ইনসাইড বাংলাদেশ

ফখরুলকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়া তাঁর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ক্ষুব্ধ বেগম জিয়ার তীব্র আপত্তির মুখেই মাঝপথ থেকে ফিরে যান মির্জা ফখরুল। শুক্রবার বেগম জিয়া তাঁর পুত্রবধূ এবং বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতে তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেন। এজন্যই তিনি তাঁর পরিবারকে দলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। বেগম জিয়ার পরিবার এবং কারা সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেগম জিয়া মনে করছেন, সিনিয়র নেতারা তাঁর সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করছেন। সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করে, ওই নেতারা শুধু নিজেদের জন্য সুবিধা আদায় করছেন। বেগম জিয়া এটাও মনে করেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং আইনজীবীদের জন্যই তাঁর কারাবাস দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ কারণেই, তাঁর পরিবারের সদস্যদের দিয়েই বিএনপি পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে দন্ডিত বেগম খালেদা জিয়া।

জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পরপরই তাঁর মুক্তির জন্য সমঝোতার উদ্যোগ নেন শামীম ইস্কান্দার। এই সমঝোতা প্রক্রিয়া অনেকদূর এগুনোর পর হঠাৎ এর সঙ্গে যুক্ত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তারা বেগম জিয়ার মুক্তির সঙ্গে নির্বাচন এবং আসন ভাগাভাগি পর্যন্ত যুক্ত করা শুরু করে।  জিয়া পরিবারের দাবি, ব্যক্তিগত লাভের আশায় এরা মুক্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, একপর্যায়ে শামীম ইস্কান্দারকে পাশ কাটিয়ে মির্জা ফখরুলই যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কারাগারে থাকলেও এই খবর ঠিক পৌঁছে বেগম জিয়ার কাছে।

সূত্রমতে, সমঝোতার খুটিনাটি চূড়ান্ত করতে মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবার নাজিমউদ্দিন রোডে বন্দী বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আবেদন করেন। এই সাক্ষাতের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব দলকেও অন্ধকারে রাখেন। দলের নেতাদের তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।’ কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই যখন বেগম জিয়া জানতে পারেন যে, মির্জা ফখরুল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। তিনি ফখরুলের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরই অসুস্থতার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

জেল সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার আগ্রহেই শুক্রবার প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। শর্মিলাকে তিনি তাঁর (বেগম জিয়ার) মুক্তির সঙ্গে অন্য কিছু না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শুধু উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান, কবে তিনি দেশে ফিরতে চান তাও উহ্য রাখতে চান। শুধু এটুকু বলতে চান, ‘যতদিন তাঁর চিকিৎসা চলবে ততদিন তিনি বিদেশে অবস্থান করবেন। বেগম জিয়া এখনই নির্বাচনের ব্যাপারে হ্যাঁ বা না কিছু বলতে রাজি নয়। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ। একাধিক সূত্র বলছে, বেগম জিয়া বলেছেন, নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এখনই না। এটা নির্ভর করবে সে সময়ের পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপর। এসব নিয়ে বিরোধে তিনি সিনিয়র নেতাদের দুষছেন। এখন দল না তাঁর আত্মীয়রাই তাঁর মুক্তির পথ তৈরি করছে এবং সেটি তারা করতে চান বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় রেখে। আর সেই কাজটি করবেন প্রয়াত কোকোর স্ত্রী।

এদিকে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার মেডিকেল রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন সিঁথি। বেগম জিয়ার আত্মীয় স্বজনরা আশা করছেন এসব কাগজ পত্র আদালতে জমা দিলে, সহজেই তাঁর জামিন এবং লন্ডন যাওয়ার সুযোগ হবে। একজন চিকিৎসক তাঁর ব্যবস্থাপত্রে ছয় মাস পর বেগম জিয়াকে আবার দেখা করতে বলেছিলেন।

একাধিক সূত্র বলছে, সরকার তাঁর বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে নমনীয়। তবে, বেগম জিয়া নির্বাচন না করলেও বিএনপি যেন নির্বাচনে আসে সে ব্যাপারে সরকার আগ্রহী।




Read In English: https://bit.ly/2J97Djw


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্ঠা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার সুজানগরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী জহুরা খাতুন।


আরও পড়ুন: পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে বারেক মৃধা৷ এ সময় তার সাথে থাকা আরো চারজন কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার শুরু করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

 

তিনি অভিযোগ করেন, অথচ এই ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন প্রার্থীর লোকজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। 

 

জহুরা খাতুন বলেন, আমি নিজেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবকে ভোট দিয়েছি। এখানে তার লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ভুক্তভোগী পরিবার ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে। 

উল্লেখ্য, এই ধর্ষণের ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হিসেবে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে কয়েকটি গণমাধ্যম। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে এলাকাবাসীর মাঝে।


ধর্ষণ   ভিন্নখাতে প্রবাহ   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০৬:০৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়।

 

এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

 

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামী লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন। 


স্ত্রী হত্যা   যাবজ্জীবন   কারাদন্ড   স্বামী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে হিমাগারে আলুর বস্তার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের কালাইয়ে হিমাগারে সংরক্ষিত আলুর বস্তার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল ১২টায় কালাই পৌর শহরের সরাইল এলাকার আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় কৃষকরা জানায়, কালাই উপজেলার ১১টি হিমাগারে ৬৫ কেজি আলুর প্রতি বস্তা ভাড়া ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে হিমাগারের মালিকরা। যা গত বছরে ছিল ২৭০ টাকা থেকে ২৯০ টাকা। এভাবে এত টাকা বৃদ্ধি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অন্যদিকে, এতে বাজারে আলুর দামও বেড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে হিমাগারের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ভাড়া না কমিয়ে উল্টো জোর করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। একারণে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকূলে একটি স্মারকলিপি পেশ প্রদান করেন।


আলু   হিমাগার   মানববন্ধন   দাম বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই সময় কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

কালশীপুলিশ বক্সে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এনবিআরের চেয়ারম্যান কী ওবায়দুল কাদেরের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেড় মাসেরও বেশি সময় পর আবার মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে সরকারের দুটি সংস্থা  রীতিমতো মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। আগামী ১লা জুলাই থেকে এনবিআর বা জাতীয় রাজস্ব উন্নয়ন বোর্ড মেট্রোরেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসাতে চায়। অন্যদিকে এতে সায় নেই মেট্রোরেল কৃর্তপক্ষের। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা যায় যে, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছেন। 

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলে ভ্যাট মওকুফের সুবিধা ৩০ জুন পর্যন্ত রয়েছে। এসময় সীমা বৃদ্ধির জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এনবিআরের কাছে আবেদন করেছিল কিন্তু এনবিআর তা নাকচ করে দিয়েছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট আরোপ নিয়ে এনবিআর ও মেট্রোরেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তখন সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। পরে মেট্রোরেলে কর্তৃপক্ষ টিকিটের ওপর ভ্যাট না বসানোর যুক্তি দেখিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে চিঠি দেয়। বিষয়টি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পর্যন্ত গড়ায় এবং মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

কেন মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো যৌক্তিক হবে সেটির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর ব্যাপারে এনবিআরের তৎপরতা থেমে থাকেনি। টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করতে সংস্থা বেশ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর বিষয়টি আপাতত সরকারের নীতি নিধারণী নেই বলে যখন ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তখন এনবিআরের তৎপরতা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে এনবিআরের চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিমের ওবায়দুল কাদেরের চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠলেন কিনা? একজন সরকারি কর্মকর্তা তিনি কীভাবে সরকারের একজন নীতি নির্ধারকের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন বা সরকারের অবস্থান পরিষষ্কার করার পরও কেন এনবিআর চেয়ারম্যান বিষয়টি এখনও সুরাহা করলেন না সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত আওয়ামী লীগ ১১ জানুয়ারি সরকার গঠন করে টানা চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করছে। কতগুলো সুনির্দিষ্ট ইশতেহার নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকারের শীর্ষ ক্ষমতাবান ব্যক্তি ধরা হয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। তিনি একাধারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং সরকারের অন্যতম নীতি নির্ধারক বটে। তিনি যখন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানো সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই এবং এটি উচিত নয় তখন এনবিআরের তৎপরতা সবাইকে বিস্মিত করেছে। কোন কোন মহল এনবিআরের এই তৎপরতাকে স্বেচ্ছাচারী বলেও অভিহিত করেছেন। আবার কোন কোন মহল ওবায়দুল কাদের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার পরও এনবিআরের এই তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

প্রশ্ন উঠেছে, মেট্রোরেল ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আগেই এর ওপর ভ্যাট বসানো কতটুকু যৌক্তিক? এনিয়ে সাধারণ মানুষ মধ্যে তীব্র নেতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেলের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্তটি এনবিআরের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় সরকারের অবস্থান জানা পরও এনবিআর মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কিনা। 

এনবিআর চেয়ারম্যান   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন