ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনের পর রাশিয়ার হাল ধরবেন কে?

প্রকাশ: ১২:৩৭ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পুতিন। ৮৭.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) বুথ ফেরত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যদিয়ে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।

পুতিন অমর নন। তিনিও একদিন মারা যাবেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালেই যদি ৭১ বছর বয়সী এই নেতার মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রে কে ধরবেন রাশিয়ার হাল?

এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া বেশ কঠিন। কারণ পুতিনের কোনো রাজনৈতিক উত্তরসূরি নেই, আবার তার কোনো জীবিত প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই।

২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নিখুঁতভাবে নির্বাচনে জালিয়াতির পরিকল্পনা করেছেন পুতিন।

ভোট কেনা, ব্যালটের ভুল গণনা, আগে থেকে সিল দেয়া ব্যালট বিতরণ, ব্যালট বাক্সের কারচুপি, ভোটারদের ভোটদানে বাধা এবং ভয় দেখানোর মতো সব পদ্ধতিই অবলম্বন করেছেন পুতিন অনুগতরা। যা তাকে সব নির্বাচনে সুনিশ্চিত বিজয় এনে দিয়েছে।

এছাড়া তিনি তার রাজনৈতিক বিরোধীদের মধ্যে কারও কারাদণ্ড দিয়েছেন, কারও নির্বাসিত করেছেন। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে তাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সক্ষমতা যে কারও আছে, তাও তিনি অস্বীকার করেছেন।

এছাড়া পুতিন বরিস নেমতসভের মতো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কারাগারে আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুতেও তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।

তবে পরিহাসের বিষয় হলো, পুতিন গত ২৪ বছর ধরে নিজের  যেতে পারবেন না বা শান্তির সঙ্গে তার অবসর উপভোগ করতে পারবেন না। একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তিনি তার মেয়াদকালে অভূতপূর্ব সম্পদ এবং ক্ষমতা সঞ্চয় করেছেন যেগুলোর প্রতি তিনি অনেক বেশি নির্ভরশীল।

নিখুঁত সুরক্ষা বলয়

পুতিন যদি অবসর গ্রহণের পরও তার প্রাসাদ ও ইয়টগুলো (জাহাজ) তার দখলে রাখতে পারেন, তাহলেও যে তিনি নিরাপদে থাকবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

পুতিন ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তার পরে তার উত্তরসূরি আসতে পারে। পুতিনের ব্যক্তিগত কর্তৃত্ব, ক্যারিশমা ও প্রভাব সর্বদা তার উত্তরাধিকারীর জন্য হুমকি হয়ে থাকবে।

বেশিরভাগ স্বৈরশাসকই তাদের উত্তরসূরির নাম প্রকাশ করে না। এর অন্যতম কারণ হলো, তারা অবসরে যাওয়ার আগে বা মারা যাওয়ার আগেই ক্ষমতার তিক্ত লড়াই শুরু হয়ে যেতে পারে। সেদিক থেকে যদি পুতিন কোনো উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেন, তাহলে সে ব্যক্তি অন্যান্য প্রতিযোগীদের আক্রোশের শিকার হয়ে উঠবে।

এমনকি পুতিনের নিজের বন্ধুদের মধ্যেও তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। যদিও পুতিন এসব বিষয়কে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু ২০২৩ সালে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন যিনি একসময় পুতিনের খুব কাছের লোক ছিলেন, তিনিই তার (পুতিন) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

এ থেকে বোঝা যায় যে, ক্ষমতার প্রতিযোগিতা কতটা মারাত্মক হতে পারে। তবে প্রিগোজিন ২০২৩ সালের আগস্টে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। যার আসল কারণ এখনো অজানা। হয়তো কখনও জানাও যাবে না। তবে সন্দেহ করা হয়, এর পেছনে পুতিনেরই হাত রয়েছে।

পুতিনকে সমর্থনকারী অভ্যন্তরীণ ধনী ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পেছনে দুর্নীতিবাজদের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। পুতিন বাদে অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দী যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে তারা তাদের ক্ষমতা, সম্পদ এবং এমনকি স্বাধীনতাও হারাবে। তাই পুতিনের মৃত্যুর পরপরই একটি রক্তক্ষয়ী ক্ষমতার লড়াই শুরু হতে পারে। তাহলে কেন তিনি আগে উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করে ঝুঁকি নেবেন?
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুতিনের অপসারণের কোনো সম্ভাবনা নেই। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবার উপর তার নিয়ন্ত্রণ তাকে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করতে এবং মিডিয়া, বিচার বিভাগ, আঞ্চলিক নেতা, সংসদ ও সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার বড় সুযোগ দিয়েছে।

তিনি তার শাসনামলের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সম্ভাব্য বিরোধীপক্ষের কাছ থেকেও আসা হুমকিগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। আর তিনি তার শাসনামলকে ‘অভ্যুত্থান-বিরোধী’ নিশ্চিত করেছেন। পশ্চিমা বিরোধী রুশ জাতীয়তাবাদের নীতির মধ্যদিয়ে তিনি সামরিক এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিশ্বাস জিতেছেন।

পুতিন তার ধনী ব্যবসায়ী সমর্থকদের নিজের পক্ষে রাখতে রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন। রাশিয়ার প্রধান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল, গ্যাস, খনিজ ও শিল্প উৎপাদনকারী খাতগুলোতে কে নেতৃত্ব দিবেন -- তা স্বয়ং পুতিনই ঠিক করেন।

যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পুতিনের প্রতি অনুগত থাকে এবং তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নির্দেশকে সমর্থন করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এসব বড় বড় ব্যবসায়ীরা কোম্পানির লভ্যাংশ ভোগ করেন।

এসব বড় ব্যবসায়ীদের সম্পদ এবং স্বাধীনতা ততদিনই থাকবে যতদিন তারা পুতিনের চোখে ভালো থাকবেন। একবার তাকে টেক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে সবকিছু হারাতে হতে পারে।

যার অন্যতম উদাহরণ কারাবন্দি বিজনেস টাইকুন মিখাইল খোডোরকভস্কি। তিনি ২০০৩ সালে পুতিনের সমালোচনা করে বন্দি হন। এরপর তার তেল কোম্পানি ‘ইউকোস’ জব্দ করা হয়।

তবে পুতিনের এসব ধনী সমর্থকদের কেউই তাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। এর পেছনে আরও একটি কারণ হলো: কয়েক দশক ধরে তিনি আপোষমূলক উপকরণ বা ‘কমপ্রোম্যাট’জোগাড় করে রেখেছেন যা দিয়ে তিনি তার উপদেষ্টাকেও ব্ল্যাকমেইল করতে পারেন।

এক কথায় বলা যায়, পুতিনের জোট থেকে বেরিয়ে রাশিয়ার অভিজাতদের সবকিছু হারানো ব্যতীত কিছু পাওয়ার নেই।

মৃত্যুর পর কী হবে?

পুতিন যদি অবসরে না যান বা ক্ষমতাচ্যুত না হন; আর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই মারা যান তখন কী হবে? রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্বপালনে সক্ষম থাকেন না, তখন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সীমিত ক্ষমতা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন। এর আগে ২০০০ সালে যখন বরিস ইয়েলৎসিন পদত্যাগ করেন তখন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এিই পুতিনের প্রথম পদক্ষেপ ছিল।

তবে বর্তমানে অনেক কিছুই বদলে গেছে। রাশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন খুবই নমনীয় একজন সাবেক কর কর্মকর্তা। তার নিজস্ব কোনো শক্তিশালী ভিত্তি নেই। তিনি যদি পুতিনের মৃত্যু পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টও হন তাহলেও এটা প্রায় অসম্ভব যে তিনি স্থায়ী প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন।

দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু বা অপসারণের তিন মাসের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হবে। কিন্তু ক্ষমতার জন্য আসল লড়াইটা হবে পর্দার আড়ালে,ব্যালট বাক্সে নয়।
এমনটা সম্ভব যে, সম্ভাব্য সহিংস ক্ষমতার লড়াই নির্বাচনের আগে সমাধান করা যেতে পারে, তবে উত্তরাধিকারীর কাছে তাদের দখলকে সুসংহত করতে এবং পুতিনের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ করতে তিন মাস বেশি সময় নয়।

এটাও সম্ভব যে, একটি ঐক্যমত্য প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ী করে পরে দলগুলোর মধ্যে আসল লড়াই পরের বছরগুলোতে চলবে। নেতাদের একটি অনানুষ্ঠানিক জোট প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো থেকে সম্মিলিতভাবে শাসন করার চেষ্টা করা হতে পারে।

রাশিয়ায় এই ধরণের ক্ষমতা ভাগাভাগি ব্যবস্থার ঐতিহাসিক নজির রয়েছে। যেমন; ভ্লাদিমির লেনিন ও জোসেফ স্ট্যালিন উভয়ের মৃত্যুর পরে ‘সম্মিলিত নেতৃত্ব’ ঘোষণাকারী জোটগুলো সংক্ষিপ্তভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে,জোটের একজন সদস্য তাদের অংশীদারদের ছাড়িয়ে যেতে এবং নির্মূল করতে সক্ষম হয়। প্রথমে স্ট্যালিন এবং পরে নিকিতা ক্রুশ্চেভ।

তবে পুতিনের মৃত্যুর পরের দিন, মাস ও বছরগুলো যে কারো প্রত্যাশার চেয়েও বেশি উত্তাল হতে পারে। কারণ দেশটিতে এখন কোনো রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নেই। রোমানভের অধীনের রাজপরিবারই রাশিয়া শাসন করা শেষ রাজপরিবার। এছাড়াও সোভিয়েত সময়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরে রাখার জন্য একক-দলীয় রাষ্ট্রের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানও নেই।  


রাশিয়া   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাঝরাতে আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইতালি

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ করে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে ইতালির মিলানে। বাসিন্দাদের প্রশান্তির স্বার্থে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মিলানের স্থানীয় সরকার। 

ইতালির সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে আইসক্রিম। অনেকেই গভীর রাতে আইসক্রিম খেয়ে থাকেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের অধীন এভাবে আইসক্রিম খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

মিলান শহরের স্থানীয় সরকার ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করে আইনসভায় জমা দিয়েছে। যদি প্রস্তাবিত আইনটি পাস হয়ে যায়, তাহলে আগামী মাস থেকে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম খাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

মিলানের ১২টি এলাকায় আইনটি কার্যকর হবে। এই আইনের অধীনে মধ্যরাতের পর পিৎজা, পানীয়সহ সব ধরনের খাবার বাড়িতে সরবরাহ করা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। শহরের সড়কে রাতের বেলায় যাতে হইচই না হয় এবং বাসিন্দারা প্রশান্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য এই আইন করা হচ্ছে।

মিলানের ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্র্যানেলি বলেন, সামাজিকতা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত এই আইন 'মধ্য মে' থেকে কার্যকর এবং নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

সপ্তাহের কর্মদিবসে রাত সাড়ে ১২টা এবং সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিনে রাত দেড়টা থেকে আইনটির প্রয়োগ শুরু হবে। সড়ককে কোলাহলমুক্ত রাখতে খোলা আকাশের নিচে বসানো খাবার টেবিলে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে।

নাগরিকেরা চাইলে মে মাসের গোড়ার দিকে প্রস্তাবিত আইনের কোনো ধারার পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মধ্যরাতে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধে মিলানের স্থানীয় সরকার এবারই যে প্রথম উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নয়। এর আগে ২০১৩ সালে তৎকালীন মেয়র জুইলিয়ানো পিসাপিয়া মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তুমুল সমালোচনার মুখে তিনি পিছু হটতে বাধ্য হন।


আইসক্রিম   নিষিদ্ধ   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় ৩০ এপ্রিল

প্রকাশ: ১১:৫৩ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে গণগত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইসরায়েলের এই অমানবিক কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ এনে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া।

আগামী ৩০ এপ্রিল সেই মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করেছে আইসিজে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিজে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে- ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে গণহত্যা ‘সহজতর’ করার দায়ে জার্মানিকে অভিযুক্ত করে ১ মার্চ নিকারাগুয়া যে মামলা করে তার রায় ৩০ এপ্রিল ঘোষণা করা হবে।

বিবৃতি অনুসারে, দ্য হেগের পিস প্যালেসে ওই দিন স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম মামলার রায় পাঠ করবেন।

নিকারাগুয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে ‘জার্মানিকে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার নির্দেশ এবং গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য বিধিনিষেধের বিষয়ে’ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪,৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৭৭,৩৬৮ ফিলিস্তিনি।


জার্মান   বিরুদ্ধে   মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক হামাস

প্রকাশ: ১১:৪৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই বন্ধে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তবে তাদের একটি শর্ত রয়েছে। সংগঠনটির কয়েকজন নেতা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা হলো, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, ওই অঞ্চলগুলো নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। 

২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করেছে হামাস। ইসরায়েলের পতনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় উপত্যকাটিতে হামাসের ভবিষ্যৎ অনেকটাই অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনটির নেতাদের এ ইঙ্গিতে বোঝা যায়, আগের অবস্থান নিয়ে সুর নরম করছেন তারা।

হামাসের এই নেতাদের একজন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী বাসেম নাইম। তিনি হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। বৃহস্পতিবার নাইম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করা হয়, আর শরণার্থীদের সেখানে ফেরার অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে আল কাশেম ব্রিগেডকে (হামাসের সামরিক শাখা) ভবিষ্যতে জাতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। 

হামাসের শর্তগুলো মেনে নেওয়া হলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই 'অবশ্যই' বন্ধ করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাসেম নাইম। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) যদি তাদের গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনে 'সংস্কার' আনে, তাহলে সংগঠনটির সঙ্গে যোগ দিতে চায় হামাস।

তবে হামাসের নেতারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শর্ত সাপেক্ষে অস্ত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আর বিদেশে অবস্থান করা হামাসের নেতাদের বক্তব্য গাজায় থাকা সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মেলে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

হামাস বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরোধিতা করে আসছে। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হবে। এর বিপরীতে এত দিন  ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক সব অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে এসেছে হামাস। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আজকের ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা।


ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে নির্বাচনের এই ধাপে ৮৮টি আসনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৮৯ আসনে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর ও আসামে রেকর্ড ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

তবে তাপদাহের কারণে কেরালায় দুজন ভোটার ও একজন পোলিং এজেন্টের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। যদিও তীব্র গরম উপেক্ষা করেই দক্ষিণী সিনেমার বড় বড় তারকাদেরকে ভোট দিতে দেখা যায়।

দ্বিতীয় দফার ভোটদের দিন তৃতীয় দফার নির্বাচনী এলাকাগুলোতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এদিন পশ্চিমবঙ্গের মালদায় নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- রাহুল গান্ধী, শশী থারুর ও হেমা মালিনী। আগামী ৭ মে হবে লোকসভার তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ।


ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতিবাদ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রারিত পদত্যাগ করেছেন। গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকে এটি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তৃতীয় পদত্যাগ।

হালা রাহারিত লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছেন,'পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।'

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হালা রাহারিত একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপ-পরিচালক ছিলেন। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। তারপর ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন হালা রাহারিত।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। একই কারণে গত মার্চে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। এর আগে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারিক হাবাশ পদত্যাগ করেছিলেন।


মার্কিন পররাষ্ট্র   মুখপাত্র   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন