নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে যখন সেপারেশন অফ জুডিশিয়ারি হয় এবং ২০০৭ সালে গেজেট হয় যে জুডিশিয়ারি হচ্ছে সেপারেট এখানে এক্সিকিউটিভদের কোন হাত থাকবে না। এর পর থেকে আদালতের যে কোনো বিষয়ের দায়িত্ব হলো প্রধান বিচারপতির। এমনকি আদালতের কোনো বিচারককে কোথায় নিয়োগ বা পোস্টিং হবে এগুলোও প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন ছাড়া হবে না। আদালত যদি বাইরে কোথাও বসাতে হয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রধান বিচাপতির কনসালটেশন লাগবে।
বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কারাগারে আদালত স্থাপন। সেইসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা করা প্রয়োজন এবং তাঁরা বেগম জিয়ার চিকিৎসা ঢাকার একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে করানোর দাবি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অথবা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বিষয় দুটির আইনগত দিক কি তা জানতে বাংলা ইনসাইডার মুখোমুখি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের। তিনিই উল্লিখিত কথা বলেন। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সঙ্গে বাংলা ইনসাইডারের কথোপকথনের চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হলো:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার বিচারকার্যের জন্য পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারে আদালত স্থাপন কতটা আইনসম্মত হয়েছে?
যেকোনোও বিচারের ক্ষেত্রে আদালত, মামলা, আসামি এবং বাদীপক্ষ এইসব বিষয় নিয়ে হয় বিচার। আদালত স্থাপনের বিষয়ে, কোথায় আদালত স্থাপন হবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। সেই নির্ধারিত থাকার ক্ষমতাটা ‘সেকশন ৯(২) অব সিআর.পি.সি.’তে দেওয়া আছে সরকারকে। যেমন আমাদের ঢাকা জেলা জজকোর্ট এটাও একসময় একটা গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়েছে যে, এটা হলো জেলা জজ আদালত। এখানে অনেকগুলো বিল্ডিং আছে। ঐ বিল্ডিংয়ের মধ্যেই ইন্টারনালি কে কোথায় বসবে এগুলো ডিসট্রিক্ট জজ এবং মেট্রো সেশন জজ ঠিক করে দেন। এইটাই হলো নিয়ম। সিআর.পি.সি. সেকশন অব ৯(২) তে যেটা বলা আছে, এক সময় ঐ আদালত যদি ঐ-স্থানের পরিবর্তে মোহাম্মদপুরে স্থাপন করা হতো, সেখানে তখন ক্ষমতাটা সরকারের হাতেই ছিল। আইন-মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গেজেট করে করা হতো।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যে বলছে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করতে হবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ না করে কারাগারে আদালত স্থাপন আইন সম্মত নয় এই বিষয়ে আইন কি বলে?
পূর্বের আইনের সঙ্গে নতুন করে আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে তা হলো মাসদার হোসেন মামলা। মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে যখন সেপারেশন অফ জুডিশিয়ারি হয় এবং ২০০৭ সালে গেজেট হয় যে জুডিশিয়ারি হচ্ছে সেপারেট এখানে এক্সিকিউটিভদের কোনো হাত থাকবে না। এর পর থেকে আদালতের যেকোনো বিষয়ের দায়িত্ব হলো প্রধান বিচারপতির। এমনকি আদালতের কোনো বিচারককে কোথায় নিয়োগ বা পোস্টিং হবে এগুলোও প্রধান বিচারপতির কনসালটেশন ছাড়া হবে না। আদালত যদি বাইরে কোথাও বসাতে হয়, সেই ক্ষেত্রেও প্রধান বিচাপতির কনসালটেশন লাগবে। এর আগে পিরোজপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, আমি আদালতে রিট পিটিশন করেছিলাম, আদালতের মাধ্যমে সেটা স্থগিত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে সরকার এই গেজেট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জেও আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও আদালত বরিশাল থেকে মেহেন্দিগঞ্জে স্থাপন করার ব্যবস্থা হয়েছিল, সেখানেও আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি এবং কোর্ট বলে দিয়েছে না এটার কোন সুযোগ নাই, যেহেতু এটা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কনসালটেশন করে হয় নাই। আরও একটি মামলা আমি করেছি নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জের একটা কোর্ট আড়াই হাজারে বসানোর জন্য গেজেট করা হয়েছিল। এটাও স্থগিত আছে। এমন যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সবগুলোর বিষয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এবং সবগুলোর কার্যক্রমই স্থগিত আছে। মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরে, সেকশন ৯(২) এর যে এপ্লিকেশন, এই এপ্লিকেশনটা করতে হবে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে একত্র করে। অর্থাৎ এই দুটো বিষয় একত্রে বিশ্লেষণ করলে এটি ধারায় যে, আদালত যদি বাইরে কোথাও স্থাপন করতে হয় সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের কনসালটেশন প্রয়োজন হবে। কনসালটেশন ছাড়া যদি বাহিরে কোথাও আদালত স্থাপন করা হয়, তাহলে আইনগতভাবে এর কোনো ভিত্তি থাকে না।
বিএনপির পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে। একজন আসামির পছন্দের বিশেষ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে আইনে বিধান কি?
জেল-কোডের বিধান অনুযায়ী দুটো বিষয় আছে এখানে, একটা হলো, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরেকটি হলো হাজতি। হাজতি হচ্ছে রেগুলার মামলায় যারা আছেন এখনো কোন সাজা হয় নাই। এই লোকগুলো যদি অসুস্থ হয়, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলখানার ভিতরেই আছে। জেল-কোডে বলা আছে, জেলখানার ভিতরে যে ডাক্তার আছেন, তাঁরা যদি বলেন কোনো রোগের বিশেষ চিকিৎসা দরকার এবং জেলখানার ভিতরে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই, তাহলে জেলখানার ভিতরের ডাক্তারের সুপারিশক্রমে বাইরে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়। যেখানে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য সেইখানে প্রিজন সেল থাকতে হবে। প্রিজন সেলে তাদেরকে পাঠালে এখানে তাদের চিকিৎসা হয় এবং আবার তাঁরা চিকিৎসা শেষে তাঁরা কারাগারে ফিরে আসে। প্রিজন সেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে। এর বাইরেও এখন কিছু প্রাকটিস শুরু হয়েছে, যেমন আমরা দেখছি, ডায়াবেটিস হাসপাতালেও এখন চিকিৎসা হয়। তারপর স্কয়ার হাসপাতালেও চিকিৎসা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার জেল কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করতে হবে। যদি জেল কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করে যে কোন আসামির কোন রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই, বিদেশে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। তখন আসামি বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে, আদালত তাঁকে চিকিৎসার জন্য জামিনও প্রদান করেন।
খালেদার জিয়ার বিষয়ে যে বিষয়টি হচ্ছে তা হলো: তাঁরা একটা বিশেষ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা বলছে। অন্য কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে রাজি হচ্ছেন না। সে যেহেতু একটা রাজনৈতিক দলের প্রধান, এর মধ্যে তাই কিছুটা রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নিতেও কিছুটা দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসা নেওয়াটা একটা মানুষের অধিকার। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রচলিত যে বিধি-বিধান আছে তার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। তারপরেও কেউ যদি অন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে চায়, এবং সরকার যদি সেই অনুমতি দেয় তাতে সরকারের কোনো ক্ষতি নাই। কারণ এর আগে সরকার এ বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে। তবে যেখানেই অনুমতি দেওয়া চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হোক না কেন, সেই স্থানকে প্রিজন সেল ঘোষণা করতে হবে। প্রিজন সেল ঘোষণা ছাড়া এটা করা যাবে না। জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রস্তাব আসলে সরকার এটা করতে বাধ্য।
বেগম খালেদার জিয়া যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান, তাঁর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও সমর্থক আছে, তাই খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় তাঁরা শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় রেখেই কথা বলছেন না, তাঁরা আবেগ থেকেও অনেক কথা বলছেন। চিকিৎসার বিষয়ে তাঁরা হয়ত আস্থা পাচ্ছে না। এটাও যে অমূলক তা নয়, এর আগেও আমরা দেখেছি মহিউদ্দিন খান আলমগিরের চিকিৎসার বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলের একটা বোর্ড করা হয়েছিল। তাঁরা সবাই ছিল ড্যাবের ডাক্তার। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁরা জানালো কোন সমস্যা নেই, কিন্তু তিনি অসুস্থ ছিলেন। কারণ আমাদের দেশের ডাক্তারোতো বিভক্ত। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব যে দলীয় ডাক্তারদের উপর পড়বে না, আমরা তা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। এখন বিষয়টা যেহেতু আদালতে চলে এসেছে, তাই আদালত যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে আমাদেরকে সেটিই অনুসরণ করতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩ পেয়েছেন ৭ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার উদ্যোক্তা জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জে
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২
শিক্ষক, ১ শিক্ষার্থী সহ
৪ জন নিহত হয়েছেন
। শনিবার (১৮ মে) রাতে
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর
ও একই উপজেলার গোপালগঞ্জ-চাপাইল সড়কের চাপাইল নামক স্থানে এ
দুর্ঘটনা ২টি ঘটে।
নিহতরা
হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার দেবাসুর গ্রামের কানাই লাল দাসের ছেলে
ও শহরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি
মহিলা কলেজের সমাজ কল্যাণ বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক পিনাকী রঞ্জন দাস (৫৭), একই
উপজেলার কড়িগ্রামের রেবতী মোহন সরকারের ছেলে
ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর
এম.এইচ.খান ডিগ্রী
কলেজের সহকারী অধ্যাপক বাবুল সরকার (৪৮), পুঁইশুর গ্রামের
আব্দুল আলী মোল্যার ছেলে
ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্যা (৪২) এবং গোপালগঞ্জ
সদর উপজেলার ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবু শেখের ছেলে
ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্র
রামিম শেখ (১০)।
পিনাকী
রঞ্জন দাস শেখ ফজিলাতুন্নেছা
সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন
ধরে গোপালগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন
পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব
পালন করে আসছিলেন।
কাশিয়ানী
উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই মোঃ আল
মাহামুদ জানান, ‘একটি মোটর সাইকেলে
করে কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ শহরের
উদ্দেশ্যে রওনা দেন শেখ
ফজিলাতুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস, এমএইচখান ডিগ্রী
কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার ও ইমাদ পরিবহনের
সুপারভাইজার জুয়েল মোল্যা তাদের মোটর সাইকেলটি শহরতলীর
হরিদাসপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে
একটি বাস ধাক্কা দেয়।
এতে মোটর সাইকেলের ৩ আরোহী মহাসড়কে
ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত
হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০
শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মোল্যা মারা যায়। আহত
অপর দু’ শিক্ষককে সংকটজনক
অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে
মারা যান।
অন্যদিকে
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইন চার্জ মোহাম্মদ
আনিচুর রহমান জানান, শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চাপাইলে
রাস্তা পারাপারের সময় মাটিটানা ট্রলির
চাপায় রামিম শেখ মারাত্মক আহত
হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় রাত ৯ টার
দিকে তিনি মারা যায়।
মন্তব্য করুন
গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর চট্টগ্রামে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। রোববার (১৯ মে) সকাল ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কয়েকদিন টানা তাপপ্রবাহের পর এমন বৃষ্টিতে নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।
এর আগে গত ৬ মে চট্টগ্রামে কালবৈশাখী ঝড় হয়। ওইদিন তীব্র বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি আর বজ্রপাত হয়। ৩ ঘণ্টায় প্রায় ৩২ মিলিমিটারের ওই বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগর ও জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে যানচলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল।
এর পর থেকে আর দেখা মিলছিল না বৃষ্টির। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। ছোট-বড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। এরই মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে নামে নগরবাসীর জন্য।
এদিকে, হঠাৎ বৃষ্টি নামায় ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে বের হওয়া নগরবাসী। ছাতা ছাড়া বের হওয়া লোকজনকে পার্শ্ববর্তী দোকান এবং স্থাপনায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ’র দেওয়ার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেস এর অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to
Protecting Nature".
শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি।
হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।
শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি।
পরিবেশ রক্ষা হাইকিং পদযাত্রা জবি শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩ পেয়েছেন ৭ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।