ইনসাইড পলিটিক্স

৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করবে দলটি। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুদু, বিলকিস জাহান শিরিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, ২৬ মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা এবং সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাভার থেকে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।

এ ছাড়া ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

সারাদেশে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে পর্যায়ের সব কমিটি এবং দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।

বিএনপি   স্বাধীনতা দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জনপ্রিয়তা দেখেই দল আনারকে মনোনয়ন দিয়েছিল: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সে (এমপি আনার) কী ছিল বড় কথা নয়, তার জনপ্রিয়তা দেখেই দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আপনারা (সাংবাদিক) এখন বলছেন কলকাতায় তাকে চোরাকারবারি বলছে। আমি সাংবাদিকদের বলব, সে তিন-তিনবার জাতীয় সংসদের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তখন কি আপনারা এটা পেয়েছেন? এখন ভারতীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্য আনল, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। আপনারাতো এই দেশের নাগরিক, সে যদি অপরাধী হয়, সেই অপরাধটা আপনাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে কেন এলো না।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য কলকাতায় মারা গেছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি। সে কী ছিল সেটা বড় কথা না। যে এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে সেই এলাকায় গিয়ে দেখুন, তার জন্য শোকার্ত মানুষের হাহাকার, সে প্রতিনিয়ত কোনো গাড়ি নয়, মোটরসাইকেলে করে সারা এলাকা ঘুরতেন।

তাকে আমরা তৃতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে। এখন সে ভেতরে কোনো অপকর্ম করে কি না জানা নেই। এসব যখনই প্রমাণিত হয়-প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে বলেছেন। অন্যায়কারী, অপরাধী দলের লোক হলেও তিনি ছাড় দেন না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও উপকমিটির চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও উপকমিটির কো-চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্যসচিব মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।


জনপ্রিয়তা   আনার   মনোনয়ন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইরানি দূতাবাসে গিয়ে মির্জা ফখরুলের শোক প্রকাশ

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গুলশানে ইরানের দূতাবাসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ইরানের জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসিসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি বিএনপি  দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ইরানের রাষ্ট্রদূতের অফিসে গিয়ে শোক প্রকাশ করেছি।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বে যখন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের প্রয়োজন, তখন রাইসির মৃত্যু বিশ্বে শান্তির জন্য, সৌহার্দের জন্য দুঃখের বার্তা। রাইসির মৃত্যুতে আল্লাহ যেন ইরানের জনগণ, সরকার, ইরানের রাষ্ট্রপতির পরিবারকে শোক সইবার শক্তি দেন।


ইরান   দূতাবাস   মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সাবেক সাংসদসহ ভোটে ধরাশায়ী মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীরা

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও ধরাশায়ী হয়েছেন একাধিক বর্তমান সাবেক মন্ত্রীর প্রার্থী। এর মধ্যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় হয়েছেন। অন্যদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের মেয়ের প্রার্থী মো. আবুল কাশেম রাজও হয়েছেন তৃতীয়।

জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে নির্বাচন করে তৃতীয় হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সারোয়ার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। ছাড়া তিনি ওই উপজেলা পরিষদে টানা তিন মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সদর দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন পেয়েছেন আনারস প্রতীকে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সারোয়ার। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট। স্থানীয়রা জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের পরিবারের জনবিচ্ছিন্নতা, নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করা এবং তাদের অহংকারের কারণে সারোয়ারের ভরাডুবি হয়েছে। ছাড়া এলাকায় উন্নয়ন না করায়ও মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুকসুদপুর উপজেলায় বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খানের প্রার্থী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম রাজ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৮ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। উপজেলায় মো. কাবির খান ৫৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মুকসুদপুরে উপজেলা নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজের পক্ষে মাঠে ছিলেন ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খান। তিনি সরাসরি রাজের প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। ছাড়া শরীয়তপুর সদরে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীরের প্রার্থী মো. ইস্তেকুর রহমান সরকার, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি-সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার পরাজিত হয়েছেন।

২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার- (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন জাফর আলম। কিন্তু ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কাছে হেরে যান তিনি। সেই পরাজয়ের পর এবার তিনি এমপি থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু এখানেও জিততে পারলেন না সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম। দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি।


ভোট   ধরাশায়ী   প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নবীগঞ্জে বিএনপি নেতায় ধরাশায়ী আওয়ামী লীগ নেতারা

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের জেলা উপজেলা পর্যায়ের প্রভাবশালী পাঁচ নেতা পরাজিত হয়েছেন। তারা ধরাশায়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুর কাছে।

অতীতে আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি আর কখনো দেখা যায় নি। নিয়ে উপজেলাব্যাপী চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ। এমন ভরাডুবির পেছনে কারণ হিসাবে কেউ মনে করছেন দলীয় কোন্দল, আবার কেউ বলছেন আঞ্চলিকতা এবং দলীয় ভোট ভাগাভাগির কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।

আর আওয়ামী লীগ শিবিরের বাইরে বিএনপির বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফুই ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। তাই তার ভোটে ভাগের প্রভাব পড়েনি। ফলে অনেকটা সহজেই জয় পেয়ে যান তিনি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মনে করেন যদি তাদের দলের একক প্রার্থী হতেন তাহলে বিএনপি প্রার্থী তাদের সঙ্গে পাত্তাই পেতেন না।

ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, নবীগঞ্জে দলের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণেই মূলত আমাদের বিজয় হয়নি। কারণ আমাদের ভোট কয়েক ভাগে ভাগ হয়েছে। তবে একক বা দুজন প্রার্থীও যদি নির্বাচনে অংশ নিতেন তাহলে আমাদের বিজয় শতভাগ নিশ্চিত ছিল।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী বিএনপির মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু চিংড়ি মাছ প্রতীকে ২৫ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৫১ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৬৩ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪২ ভোট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭ ভোট জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৭৬ ভোট।


নবীগঞ্জ   বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অভিযোগের ডালি সাজিয়ে কাল গণভবনে যাচ্ছে ১৪ দল

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘদিন পর ১৪ দলের সঙ্গে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বসছেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় গড়া ১৪ দলের অবস্থা এখন বেশ নড়বড়ে। ১৪ আছে কি না এই নিয়েই যখন ১৪ দলের নেতারা হতাশা এবং সংশয় প্রকাশ করছিলেন, ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলের বৈঠক আহ্বান করেছেন। নানা কারণে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

গত নির্বাচনের সময় থেকেই ১৪ দল আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে ১৪ দলকে ন্যূনতম আসন দেওয়া, ১৪ দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া, নারী সংসদ সদস্য পদে ১৪ দলের কাউকে মনোনয়ন না দেওয়া, মন্ত্রিসভায় ১৪ দলের শরিকদের কাউকে স্থান না দেওয়ার প্রেক্ষিতে ১৪ দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুস্পষ্ট একটি দূরত্ব তৈরি হয়। আর ১৪ দলের অনেক নেতারাই প্রকাশ্যে এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। ১৪ দল আছে কি নেই এ নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম গুঞ্জন এবং প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। সব কিছু ছাপিয়ে এখন ১৪ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আগামীকালের এই বৈঠক নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন যে, কৌশলগত কারণেই ১৪ দল আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ দলের সঙ্গে যে সমস্ত শরিক দলগুলো আছে, সেই শরিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক থাকাও জরুরি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান রাখার জন্য ১৪ দল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নানা কারণে আওয়ামী লীগ ১৪ দলকে নির্বাচনের সময় থেকে উপেক্ষা করেছে। আর এই কারণেই এখন ১৪ দলের মধ্যে মান অভিমান জমে আছে। 

আগামীকালের বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা অভিযোগের ডালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে যাবেন বলে ১৪ দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে। আগামীকালের বৈঠকে যে বিষয়গুলো নিয়ে ১৪ দলের নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে তুলে ধরবেন তার মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের হেভিওয়েট নেতা হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ফজলে হোসেন বাদশা পরাজিত হয়েছেন এবং এই সমস্ত জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গটি ১৪ দলের নেতারা উত্থাপন করবেন। 

তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য করার জন্য এর কোন বিকল্প ছিল না। ১৪ দলের নেতারা জনগণের ভোট পাননি। এখানে জোটগতভাবে কারও কিছু করার নেই। কাউকে প্রভাব খাটিয়ে জিতিয়ে আনার পরিণাম কখনও শুভ হত না। কাজেই এই প্রসঙ্গটি কালকের বৈঠকে এলে ১৪ দলের শরিকদের জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক শক্তি ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। 
দ্বিতীয়ত, নারী সংসদ সদস্য মনোনয়নে ১৪ দল উপেক্ষিত হওয়ার প্রসঙ্গটি ১৪ দলের নেতারা আনবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, শিরীন আখতারকে গত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এবং সেই সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, শিরীন আখতারকে পরবর্তীতে নারী সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিরীন আখতারকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গ নিয়ে এই নিয়ে ১৪ দলের জাসদের মধ্যে একধরনের হতাশা রয়েছে। 

তৃতীয়ত, মন্ত্রিসভায় ১৪ দলের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়েও কথা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে ১৪ দল আদর্শিক দল। এখানে দেনা পাওনার হিসেব করা ঠিক হবে না। বরং আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজনৈতিক পরিস্থিতি, এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি, বিরোধী দলের নতুন করে আন্দোলনের চেষ্টা ইত্যাদি প্রসঙ্গ আলোচনা করবেন। ১৪ দলকে সক্রিয় এবং সচল করার কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। মান অভিমান ভুলে গিয়ে বিভেদ হতাশা কাটিয়ে ১৪ দল যেন আবার সক্রিয় হয়ে উঠে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আশা জাগানিয়া এবং নীতি নির্ধারণী বক্তব্য রাখবেন বলেই আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। আগামীকাল সন্ধ্যায়  ১৪ দলের এই বৈঠকের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনৈতিক দলগুলো আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।


গণভবন   ১৪ দল   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন