ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জটিল সমীকরণে বিশ্ব রাজনীতি, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় নজর

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্ব বর্তমানে একটি জটিল ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধকে ঘিরে সারাবিশ্বে সংকট দেখা দিয়েছে। তাইওয়ান-চীন জটিলতাও যে কোন সময় বড় সংকটে রুপ নিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র একটি কঠিন সংকট ও দোটানার মধ্যে পড়েছে। 

এতদিন বিশ্বে যে একমেরুকরণ অবস্থা বিরাজ করছিল তা অনেকটাই ভারসাম্য অবস্থায় পৌছাচ্ছে। এর পিছে করোনা মহামারী ও দুইটি চলমান যুদ্ধের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। ইউক্রেন ও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদেশ হওয়ায় তাদের বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও বিভিন্ন সামরিক সহযোগিতা প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বর্তমানে করোনা মহামারীর ধাক্কার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জিডিপি কমে গেছে । যার ব্যাতিক্রম নয় যুক্তরাষ্ট্রও। এ পরিস্থিতিকে একইসাথে দুইটি দেশের যুদ্ধের খরচ মিটাতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রতে যা দেশটির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। 

এদিকে আফ্রিকা, ইসরায়েল-গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এই সংকট বিস্ফোরকের মতো। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে এবং যদি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা পরাজিত হয় তবে ভূরাজনীতির অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হারাবে দেশটি। 

সামনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই ২০২৪ সাল হতে পারে ১৯৪৫ সালের বিশ্ব যুদ্ধের পর নতুন ব্যবস্থা। ভারত ও তুরস্কের মতো দেশগুলো বিশ্বাস করে ১৯৪৫ সালের পরে তৈরি করা বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলো তাদের উদ্বেগের প্রতিফলন করে না। চীন ও রাশিয়া এই ব্যবস্থাকে উল্টে ফেলতে চায়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায় বিশ্বে। 

১৯ শতকের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব জিডিপিতে পশ্চিমের অংশ ৫০ শতাংশে নেমে যায়। ইউরোপ ও জাপানের মতো মিত্রদের অর্থনীতি কমছে। মার্কিন বৈশ্বিক ভূমিকায়ও মধ্যবিত্তদের সমর্থন কমেছে। অন্যদিকে চীন একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চমক দেখিয়ে উন্নতি করেছে। এই দু্ইটি দেশ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এদের সমর্থনেও রয়েছে আরও অনেকগুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল দেশ। এই কয়টি দেশকে একসাথে প্রতিরোধ করা এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমানে অর্থনৈতিক চাপে ইতোমধ্যেই পৃথিবীর একমেরুকরণও শেষ হয়ে গেছে। আমেরিকা এখনো অর্থনীতিতে প্রসিদ্ধ তবে এর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। 

 বাইডেন প্রশাসনের বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে ২০২৩ সালে ব্যস্ত ছিল আমেরিকা। নির্দিষ্ট কিছু আদর্শ বাস্তবায়ন করা হয়। দেশটির প্রথম অগ্রাধিকার ছিল আফগানিস্তান ত্যাগ করা এবং প্রয়োজনীয় বিষয়কে এশিয়ায় স্থানান্তর করা। এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল চীনকে ঠেকানো। এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউরোপে মিত্ররা পুনরুজ্জীবিত হয়। প্রসারিত হয় ন্যাটো। যদিও ইউক্রেন এখনো ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। জ্বালানি ও প্রযুক্তিখাতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। তবে এ নিষেধাজ্ঞাকে আড়াল করে চীন প্রচুর তেল আমদানি করছে। 

ভূরাজনীতি সহনীয় তবে রয়েছে অস্থিরতা। ১৯৯০ এর দশকে অনেক দেশ স্বাধীনতা, বাজার অর্থনীতি ও নিয়মভিত্তিক বিশ্বায়নের একটি স্ব-শক্তিশালী চক্রের আকাঙ্ক্ষা করেছিল। এখন পপুলিজম, হস্তক্ষেপবাদী অর্থনীতি ও লেনদেনের বিশ্বায়নে একটি অপ্রত্যাশিত চক্র রয়েছে। ফলে ২০২৪ সালের জন্য তিনটি হুমকি আসন্ন। এ হুমকি কাটাতে না পারলে বিশ্ব একটি নতুন সংকটে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস।

প্রথমত, দায়মুক্তির প্রবণতা বেড়েছে। গত ৩৬ মাসে আফ্রিকার অন্তত ছয়টি দেশে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত হয়েছে আজারবাইজান। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই ইরানের আর্শীবাদপুষ্টদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এই ধারা ২০২৪ সালে আরও প্রসারিত হতে পারে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো চীন, ইরান ও রাশিয়ার সমন্বিত উত্থান। যদিও পশ্চিমাদের মতো তাদের সাধারণ লক্ষ্য নেই। তবে এ দেশগুলো মার্কিন প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে চায়।  বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্য দুই দেশের চেয়ে চীনের অংশগ্রহণ অনেক বেশি।  রাশিয়া ও ইরান থেকে তেল কিনছে চীন। তারা কেউই হামাস কিংবা রাশিয়ার সমালোচনা করছে না। প্রযুক্তিখাতে তাদের সমন্বয় বাড়ছে। পশ্চিমা অর্থনীতিকে পাশ কাটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে চীন। এখন এটির অর্ধেকের মতো বাণিজ্য নিজস্ব মুদ্রায় হয়। রাশিয়ায় ড্রোন রপ্তানি করছে ইরান। পারমাণবিক ক্ষেত্রে সমন্বয় করছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। প্যাসিফিকে বাড়িয়েছে টহল। চীনের মধ্যস্ততায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যেসেমঝোতা হয়েছে। ফলে একটি নতুন শক্তিবলয় গড়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই জোট কত দূর যেতে পারে তা দেখা যাবে ২০২৪ সালে।

চূড়ান্ত হুমকি হলো পশ্চিমা জোটের ভঙুরতা। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ঐক্যবদ্ধ, জনসমর্থনও রয়েছে, ১৯৪৫ সাল পরবর্তী বিশ্ব নীতিও অক্ষত। কিন্তু পশ্চিমাদের বাইরের অনেকেই এক্ষেত্রে অনৈক্য দেখিয়েছে। বর্তমানে একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ইউক্রেনে অর্থয়ানে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বিরোধিতা রয়েছে। বিশেষ করে রিপাবলিকানদের মধ্যে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের জন্য একটি বিল স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বকে ইউক্রেনের উপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে অস্ত্র ইউক্রেনকে দেয়ার কথা তা যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিচ্ছে। 

তাছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামালার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও রয়েছে অনৈক্য। এই বিষয়কে সামনে রেখে পশ্চিমাদের দ্বিচারিতা সামনে চলে এসেছে। অন্যান্য সংকটও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে চীন যদি তাইওয়ানে আক্রমণ করে তবে  তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কী ইউরোপ যোগ দেবে?

২০২৪ সালের শেষের দিকে মার্কিন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যদি সত্যিকার অর্থে একজন বৈশ্বিক নেতা নির্বাচিত হয় তাহলে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে। অথবা বিশ্ব আরও একটি যুদ্ধ দেখবে। স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে দীর্ঘ লড়াইয়ের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র। করণীয় তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় পরিবর্ধন, ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরতর করা, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। বিশ্ব রাজনীতির রূপান্তরে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।


বিশ্ব রাজনীতি   যুক্তরাষ্ট্র   অর্থনীতি   রাজনীতি   বৈশ্বিক সংকট   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে

প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কিত দেশটির কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রদেশ আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের

সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদি। তবে সেখান থেকে যে খবর আসছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠাণ্ডা পড়ছে। ফলে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে চারদিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৬৩ বছর বয়সী রাইসি। তার সময়ে দেশটিতে কঠোরভাবে নৈতিক আইন প্রয়োগ করা হয়। কঠোর নৈতিক আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। 


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। 

সৌদি আরব   বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন