ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনের পর রাশিয়ার হাল ধরবেন কে?

প্রকাশ: ১২:৩৭ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পুতিন। ৮৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) বুথ ফেরত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যদিয়ে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।

পুতিন অমর নন। তিনিও একদিন মারা যাবেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালেই যদি ৭১ বছর বয়সী এই নেতার মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে কে ধরবেন রাশিয়ার হাল?

এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া বেশ কঠিন। কারণ পুতিনের কোনো রাজনৈতিক উত্তরসূরি নেই, আবার তার কোনো জীবিত প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই।

২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নিখুঁতভাবে নির্বাচনে জালিয়াতির পরিকল্পনা করেছেন পুতিন।

ভোট কেনা, ব্যালটের ভুল গণনা, আগে থেকে সিল দেয়া ব্যালট বিতরণ, ব্যালট বাক্সের কারচুপি, ভোটারদের ভোটদানে বাধা এবং ভয় দেখানোর মতো সব পদ্ধতিই অবলম্বন করেছেন পুতিন অনুগতরা। যা তাকে সব নির্বাচনে সুনিশ্চিত বিজয় এনে দিয়েছে।

এছাড়া তিনি তার রাজনৈতিক বিরোধীদের মধ্যে কারও কারাদণ্ড দিয়েছেন, কারও নির্বাসিত করেছেন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সক্ষমতা যে কারও আছে, তাও তিনি অস্বীকার করেছেন।

এছাড়া পুতিন বরিস নেমতসভের মতো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কারাগারে আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুতেও তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।

তবে পরিহাসের বিষয় হলো, পুতিন গত ২৪ বছর ধরে নিজের  যেতে পারবেন না বা শান্তির সঙ্গে তার অবসর উপভোগ করতে পারবেন না। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তিনি তার মেয়াদকালে অভূতপূর্ব সম্পদ এবং ক্ষমতা সঞ্চয় করেছেন যেগুলোর প্রতি তিনি অনেক বেশি নির্ভরশীল।

নিখুঁত সুরক্ষা বলয়

পুতিন যদি অবসর গ্রহণের পরও তার প্রাসাদ ও ইয়টগুলো (জাহাজ) তার দখলে রাখতে পারেন, তাহলেও যে তিনি নিরাপদে থাকবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

পুতিন ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তার পরে তার উত্তরসূরি আসতে পারে। পুতিনের ব্যক্তিগত কর্তৃত্ব, ক্যারিশমা ও প্রভাব সর্বদা তার উত্তরাধিকারীর জন্য হুমকি হয়ে থাকবে।

বেশিরভাগ স্বৈরশাসকই তাদের উত্তরসূরির নাম প্রকাশ করে না। এর অন্যতম কারণ হলো, তারা অবসরে যাওয়ার আগে বা মারা যাওয়ার আগেই ক্ষমতার তিক্ত লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে। সেদিক থেকে যদি পুতিন কোনো উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেন, তাহলে সে ব্যক্তি অন্যান্য প্রতিযোগীদের আক্রোশের শিকার হয়ে উঠবে।

এমনকি পুতিনের নিজের বন্ধুদের মধ্যেও তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। যদিও পুতিন এসব বিষয়কে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২০২৩ সালে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যিনি একসময় পুতিনের খুব কাছের লোক ছিলেন, তিনিই তার (পুতিন) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

এ থেকে বোঝা যায় যে, ক্ষমতার প্রতিযোগিতা কতটা মারাত্মক হতে পারে। তবে প্রিগোজিন ২০২৩ সালের আগস্টে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। যার আসল কারণ এখনো অজানা। হয়তো কখনও জানাও যাবে না। তবে সন্দেহ করা হয়, এর পেছনে পুতিনেরই হাত রয়েছে।

পুতিনকে সমর্থনকারী অভ্যন্তরীণ ধনী ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পেছনে দুর্নীতিবাজদের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। পুতিন বাদে অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দী যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে তারা তাদের ক্ষমতা, সম্পদ এবং এমনকি স্বাধীনতাও হারাবে। তাই পুতিনের মৃত্যুর পরপরই একটি রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াই শুরু হতে পারে। তাহলে কেন তিনি আগে উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করে ঝুঁকি নেবেন?
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুতিনের অপসারণের কোনো সম্ভাবনা নেই। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবার উপর তার নিয়ন্ত্রণ তাকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করতে এবং মিডিয়া, বিচার বিভাগ, আঞ্চলিক নেতা, সংসদ ও সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার বড় সুযোগ দিয়েছে।

তিনি তার শাসনামলের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সম্ভাব্য বিরোধীপক্ষের কাছ থেকেও আসা হুমকিগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। আর তিনি তার শাসনামলকে ‘অভ্যুত্থান-বিরোধী’ নিশ্চিত করেছেন। পশ্চিমা বিরোধী রুশ জাতীয়তাবাদের নীতির মধ্যদিয়ে তিনি সামরিক এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিশ্বাস জিতেছেন।

পুতিন তার ধনী ব্যবসায়ী সমর্থকদের নিজের পক্ষে রাখতে রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। রাশিয়ার প্রধান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল, গ্যাস, খনিজ ও শিল্প উৎপাদনকারী খাতগুলোতে কে নেতৃত্ব দিবেন -- তা স্বয়ং পুতিনই ঠিক করেন।

যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পুতিনের প্রতি অনুগত থাকে এবং তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নির্দেশকে সমর্থন করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এসব বড় বড় ব্যবসায়ীরা কোম্পানির লভ্যাংশ ভোগ করেন।

এসব বড় ব্যবসায়ীদের সম্পদ এবং স্বাধীনতা ততদিনই থাকবে যতদিন তারা পুতিনের চোখে ভালো থাকবেন। একবার তাকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে সবকিছু হারাতে হতে পারে।

যার অন্যতম উদাহরণ কারাবন্দি বিজনেস টাইকুন মিখাইল খোডোরকভস্কি। তিনি ২০০৩ সালে পুতিনের সমালোচনা করে বন্দি হন। এরপর তার তেল কোম্পানি ‘ইউকোস’ জব্দ করা হয়।

তবে পুতিনের এসব ধনী সমর্থকদের কেউই তাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। এর পেছনে আরও একটি কারণ হলো: কয়েক দশক ধরে তিনি আপোষমূলক উপকরণ বা ‘কমপ্রোম্যাট’জোগাড় করে রেখেছেন যা দিয়ে তিনি তার উপদেষ্টাকেও ব্ল্যাকমেইল করতে পারেন।

এক কথায় বলা যায়, পুতিনের জোট থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার অভিজাতদের সবকিছু হারানো ব্যতীত কিছু পাওয়ার নেই।

মৃত্যুর পর কী হবে?

পুতিন যদি অবসরে না যান বা ক্ষমতাচ্যুত না হন; আর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই মারা যান তখন কী হবে? রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্বপালনে সক্ষম থাকেন না, তখন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সীমিত ক্ষমতা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন। এর আগে ২০০০ সালে যখন বরিস ইয়েলৎসিন পদত্যাগ করেন তখন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এিই পুতিনের প্রথম পদক্ষেপ ছিল।

তবে বর্তমানে অনেক কিছুই বদলে গেছে। রাশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন খুবই নমনীয় একজন সাবেক কর কর্মকর্তা। তার নিজস্ব কোনো শক্তিশালী ভিত্তি নেই। তিনি যদি পুতিনের মৃত্যু পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টও হন তাহলেও এটা প্রায় অসম্ভব যে তিনি স্থায়ী প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু বা অপসারণের তিন মাসের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু ক্ষমতার জন্য আসল লড়াইটা হবে পর্দার আড়ালে,ব্যালট বাক্সে নয়।
এমনটা সম্ভব যে, সম্ভাব্য সহিংস ক্ষমতার লড়াই নির্বাচনের আগে সমাধান করা যেতে পারে, তবে উত্তরাধিকারীর কাছে তাদের দখলকে সুসংহত করতে এবং পুতিনের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ করতে তিন মাস বেশি সময় নয়।

এটাও সম্ভব যে, একটি ঐক্যমত্য প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী করে পরে দলগুলোর মধ্যে আসল লড়াই পরের বছরগুলোতে চলবে। নেতাদের একটি অনানুষ্ঠানিক জোট প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো থেকে সম্মিলিতভাবে শাসন করার চেষ্টা করা হতে পারে।

রাশিয়ায় এই ধরণের ক্ষমতা ভাগাভাগি ব্যবস্থার ঐতিহাসিক নজির রয়েছে। যেমন; ভ্লাদিমির লেনিন ও জোসেফ স্ট্যালিন উভয়ের মৃত্যুর পরে ‘সম্মিলিত নেতৃত্ব’ ঘোষণাকারী জোটগুলো সংক্ষিপ্তভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে,জোটের একজন সদস্য তাদের অংশীদারদের ছাড়িয়ে যেতে এবং নির্মূল করতে সক্ষম হয়। প্রথমে স্ট্যালিন এবং পরে নিকিতা ক্রুশ্চেভ।

তবে পুতিনের মৃত্যুর পরের দিন, মাস ও বছরগুলো যে কারো প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উত্তাল হতে পারে। কারণ দেশটিতে এখন কোনো রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নেই। রোমানভের অধীনের রাজপরিবারই রাশিয়া শাসন করা শেষ রাজপরিবার। এছাড়াও সোভিয়েত সময়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরে রাখার জন্য একক-দলীয় রাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানও নেই।  


রাশিয়া   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। 

সৌদি আরব   বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। খবর আল-জাজিরার

এদিকে পার্স টুডের খবরে বলা হয়, হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রাহমাতিসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। 

সীমান্ত এলাকায় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর তিনি শহরে ফিরছিলেন। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   আল-জাজিরার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তান থেকে ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরালো পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পাকিস্তানে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১৯ মে) আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে একদল কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মিশরীয় শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ভারতীয়রাও রয়েছেন।


কিরগিজস্তান   দেশ   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন