ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাখাইন রাজ্য কি স্বাধীন হতে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য জান্তা সরকারের হাতছাড়া হতে চলেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনের মিনবিয়া এবং কিউকতাও শহরসহ এক সময়ের আরাকান রাজ্যের রাজধানী ম্রাউক-উ দখল করে। গত নভেম্বরে আরাকান আর্মি ও দেশটির সামরিক জান্তার মধ্যে যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৬টি শহর দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ চিন রাজ্যের দুটি শহরও দখল করেছে তারা।

এসব অভিযানে কমপক্ষে ৭টি নৌবাহিনীর জাহাজ ও ১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এই চলমান বিজয়গুলো একটি স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র গঠনের রাখাইন জাতীয়তাবাদের স্বপ্নকে আরো শক্তিশালী করেছে।

৮ ফেব্রুয়ারির বিজয়কে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতীক হিসেবে দেখছে রাখাইন জাতীয়তাবাদীরা। ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত আরাকান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। এই সালে বার্মিজ মান্দালয় রাজ্যের হাতে স্বাধীন আরাকানের পতন ঘটে। তবে পরবর্তী বছরগুলোতে বার্মিজ শাসকদের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার বিদ্রোহ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে যখন মিয়ানমার স্বাধীনতা পায় তখন কেন্দ্রীয় সরকারকে যারা চ্যালেঞ্জ করেছিল তার মধ্যে প্রথম দিকেই ছিল রাখাইন। সম্প্রতি জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আরাকান আর্মি যে বিজয়গুলো অর্জন করেছে তাকে বিপ্লব হিসেবে দেখছে স্থানীয়রা।

মেজর জেনারেল তোয়ান মারত এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিয়ো টোয়ানের নেতৃত্বে আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। তাদের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব রাজ্যের জনগণের জন্য একটি নতুন আশা জাগিয়েছিল। এর আগে আরাকান লিবারেশন আর্মি/আরাকান লিবারেশন পার্টি একটি স্বাধীন আরাকান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করলেও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৪ সালে আরাকান আর্মি (এএ) ‘আরাকান ড্রিম ২০২০’ নামে একটি রাজনৈতিক রোডম্যাপ প্রকাশ করে। এই রোডম্যাপ প্রকাশের পর থেকে আরাকান আর্মির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে।

‘আরাকান ড্রিম ২০২০’ পরিকল্পনাটির মূল বিষয় ছিল: অস্ত্রের জোরে রাখাইন রাজ্যে একটি মুক্ত ঘাঁটি এলাকা তৈরি করা এবং একটি নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো স্থাপন করা। দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে রাখাইনের প্রতিটি মানুষকে এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই আন্দোলন ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে রাজ্যে দুই বছরের নিবিড় লড়াইয়ে প্ররোচনা দেয়। ব্যাপক বেসামরিক বাস্তুচ্যুত হয় এবং শত শত রাখাইন মানুষকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেড় বছরেরও বেশি সময় এই অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

আরাকান আর্মি ২০২০ সালের শেষের দিকে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে অন্য গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। এই চুক্তির ফলে রাখাইনের জনগণের প্রতি আরাকান আর্মির নেতৃত্ব আরও বেশি বৈধতা পায়। এক দশকের মধ্যে গোষ্ঠীটি মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিগত সেনাবাহিনী হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান’-ও সফলভাবে তাদের প্রচার চালিয়ে যায়। ফলে অন্যান্য বিদ্যমান জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের মতো নতুন সদস্য নিয়োগে আরাকান আর্মি কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয়নি। রাখাইনের জনগণের যে সমর্থন তারা অর্জন করে তা এই অঞ্চলে আরাকান আর্মির নেতৃত্বকে বৈধ করে তোলে।

রাখাইনে চলমান যুদ্ধে জান্তা সরকারের অবস্থান অনেকটা নড়বড়ে হয়েছে তা স্পষ্ট। চলতি মাসেই মংডু শহরে লড়াই চলাকালে প্রায় ৪০০ জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষী প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এক মাস আগে আরও কয়েকশ সৈন্য ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। রাখাইন ছাড়াও অন্য রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহীদের সামনে বিভিন্ন জায়গায় পিছু হটছে জান্তা বাহিনী। জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ এখন অনেকটা শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।
রাখাইনে আরাকান আর্মির ক্রমবর্ধমান সাফল্য সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছে। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সত্য ঘটনা নির্ণয় করা কঠিন। তবে ম্রাউক-উ শহর দখলের দিনে বিশ্বজুড়ে রাখাইন নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। বেশিরভাগই আরাকান আর্মির এই বিজয়কে উদযাপন করেছেন এবং এটিকে তাদের আরাকান স্বায়ত্তশাসনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের সূচনা হিসেবে মত প্রকাশ করেছেন।

তবে সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। রাখাইনে দীর্ঘকাল ধরে জাতিগত উত্তেজনা চলে আসছে। রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুরাও বার্মিজ শাসনের অধীনে কয়েক দশক ধরে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। ২০১৭ সালে উত্তর রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কুখ্যাত গণহত্যামূলক ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ পরিচালনা করে। বর্তমান সহিংসতার মধ্যে এই ক্ষতগুলো পুনরায় সামনে চলে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটে পুড়ছে রাখাইন। বহু জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাকে একটি একক সমঝোতায় নিয়ে আসা একদমই সহজ হবে না। সবমিলে উদ্বেগ থেকেই যায়।

তবে উদ্বেগ আশঙ্কার মধ্যে আশার আলোও রয়েছে। ক্রমবর্ধমান সামরিক অগ্রগতি রাখাইন এবং এর বাসিন্দাদের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তুলে ধরছে। এই ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কী ধরনের সমাজ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করছে আরাকান আর্মি? রোহিঙ্গাসহ রাখাইনের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে তারা?

আমি বিশ্বাস করি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সময় এসছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে আরাকান আর্মির একজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গোষ্ঠীটি রাখাইনের জনগণের জন্য একটি সামাজিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে। তবে সামাজিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কোন মডেলের কথা তিনি বলতে চাইছেন তা পরিষ্কার করেননি তিনি। দলটি রাজনৈতিকভাবে একদলীয় ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে তা স্পষ্ট। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্ভব হবে না বর্তমান পরিস্থিতিতেই তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অনিশ্চিত রাখাইনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে নিয়ে যাবে তা কেবল সময়ই বলে দেবে।

রাখাইনে হয়তো একটি নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। এই নতুন যুগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাখাইনের মানুষ নিজেরাই। যুদ্ধের কারণে তারা প্রতিদিন অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য গঠনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আরাকান আর্মির নেতৃত্ব একটি নতুন যুগের আশা নিয়ে এসেছে। বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলো তাদের দীর্ঘকালের বিভাজনগুলো দূর করে সমর্থন এবং সংহতি নিয়ে একত্র হয়েছে। ধ্বংস এবং হতাশার মধ্যে আশার বাতি জ্বলছে।

তথাপি, রাখাইনের টেকসই উন্নয়ন ও শান্তির পথ এখনো অনেক বন্ধুর। বছরের পর বছর ধরে নিপীড়নের কারণে যে অভিযোগগুলো জমে আছে সহজে তা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। দেশের বাইরের স্বার্থগোষ্ঠীগুলো এই প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। চরমপন্থিরা মাথা তুলতে পারে যা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করার আশঙ্কা তৈরি করে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, সব স্টেকহোল্ডারকে সহযোগিতা ও আলোচনার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রাখাইনের জনগণ একটি শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যতের হকদার। এটি অর্জনের জন্য প্রয়োজন হবে সাহসী নেতৃত্ব এবং ত্যাগ।

ম্রাউক-উ শহরের দখল রাখাইনের জনগণকে নতুন আশা দেখিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, আগামী কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস জান্তা বাহিনী রাখাইনে আরও নৃশংস হামলা করতে পারে। তারা নির্বিচারে কামানের গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা চালাতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ধীরে ধীরে রাখাইনের আকাশে সূর্য উঠছে। সংঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি জমিতে তার সোনালি আলো ফেলছে। এই নতুন যুগের আলোতে এই অঞ্চলের জনগণ অতীতের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তারা এগিয়ে যাবে যারা এই অঞ্চলকে তাদের বাড়ি বলে।


মিয়ানমার   রাখাইন   স্বাধীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ার সাবেক উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী দিমিত্রি বুলগাকভকে গ্রেপ্তার করেছে। রুশ সংবাদমাধ্যম ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দিমিত্রি বুলগাকভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রসদ বিভাগের প্রধান ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগের পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে পদচ্যুত করা হয় এবং পরবর্তীতে তদন্ত শুরু হয়। এফএসবির এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইন্টারফ্যাক্সকে জানান।

দিমিত্রি বুলগাকভের দুর্নীতির ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় ধরনের কেলেঙ্কারিগুলোর মধ্যে একটি। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির অভিযোগে রুশ প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী তিমুর ইভানভকে পদচ্যুত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিমুর ইভানভ সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও পাঁচজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুলগাকভ তাদের মধ্যে সর্বশেষ।

বুলগাকভের গ্রেপ্তারের পর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৯ বছর বয়সী বুলগাকভ রুশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের একজন ছিলেন এবং সেনাবাহিনীতে তার যথেষ্ট প্রভাব ছিল। সামরিক খাতে অবদানের জন্য তিনি বহু পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন, যার মধ্যে রাশিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'হিরো অব রাশিয়া'ও রয়েছে।


রাশিয়া   দুর্নীতি   উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীন-রাশিয়ার যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া আমেরিকা-কানাডার

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চীন ও রাশিয়ার চারটি যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া দিয়েছে আমেরিকা ও কানাডার যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনওআরএডি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার ধাওয়া দিয়ে চীন ও রাশিয়ার সামরিক বিমানগুলোকে আলস্কার আকাশসীমার পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এনওআরএডি বলছে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান দুটি টিইউ-৯৫ মডেলের ছিল। চীনা যুদ্ধবিমান দুটি ছিল পিআরসি এইচ-৬ মডেলের। শনাক্ত করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যুদ্ধবিমান গিয়ে সেগুলোকে ধাওয়া দেয়।

তবে চীন ও রাশিয়া যুদ্ধবিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি এবং সেগুলোকে হুমকি হিসেবেও বিবেচনা করা হয়নি বলে জানিয়েছে এনওআরএডি।

এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়া ও চীনের এসব যুদ্ধবিমান ওই এলাকায় যৌথ টহল দিতে গিয়েছিল। আলাস্কা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টহল দিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলো।

অন্যদিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আলাস্কার উপকূল সংলগ্ন বেরিং সাগরে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত যৌথ টহলে যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছিল। সামরিক সম্পৃক্ততার বার্ষিক পরিকল্পনা মেনে টহল দেওয়া হয়েছে।


চীন   রাশিয়া   যুদ্ধবিমান   আমেরিকা   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-হ্যারিসের যেসব অর্জন তুলে ধরলেন ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৫:৩৫ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।  যেখানে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়বেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  অন্যদিকে, জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন।  

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড পোষ্ট করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ট্রাম্পের ওই ফটোকার্ডে লেখা ছিল- বাইডেন হ্যারিসের যত অর্জন।  

এতে, তিনি পয়েন্ট আকারে যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো:

১. দেড় কোটি অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া

২. ইতিহাসের নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতি 

৩. ৫০টি অঙ্গরাজ্যে গ্যাসের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি

৪. ভোক্তা ঋণের রেকর্ড 

৫. কারাগারে আটক বহু সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেয়া 

৬. ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ

৭. ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ

৮. বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার

৯. আকাশচুম্বী সহিংস অপরাধ

১০. গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানোর চেষ্টা 

১১. বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে চেপে যাওয়া 

১২. মার্কিন জ্বালানি শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা 

১৩. K-12 শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর প্রাপ্তি

১৪. বাইডেন-হ্যারিস ইতিহাসের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট

এদিকে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কথার লড়াইয়ে ব্যস্ত ট্রাম্প-হ্যারিস।  আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন দুই রাজনীতিক।  যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসকে পাগল বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন   ভাইস প্রেসিডেন্ট   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন বারাক ওবামার

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন বারাক ওবামা। কমলা হ্যারিসকে তিনি সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলে নানা জল্পনা কল্পনা। শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি রাখেন। তার সেই দক্ষতা রয়েছে।’

গত রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর ডেমোক্রেটিক পার্টির শতাধিক শক্তিশালী নেতা কমলা হ্যারিসের সঙ্গে কথা বলেন। 

বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এক বিবৃতিতে তার প্রশংসা করেন ওবামা। কিন্তু সেখানে তিনি কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে কিছু বলেননি। 

এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে ডেমোক্রেটিক দলের অধিকাংশ নেতার সমর্থন পেয়েছেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কমলাকে আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী মাসে দলের সম্মেলন রয়েছে। এই সম্মেলনে কে প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাচ্ছে তা ঘোষণা করা হবে। 

শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে ওবামা বলেন, কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ক্ষেত্রে তারা অধিক উত্তেজিত নয়। তবে কমলার নির্বাচনে জয় লাভের জন্য তারা (বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা) সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। 


বারাক ওবামা   কমলা হ্যারিস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাপপ্রবাহ মহামারির চেহারা নিতে চলেছে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহ এখন বন্যা অথবা ঝড়ের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তাপমাত্রার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। জাতিসংঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ কার্যত মহামারির চেহারা নিয়েছে। তার বক্তব্য, গত সোমবার ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম দিন। তার আগের দিনও ছিল ভয়াবহ গরম।

সোমবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।

গুতেরেসের বক্তব্য, বন্যা কিংবা ঝড় দেখতে পাওয়া যায়। তাপপ্রবাহ দেখতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তাপপ্রবাহ। ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে প্রতি বছর শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের জন্য মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার মানুষের। সেখানে প্রতি বছর সাইক্লোনের জন্য় মৃত্যু হয়েছে গড়ে ১৬ হাজার মানুষের।

গুতেরেস এদিন বলেছেন, এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ এড়িয়ে চলার জন্য সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নজর দেওয়া দরকার ছোটদের দিকে, বৃদ্ধদের দিকে এবং অসুস্থ মানুষদের দিকে।

এই তাপপ্রবাহের জন্য় খাদ্য-সুরক্ষা ব্য়বস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খরা হচ্ছে। খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা বার্তা যেন আরও ভালোভাবে যাতে দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হলে কৃত্রিমভাবে ঠান্ডার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং সর্বোপরি, তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য় শহরের পরিকাঠামোগত বদল করতে হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে।

২০৫০ সালের মধ্যে কার্বনশূন্য পরিবেশের কথা বলেছে জাতিসংঘ। গুতেরেস জানিয়েছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়তো সম্ভব হবে।

পৃথিবীর ৫৭টি দেশে যদি তাপপ্রবাহের সতর্কতা ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটানো যায়, তাহলে বছরে অন্তত ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব বলে এদিন জানিয়েছেন গুতেরেস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য নিয়েই এই হিসেবে পৌঁছানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


তাপপ্রবাহ   জাতিসংঘ   আন্তোনিও গুতেরেস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন