নেতা না থাকলে তখন তো আপনাকে ছুতা খুঁজতে হয়। নির্বাচন করলাম না,বিরাট ব্যাপার দেখালাম।আমাদের দেশে সেটাই হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

হাসপাতালে থেকে আজই বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি’।

এর আগে, বুধবার (০১ মে) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সিসিইউতে রেখে তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। 


খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন