ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জটিল সমীকরণে বিশ্ব রাজনীতি, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় নজর

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিশ্ব বর্তমানে একটি জটিল ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধকে ঘিরে সারাবিশ্বে সংকট দেখা দিয়েছে। তাইওয়ান-চীন জটিলতাও যে কোন সময় বড় সংকটে রুপ নিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র একটি কঠিন সংকট ও দোটানার মধ্যে পড়েছে। 

এতদিন বিশ্বে যে একমেরুকরণ অবস্থা বিরাজ করছিল তা অনেকটাই ভারসাম্য অবস্থায় পৌছাচ্ছে। এর পিছে করোনা মহামারী ও দুইটি চলমান যুদ্ধের অন্যতম ভূমিকা রয়েছে। ইউক্রেন ও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদেশ হওয়ায় তাদের বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও বিভিন্ন সামরিক সহযোগিতা প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বর্তমানে করোনা মহামারীর ধাক্কার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জিডিপি কমে গেছে । যার ব্যাতিক্রম নয় যুক্তরাষ্ট্রও। এ পরিস্থিতিকে একইসাথে দুইটি দেশের যুদ্ধের খরচ মিটাতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রতে যা দেশটির জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। 

এদিকে আফ্রিকা, ইসরায়েল-গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এই সংকট বিস্ফোরকের মতো। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে এবং যদি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা পরাজিত হয় তবে ভূরাজনীতির অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হারাবে দেশটি। 

সামনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই ২০২৪ সাল হতে পারে ১৯৪৫ সালের বিশ্ব যুদ্ধের পর নতুন ব্যবস্থা। ভারত ও তুরস্কের মতো দেশগুলো বিশ্বাস করে ১৯৪৫ সালের পরে তৈরি করা বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলো তাদের উদ্বেগের প্রতিফলন করে না। চীন ও রাশিয়া এই ব্যবস্থাকে উল্টে ফেলতে চায়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও তাদের প্রভাব বজায় রাখতে চায় বিশ্বে। 

১৯ শতকের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব জিডিপিতে পশ্চিমের অংশ ৫০ শতাংশে নেমে যায়। ইউরোপ ও জাপানের মতো মিত্রদের অর্থনীতি কমছে। মার্কিন বৈশ্বিক ভূমিকায়ও মধ্যবিত্তদের সমর্থন কমেছে। অন্যদিকে চীন একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চমক দেখিয়ে উন্নতি করেছে। এই দু্ইটি দেশ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে এদের সমর্থনেও রয়েছে আরও অনেকগুলো অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল দেশ। এই কয়টি দেশকে একসাথে প্রতিরোধ করা এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমানে অর্থনৈতিক চাপে ইতোমধ্যেই পৃথিবীর একমেরুকরণও শেষ হয়ে গেছে। আমেরিকা এখনো অর্থনীতিতে প্রসিদ্ধ তবে এর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। 

 বাইডেন প্রশাসনের বৈদেশিক নীতি বাস্তবায়নে ২০২৩ সালে ব্যস্ত ছিল আমেরিকা। নির্দিষ্ট কিছু আদর্শ বাস্তবায়ন করা হয়। দেশটির প্রথম অগ্রাধিকার ছিল আফগানিস্তান ত্যাগ করা এবং প্রয়োজনীয় বিষয়কে এশিয়ায় স্থানান্তর করা। এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল চীনকে ঠেকানো। এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউরোপে মিত্ররা পুনরুজ্জীবিত হয়। প্রসারিত হয় ন্যাটো। যদিও ইউক্রেন এখনো ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। জ্বালানি ও প্রযুক্তিখাতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর আরোপ করা হয় নিষেধাজ্ঞা। তবে এ নিষেধাজ্ঞাকে আড়াল করে চীন প্রচুর তেল আমদানি করছে। 

ভূরাজনীতি সহনীয় তবে রয়েছে অস্থিরতা। ১৯৯০ এর দশকে অনেক দেশ স্বাধীনতা, বাজার অর্থনীতি ও নিয়মভিত্তিক বিশ্বায়নের একটি স্ব-শক্তিশালী চক্রের আকাঙ্ক্ষা করেছিল। এখন পপুলিজম, হস্তক্ষেপবাদী অর্থনীতি ও লেনদেনের বিশ্বায়নে একটি অপ্রত্যাশিত চক্র রয়েছে। ফলে ২০২৪ সালের জন্য তিনটি হুমকি আসন্ন। এ হুমকি কাটাতে না পারলে বিশ্ব একটি নতুন সংকটে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস।

প্রথমত, দায়মুক্তির প্রবণতা বেড়েছে। গত ৩৬ মাসে আফ্রিকার অন্তত ছয়টি দেশে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত হয়েছে আজারবাইজান। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই ইরানের আর্শীবাদপুষ্টদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এই ধারা ২০২৪ সালে আরও প্রসারিত হতে পারে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো চীন, ইরান ও রাশিয়ার সমন্বিত উত্থান। যদিও পশ্চিমাদের মতো তাদের সাধারণ লক্ষ্য নেই। তবে এ দেশগুলো মার্কিন প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে চায়।  বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্য দুই দেশের চেয়ে চীনের অংশগ্রহণ অনেক বেশি।  রাশিয়া ও ইরান থেকে তেল কিনছে চীন। তারা কেউই হামাস কিংবা রাশিয়ার সমালোচনা করছে না। প্রযুক্তিখাতে তাদের সমন্বয় বাড়ছে। পশ্চিমা অর্থনীতিকে পাশ কাটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে চীন। এখন এটির অর্ধেকের মতো বাণিজ্য নিজস্ব মুদ্রায় হয়। রাশিয়ায় ড্রোন রপ্তানি করছে ইরান। পারমাণবিক ক্ষেত্রে সমন্বয় করছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। প্যাসিফিকে বাড়িয়েছে টহল। চীনের মধ্যস্ততায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যেসেমঝোতা হয়েছে। ফলে একটি নতুন শক্তিবলয় গড়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই জোট কত দূর যেতে পারে তা দেখা যাবে ২০২৪ সালে।

চূড়ান্ত হুমকি হলো পশ্চিমা জোটের ভঙুরতা। ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ঐক্যবদ্ধ, জনসমর্থনও রয়েছে, ১৯৪৫ সাল পরবর্তী বিশ্ব নীতিও অক্ষত। কিন্তু পশ্চিমাদের বাইরের অনেকেই এক্ষেত্রে অনৈক্য দেখিয়েছে। বর্তমানে একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ইউক্রেনে অর্থয়ানে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বিরোধিতা রয়েছে। বিশেষ করে রিপাবলিকানদের মধ্যে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের জন্য একটি বিল স্থগিত করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বকে ইউক্রেনের উপর থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন যে অস্ত্র ইউক্রেনকে দেয়ার কথা তা যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিচ্ছে। 

তাছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামালার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও রয়েছে অনৈক্য। এই বিষয়কে সামনে রেখে পশ্চিমাদের দ্বিচারিতা সামনে চলে এসেছে। অন্যান্য সংকটও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে চীন যদি তাইওয়ানে আক্রমণ করে তবে  তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কী ইউরোপ যোগ দেবে?

২০২৪ সালের শেষের দিকে মার্কিন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যদি সত্যিকার অর্থে একজন বৈশ্বিক নেতা নির্বাচিত হয় তাহলে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে। অথবা বিশ্ব আরও একটি যুদ্ধ দেখবে। স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে দীর্ঘ লড়াইয়ের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র। করণীয় তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় পরিবর্ধন, ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরতর করা, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। বিশ্ব রাজনীতির রূপান্তরে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।


বিশ্ব রাজনীতি   যুক্তরাষ্ট্র   অর্থনীতি   রাজনীতি   বৈশ্বিক সংকট   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক হামাস

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা হলো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, ওই অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। 

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করেছে হামাস। ইসরায়েলের পতনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় উপত্যকাটিতে হামাসের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনটির নেতাদের এ ইঙ্গিতে বোঝা যায়, আগের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করছেন তারা।

হামাসের এই নেতাদের একজন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী বাসেম নাইম। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। বৃহস্পতিবার নাইম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, আর শরণার্থীদের সেখানে ফেরার অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আল কাশেম ব্রিগেডকে (হামাসের সামরিক শাখা) ভবিষ্যতে জাতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

হামাসের শর্তগুলো মেনে নেওয়া হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই 'অবশ্যই' বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাসেম নাইম। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যদি তাদের গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনে 'সংস্কার' আনে, তাহলে সংগঠনটির সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্ত সাপেক্ষে অস্ত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আর বিদেশে অবস্থান করা হামাসের নেতাদের বক্তব্য গাজায় থাকা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর বিপরীতে এত দিন  ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সব অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে এসেছে হামাস। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আজকের ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা।


ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে নির্বাচনের এই ধাপে ৮৮টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৮৯ আসনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর ও আসামে রেকর্ড ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

তবে তাপদাহের কারণে কেরালায় দুজন ভোটার ও একজন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। যদিও তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দক্ষিণী সিনেমার বড় বড় তারকাদেরকে ভোট দিতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় দফার ভোটদের দিন তৃতীয় দফার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মালদায় নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর ও হেমা মালিনী। আগামী ৭ মে হবে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ।


ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রারিত পদত্যাগ করেছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তৃতীয় পদত্যাগ।

হালা রাহারিত লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছেন,'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হালা রাহারিত একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপ-পরিচালক ছিলেন। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন হালা রাহারিত।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। একই কারণে গত মার্চে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। এর আগে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ পদত্যাগ করেছিলেন।


মার্কিন পররাষ্ট্র   মুখপাত্র   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন