ইনসাইড বাংলাদেশ

বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছেন ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম!


Thumbnail বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছেন ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম!

সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া একটি বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন সুপ্রীম কোর্টের জেষ্ঠ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম। ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়িয়ে তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা একটি প্রতিবেদন আইনজীবীদের পড়ে শোনান। এ ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র লোভে পড়ে বারবার বড় বড় ভুলগুলো করছেন তিনি। তিনি বারবার বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগের লোক হয়ে, এক সময়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতি করেও ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই এসব কাজ করছেন। তিনি বারবার নিজেও বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও বিভ্রান্ত ছড়িয়েছেন। এ ঘটনাটিও তার একটি নমুনা।  

সূত্র বলছে, আওয়ামীপন্থী আইনজীবী হিসেবেই পরিচিত ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ই মার্চ সুপ্রীম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা- এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। কিন্তু গত ২২ মে (সোমবার) তিনি এই বিএনপি-জামায়াতপন্থী শীর্ষ আইনজীবীদের জামিন আবেদনের পক্ষে উচ্চ আদালতে শুনানি করেছেন। অন্যতম এই সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম এই শুনানিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ২৫ জন নেতাকর্মীকে জামিন করান।

তাই রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রশ্ন ওঠেছে, ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম একজন প্রবীণ মানুষ। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি বঙ্গবন্ধুর সাহয্যার্থে ছিলেন। এ ধরনের কাজ করা তার কি মানায়? ক্ষুদ্র কিছু লোভে পড়ে তিনি বারবার বড় বড় ভুলগুলো করেন, এটা তার মতো একজন বয়জেষ্ঠ্য ব্যক্তির জন্য করা উচিৎ?     

গত ২৪ মে (বুধবার) সুপ্রীম কোর্টে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দেওয়া এমন বক্তব্যকে আপিল বিভাগের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের নজরে আনেন এই আইনজীবী। এ সময় গত রোববার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা পত্রিকার প্রতিবেদনটি বিচারপতিদের পড়ে শোনান তিনি। উত্তরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা একটু দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি।’ 

পরে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের বিষয়টি নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুসসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২১ মে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। সংগঠনটির সদস্য সচিব হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মেয়র তাপস। সেই অনুষ্ঠানে দেওয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নগর ভবন থেকে শুনি যে, (সুপ্রিম কোর্টে) আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। মনটা চায় (মেয়র পদ থেকে) ইস্তফা দিয়ে আবার (সুপ্রিম কোর্টে) ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম।’

আর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সর্বোচ্চ আদালতের নজরে আনেন আমীর-উল ইসলাম। আদালত থেকে বেরিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটি বড় রকমের অবক্ষয়। এজন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তারা দেখবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। মেয়র তাপস সুশীল সমাজ সম্পর্কেও কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বিচার বিভাগকে হেয় করেছেন। তার এ বক্তব্য আদালত অবমাননাকর।’

সূত্র জানায়, ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার একজন সদস্য। কিন্তু বার বার তিনি ভুল পথে যেয়ে নিজের ক্যারিয়ারটা নষ্ট করেছেন। তিনি একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীল চরিত্র হতে পারেন নাই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ৭৫’র পরে তার ভূমিকা ছিল রহস্যময়। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের সময়ে বিদেশিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেছেন। সেই চাঁদার তহবিল তসরূপের অভিযোগও ওঠেছিল তার বিরুদ্ধে। 

সূত্রমতে, ১৯৯১ সালে যখন ড. কামাল হোসেনরা আওয়ামী লীগ থেকে চলে গেলেন। তখন তিনি আরেকবার বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি গণফোরামে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগে ফিরে আসার পর ২০০৭ সালে তিনি সংস্কারপন্থী হয়ে গেলেন। তিনি মাইনাস টু ফর্মুলার দিকে ধাবিত হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার মামলাগুলোও তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন, তাদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের মধ্যে ব্যারিষ্টার আমীর উল ইসলাম একজন। এখন তিনি সমস্ত রাজনৈতিক পরিচয় জলাঞ্জলী দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তার মতো একজন বয়জেষ্ঠ্য ব্যক্তির জন্য বারবার বিভ্রান্ত হয়ে, ক্ষুদ্র স্বার্থের লোভে এ ধরনের নীতি বিরোধী কাজ করা সত্যিই খুব দুঃখজনক। 


ব্যারিস্টার   এম আমির উল ইসলাম   . মেয়র তাপস   আইনজীবী   বিচারপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে। চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না। অধিবেশন চলবে মাত্র ছয় কার্যদিবস। এর মধ্যেই পাস হতে পারে একটি বিল।


দ্বাদশ সংসদ   দ্বিতীয় অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে আটোভ্যান চালক হ্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে অটোভ্যান চালক শাকিল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। অটোরিকশা ছিনতাই এবং হত্যার সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার। 

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে অটোভ্যান সহ বাড়ি থেকে বের হয় শাকিল। এসময় শেরপুর থানাধীন সীমাবাড়ী ইউনিয়নের চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার এলাকা হতে অজ্ঞাত নামা ৩-৪ জন তাকে টার্গেট করে তার অটো ভ্যানটি দূর্গা পূজার মন্ডপ ঘুরে দেখার কথা বলে ভাড়া করে। অটো চালক শাকিলকে নিয়ে আসামিরা মথুরাপুর বাজারে যায়। সেখান থেকে ক্লোন্ড ড্রিংকসের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে শাকিলকে খাওয়ানো হয়। এতে শাকিল অচেতন হয়ে পড়ে।

 

এরপর শাকিলকে হাত, পা ও মুখ বেধে শ্বাসরোধ করে করে ফুলজোর নদীতে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ভাসিয়ে দিয়ে অটোভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় আসামীরা। ২৩ সালের ২৩ অক্টোবর ফুলজোর নদী থেকে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে শাকিলের পরিবার।

 

মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে মাঠে নামে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের দিক নির্দেশনায়, রায়গঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমারের তত্বাবধানে, অফিসার ইনচার্জ হারুনর অর রশিদ এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সহ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে আসামি আশিক (১৯) কে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

এসময় হত্যাকান্ডের সকল তথ্য বেরিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃত আশিক বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার নাকুয়া গ্রামের বাদশার পুত্র। অন্য দিকে একই এলাকার মোমিন, ফিরোজ আহম্মেদ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল, তবে ফিরোজকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সহ স্থানীয় সংবাদকর্মী বৃন্দ।'


হত্যাকান্ড   রহস্য   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাটোরের লালপুর উপজেলার আজিম নগর রেলওয়ে স্টেশনে মঞ্জুর রহমান মঞ্জু (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত মঞ্জুর রহমান উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার বাহাদিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ও গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল ২০২৪) রাত ১১টার দিকে গোপালপুর পৌরসভার আজিমপুর রেলস্টেশনে রবিউল ইসলামের কনফেকশনারী দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে গোপালপুর আজিম নগর রেল স্টেশনে মনজুর রহমান মঞ্জুকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে মাথায় এবং পেটে গুলি করে হত্যা করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।


আওয়ামী লীগ নেতা   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মহান মে দিবসে সব মেহনতি মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, “বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রম নীতি প্রণয়ন করেন এবং প্রথম মহান মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন। 

১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের মজুরির হার বৃদ্ধি এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের এডহক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে যে কোন শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এ শিল্পের কর্মহীন এবং দুস্থ শ্রমিকদের সর্বোচ্চ তিন মাসের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সকল সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।

শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং কার্যক্রম আরো সুদৃঢ় হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তরিত করেছি।

শ্রমিক ভাই-বোনদের যেকোন সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া জন্য সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক-মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। মে দিবসের চেতনায় দেশের শ্রমিক-মালিক ঐক্য জোরদার করে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো; এটাই হোক আমাদের মে দিবসের অঙ্গীকার।”

তিনি ‘মহান মে দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।


মহান মে দিবস   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ভারতে পাচার ২০ বাংলাদেশী নারী ও শিশু


Thumbnail ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল পাচার হওয়া ২০ বাংলাদেশী নারী ও শিশু

ভারতে বিভিন্ন সময় পাচারের শিকার ২০ জন বাংলাদেশি নারী ও শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে। ফেরত আসাদের মধ্যে ৬ জন নারী ও ১৪ জন শিশু রয়েছে।

 

তারা হলেন, অনন্য রায় (১৬), কামনা বিশ্বাস (১৭), উর্মি আক্তার (২১), নাদিরা শেখ (২৩), বৃষ্টি (৮), আবৃতি শীল (৮), রাবেয়া আক্তার (১৫), হোসনা আক্তার (১৪), জান্নাত শেখ (১৭), পূঁজা রায় (১৫), আছিয়া খানম (৫), নাহিদ হাসান (১৩), তৃষা (১৭), ওলিদ খান (১৬), কথা মন্ডল (৮), ফারজানা আক্তার (২২), প্রান্তী বিশ্বাস (১৮), তমারানি (১৯), জোগুনা বিবি (৬৫) ও রাকিব হোসেন (১৬) । এরা দেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, ঢাকা, পিরোজপুর, কেরানিগঞ্জ, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, বাগেরহাট ও চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। 

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী শিশু পাচার রোধ বিষয়ক টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

 

ফেরত আসারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। এরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমের হেফাজতে ছিল। পরবর্তীতে এদের নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাইপূর্বক ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে ফিরিয়ে আনা হলো।

 

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোল-পেট্রোপোল নোম্যান্সল্যান্ডে স্থানীয় এসি ল্যান্ড, উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট উদ্ধারকৃত এসব নারী- শিশুদের হস্তান্তর করেন।

 

এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি, স্থানীয় এনজিও কর্তৃপক্ষ এবং ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত আসাদের পোর্ট থানার সোপর্দ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন জানান, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এসব নারী-শিশুদের আনা হয়েছে। ফিরে আসা নারী ও শিশুদেরকে ৩টি মানবাধিকার সংগঠনের হাতে তুলে দেয়া হবে। এসব মানবাধিকার সংগঠন তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।


ভারত   কারাভোগ   পাচার   বোনাপোল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন