নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় আসবেন বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগাম শুভেচ্ছা জানান সৌদি বাদশাহ। সৌদি বাদশাহ আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ যে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করেছে, উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য শেখ হাসিনা আবারও দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন।
শুধু সৌদি আরবই নয়, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতগুলো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন, সবগুলো সফরেই বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা আগাম অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে আবার জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা আবার সরকারপ্রধান হবেন এমন আশা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
প্রশ্ন উঠতেই পারে কেন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশের নেতৃত্বে চান বিশ্বনেতারা। উত্তরটা খুব সহজ। সারাবিশ্বে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশ্বের যেসব দেশ আজ উন্নয়নের পথ খুঁজছে তাদের কাছে অনুকরণীয় বাংলাদেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কী হবে তা ঠিক করবে জনগণ। জনগণের ভোট হবে ঠিক হবে আগামী বাংলাদেশের সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি সফল দেশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। এজন্য বিশ্বনেতারা মনে করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশকে তুলনা করা যায় মাহাথির নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ার সঙ্গে। লি কুয়ানের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের সঙ্গে তুলনা চলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের। মাহাথির মোহাম্মদ ও লি কুয়ান যেমন মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের প্রতীক তেমনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা যেন সমর্থক শব্দে পরিণত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এমন একটি মার্যাদার স্থানে নিয়ে গেছেন যেখান থেকে বাংলাদেশকে কেউ এখন আর অবহেলা করতে পারবে না, তাচ্ছিল্য করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন, যিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বনেতার মর্যাদায় আসীন হয়েছেন। গত বছর রোহিঙ্গা সংকটে শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকা তাঁকে বিশ্বনেতার মর্যাদা দিয়েছে। শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে যেখানে বিশ্বের উন্নত বিশ্বের দেশগুলো পিছপা হয়। সেটিই প্রধানমন্ত্রী করেছেন অবলীলায়। লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাবিশ্বে যেখানে মাত্র ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ছড়িয়ে আছে, সেখানে এক বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পেয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বিশ্ব শান্তি ও মানবতার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি মুসলিম দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি দেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারাবিশ্বে যেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামকে একটি শান্তির ধর্ম হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী যেমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, তেমনি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন একদিকে উন্নয়নের রাজনীতি করছেন, অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছেন বাংলাদেশকে। প্রাচ্য ও পশ্চাত্যের মেলবন্ধন হিসেবে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বিশ্বব্যাপী প্রমাণ করেছেন ইসলাম ও উন্নয়ন পরস্পর বিরোধী না। ইসলাম মানেই যে ধর্মান্ধতা নয়, তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী তাঁর শান্তিবাদী দর্শনের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বার্তা দিচ্ছেন, শান্তিই হলো উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সমাধান সূত্র।
শেখ হাসিনাই সম্ভবত প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যিনি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা ও অনুকরণীয় অনন্য ব্যক্তিত্ব। শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সারাবিশ্বেই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী শান্তিবাদী রাজনীতির জন্য শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। আর এসব কারণেই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের নেতৃত্বে আবার দেখতে চান বিশ্বনেতারা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।
নানা কারণে উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারেনি বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে উদ্বিগ্ন এবং দল ও গণতন্ত্রের জন্য সামনের দিনগুলোতে আরও সংকট অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে পাঁচটি সংকটকে উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১. ভোটার উপস্থিতি কম: উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার এবার সর্বনিম্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো উপজেলা নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবার ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম। ২০০৮ এর ভূমিধস বিজয়ের পর প্রথম আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় ২০০৯ সালে। সেই উপজেলা নির্বাচনে ৬৮ ভাগের বেশি ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ৬১ ভাগ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৪০ শতাংশের বেশি।
কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এটি কখনোই স্বস্তি দেওয়ার খবর নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাধারণত ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেয়। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা উৎসাহ নেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের যে রিজার্ভ সমর্থক বলে যারা পরিচিত সেই ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতা কর্মীদেরকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যায় সে জন্য উৎসাহিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার ফলে আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির কারণ।
২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল: আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচন ছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর মাধ্যম। এ কারণেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, দলীয় প্রতীক উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে কোন্দল এবং বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছিল তার কিছুটা হলেও অবসান ঘটবে।
কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগকে আরও বিভক্ত করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত স্থানে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ছিল, সেই বিরোধে গুলো আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি অশনী সংকেত।
৩. কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতা: আওয়ামী লীগের জন্য উপজেলা নির্বাচনে একটি বড় অস্বস্তির বিষয় ছিল কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। দু একজন মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অধিকাংশই তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন এবং প্রভাব বিস্তার করে জিতিয়ে এনেছেন। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি সতর্কবার্তা। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার এই প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে সেটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।
৪. এলাকায় এলাকায় জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র কায়েম: এবার উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তারা এলাকায় এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় একটি গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র বা জমিদারতন্ত্র কায়েম হচ্ছে। এটিও আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ সংবাদ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
৫. অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে অনীহা: আওয়ামী লিগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নেতাকর্মীদেরকে বলেছিলেন যে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, নির্বাচনে যারা শক্তিশালী প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। পেশিশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, কালো টাকা ছড়িয়েছেন। আর এগুলো আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করেছে এবং জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে। এই সমস্ত অস্বস্তিগুলো উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ কীভাবে এই সংকটগুলো কাটিয়ে উঠবে, সেটাই দেখার বিষয়।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন নোয়াখালী একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। অত্যন্ত ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ। টানা তিন বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। কিন্তু তিনি এখন তাঁর এলাকায় পরবাসী হয়ে গেলেন। এলাকায় তার কর্তৃত্ব নড়বড়ে হয়ে গেল। নিজ এলাকায় তিনি এখন আগন্তুক এবং অপাংক্তেয় হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।