ইনসাইড গ্রাউন্ড

আরেকটি রেকর্ড জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আইরিশদের মাত্র ১০১ রানে আটকে রেখে মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। বাকি কাজটা সারলেন দুই ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও রেকর্ডের খাতায় ওলট-পালট করলো বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তাতে সিলেট সাক্ষী হলো আরেকটি প্রথমের। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই বাংলাদেশের প্রথমবার ১০ উইকেটের জয়।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ছিলেন নির্ভার। আগের দুই ম্যাচে প্রথম পাওয়ার প্লেদে আইরিশরা আটোসাঁটো বোলিং করলেও আজ হাত খুলে খেলেছেন তামিম ও লিটন। তেমন কোন সুযোগও অবশ্য তৈরি করতে পারেনি সফরকারিরা। বোলারদের শাসন করে প্রথম দশ ওভার থেকে ৮১ রান তুলে নিয়ে জয়কে সময়ের ব্যবধানে পরিণত করেন দুই ব্যাটসম্যান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই কোন উইকেট না হারিয়ে ২২১ বল বাকি রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে টাইগাররা। লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৯ম অর্ধশতক। রান খরায় থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবালও রান পেয়েছেন আজ। অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। 

এর আগে, শেষ ওয়ানডে নিজেদের করে নেন বাংলাদেশের পেসাররা। দাপট দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ-ইবাদত হোসেনরা। পাওয়ার প্লেতে হাসান মাহমুদের পর এই দুই পেসারের গোলার মুখে বিধ্বস্ত হয় আইরিশরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে একটি গুডলেংথ ডেলিভারিতে স্টিফেন ডোহেনির উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আইরিশদের রানের চাকা আটকে রাখে বোলাররা। প্রথম ৮ ওভার থেকে মাত্র ২২ রান তুলতে পারে আইরিশরা। সেই চাপ সামলে উঠার আগেই আবার আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। 

৯ম ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লুয়ের ফাঁদে ফেলেন আগের ওভারে জীবন পাওয়া স্টারলিংকে। ওভারের চতুর্থ বলটি রক্ষণাত্নক ভঙ্গিতে খেলেন হ্যারি টেক্টর। বোলার হাসান মাহমুদ ভেবেছিলেন ব্যাট লেগে বল প্যাডে আঘাত করেছে। আবেদনও করেন নি আউটের। তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন আত্নবিশ্বাসী। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে লাগার আগে হাসানের বলটা ছুঁয়ে গেছে টেক্টরের প্যাড। দুর্দান্ত এক রিভিউয়ে তৃতীয় উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

পরের ওভারের তাসকিন আহমেদের বলে পরাস্ত হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আয়ারল্যান্ড। কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকারের ব্যাটে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে সফরকারিরা। দুই ব্যাটসম্যানই দেখেশুনে খেলতে থাকেন স্বাগতিক বোলারদের। ১৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনকে তিনটি চার মেরে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন টাকার। তাদের জুটিতে ভর করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে আয়ারল্যান্ড।

শুরুতে খানিকটা অস্বস্তিতে থাকলেও দ্রতই ছন্দ খুঁজে পান ইবাদত। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের শিকার হয়ে  লরকান টাকার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে আইরিশদের প্রতিরোধ। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ওভার দা উইকেট থেকে করা ইবাদতের বলটা অ্যাঙ্গেল করে ভিতরের দিকে ঢোকে। সময়মতো ব্যাটে বল ছোয়াতে পারেন নি টাকার। সরাসরি বল লাগে তাঁর বুটে। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নেন টাকার। তবে তা কাজে আসেনি। টাকারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন জর্জ ডকরেল। তবে এসেই সতীর্থকে অনুসরণ করে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। ইবাদতের ফুল লেংথের বল স্টাম্প ভেঙে দেয় তার। ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ইবাদত। ধস নামে সফরকারিদের ব্যাটিং অর্ডারে।

ইবাদতের পর ঝলক দেখান তাসকিন আহমেদ। ২২তম ওভারে তাসকিন আহমেদের শর্ট বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তবে তার সে চেষ্টা সফল হয়নি। উল্টো সোজা উপরে উঠে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এক বল পরই মার্ক অ্যাডায়ারের স্টাম্প উপড়ে যায় তাসকিনের ফুললেংথ ডেলিভারিতে। শঙ্কা জাগে একশোর নিচেই অলআউটের।

সতীর্থদের এই যাওয়ার আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। রানের আশায় তাই শট খেলার চেষ্টা করা ছাড়া ক্যাম্ফারের খুব বেশি কিছু করারও ছিল না। হাসান মাহমুদের শর্ট বলে পুল করেছিলেন তিনি। তবে সেটি বাউন্ডারি লাইন পার করতে পারেন নি। ডিপ ফাইন লেগে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। দলের রান যখন ৯৬ তখন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। খেলেন ৪৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস, যা আইরিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ।

এরপর আর বেশিদূর যেতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। হাসান মাহমুদের করা ২৯তম ওভারের প্রথম বল গ্রাহম হিউমের প্যাডে লাগে। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে ফল আসে স্বাগতিকদের পক্ষে। ১০১ রানে অলআউট হয় আইরিশরা।

ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখান হাসান। তাসকিন ৩টি ও ইবাদত নিয়েছেন বাকি দুই উইকেট। এতে বেশ কয়েকটি নজির গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবার ইনিংসের সবকটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। এর আগে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। ওয়ানডে ম্যাচে কোন বাংলাদেশের কোন স্পিনারের উইকেট না পাওয়ার প্রথম ঘটনা এটি। এমনকি এদিন বোলিংয়েই আসেন নি সাকিব আল হাসান।


বাংলাদেশ   আয়ারল্যান্ড   ওয়ানডে   ১০ উইকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হেড-ক্লাসেনদের তাণ্ডব নেই, ৬ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঠিক ১০ দিন আগে এই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে আইপিএল রেকর্ড ২৮৭ রান তুলেছিলেন ট্রাভিস হেড–হাইনরিখ ক্লাসেনরা। এবার সেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের মাঠেই আটকা পড়ল হায়দরাবাদ। ফাফ ডু প্লেসিদের ৭ উইকেটে ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে প্যাট কামিন্সের দল থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। 

হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়ে টানা ৬ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু। ৯ ম্যাচে ডু প্লেসিদের পয়েন্ট ৪, আর ৮ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ১০।

টানা হারের মধ্যে থাকা বেঙ্গালুরু শুধু জয়েই ফেরেনি, হায়দরাবাদের তাণ্ডবও থামিয়েছে। ১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রান তোলার পরের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৬৬ রান তুলেছিল কামিন্সের দল। সেটি ছিল এবারের আইপিএলে হায়দরাবাদের ৮ ম্যাচে চতুর্থ দ্বিশতক আর তৃতীয় ২৬০‍+ ইনিংস।

আজ নিজেদের মাঠে রান তাড়ায় আরেকবার দুই শ পার করার সুযোগ ছিল কামিন্সদের সামনে। কিন্তু হেড–ক্লাসেনদের 'হাত খোলা'রই সুযোগ দেয়নি বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাকসের বলে হেড ফেরেন প্রথম ওভারেই, করেন ৩ বলে ১ রান। পাঁচে নামা ক্লাসেন নিজের দ্বিতীয় বলে স্বপ্লিল সিংকে ছয় মারলেও পরের বলেই ক্যাচ তোলেন। 

অন্যদের মধ্যে ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে ফেরেন যশ দয়ালের বলে। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা হায়দরাবাদ শেষ পর্যন্ত শাহবাজ আহমেদ (৩৭ বলে ৪০) ও কামিন্সের (১৫ বলে ৩১) সৌজন্যে দেড় শ পার করে।

এর আগে বেঙ্গালুরুর রান দুই শ পার করাতে বড় ভূমিকা রাখেন রজত পাতিদার ও ক্যামেরন গ্রিন। বিরাট কোহলি ৪৩ বলে ৫১ ও ডু প্লেসি ১২ বলে ২৫ রান করে ফিরে যাওয়ার পর এ দুজনই বেঙ্গালুরুকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন। পাতিদার ২০ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেন ৫০ রান। আর গ্রিন ২০ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।


বেঙ্গালুরু   হায়দরাবাদ   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য ইংলিশদের

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাকি আর মাত্র কয়েকদিন, এরপরেই  শুরু হতে চলেছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। আর সেই আসরকে ঘিরেই একরকম ব্যস্ত সূচিতে রয়েছে প্রায় সবকটি প্রতিযোগী দেশ।

আসন্ন আসরটিকে নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা না থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটা কথা আসছে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে।যেমন- পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির বলেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কথা। অন্যদিকে এবার টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির শিরোপা জয়ের লক্ষ্য জানান দেন ইংল্যান্ড তারকা আদিল রশিদ।

সর্বশেষ ২০২২ সালের বিশ্ব আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। আর সেখানেই ২২ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখা লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। তবে সর্বশেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চরম বাজে সময় পার করেছে ইংল্যান্ড। ছয় হার ও তিন জয় নিয়ে তারা বিশ্বকাপ শেষ করেছিল সপ্তম অবস্থানে থেকে। 

অবশ্য নিজেদের খারাপ সময় নিয়ে কোথাও বলেছেন রশিদ। এ প্রসঙ্গে ইসিবির জাতীয় টেপ-টেনিস বল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে রশিদ বলেন, ‘আমরা একেবারে কম রান করেছি, যাইহোক যা হওয়ার হয়েছে। এটা (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) আমাদের সেরা টুর্নামেন্ট ছিল না, ব্যাট–বল কিংবা দল হয়ে কোনো বিভাগেই আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারিনি। তবে আমি মনে করি আসন্ন (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন ফরম্যাটের, যেখানে আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।’

তিনি আরও বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের যে দল রয়েছে, এখানে থাকা ক্রিকেটারদের ভালো মাইন্ডসেট ও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। যদি আমরা একই বিশ্বাস নিয়ে সেখানে যেতে পারি, আমি আশাবাদী আমরা বাকি পথ সামলাতে পারব।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরো আসরে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল একটি ম্যাচে হারে ইংল্যান্ড। তবে পরবর্তীতে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৬৯ রান তাড়া করে ১৬ ওভারেই ১০ উইকেট হাতে রেখে জয় লাভ করে দলটি। 

অন্যদিকে সহজলভ্যভাবেই ফাইনালে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ইংলিশরা। তাই এবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আদিল রশিদ বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক অতীতে ভালো খেলিনি, কিন্তু মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দলও সেখান থেকে কামব্যাক করেছে এবং মুখ ফিরিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের দিকে। 

যদি টি-টোয়েন্টিতে আপনি অনেক বেশি পরিকল্পনা সাজান, তবে আপনি নিজেদের ১৮০–১৭০ এ আটকে ফেললেন। আবার আপনি যদি সত্যিকার স্বাধীনতা নিয়ে খেলেন তাহলে আপনি ২৫০–৩০০ রানও করতে পারবেন।'

উল্লেখ্য, ১ জুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠার  আগে শেষবার ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। 

মে মাসের শেষদিকে দুই দল চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামবে। আর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪ জুন স্কটল্যান্ডকে মোকাবিলা করবে ইংলিশরা।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

১৪ হাজার মাইল পাড়ি দিচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের পিচ

প্রকাশ: ১১:৩৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। যাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই প্রতিটি দল শুরু করেছে প্রস্তুতি, গোছাচ্ছে স্কোয়াড। শুধু তাই নয়, এবারের আসরের ভেন্যুগুলো পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে আইসিসি। 


তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা গেছে, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এখনো চলমান রয়েছে। আর এই স্টেডিয়ামের জন্য ১০টি পিচ নেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে। ফলে সে পিচগুলো বিশ্বকাপের অংশ হতে পাড়ি দিচ্ছে প্রায় ১৪ হাজার মাইল (প্রায় ২২ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার)। অ্যাডিলেড থেকে জাহাজে করে ফ্লোরিডা, এরপর সেখান থেকে সড়কপথে সেগুলোর গন্তব্য নিউইয়র্ক।


এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্ট। নিউইয়র্কের এ স্টেডিয়াম ছাড়াও টেক্সাস ও ফ্লোরিডার দুটি ভেন্যুতে হবে বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্র-অংশের ম্যাচগুলো। সব মিলিয়ে ১৬টি ম্যাচ হবে সেখানে, ৩৯টি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। নিউইয়র্কের মাঠটিতে হবে ৮টি ম্যাচ।


এর মধ্যে নিউইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘অস্থায়ী’ স্টেডিয়াম। এ প্রযুক্তিতে স্টেডিয়ামটির বেশির ভাগ অংশই বানানো হচ্ছে অস্থায়ীভাবে, যেগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। গ্যালারির একটা অংশ যেমন ফর্মুলা ওয়ানে গত বছরের লাস ভেগাস গ্রাঁ প্রিঁ ব্যবহার করা হয়েছিল।


ড্রপ-ইন পিচগুলো তৈরির দায়িত্বে থাকা অ্যাডিলেড ওভালের কিউরেটর ড্যামিয়েন হোউ সম্প্রতি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গতি ও সমান বাউন্স থাকবে, এমন পিচ তৈরি করা। যেখানে খেলোয়াড়রা শট খেলতে পারবেন। আমরা বিনোদনদায়ী ক্রিকেট চাই, কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে।’


গত অক্টোবরে হোউ ১০টি ড্রপ-ইন পিচ তৈরির কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে এগুলো ট্রেতে বসানো হয়। প্রতিটি পিচকে ভাগ করা হয়েছে দুটি ট্রেতে। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলার মতো ৪টি ও অনুশীলনের জন্য আরও ৬টি পিচ প্রস্তুত করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্রে বেসবলের ভেন্যুগুলোতে যেমন দেখা যায়, তেমন মাটি ব্যবহার করা হয়েছে পিচগুলো তৈরিতে। সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট ধরনের ঘাসও আছে, যেটি উষ্ণ আবহাওয়া এবং রোলিং ও ভারী ব্যবহারের উপযোগী।


পিচগুলো যে ট্রেতে স্থাপিত, সেগুলো কনটেইনারে ভরে জাহাজে করে অ্যাডিলেড থেকে ফ্লোরিডা নিয়ে যাওয়া হয়েছে গত জানুয়ারিতে। এর পর থেকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় রেখে দেওয়া হয়েছে, কারণ, নিউইয়র্কে তখন আবহাওয়া ছিল বেশ শীতল। ফ্লোরিডা থেকে সড়কপথে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাবে পিচগুলো। রাস্তায় যাতে বেশিক্ষণ না থাকতে হয়, সে কারণে বহনকারী প্রতিটি ট্রাকে থাকবেন দুজন করে চালক। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর নির্দিষ্ট স্থানে পিচগুলো বসাতে হোউ ও তাঁর দলের লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টা।


পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে হোউয়ের অনুভূতি এ রকম, ‘আমার আসলে মিশ্র অনুভূতি। সত্যিই রোমাঞ্চিত, কিন্তু একই সঙ্গে একটু চিন্তাও হচ্ছে। কিছু ব্যাপার এখনো অজানা। বেশ লম্বা একটা প্রক্রিয়া। আমরা যা জানি, নিজেদের সেরাটি দিয়েছি। সম্ভাব্য সব রকমের ফলই আমরা বিস্তারিত ভেবে রেখেছি, সামনে কী কী হতে পারে। আশা করছি, এগুলো বেশ ভালো ক্রিকেট পিচই হবে।’


আগামী ১ জুন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচটি ৩ জুন, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ১০ জুন এ মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   ক্রিকেট   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে অবসরে যাচ্ছেন কুইন অব ফুটবল?

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা। ইতোমধ্যেই নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন ‘কুইন অব ফুটবল’খ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, ‘এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।’

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দু’বার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, ‘আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।’

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মে’র উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা   ব্রাজিল   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বলে আখ্যায়িত করল চেন্নাই

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail মুস্তাফিজুর রহমান

চলমান আইপিএলে দল পাওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে দল পেলেও একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল কম। তবে পাথিরানার ইঞ্জুরি যেন ভাগ্যের চাকা ঘোরায় বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে সুযোগ পেয়েই চলতি আসরের শুরু থেকেই বল হাতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন দ্য ফিজ। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও শীর্ষের দিকে রয়েছেন তিনি।

তবে শেষ কয়েক ম্যাচে ছন্দপতন হয়েছে তার। যদিও এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ জয়ের দৌড়ে শীর্ষের দিকে আছেন এ টাইগার পেসার।

যদিও টানা কয়েক ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের পরও তার ওপর ভরসা রাখছে চেন্নাই। প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, তাকে নিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে আইপিএলের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ীরা। সেখানে ক্যাপশনে কাটার মাস্টারের নতুন নাম দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। সেখানে মুস্তাফিজকে ‘বাংলা লায়ন’ বা বাংলার সিংহ বলে আখ্যায়িত করেছে চেন্নাই।

চেন্নাইয়ের জার্সিতে আইপিএলের শুরু থেকেই খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ। অবশেষে এবারের আসরে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। তিনি বলেন, ‘এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে আমার অভিষেক হয়, তবে সবসময় স্বপ্ন ছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির (চেন্নাই) হয়ে খেলা। যখন চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল।’


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন