ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাখাইন রাজ্য কি স্বাধীন হতে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য জান্তা সরকারের হাতছাড়া হতে চলেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনের মিনবিয়া এবং কিউকতাও শহরসহ এক সময়ের আরাকান রাজ্যের রাজধানী ম্রাউক-উ দখল করে। গত নভেম্বরে আরাকান আর্মি ও দেশটির সামরিক জান্তার মধ্যে যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৬টি শহর দখল করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ চিন রাজ্যের দুটি শহরও দখল করেছে তারা।

এসব অভিযানে কমপক্ষে ৭টি নৌবাহিনীর জাহাজ ও ১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। এই চলমান বিজয়গুলো একটি স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র গঠনের রাখাইন জাতীয়তাবাদের স্বপ্নকে আরো শক্তিশালী করেছে।

৮ ফেব্রুয়ারির বিজয়কে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতীক হিসেবে দেখছে রাখাইন জাতীয়তাবাদীরা। ১৭৮৫ সাল পর্যন্ত আরাকান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। এই সালে বার্মিজ মান্দালয় রাজ্যের হাতে স্বাধীন আরাকানের পতন ঘটে। তবে পরবর্তী বছরগুলোতে বার্মিজ শাসকদের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার বিদ্রোহ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে যখন মিয়ানমার স্বাধীনতা পায় তখন কেন্দ্রীয় সরকারকে যারা চ্যালেঞ্জ করেছিল তার মধ্যে প্রথম দিকেই ছিল রাখাইন। সম্প্রতি জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আরাকান আর্মি যে বিজয়গুলো অর্জন করেছে তাকে বিপ্লব হিসেবে দেখছে স্থানীয়রা।

মেজর জেনারেল তোয়ান মারত এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিয়ো টোয়ানের নেতৃত্বে আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। তাদের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব রাজ্যের জনগণের জন্য একটি নতুন আশা জাগিয়েছিল। এর আগে আরাকান লিবারেশন আর্মি/আরাকান লিবারেশন পার্টি একটি স্বাধীন আরাকান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করলেও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৪ সালে আরাকান আর্মি (এএ) ‘আরাকান ড্রিম ২০২০’ নামে একটি রাজনৈতিক রোডম্যাপ প্রকাশ করে। এই রোডম্যাপ প্রকাশের পর থেকে আরাকান আর্মির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে।

‘আরাকান ড্রিম ২০২০’ পরিকল্পনাটির মূল বিষয় ছিল: অস্ত্রের জোরে রাখাইন রাজ্যে একটি মুক্ত ঘাঁটি এলাকা তৈরি করা এবং একটি নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো স্থাপন করা। দেশের ভেতরে হোক বা বাইরে রাখাইনের প্রতিটি মানুষকে এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই আন্দোলন ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে রাজ্যে দুই বছরের নিবিড় লড়াইয়ে প্ররোচনা দেয়। ব্যাপক বেসামরিক বাস্তুচ্যুত হয় এবং শত শত রাখাইন মানুষকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেড় বছরেরও বেশি সময় এই অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

আরাকান আর্মি ২০২০ সালের শেষের দিকে তাদের পরিকল্পনা নিয়ে অন্য গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পাদন করতে সক্ষম হয়। এই চুক্তির ফলে রাখাইনের জনগণের প্রতি আরাকান আর্মির নেতৃত্ব আরও বেশি বৈধতা পায়। এক দশকের মধ্যে গোষ্ঠীটি মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতিগত সেনাবাহিনী হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ‘ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান’-ও সফলভাবে তাদের প্রচার চালিয়ে যায়। ফলে অন্যান্য বিদ্যমান জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের মতো নতুন সদস্য নিয়োগে আরাকান আর্মি কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয়নি। রাখাইনের জনগণের যে সমর্থন তারা অর্জন করে তা এই অঞ্চলে আরাকান আর্মির নেতৃত্বকে বৈধ করে তোলে।

রাখাইনে চলমান যুদ্ধে জান্তা সরকারের অবস্থান অনেকটা নড়বড়ে হয়েছে তা স্পষ্ট। চলতি মাসেই মংডু শহরে লড়াই চলাকালে প্রায় ৪০০ জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষী প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এক মাস আগে আরও কয়েকশ সৈন্য ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। রাখাইন ছাড়াও অন্য রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহীদের সামনে বিভিন্ন জায়গায় পিছু হটছে জান্তা বাহিনী। জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ এখন অনেকটা শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।
রাখাইনে আরাকান আর্মির ক্রমবর্ধমান সাফল্য সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছে। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সত্য ঘটনা নির্ণয় করা কঠিন। তবে ম্রাউক-উ শহর দখলের দিনে বিশ্বজুড়ে রাখাইন নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। বেশিরভাগই আরাকান আর্মির এই বিজয়কে উদযাপন করেছেন এবং এটিকে তাদের আরাকান স্বায়ত্তশাসনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের সূচনা হিসেবে মত প্রকাশ করেছেন।

তবে সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। রাখাইনে দীর্ঘকাল ধরে জাতিগত উত্তেজনা চলে আসছে। রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইন এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুরাও বার্মিজ শাসনের অধীনে কয়েক দশক ধরে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। ২০১৭ সালে উত্তর রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কুখ্যাত গণহত্যামূলক ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ পরিচালনা করে। বর্তমান সহিংসতার মধ্যে এই ক্ষতগুলো পুনরায় সামনে চলে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটে পুড়ছে রাখাইন। বহু জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাকে একটি একক সমঝোতায় নিয়ে আসা একদমই সহজ হবে না। সবমিলে উদ্বেগ থেকেই যায়।

তবে উদ্বেগ আশঙ্কার মধ্যে আশার আলোও রয়েছে। ক্রমবর্ধমান সামরিক অগ্রগতি রাখাইন এবং এর বাসিন্দাদের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তুলে ধরছে। এই ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কী ধরনের সমাজ প্রতিষ্ঠার চিন্তা করছে আরাকান আর্মি? রোহিঙ্গাসহ রাখাইনের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে তারা?

আমি বিশ্বাস করি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সময় এসছে। ২০২০ সালের শুরুর দিকে আরাকান আর্মির একজন নেতা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গোষ্ঠীটি রাখাইনের জনগণের জন্য একটি সামাজিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে। তবে সামাজিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কোন মডেলের কথা তিনি বলতে চাইছেন তা পরিষ্কার করেননি তিনি। দলটি রাজনৈতিকভাবে একদলীয় ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে তা স্পষ্ট। একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্ভব হবে না বর্তমান পরিস্থিতিতেই তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অনিশ্চিত রাখাইনের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে নিয়ে যাবে তা কেবল সময়ই বলে দেবে।

রাখাইনে হয়তো একটি নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। এই নতুন যুগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাখাইনের মানুষ নিজেরাই। যুদ্ধের কারণে তারা প্রতিদিন অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। তা সত্ত্বেও তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য গঠনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আরাকান আর্মির নেতৃত্ব একটি নতুন যুগের আশা নিয়ে এসেছে। বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলো তাদের দীর্ঘকালের বিভাজনগুলো দূর করে সমর্থন এবং সংহতি নিয়ে একত্র হয়েছে। ধ্বংস এবং হতাশার মধ্যে আশার বাতি জ্বলছে।

তথাপি, রাখাইনের টেকসই উন্নয়ন ও শান্তির পথ এখনো অনেক বন্ধুর। বছরের পর বছর ধরে নিপীড়নের কারণে যে অভিযোগগুলো জমে আছে সহজে তা কাটিয়ে ওঠা যাবে না। দেশের বাইরের স্বার্থগোষ্ঠীগুলো এই প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। চরমপন্থিরা মাথা তুলতে পারে যা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করার আশঙ্কা তৈরি করে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, সব স্টেকহোল্ডারকে সহযোগিতা ও আলোচনার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। রাখাইনের জনগণ একটি শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যতের হকদার। এটি অর্জনের জন্য প্রয়োজন হবে সাহসী নেতৃত্ব এবং ত্যাগ।

ম্রাউক-উ শহরের দখল রাখাইনের জনগণকে নতুন আশা দেখিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, আগামী কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস জান্তা বাহিনী রাখাইনে আরও নৃশংস হামলা করতে পারে। তারা নির্বিচারে কামানের গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা চালাতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ধীরে ধীরে রাখাইনের আকাশে সূর্য উঠছে। সংঘাতে ক্ষতবিক্ষত একটি জমিতে তার সোনালি আলো ফেলছে। এই নতুন যুগের আলোতে এই অঞ্চলের জনগণ অতীতের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তারা এগিয়ে যাবে যারা এই অঞ্চলকে তাদের বাড়ি বলে।


মিয়ানমার   রাখাইন   স্বাধীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফায় তারকাদের লড়াই

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ৭ দফায় নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

এই দফায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হতে যাচ্ছে তারকা প্রার্থীদের মহারণ। প্রথম তিন ধাপে রাজ্যের ১০ আসনে নির্বাচন হয়েছে। সেগুলোতে তারকা প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ছাড়া তেমন কেউ ছিলেন না।

তবে এবারে নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আট আসনে প্রথম তারকা প্রার্থীদের পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।

চতুর্থ দফায় যে আট আসনের ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর।

এসব আসনে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, মহুয়া মৈত্র, রাজমাতা অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। চতুর্থ দফায় এসব প্রার্থীর মধ্যে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বহরমপুর আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ও পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেছেন, বহরমপুরের মানুষ এবারও তাকে সংসদে পাঠাবেন। এবার নির্বাচনে হারলে তিনি দল ছেড়ে বাদাম বেচবেন।

এই আসনে অধীরের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন সাবেক ক্রিকেটার ও গুজরাটের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের নবাগত প্রার্থী ইউসুফ পাঠান।

মমতা ব্যানার্জি এর আগে রাজ্যের বাইরের প্রার্থীদের বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করলেও এবার তিনি তিন ভিনরাজ্যের তিন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আর এখানের বিজেপি প্রার্থীও বেশ শক্তিশালী। তিনি স্থানীয় চিকিৎসক নির্মল সাহা। ফলে এই আসনেই লড়াই হতে যাচ্ছে ত্রিমুখী।

এদিকে, নদীয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মূল লড়াই হবে দ্বিমুখী। তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থীর মধ্যে। তবে এই কেন্দ্রে ভাগ বসাতে পারে কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থীও। এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র, বিজেপির কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর রাজমাতা অমৃতা রায়। মহুয়া মৈত্র তৃণমূলের তারকা প্রার্থী হলেও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংসদে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠায়

সংসদ সদস্যের পদ হারিয়েছেন তিনি।

কৃষ্ণনগরে তৃতীয় প্রার্থী হলেন কংগ্রেস-বাম দলের সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। তিনিও এই লড়াইয়ে শামিল হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে, আসানসোল আসনে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে। এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি দ্বিতীয়বারের মত এই আসনে লড়ছেন। আর বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য।

বীরভূম আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। এই আসনে আগে দুবার জিতলেও এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। কারণ, বীরভূমে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল দুর্নীতির মামলায় কারাগারে। নির্বাচনের মাঠে তার প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই। এই আসনের বিজেপির প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। আর কংগ্রেস প্রার্থী করেছে মিল্টন রশিদকে। তিনি যদিও নবাগত তবু এই আসনে লড়াই হচ্ছে তৃণমূল–বিজেপির মধ্যে।

বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। একসময় কংগ্রেসে ছিলেন এবং সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনিও। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্য বিজেপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সংসদ সদস্য থাকলেও দল এবার তাকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর এখানে সিপিএমের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষ। একসময় এই আসনে সিপিএমের ব্যাপক প্রভাব ছিল। এখন অবশ্য সেই অবস্থা আর নেই। তবু লড়াইয়ের দৌড়ে থাকবেন সিপিএম প্রার্থী।

এদিকে, বোলপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের বর্তমান সংসদ সদস্য অসিত মাল, বিজেপির প্রিয়া সাহা এবং সিপিএমের শ্যামলী প্রধান। এখানেও লড়াই হচ্ছে তৃণমূল–বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে।

আবার, নদীয়ার রানাঘাট আসনে এবার লড়ছেন বিজেপির বর্তমান সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার, তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারী এবং বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী সিপিএম নেতা অলকেশ দাস।

বর্ধমান পূর্ব আসনে এবার লড়ছেন তৃণমূলের নবাগত প্রার্থী এলাকার জনপ্রিয় চিকিৎসক শর্মিলা সরকার। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী অসীম সরকার। আর সিপিএমের প্রার্থী হয়ে লড়ছেন নীরক খাঁ। এখানে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে মূল লড়াই হলেও সিপিএম এখানে মোটামুটি একটা জায়গা নেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


লোকসভা নির্বাচন   ভোটগ্রহণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মিশর

প্রকাশ: ০৮:৫০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় গণহত্যার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ মামলায় এবার যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিশর।

রবিবার (১২ মে) মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যামূলক আগ্রাসন বাড়িয়ে চলায় এই পদক্ষে নেয়া হয়েছে। মিশরের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য কঠোর কূটনৈতিক বার্তা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মিশরের এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক অ্যালন লিয়েল এক প্রতিক্রিয়ায় আল জাজিরাকে বলেন, এই পদক্ষেপটি ইসরায়েলের জন্য একটি ‘অবিশ্বাস্য কূটনৈতিক আঘাত’।


ইসরায়েল   আন্তর্জাতিক   আদালত   মিশর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফার ভোটগ্ৰহণ শুরু

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। 

সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৮৮টি আসনে এবং  তৃতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৯৩টি আসনে। 

সাত দফার মধ্যে এ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি করে আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া বিহারের ৫টি আসনে, উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডে চারটি করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট হচ্ছে।

লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, সমাজবাদি পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেস যাদবসহ ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। 

পশ্চিমবঙ্গের যে ৮ আসনে ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর।

এসব আসনে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, মহুয়া মৈত্র, রাজমাতা অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

লোকসভা নির্বাচনের তিন দফার ভোটে মোট ২৮৩টি  আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   ভারত   ভোটগ্ৰহণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট: আর্জেন্টিনাকে ধন্যবাদ জানাল ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৭:৪১ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় আর্জেন্টিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ রোববার (১২ মে) আর্জেন্টিনা ছাড়াও হাঙ্গেরি ও চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালাকে ধন্যবাদ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য।”

গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং তাদের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। কিন্তু শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।

শুক্রবার (১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভুটি হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।’ 

এই প্রস্তাবে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া ১৪৩টি দেশ মূলত স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।  এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। 


ফিলিস্তিন   আর্জেন্টিনা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মেক্সিকো

প্রকাশ: ০৭:২২ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মেক্সিকো। রোববার (১২ মে) গুয়েতেমালা মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রোববার সকালে চিয়াপাস উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে।

এদিকে গুয়েতেমালার দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে একাধিক স্থানে অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী কোয়েটজালতেনাঙ্গো এবং সান মার্কোসে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়কসহ ভূমিধসেরও খবর পাওয়া গেছে।

১৯৭৬ সালে গুয়েতেমালায় সাড়ে সাত মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে প্রায় ২৩ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প ছিল এটি।


ভূমিকম্প   মেক্সিকো  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন