ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের উপদেষ্টামন্ডলীর প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে বিভিন্নমুখী তৎপরতা চলছে। এই তৎপরতার অংশ হিসেবে প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো কিভাবে হবে তা নিয়ে কূটনৈতিক মহল এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। বিএনপি বলছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু বিএনপির দাবি সংবিধানবহির্ভূত হিসেবে নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে কূটনীতিকরা আওয়ামীলীগ-বিএনপির দাবি মাঝামাঝি একটি পর্যায়ে আসার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তারা এমন একটি অবস্থান চায় যেখানে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ করবে। সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই সেটা করা সম্ভব বলে কেউ কেউ মনে করছেন। আর এটি করতে গিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামোর একটি রূপরেখার কাজ প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। 

নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই হবে। তবে এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিবেন ১০ সদস্যের একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলী। এই নিরপেক্ষ উপদেষ্টামন্ডলী থাকবেন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ১০ নিরপেক্ষ ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী এই দশজন উপদেষ্টাদের পরামর্শ অনুযায়ী সকল দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের ক্ষমতা রুটিন কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করা হবে। নির্বাচনকালীন সমস্ত কর্মকাণ্ড উপদেষ্টামণ্ডলীর পরামর্শে গৃহীত হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে যেকোনো সমঝোতার অন্যতম এবং প্রধান শর্ত হতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। কিন্তু সেটির ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং কূটনৈতিক মহল কেউই একমত নয়। 

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত হবে। সংসদীয় দলের নেতা যিনি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সে বিবেচনায় থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তনের কোনো সাংবিধানিক সুযোগ নেই। আর এই কারণেই কূটনীতিকরা মনে করছেন যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রেখেই একটি নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। যে সরকারের মন্ত্রীরা থাকবেন দপ্তরবিহীন এবং তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব থাকবেনা নির্বাচনকালীন সময়ে। এই মন্ত্রিসভা মোটামুটি অকার্যকর এবং রুটিন দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে। 

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যের উপদেষ্টামন্ডলী থাকবেন যে উপদেষ্টামন্ডলী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হবেন এবং অনেকটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যেভাবে উপদেষ্টামন্ডলী গঠন করা হয় এখানেও সেই একই কায়দায় উপদেষ্টামন্ডলী গঠনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই উপদেষ্টামন্ডলী প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের ব্যাপারে সরাসরি পরামর্শ প্রদান করবেন এবং সেই সমস্ত পরামর্শের আলোকেই সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হবে। যে ৯০ দিন এই নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে সেই ৯০ দিনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত করা হবে, প্রধানমন্ত্রী রুটিন দায়িত্ব ছাড়া কোনো রকম দায়িত্ব পালন করবেন না। এই রকম একটি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে খুব শীঘ্রই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির টেবিলে দেয়া হবে বলেও কূটনৈতিক সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে। তবে এই নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টামন্ডলী কারা থাকবেন সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত গ্রহণ করা হয়নি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলকে আগে নীতিগতভাবে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিতে হবে। যদি তারা নীতিগতভাবে প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দেন তাহলেই পরবর্তী পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ বর্তমান সংবিধান কাঠামোর মধ্যে যেকোনো গ্রহণযোগ্য আপোষ প্রস্তাবে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে সংবিধানের আওতার মধ্যে থেকে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করতে তারা প্রস্তুত। আর এখানে আওয়ামী লীগের প্রধান বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা। আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলছেন যে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হতে পারে মাত্র দুটি কারণে। একটি যদি তিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান আর দ্বিতীয়ত তিনি যদি পদত্যাগ করেন। কিন্তু পদত্যাগ করলেও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি বহাল থাকবে। এরকম বাস্তবতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর  নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন হতে হবে। এ ব্যাপারে কূটনীতিকদের মধ্যে তেমন কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো শেষ পর্যন্ত বিএনপি এই প্রস্তাবের ব্যাপারে কতটুকু সাড়া দেয় তার উপর নির্ভর করছে এই নির্বাচনকালীন সরকার কাঠামো প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন।

প্রধানমন্ত্রী   নির্বাচনকালীন সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরিকল্পনা নেই সরকারের: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে অভিযোগ তা অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়। নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের।

আনিসুল হক দাবি করেন, ‘পুরোনো মামলায় আইনগত সব প্রক্রিয়া মেনেই বিচারকাজ শেষ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে সরকারের প্রভাব খাটানোর বা কাউকে ব্যবহার করার কোনো বিষয় নেই।’

উল্লেখ্য, ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ (রোববার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।


আইনমন্ত্রী   আনিসুল হক   মির্জা ফখরুল   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রামু থানার 'ওসি' বদলির মিশনে দালাল সিন্ডিকেট!

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু থানাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেতে মরিয়া এক শ্রেণির দালাল চক্র। ওসি বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে একটি সিন্ডিকেট।  বছর কয়েক আগে রামু থানায় আশংকাজনক হারে বেড়ে গিয়েছিল দালালের উপদ্রব। মাদক, গরু পাচার, খুন ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের মামলায় তদবির নিয়ে থানার চারপাশে ঘুরঘুর করতেন দালালের একটি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা কোথাও কোন ঘটনা সংঘটিত হলে বা মামলার প্রক্রিয়া চললে রীতিমতো তদবির নিয়ে হাজির হয় থানায় ৷ পক্ষ বিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ একটি বিষয়কে জটিল করা যেন ছিল তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব দালালদের কারণে সাধারণ মানুষ যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন,তেমনি বদনামের তকমা লাগছে পুলিশের উপরও। 

 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তারা স্বয়ং রামু থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে দালাল চক্র। থানায় দালালদের প্রাধান্য না দেওয়া, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করা এবং সুযোগ সুবিধা নিতে না পারায় একটি চক্র ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির জন্যে মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে। 

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামুর এক সাংবাদিক জানান, একটি সিন্ডিকেট থানায় সুবিধা নিতে না পারায় ওসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বদলির মিশন নিয়ে নেমেছে। আগের ওসির কাছ থেকে নিয়মিত সুযোগ সুবিধা নিতেন যারা, তারাই পরিবেশ ঘোলাটে করার মিশনে নেমেছে।

 

দালাল সিন্ডিকেট চক্রের এক সদস্য অকপটে স্বীকার করেন, আগের ওসি অনেক ভাল ছিলেন। তার আমলে কোন বিষয় নিয়ে সুপারিশ করলে তা কার্যকর করতেন। বর্তমানে এই ওসি কোন ধরনের কোপারেশন করেন না।’

 

অফিসেরচর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, রামু থানায় নতুন ওসি তাহের সাহেব যোগদান করার পর একটি জিডি করতে গিয়েছিলাম, সেখানে ওসির সাথে সরাসরি কথা বলে জিডি করার সুযোগ পাই। এবং জিডি বাবদ কোন ধরনের টাকা নেয়নি পুলিশ। এটা অবাক করা বিষয়। আমি জানতাম থানা মানে টাকা, কিন্তু ওইদিন আমি বিনামূল্যে জিডি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। 

 

এবিষয়ে চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ‘আমার এলাকার লোকজন নানা সময় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় গেলে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন ওসি আবু তাহের। অনেকে জিডি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের খরচ ছাড়াই লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন বলে জানা আছে। যা অন্য কোন থানায় সম্ভব নই।ওসির সাথে ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিল আমার, উনাকে আন্তরিক এবং সৎ পুলিশ অফিসার বলে মনে হয়েছে।’ 

 

রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, ‘থানায় পূর্বে কি হয়েছিল সেটি আমার দেখার বিষয় না। দালালদের স্থান থানায় হবেনা। আমি যোগদান করার পর থেকে একটি চক্র কৌশলে নানা ধরনের বিষয় নিয়ে থানায় হাজির হন, তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। কয়েকদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটাচ্ছে এই চক্র। আমাকে বদলির জন্যে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তারা।’ 

 

ওসি আরও জানান, ‘আমি যতদিন আছি, সেসময়ে কোন দালাল থানায় এসে সুবিধা নিতে পারবেনা। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগষ্ট মাস থেকে চলতি বছরের ১১ মে পর্যন্ত রামু থানায় মোট মামলা রুজু হয় ৭৮০ টি। এর মধ্যে ৭৭৫ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে মাদক উদ্ধার হয় ৮৫১০০ পিস ইয়াবা, ৭১০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ বোতল বিদেশি মদ। এর মধ্যে মাদক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ টি। ১০ রাউন্ড গুলিসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। 


ওসি বদলি   থানা   দালাল সিন্ডিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতাসহ আটক ৭

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী মূলহোতাসহ আটককৃত ৭ জন

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতাসহ ৭ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। আটকের পর রোববার (১২ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।


আটককৃতরা হলেন, বদলপুর গ্রামের শ্রী বিরেন চন্দ্র মন্ডল এর ছেলে শ্রী কৃষ্ণ বাবু (২৮), বদলপুর গ্রামের মোঃ জিল্লুর রহমান ছেলে মোঃ মোকছেদুল মমিন (২৫), মধইল গ্রামের ছয়ফুল ইসলাম ছেলে মোঃ করিম (২৩), গুটিন গ্রামের আব্দুল গাফ্ফার ছেলে মোঃ আল আমিন (২১), মানাষী গ্রামের মোঃ সাইদুল ইসলাম ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (২২), বদলপুর গ্রামের শ্রী বন্দীনাথ ছেলে শ্রী মনষা (২৮) ও গুটিন গ্রামের শ্রী জয়রাম উরাও ছেলে শ্রী অনুকুল (২৮), সকলের থানা ও জেলা নওগাঁ।


বিজ্ঞপ্তির দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, পত্নীতলার বটতলী বাজার এলাকায় পর্ণগ্রাফি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিক্রয় চক্রের মূলহোতা কৃষ্ণের নেতৃত্বে তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দোকানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে আটক করতে সমর্থ হয়।


গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আটকের পর আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।


পর্নোগ্রাফি   আটক   র‌্যাব   প্রেস বিজ্ঞপ্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অনলাইনে যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্স আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন


Thumbnail

ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের যাত্রা সহজ ও ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্স আদায়ে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর কার্যক্রম উদ্ভোধন করেছেন। বেনাপোলসহ বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরের যাত্রীরা এই সুবিধার আওতায় আসবে বলে তিনি জানান। 

 

আজ রবিবার (১২ মে) বেলা ১২ টার দিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ইস্যুর দিন থেকে পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত এই পোর্ট ট্যাক্সের মেয়াদ থাকবে।

 

যাত্রীদের পোর্ট ট্যাক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা হেড অফিসে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর।

 

আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর যাত্রী টার্মিনাল থেকে পাসপোর্টধারীদের পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো। এখন থেকে দেশের যেকোন স্থান থেকে অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স কেটে আসতে পারবেন বলে জানান, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পরিচালক রেজাউল করিম।

এ সময় ঢাকায় ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান (যুগ্ম-সচিব), যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও আইসিটি ডিভিশন সভাপতি, জনাব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর (যুগ্ম-সচিব) ও সদস্য (ট্রাফিক), বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেনাপোলে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আযহারুল ইসলাম, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম কর্মকর্তারা  গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দরা। 


পোর্ট ট্যাক্স   স্থল বন্দর   সহজ যাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত

প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা

আমাদের নার্স আমাদের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবায় ভিত্তিএই শ্লোগানে নওগাঁয় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) সকাল ১০ টার দিকে নওগাঁর রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়।

শোভাযাত্রাটি রুমিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউট বকুলতলী হতে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এসে শেষ হয়। পরে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় রুমিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ রহমাতুল ফাতিমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. ময়নুল হক দুলদুল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েশ উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি রোটারিয়ান চন্দন কুমার দেব, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরাদ হোসেন, পরিচালক আনতারা ফাহমিদা, কাজী কামাল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মাগফুরুল হাসান বিদ্যুৎ।  

আলোচনা সভা শেষে নার্সেস এর প্রতিষ্ঠাতা মিস ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কেক কাটা হয়। এমসয় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস   শোভাযাত্রা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন