নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানিয়েছেন। তবে এটি শুধুই তাঁর দলের অবস্থান, জোটের অন্যদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছে ড. কামাল।
নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনকারী বিএনপির এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামো এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি সাংঘর্ষিক কী না সে প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা সরকারে থাকবে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। যেগুলো আইনে আছে সেগুলো মেনে না চললে নির্বাচন বাতিল করার জন্য কোর্টে যেতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন, তারা যখন একটা স্বাক্ষর করবেন যে, আমরা কেউ এখানে হস্তক্ষেপ করবো না, আমরা এই প্রক্রিয়াকে একটা নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া হিসেবে হতে দেবো, তখন আমরা ধরে নিতে পারি সরকারের পক্ষে বা আমাদের পক্ষে যারা ওথ (শপথ) নিয়ে কথাগুলো বলবেন, তাদেরতো ন্যূনতম একটা দায়িত্ববোধ থাকবে।’
কেউ নিরপেক্ষতা থেকে সরে গেলে নির্বাচন কমিশন সেটি চিহ্নিত করবে এবং অবৈধ বলেও ঘোষণা করবে বলেও সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন ড. কামাল।
ড. কামাল বলেন, তাদের এই জোট কোন নির্বাচনী জোট নয়। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই শুধু তারা একজোট হয়েছেন।
সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য বিএনপিকে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ খন্ডন করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আশ্বস্ত করতে পারেন যে, এ রকম কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে এই জোট। সরকারও এই জোটে আসতে পারে।’
সম্প্রতি গণফোরাম, যুক্তফ্রন্টসহ কয়েকটি দলের উদ্যোগে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠিত হয়েছে। নতুন এই রাজনৈতিক জোটে যোগ দিয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তর দল বিএনপিও। গত শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে প্রথম নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।