ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘স্প্যানিশ যোদ্ধা’ ইনিয়েস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ২১ মে, ২০১৮


Thumbnail

বার্সেলোনার ড্রিম টিম কিংবা স্পেনের বিশ্বকাপ জয়, যেটাই বলা হোক না কেন একটা নাম সব সময় উচ্চারিত হবেই। তিনি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করে কীভাবে ফুটবল মাঠে সেটা আরও সুচারুরূপে উপস্থাপন করা যায় তা ইনিয়েস্তার মত ভালো মনে হয়না আর কেউ করতে পারবে।

বার্সা থেকেই শুরু
১২ বছর বয়সে ব্যালোম্পাইয়ে খেলার সময় বার্সেলোনার স্কাউটদের নজরে পড়েন। যদিও আরও অনেক দল আগ্রহী ছিল তার প্রতি কিন্তু বাবা-মায়ের কথা মত তিনি বার্সেলোনার যুবদল ‘লা মাসিয়া’ তে যোগ দেন। সেখানেই বেড়ে ওঠেন নিবিড় পরিচর্যায়।  

তিনি বার্সেলোনার যুব দলে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত ছিলেন। এরপর বয়সভিত্তিক দলে খেলে ২০০৪-০৫ মৌসুমে বার্সার হয়ে অভিষেক হয় তার। সেই মৌসুমে ৩৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যার মধ্যে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন বদলি হিসেবে। এ মৌসুমে গোল করেছিলেন মাত্র ২টি। বার্সেলোনা জিতে নেয় লা লিগা শিরোপা। ২০০৫-০৬ মৌসুমে আরেক বার্সা গ্রেট জাভির ইনজুরির কারণে তিনি দলে আরও ভালভাবে নিয়মিত হন।

২০০৬-০৭ মৌসুমেও তাঁর উন্নতি অব্যাহত থাকে। এ মৌসুমে মিডফিল্ডের বিভিন্ন পজিশনে খেলার পরেও ইনিয়েস্তা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ গোল করেন। এ মৌসুমেও লিগ জিতে বার্সেলোনা। এরপরেই তাকে ৮ নম্বর জার্সি প্রদান করা হয়। ২০০৮ সালে নতুন করে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বার্সায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

২০০৮-০৯ মৌসুমে ৬ মাস ইনজুরির কারণে খেলার বাহিরে ছিলেন। তিনি চাচ্ছিলেন যত তাড়াতাড়ি মাঠে ফেরা যায়। ২০০৯ সালে ৩ জানুয়ারি বদলি হিসেবে ৬৫ মিনিটের মাথায় মাঠে নেমেই ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় করে বসেন এক দারুণ গোল। ৫ ফেব্রুয়ারি কোপা দেল রে’তে মায়োর্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ২৫০তম ম্যাচ খেলেন ইনিয়েস্তা। সেই সঙ্গে ২০০৮-০৯ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। তিনি তারই ক্লাব সতীর্থ মেসি এবং জাভিকে পেছনে ফেলে জিতে নেন এই পুরুস্কার। সেই মৌসুমেও লিগ জিততে ভুল হয়নি বার্সেলোনার।

২০০৯-১০ মৌসুমে এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ব্যালন ডি অরের জন্য মনোনয়ন পান। উয়েফা মনোনীত বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় তিনি সেরা ৫ নম্বরে ছিলেন। এ মৌসুমে বেশ কয়েকবার ইনজুরিতেও পড়েছিলেন কিন্তু তবুও তিন ই বারবার ফিরে এসেছেন স্বরূপে। তার দলও জিতেছিল ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। সঙ্গে লা লিগার শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।

২০১০-১১ মৌসুমে আবারও লিগ শিরোপা অর্জন করে বার্সা। যার মূল কাণ্ডারি ছিলেন ইনিয়েস্তা। পেপ গার্দিওলার ড্রিম টিমের অন্যতম এ সদস্য ২০১০-১১ মৌসুমে জীবনের সেরা ফর্মে ছিলেন। সে বছর ছিলেন ব্যালন ডি অরের সেরা তিনে। তাঁর মনোনয়নের মূল কারণ ছিল এ মৌসুমে বার্সার ট্রেবলসহ হেক্সা জয়।

২০১১-১২ মৌসুমে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ইনিয়েস্তা। বার্সা শুধুমার কোপা দেল রেই জিতেছিল এ মৌসুমে। এর পরে ২০১২-১৩ মৌসুমেও লা লিগা এবং উয়েফা সুপার কাপ জেতে বার্সা। বার্সা থেকে গার্দিওলার বিদায়ের পরও দলে তিনি নিজের মত খেলেছেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনা আবারও ট্রেবল জিতে নেয়। ইনিয়েস্তা ছিলেন এ দলের মূল চালিকাশক্তি।

স্পেন দলে ইনিয়েস্তা
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে উয়েফা অনূর্ধ্ব-১৬ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে জেতে স্পেন আর সেটাও ২০০১ সালে। সেই দলের সদস্য ছিলেন ইনিয়েস্তা। ২০০৩ সালে ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাজিলের কাছে হেরে শিরোপা হাত ছাড়া হয় স্পেনের। ২০০৬ সালের ১৫ মে জাতীয় দলে ডাক পান ইনিয়েস্তা। রাশিয়ার বিপক্ষে সেই বছর ২৭ মে অভিষেক হয়ে এই জাদুকরের।

২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম গোল করেন তিনি। ২০০৮ সালে ইউরোর বাছাইপর্বের বাধা পেরুতে তাঁর বেশ ভালো ভূমিকা ছিল। ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে চিলির বিপক্ষে এক গোল করেন তিনি। ২-১ গোলে চিলিকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠে স্পেন। সেই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরুস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম ওঠে। নেদারল্যান্ডের সঙ্গে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১১৬ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোল করে স্পেনকে এনে দেন অধরা বিশ্বকাপ। যা ছিল স্পেনের ১ম বিশ্বকাপ শিরোপা।

বার্সায় শেষ
ইনিয়েস্তা একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে ভারসাম্য, বল নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুততার কারণে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেও তিনি উন্নতি করতে থাকেন। ১৮ বছর বয়সেই বার্সার সিনিয়র দলে তাঁর অভিষেক হয়। ইনিয়েস্তা তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুমে জয় করেছেন ২ টি শিরোপা। এদিকে, ২০১৩ সালে করা পাঁচ বছরের চুক্তি শেষে গতকালই চলে বার্সাকে বিদায় বলেন ইনিয়েস্তা।  যদিও গেল অক্টোবরে ইনিয়েস্তার সঙ্গে আজীবন চুক্তি করেছিল বার্সেলোনা। তিনি যতদিন চাইবেন বার্সায় থাকতে পারবেন এবং চাইলে অন্য ক্লাবে যেতেও পারবেন। এমনকি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চাইলে যেকোনো সময় বার্সার হয়ে খেলতে পারবেন। যদিও এই চুক্তিটা অনেকটাই সম্মানসূচক।

পরিশেষে…
চার মৌসুমে ১৪ ট্রফি কিংবা ২০১০ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা সব কিছু ছাপিয়ে ইনিয়েস্তা একজন বিশ্বসেরা মিডফিল্ডার। তার মত একজনকে আসলে শিরোপা ও ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে পরিমাপ করা যায়না। বার্সেলোনার হয়ে ফুটবল ইতিহাসে যতভাবে ইতিহাস তৈরি করা যায় তা ইনিয়েস্তা করেছেন। ইনিয়েস্তা একজনই এবং তার তুলনাও তিনি নিজেই।


বাংলা ইনসাইডার/ডিআর/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাঠে গড়ানোর পূর্বেই বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন টাইগাররা।

তবে সিরিজের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সিরিজের ভেন্যু প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স মাঠের বেশিরভাগ স্থাপনাই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে শঙ্কার মুখে পড়েছে আসন্ন এই সিরিজ।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা পেনা এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঝড়ের কারণে হিউস্টন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে অস্থায়ীভাবে যেসব স্থাপনা বসানো হয়েছিল, তা–ও ধ্বংস হয়ে গেছে।’

আগামী ২১ মে থেকে ‍যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভেন্যুতে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজ শুরুর সূচি নির্ধারিত। পরবর্তীতে ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ। তার আগে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ দলের প্রথমবার অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেটিও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে, মূল সিরিজ ঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না তৈরি হয়েছে সেই অনিশ্চয়তা!

এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই দলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার, ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৪টায় হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় টাইগাররা। এরপরই টেক্সাস শহরটিতে শুরু হয় বজ্রসহ লাগাতার বৃষ্টি। যার কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে হিউস্টনে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ মাইল। শুক্রবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল অন্তত ৯ লাখ বাসাবাড়ি। গোটা দিন অন্ধকারে ছিল ৬ লাখ আবাসন। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় বন্যার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ চারের শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় শেষ মুহুর্তে এসে পৌঁছেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে তিন দলের প্লে-অফ। বাকি শুধুমাত্র একটি। আর এই শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে ওঠার লড়াইটা যেন বর্তমানে পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে আজ শনিবার (১৮ মে) রাতে ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবং শিরোপা খরায় থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

যে জিতবে শেষ চারে তারাই যাবে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে আজ মাঠে নামছে চেন্নাই-ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়।

চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরু জয় পেলে গ্রুপ পর্ব শেষে চার দলের পয়েন্ট হবে সমান। লখনৌ সুপার জায়ান্টস, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুর পয়েন্ট হবে সমান ১৪ করে। তার মধ্যে লখনৌ ও দিল্লির নেট রান রেট চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুর থেকে কম। তাই এরই মধ্যে দিল্লি-লখনৌ আসর থেকে ছিটকে গেছে।

বাকি দুই দলের মধ্যে চেন্নাই কিছুটা এগিয়ে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই তাদের নামের পাশে আছে ১৪ পয়েন্ট। তাই ব্যাঙ্গালুরুকে হারাতে পারলে কোনো হিসেব ছাড়াই প্লে অফের টিকিট পাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল।

এছাড়া কোনো কারণে যদি খেলা মাঠে না গড়ায় বা পরিত্যাক্ত হয় তাহলেও প্লে অফ নিশ্চিত করবে চেন্নাই। এমনকি আজকের ম্যাচে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে হারলেও সুযোগ থাকবে চেন্নাইয়ের।

এদিন ব্যাঙ্গালুরু যদি আগে ব্যাটিং করে ২০০ রান করে তাহলে চেন্নাইকে অন্তত ১৮৩ রান করতে হবে। এমন হলে ১৮ রানের চেয়ে কম ব্যবধানে হারলেও প্লে অফে যাবে গায়কোয়াড়ের দল। আর চেন্নাই আগে ব্যাটিং করে যদি ২০০ রান করে। তাহলে ১৮ ওভার ১ বলের মধ্যে সেই রান তাড়া করে জিততে হবে ব্যাঙ্গালুরুকে। এর বেশি বল খেললে কোহলিরা ম্যাচ জিতলেও নেট রান রেটের ব্যবধানে প্লে অফে যাবে চেন্নাই।

তবে অঘোষিত ফাইনালে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রকৃতি। ম্যাচের সময় বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা আছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের খবর বলছে—বিকালের পর থেকে ব্যাঙ্গালুরু ও তার আশে-পাশের এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ।

বৃষ্টিতে যদি ভেসে যায় এই ম্যাচ তাহলে আসর থেকে ছিটকে যাবে ব্যাঙ্গালুরু। অন্যদিকে প্লে অফ নিশ্চিত হবে চেন্নাইয়ের। কোহলিদের জন্য আবহাওয়া অফিসের খবর শঙ্কার বড় কারণ। তবে তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর হচ্ছে এই মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় এখানে। তাই বৃষ্টি থামলে খুব বেশি সময় লাগবে না মাঠ প্রস্তুত করতে।


চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মেসির বার্সাচুক্তির সেই ন্যাপকিন পেপারের মূল্য ১১ কোটি

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যে ন্যাপকিন পেপারের মাধ্যমে বার্সার সাথে চুক্তি করেছিলেন আজকের ফুটবল বিশ্বের মহাতারকা লিও মেসি, সেই ন্যাপকিন পেপার অবশেষে নিলামে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (১৭ মে) ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামস-এর নিলামে পেপারটির বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

জানা গেছে, বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল- এই লেখাটি ছিল সেই ন্যাপকিন পেপারে।

শুক্রবারের সেই নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার। তবে ধারণা চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই নেপকিন পেপারটি। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তিপত্র হিসেবে এই ন্যাপকিন পেপারকে বিবেচনা করা হয়। ১৩ বছর বয়সী মেসি এই ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।


লিও মেসি   বার্সালোনা   চুক্তি   ন্যাপকিন পেপার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শান্ত-লিটনকে নিয়ে হাথুরুর ভাবনা কি?

প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ১৯তম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের পূর্বে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হিউস্টনে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আর এজন্যই গতকাল শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেওয়ার আগে বিসিবির বিশেষ আয়োজন ‘দ্য রেড অ্যান্ড গ্রিন স্টোরির’ দ্বিতীয় অংশে বিশ্বকাপ দলে থাকা বাংলাদেশ দলের ১৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন টাইগারদের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

অধিনায়ক নাজমুলকে নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের নেতা। খুব ভালো নেতা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে জানে। ড্রেসিংরুমে সে ছেলেদের সঙ্গে মেশে, মাঠে সে খুবই প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ।আমার মনে হয় প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে তার হাতে এবার বড় দায়িত্ব। আমি নিশ্চিত সে এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত।’

সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং থেকে আমি বড় কিছু প্রত্যাশা করি। সে খুবই প্রতিভাবান অ্যাথলেট। অন্যতম সেরা ফিল্ডারও। যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে, স্লিপে, আউটফিল্ডে যেকোনো জায়গায়। খুবই শান্ত থাকে, খেলাটা খুব ভালো বুঝে। দলকে ট্যাকটিক্যালিও সহযোগিতা করে।’

স্কোয়াডে থাকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয় ও তানজিদ হাসান তামিমদের নিয়েও বেশ আশাবাদী হাথুরুসিংহে।


নাজমুল হোসেন শান্ত   বাংলাদেশ ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   হাথুরুসিংহে   লিটন দাস বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্লাব ও আন্তর্জাতিকের ব্যস্ত সূচিতে ফিট থাকাটাই চ্যালেঞ্জ মেসির

প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কোন অর্জন নেই যা তার ঝুলিতে নেই। ইতোমধ্যেই দীর্ঘদিনের অধরা সোনালী ট্রফিটাও জিতেছেন তিনি। আর এতে করে সর্বকালের সেরা হওয়ার অ্যাখ্যাও পেয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবল জাদুকর।

আসছে ২৪ জুন, ৩৭ বছরে পা দেবেন তিনি। আর লিও’র এবারের জন্মদিনের সময় সময় চলবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। আর এবারের কোপার আসরে আলবিসেলেস্তেরা চাইবে গতবারের মতো শিরোপা নিজেদের ঘরেই রাখতে। সেজন্য ইতোমধ্যেই কোচ লিওনেল স্কালোনি ছক কষছেন, করছেন পরিকল্পনা। আর শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কোচ লিওনেল স্কালোনির পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছেন লিও মেসি।

তবে চলতি মৌসুমে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বেশ ভোগাচ্ছে লিও মেসিকে। যার জন্য বেশ কয়েকবার পড়েছিলেন ইনজুরিতে। যে কারণে খেলতে পারেননি মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির সর্বশেষ ম্যাচেও। আর মেসি না খেলায় সে ম্যাচে পয়েন্ট হারায় ফ্লোরিডার দলটি।

কিন্তু শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে) দলের অনুশীলনে যোগ দেন মেসি। পরে ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনো জানান শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর সাড়ে ৫টা) ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলবেন দলের অধিনায়ক। ফলে এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টাইন শিবিরে।

গত শনিবার (১১ মে) মন্ট্রিয়েলের ফুটবলার জর্জ ক্যাম্পবেলের বাজে ট্রাকেলের শিকার হন মেসি। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার পর পুরো ম্যাচ খেললেও অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যায় তাকে। তাই সতর্কতার কারণে গত বুধবার (১৫ মে) অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে খেলা হয়নি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। ফলে ম্যাচটি গোলহীন ড্রতে শেষ করে মায়ামি। চলতি মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচে খেলতে পারেনি মেসি। ১০ গোল করে আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে।

মেসির সামনে ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ত সূচি রয়েছে। শনিবার ডিসি ইউনাইটেডের মুখোমুখি হওয়ার কোপার আগে ইন্টার মায়ামির আরও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। ২৫ মে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস, ২৯ মে আটলান্টা ইউনাইটেড আর ১ জুন সেন্ট লুইস সিটি বিপক্ষে লড়বে ইন্টার মায়ামি।

১৪ ম্যাচে ২৮ ম্যাচ নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। এই শীর্ষস্থান ধরে রাখতে আর্জেন্টাইন তারকার সুস্থ থাকাটা বড্ড প্রয়োজন। ক্লাবের পর জাতীয় দলের জার্সিতেও ব্যস্ত সূচির রয়েছে মেসির।

২০ জুন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকা। লাতিন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরের আগে ৯ জুন শিকাগোয় ইকুয়েডর এবং ১৪ জুন মেরিল্যান্ডের ল্যান্ডওভারে গুয়াতেমালার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। এই দুই ম্যাচে খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন মেসি।

শতবর্ষী কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। গত আসরে ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ট্রফি নিয়ে শিরোপা উৎসব করে আলবিসেলেস্তারা। এরপর কাতারে যেতে বিশ্বকাপ ট্রফি। ফলে কোপা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হয়ে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে খেলবে আর্জেন্টিনা।

গ্রুপ পর্বে ২০ জুন আটলান্টায় কানাডান বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কোপার শিরোপা ধরে রাখার মিশন শুরু করবে আর্জেন্টিনা (বাংলাদেশ সময় ২১ জুন ৬টা)। এরপর ২৫ জুন নিউ জার্সিতে কোপার সাবেক চ্যাম্পিয়ন চিলির মুখোমুখি হবে মেসিরা (বাংলাদেশ সময় ২৬ জুন সকাল ৭টা)। আর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন পেরুর বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ সময় ৩০ জুন ভোর ৬টা)।

এমন ব্যস্ত সূচিতে ৩৬ বছর বয়সী মেসির ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আর চলতি মৌসুমে এমনিতেই তার চোটের পড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কোপার শিরোপা ধরে রাখতে ব্যস্ত সূচিতে নিজের ফিট রাখার বড় চ্যালেঞ্জ আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সামনে।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি   কোপা আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন