ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইদি আমিন: মৎস্যকূলেরও প্রভু ছিলেন যিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

একটি দেশের নেতৃত্বে যিনি থাকেন, তিনি দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হবেন এমনটাই ভেবে থাকেন সবাই। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলের নেতৃত্বে এমন অনেকেই এসেছেন যারা ছিলেন উদ্ভট বা পাগলাটে স্বভাবের। কেউ কেউ আবার তাদের নিষ্ঠুরতা ও খামখেয়ালীপনার কারণে ইতিহাসে বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত হয়ে আছেন। এরকম কিছু ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রপ্রধানের কথাই জানাবো আমরা। আজ থাকলো উগান্ডার কসাই হিসেবে খ্যাত ইদি আমিনের ইতিহাস...

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইদি আমিন দাদা। শাসক হিসেবে তিনি পাগলাটে তো বটেই, একই সঙ্গে ছিলেন বর্বরও। উগান্ডার কসাই নামে পরিচিত ইদি আমিন অশিক্ষিত ও অজ্ঞ এক বাবুর্চি থেকে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় পৌঁছেছিলেন। আট বছরের শাসনামলে কয়েক লাখ মানুষকে নির্যাতন, নির্বাসন, গুম ও হত্যা করেন এই স্বৈরাচারী একনায়ক।

ইতিহাসের অন্যতম উদ্ভট রাষ্ট্রনায়ক ইদি আমিন নিজের পরিচয় দিতেন এভাবে, ‘মহামান্য আজীবনের রাষ্ট্রপতি, ফিল্ড মার্শাল আলহাজ ড. ইদি আমিন দাদা, পৃথিবীর সকল পশু ও সমুদ্রের মৎস্যকুলের প্রভু এবং আফ্রিকার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, বিশেষ করে করে উগান্ডার বিজেতা।’

রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশদের অপমানজনক আচরণের বদলা নিতে অদ্ভুত সব কান্ড ঘটিয়েছিলেন আমিন। তিনি একবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর জন্য বিশাল মাপের জুতা সরবরাহের আদেশ দেন। বিভিন্ন সময় পালকিতে করে শ্বেতাঙ্গদের ঘাড়ে চড়তেও দেখা যেত তাকে। ইরাকের ওপর মার্কিন হামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমিন দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশকে বক্সিং রিংয়ে নামার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। 

কথিত আছে, ইদি আমিন বিশেষ এক অভিধান তৈরি করেছিলেন। ‘ভিআইপিকে সম্মান দাও’ বলতে বোঝানো হতো তাঁকে হত্যা কর। ‘চা পান করতে দাও’ বলতে বোঝাতো তাকে বেত্রাঘাত কর। ‘তাকে ঘুমাতে নিয়ে যাও’ এর অর্থ তাকে বন্দি করে রাখো। আমিন এই বিশেষ অভিধানের মাধ্যমেই তাঁর বাহিনীর সদস্যদের কমান্ড করতেন। কথিত আছে, তিনি নাকি মানুষের রক্তও পান করতেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বহুপত্নীক ছিলেন আমিন। ডজনখানেকের মতো বিয়ে করলেও ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন সময় পাঁচ জনকে দিয়েছিলেন ফার্স্টলেডির মর্যাদা। এদের মধ্যে তিন জনকে আবার বেতার ঘোষণার মাধ্যমে তালাকও দিয়েছিলেন আমিন। তাঁর অন্তত ৪৩ জন সন্তান ছিল বলে জানা যায়। এক সুন্দরীকে নেত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সেই নেত্রী।

জার্মানির কুখ্যাত শাসক হিটলারের ভক্ত ছিলেন আমিন। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘অনেকে হিটলারকে খারাপ লোক মনে করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন বীর, এজন্যই মানুষ তাঁকে স্মরণ করে।’

১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নীল নদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কোবোকো অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন ইদি আমিন। ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ওই অঞ্চলটি উগান্ডা প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। কোবোকোর ‘কাকওয়া’ নামক আদিবাসী গোষ্ঠীতে জন্ম নেওয়া আমিনের পরিবার ছিল অত্যন্ত গরীব। শৈশবেই বাবাকে হারানো আমিন বড় হয়েছিলেন তাঁর মায়ের কাছে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডিটুকুও পেরিয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। দুবেলা খাবার জোটাতে বাল্য বয়সেই কাজে নেমে পড়েন তিনি।

১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ কলোনিয়াল সেনাবাহিনী কিংস আফ্রিকান রাইফেলস (কেএআর) এ বাবুর্চি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আমিন। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যোদ্ধা হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কেএআর এর সঙ্গে বার্মা, সোমালিয়া এবং কেনিয়াতেও কাজ করেছেন আমিন। কেনিয়ার ‘মাউ মাউ’ বিদ্রোহীদের ওপর চালানো ব্রিটিশদের বর্বর নির্যাতনে তিনি অংশ নেন। নিষ্ঠুর অফিসার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আমিন খুব দ্রুতই সাধারণ বাবুর্চি থেকে ‘ইফেন্ডি’ পদ লাভ করেন। সেসময় ইফেন্ডি ছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ সৈন্যদের জন্য সর্বোচ্চ পদ।

ইদি আমিন একজন দক্ষ বক্সার ছিলেন। পরপর ৯ বছর ‘উগান্ডা লাইট হেভিওয়েট বক্সিং’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি বক্সিং দক্ষতা তাকে সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি পেতে সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হয়। সাঁতারেও পারদর্শী ছিলেন আমিন।

১৯৬২ সালে উগান্ডা স্বাধীন হবার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যাপোলো মিল্টন ওবাত ইদি আমিনকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদে মনোনীত করেন। সেসময় দুটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গবাদি পশু নিয়ে দাঙ্গার সৃষ্টি হলে, আমিন সেখানে আক্ষরিক অর্থেই নরবলি দেন। ব্রিটিশ সরকার তখন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি জানায়। কিন্তু ওবাতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকায় নিষ্ঠুরতার জন্য শাস্তির পরিবর্তে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন আমিন।

বন্ধুত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওবাতকে হটিয়ে একসময় নিজেই ক্ষমতায় বসেন আমিন। মজার ব্যাপার হলো, শুরুর দিকে ইদি আমিনকে উগান্ডার শাসনব্যবস্থায় স্বাগত জানিয়েছিল দেশটির জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ক্ষমতা দখলের পর প্রথমেই তিনি রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী ভেঙে দিয়ে নিজস্ব এক ‘কিলার’ বাহিনী গঠন করেন। সে সময় ইদি আমিনের সরাসরি নির্দেশে হত্যার শিকার হন দেশটির আর্চবিশপ, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ বহু বুদ্ধিজীবী।

ক্ষমতা দখলের পর ইদি আমিন সম্মানজনক সব সামরিক পদক সংগ্রহ করতে শুরু করেন। বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী এবং সরকারকে ঘুষ দিয়ে বেশ কিছু পদক বাগিয়ে নিতে সক্ষমও হন তিনি। ব্রিটিশ আর্মির সর্বোচ্চ সামরিক পদক ভিক্টোরিয়া ক্রস পেতে বহু চেষ্টা চালান আমিন। এজন্য বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয়ও করেন তিনি। বারবার তিনি দাবী করতে থাকেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মির হয়ে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ঐ পদকটি তার প্রাপ্য। কিন্তু ১৯৪৬ সালে, অর্থাৎ বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার বছরখানেক পর আর্মিতে যোগ দিয়ে তিনি কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, এর উত্তর কখনোই দিতে পারেননি আমিন। মজার ব্যাপার হলো, ব্রিটিশ `ভিক্টোরিয়া ক্রস` পেতে ব্যর্থ হয়ে তিনি নিজেই উগান্ডা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে `ভিক্টোরিয়াস ক্রস` নামে একটি বীরত্বসূচক পদক চালু করেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি নিজেই সেটি গ্রহণ করেন। অন্যান্য পদকের সঙ্গে সেটিও তার ইউনিফর্মে যুক্ত করতেন তিনি।

গুপ্তঘাতকের ভয়ে বারবার নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করতেন ইদি আমিন। ১৯৭২ সালে তিনি বিভিন্ন বিদেশি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক উচ্চপদই ছিল ইসরায়েলিদের দখলে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সিভিল সার্ভিস উভয় ক্ষেত্রেই এশিয়ান ও ব্রিটিশদের দাপট ছিল। আমিন সেনাবাহিনী থেকে সব ইসরায়েলিদের ছাঁটাই করেন। এশিয়ান এবং ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের তিন মাসের মধ্যে উগান্ডা ছাড়ার নির্দেশও দেন তিনি। তাদের ছেড়ে যাওয়া পদগুলো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিজের সমর্থকদের মধ্যে বণ্টন করেন আমিন।

দেশের অর্থনীতির দিকে কোন নজরই ছিল না স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের। দেশের যেকোনো খাতের চেয়ে সামরিক বাহিনী এবং নিজের সুরক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ বাহিনীর পেছনেই বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে থাকেন তিনি। ১৯৭৫ সালে উগান্ডার মুদ্রাস্ফীতি এক হাজার শতাংশে পৌঁছায়।

কথিত আছে, আমিন ফ্রিজে মানুষের কাটা মাথা ও অন্যান্য অঙ্গ মজুদ রাখতেন। মানুষের মাংস খাওয়ার নেশা ছিল তাঁর। তিনি সুন্দরী মেয়েদের অপহরণ করে তাদের জীবিত কবর দিতেন কিংবা কুমিরকে খাওয়াতেন। এসব নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে ‘ম্যাড ম্যান অব আফ্রিকা’ বলা হতো।

১৯৭৯ সালে তাঞ্জানিয়া এবং আমিন বিরোধী উগান্ডার সেনারা ইদি আমিনকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর আরেক উদ্ভট শাসক লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। সেখানে দশ বছর কাটানোর পর ১৯৮৯ সালে সৌদি আরবে চলে যান আমিন। সেখানেই ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন ‘বুচার অব উগান্ডা’ নামে কুখ্যাত এই একনায়ক।


বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিএনএনের মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণে বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বাইডেন বলেন, ‘আপনি যেমনটা বলেছিলেন ডোনাল্ড যে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে আপনি আমার সঙ্গে বিতর্কে আসতে প্রস্তুত, আমিও ঠিক তেমনই চাই। সিএনএন আমাকে আগামী ২৭ জুন বিতর্কের জন্য নিমন্ত্রণ করেছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

বাইডেনের এই পোস্টের কিছু সময় পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সিএনএন আমাকে বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমার জবাব হচ্ছে— হ্যাঁ, আমি (নিমন্ত্রণ) গ্রহণ করছি এবং আমি আসব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দেশটির নির্বাচনী সংস্কৃতির একটি অংশ। এই বিতর্ক আয়োজনের জন্য ‘দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ নামের একটি ফেডারেল কমিটিও রয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে তিনটি মুখোমুখি বিতর্কের আয়োজন করবে দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ইতোমধ্যে সেই বিতর্কগুলোর শিডিউলও ঠিক করা হয়েছে।

প্রথম বিতর্কটি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর, টেক্সাসে। দ্বিতীয়টি হবে ১ অক্টোবর, ভার্জিনিয়ায় এবং তৃতীয়টি হবে ৯ অক্টোবর, উটাহতে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক মার্কিন গণতন্ত্র ও নির্বাচনী সংস্কৃতির অংশ হলেও বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যকার বিতর্কের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক দ্বৈরথ এবং নির্বাচনের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা দুই জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সেটিই ধরতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, তারা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বিতর্কের আয়োজন করেছে এবং সেই বিতর্কেও উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন দুজনই।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। বুধবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলা নিয়ে খোঁচা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দু’বার বিতর্ক হয়েছিল এবং দু’বারই তিনি হেরেছিলেন। তারপর অনেক দিন আর বিতর্কের প্রতি তিনি আগ্রহ দেখাননি। এখন তিনি আবার আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে চাইছেন।’

‘আমি রাজি আছি ডোনাল্ড। আমার মনে যে কোনো বুধবার বিতর্কের জন্য ভালো দিন হবে; কারণ আমি শুনেছি যে ওই দিন মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকে এবং আপনি ফ্রি থাকেন।’

সেই ভিডিওবার্তার জবাবে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘কুটিল জো’র মুখোমুখী হওয়ার জন্য আমিও আগ্রহী।’


সিএনএন   বিতর্ক   জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন