ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইদি আমিন: মৎস্যকূলেরও প্রভু ছিলেন যিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৪১ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

একটি দেশের নেতৃত্বে যিনি থাকেন, তিনি দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হবেন এমনটাই ভেবে থাকেন সবাই। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসে বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলের নেতৃত্বে এমন অনেকেই এসেছেন যারা ছিলেন উদ্ভট বা পাগলাটে স্বভাবের। কেউ কেউ আবার তাদের নিষ্ঠুরতা ও খামখেয়ালীপনার কারণে ইতিহাসে বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত হয়ে আছেন। এরকম কিছু ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রপ্রধানের কথাই জানাবো আমরা। আজ থাকলো উগান্ডার কসাই হিসেবে খ্যাত ইদি আমিনের ইতিহাস...

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইদি আমিন দাদা। শাসক হিসেবে তিনি পাগলাটে তো বটেই, একই সঙ্গে ছিলেন বর্বরও। উগান্ডার কসাই নামে পরিচিত ইদি আমিন অশিক্ষিত ও অজ্ঞ এক বাবুর্চি থেকে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় পৌঁছেছিলেন। আট বছরের শাসনামলে কয়েক লাখ মানুষকে নির্যাতন, নির্বাসন, গুম ও হত্যা করেন এই স্বৈরাচারী একনায়ক।

ইতিহাসের অন্যতম উদ্ভট রাষ্ট্রনায়ক ইদি আমিন নিজের পরিচয় দিতেন এভাবে, ‘মহামান্য আজীবনের রাষ্ট্রপতি, ফিল্ড মার্শাল আলহাজ ড. ইদি আমিন দাদা, পৃথিবীর সকল পশু ও সমুদ্রের মৎস্যকুলের প্রভু এবং আফ্রিকার ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, বিশেষ করে করে উগান্ডার বিজেতা।’

রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশদের অপমানজনক আচরণের বদলা নিতে অদ্ভুত সব কান্ড ঘটিয়েছিলেন আমিন। তিনি একবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর জন্য বিশাল মাপের জুতা সরবরাহের আদেশ দেন। বিভিন্ন সময় পালকিতে করে শ্বেতাঙ্গদের ঘাড়ে চড়তেও দেখা যেত তাকে। ইরাকের ওপর মার্কিন হামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমিন দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশকে বক্সিং রিংয়ে নামার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। 

কথিত আছে, ইদি আমিন বিশেষ এক অভিধান তৈরি করেছিলেন। ‘ভিআইপিকে সম্মান দাও’ বলতে বোঝানো হতো তাঁকে হত্যা কর। ‘চা পান করতে দাও’ বলতে বোঝাতো তাকে বেত্রাঘাত কর। ‘তাকে ঘুমাতে নিয়ে যাও’ এর অর্থ তাকে বন্দি করে রাখো। আমিন এই বিশেষ অভিধানের মাধ্যমেই তাঁর বাহিনীর সদস্যদের কমান্ড করতেন। কথিত আছে, তিনি নাকি মানুষের রক্তও পান করতেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বহুপত্নীক ছিলেন আমিন। ডজনখানেকের মতো বিয়ে করলেও ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় বিভিন্ন সময় পাঁচ জনকে দিয়েছিলেন ফার্স্টলেডির মর্যাদা। এদের মধ্যে তিন জনকে আবার বেতার ঘোষণার মাধ্যমে তালাকও দিয়েছিলেন আমিন। তাঁর অন্তত ৪৩ জন সন্তান ছিল বলে জানা যায়। এক সুন্দরীকে নেত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সেই নেত্রী।

জার্মানির কুখ্যাত শাসক হিটলারের ভক্ত ছিলেন আমিন। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘অনেকে হিটলারকে খারাপ লোক মনে করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন বীর, এজন্যই মানুষ তাঁকে স্মরণ করে।’

১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নীল নদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কোবোকো অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন ইদি আমিন। ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ওই অঞ্চলটি উগান্ডা প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়। কোবোকোর ‘কাকওয়া’ নামক আদিবাসী গোষ্ঠীতে জন্ম নেওয়া আমিনের পরিবার ছিল অত্যন্ত গরীব। শৈশবেই বাবাকে হারানো আমিন বড় হয়েছিলেন তাঁর মায়ের কাছে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডিটুকুও পেরিয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। দুবেলা খাবার জোটাতে বাল্য বয়সেই কাজে নেমে পড়েন তিনি।

১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ কলোনিয়াল সেনাবাহিনী কিংস আফ্রিকান রাইফেলস (কেএআর) এ বাবুর্চি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আমিন। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যোদ্ধা হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কেএআর এর সঙ্গে বার্মা, সোমালিয়া এবং কেনিয়াতেও কাজ করেছেন আমিন। কেনিয়ার ‘মাউ মাউ’ বিদ্রোহীদের ওপর চালানো ব্রিটিশদের বর্বর নির্যাতনে তিনি অংশ নেন। নিষ্ঠুর অফিসার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আমিন খুব দ্রুতই সাধারণ বাবুর্চি থেকে ‘ইফেন্ডি’ পদ লাভ করেন। সেসময় ইফেন্ডি ছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ সৈন্যদের জন্য সর্বোচ্চ পদ।

ইদি আমিন একজন দক্ষ বক্সার ছিলেন। পরপর ৯ বছর ‘উগান্ডা লাইট হেভিওয়েট বক্সিং’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি বক্সিং দক্ষতা তাকে সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি পেতে সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হয়। সাঁতারেও পারদর্শী ছিলেন আমিন।

১৯৬২ সালে উগান্ডা স্বাধীন হবার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যাপোলো মিল্টন ওবাত ইদি আমিনকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পদে মনোনীত করেন। সেসময় দুটি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গবাদি পশু নিয়ে দাঙ্গার সৃষ্টি হলে, আমিন সেখানে আক্ষরিক অর্থেই নরবলি দেন। ব্রিটিশ সরকার তখন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি জানায়। কিন্তু ওবাতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকায় নিষ্ঠুরতার জন্য শাস্তির পরিবর্তে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন আমিন।

বন্ধুত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওবাতকে হটিয়ে একসময় নিজেই ক্ষমতায় বসেন আমিন। মজার ব্যাপার হলো, শুরুর দিকে ইদি আমিনকে উগান্ডার শাসনব্যবস্থায় স্বাগত জানিয়েছিল দেশটির জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ক্ষমতা দখলের পর প্রথমেই তিনি রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী ভেঙে দিয়ে নিজস্ব এক ‘কিলার’ বাহিনী গঠন করেন। সে সময় ইদি আমিনের সরাসরি নির্দেশে হত্যার শিকার হন দেশটির আর্চবিশপ, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ বহু বুদ্ধিজীবী।

ক্ষমতা দখলের পর ইদি আমিন সম্মানজনক সব সামরিক পদক সংগ্রহ করতে শুরু করেন। বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী এবং সরকারকে ঘুষ দিয়ে বেশ কিছু পদক বাগিয়ে নিতে সক্ষমও হন তিনি। ব্রিটিশ আর্মির সর্বোচ্চ সামরিক পদক ভিক্টোরিয়া ক্রস পেতে বহু চেষ্টা চালান আমিন। এজন্য বিভিন্ন লবিস্ট ফার্মের পেছনে প্রচুর অর্থ ব্যয়ও করেন তিনি। বারবার তিনি দাবী করতে থাকেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মির হয়ে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ঐ পদকটি তার প্রাপ্য। কিন্তু ১৯৪৬ সালে, অর্থাৎ বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার বছরখানেক পর আর্মিতে যোগ দিয়ে তিনি কিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, এর উত্তর কখনোই দিতে পারেননি আমিন। মজার ব্যাপার হলো, ব্রিটিশ `ভিক্টোরিয়া ক্রস` পেতে ব্যর্থ হয়ে তিনি নিজেই উগান্ডা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে `ভিক্টোরিয়াস ক্রস` নামে একটি বীরত্বসূচক পদক চালু করেন। প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি নিজেই সেটি গ্রহণ করেন। অন্যান্য পদকের সঙ্গে সেটিও তার ইউনিফর্মে যুক্ত করতেন তিনি।

গুপ্তঘাতকের ভয়ে বারবার নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করতেন ইদি আমিন। ১৯৭২ সালে তিনি বিভিন্ন বিদেশি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক উচ্চপদই ছিল ইসরায়েলিদের দখলে। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সিভিল সার্ভিস উভয় ক্ষেত্রেই এশিয়ান ও ব্রিটিশদের দাপট ছিল। আমিন সেনাবাহিনী থেকে সব ইসরায়েলিদের ছাঁটাই করেন। এশিয়ান এবং ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের তিন মাসের মধ্যে উগান্ডা ছাড়ার নির্দেশও দেন তিনি। তাদের ছেড়ে যাওয়া পদগুলো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য নিজের সমর্থকদের মধ্যে বণ্টন করেন আমিন।

দেশের অর্থনীতির দিকে কোন নজরই ছিল না স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের। দেশের যেকোনো খাতের চেয়ে সামরিক বাহিনী এবং নিজের সুরক্ষার জন্য গঠিত বিশেষ বাহিনীর পেছনেই বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে থাকেন তিনি। ১৯৭৫ সালে উগান্ডার মুদ্রাস্ফীতি এক হাজার শতাংশে পৌঁছায়।

কথিত আছে, আমিন ফ্রিজে মানুষের কাটা মাথা ও অন্যান্য অঙ্গ মজুদ রাখতেন। মানুষের মাংস খাওয়ার নেশা ছিল তাঁর। তিনি সুন্দরী মেয়েদের অপহরণ করে তাদের জীবিত কবর দিতেন কিংবা কুমিরকে খাওয়াতেন। এসব নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে ‘ম্যাড ম্যান অব আফ্রিকা’ বলা হতো।

১৯৭৯ সালে তাঞ্জানিয়া এবং আমিন বিরোধী উগান্ডার সেনারা ইদি আমিনকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর আরেক উদ্ভট শাসক লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। সেখানে দশ বছর কাটানোর পর ১৯৮৯ সালে সৌদি আরবে চলে যান আমিন। সেখানেই ২০০৩ সালের ১৬ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন ‘বুচার অব উগান্ডা’ নামে কুখ্যাত এই একনায়ক।


বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেকর্ড তাপমাত্রায় মিয়ানমার

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।' 

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে,  ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 


রেকর্ড   তাপমাত্রা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র‍্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র‍্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি। 

উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।  

নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।


দুর্ঘটনা   অমিত শাহ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজস্থানে মসজিদের ভেতরে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৬:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ রাজস্থানের আজমিরে মসজিদের এক ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মুখোশ পরা অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত।  

শনিবার (২৯ এপ্রিল) আজমিরের একটি মসজিদের ভেতরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আজমিরের রামগঞ্জের কাঞ্চননগরে অবস্থিত মসজিদের ভেতরে ছয় শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মোহাম্মদ মাহির নামের ওই ইমাম। এ সময় আক্রান্ত হন তিনি। 

এনডিটিভি বলেছে, মুখোশ পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মোহাম্মদ মাহিরের ওপর আক্রমণ চালায়। ওই সময় তাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে তারা। 

৩০ বছর বয়সী ইমাম মোহাম্মদ মাহির উত্তরপ্রদেশের রামপুরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মারধরের সময় ইমামের সন্তানরা চিৎকার করলে তাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে তার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। শিশুরা যাতে সাহায্যের জন্য কাউকে ফোন না করতে পারে সেজন্য মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার পর ইমামের শিশুরা মসজিদের বাইরে আসে এবং প্রতিবেশীদের ঘটনার বিষয়ে জানায়। পুলিশ বলেছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবীন্দ্র খিনচি বলেছেন, মসজিদের ভেতরে ওই ইমামকে পিটিয়ে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করছে। ইমামকে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার (হত্যা) আওতায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


রাজস্থান   মসজিদ   হত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন