ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনে নেই বিএনপির যে হেভিওয়েটরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির যে আবেগ ও উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে, তা থেকে প্রমাণ হয় যে বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত একটা বড় ভুল ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি যে ভুল করেছিল, তা এখন বিএনপির নেতারা কোনো লুকোছাপা ছাড়াই স্বীকার করছেন। এবারের নির্বাচনে বিএনপির মধ্যে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আবেগ, উচ্ছ্বাস এবং উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তবে এই নির্বাচনী আবেগ এবং উচ্ছ্বাসের মধ্যেও বিএনপির কিছু নেতা তৈরি হয়েছেন যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। তবে তাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কেউ কেউ বিএনপির নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। 

বিএনপির প্রধান দুই নেতা বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান এবারের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা ইচ্ছা করে নয়, বরং তাঁরা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হওয়ার কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

নজরুল ইসলাম খান: বিএনপির প্রধান দুই নেতা ছাড়াও আরও যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি নির্বাচন করবেন না বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। অবশ্য তিনি কোনোবারই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। নির্বাচনে তাঁর সুনির্দিষ্ট কোনো আসনের কথাও জানা যায়নি। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন তাঁর আসন কোনো বিষয় না। নির্বাচনের চেয়ে তিনি নির্বাচন সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। এজন্য তাঁকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়েছে। 

রুহুল কবির রিজভীঃ রুহুল কবির রিজভী হলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।  তিনিও এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। যদিও তিনি বলেছেন, যেহেতু খালেদা জিয়া কারাগারে তাই তিনি নীতিগত কারণে নির্বাচন করছেন না। তবে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, রিজভীরও নির্বাচনে কোনো আসন নাই। তিনি নির্বাচনের চেয়ে দাপ্তরিক কাজেই বেশি পারদর্শী। তাই নির্বাচনের সময় তাকে দাপ্তরিক বিষয়ে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রিয়াজ রহমানঃ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন রিয়াজ রহমান। তিনি ছিলেন বিএনপি আমলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বিএনপির অন্যতম  কূটনৈতিক নীতি নির্ধারক ছিলেন। তিনিও এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না বলে জানা গেছে। অবশ্য তাঁর সঙ্গে বিএনপির অনেক আগেই একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ২০১৫ সালে যখন বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করেছিল, তখন তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারাই আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন রিয়াজ রহমান। এরপর পর থেকেই রাজনীতিতে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন তিনি। জানা গেছে, এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না রিয়াজ রহমান।

মাহমুদুর রহমান: বিএনপি আমলের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি অন্যতম নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় ছিলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারকে পরিণত হন, এখনো তিনি বিএনপির একজন থিংক ট্যাংক হিসেবেই পরিচিত, তিনি মাহমুদুর রহমান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না মাহমুদুর রহমান। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয়ে এখনো কোনে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

শফিক রেহমান: বিএনপির আরেক থিংক ট্যাংক, যিনি খালেদা জিয়ার বক্তৃতা লিখে দিতেন, বেগম জিয়ার নীতি নির্ধারণী বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি শফিক রেহমান। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন কারাগারেও থাকতে হয়েছে তাঁকে। কারাগার থেকে ছাড়া পেলেও বর্তমানে বিএনপির কার্যক্রমগুলোতে তাঁকে তেমন একটা চোখে পড়েনা। নির্বাচনী এই ডামাডোলেও শফিক রেহমান অনুপস্থিত। এবার তিনিও নির্বাচন করছেন না বলেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগে যাঁরা নির্বাচন করছে না, তাঁরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে ও গুরুত্বপূর্ণ কাজেই সম্পৃক্ত। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির ক্ষেত্রে হলো, যাঁরা নির্বাচন করছে না, তাঁরা মান অভিমান, বিভিন্ন রকম অন্তঃকলহের কারণে নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছেন।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। গতকাল বুধবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, রংপুর বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, ঢাকা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জন, সিলেট বিভাগের সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের একজন, কুমিল্লা বিভাগের ছয়জন ও খুলনা বিভাগের চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি, দাবি ফখরুলের

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান বদলায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (১৫ মে) যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে জোটের শরিকদের ধারাবাহিক বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু’র সফর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের অবস্থানেই আছে, জনগণের চাওয়া-পাওয়ার বিপক্ষে তারা না। তবে কূটনৈতিক স্বার্থে যেকোনো সরকারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখে থাকে।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
  
তিনি বলেন, সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই কাজ করছে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা। 

যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রথম দফায় গণফোরামের একাংশ ও পিপলস্ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে লিঁয়াজো কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দ্বিতীয় দফায় গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা আরও ছয়টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
  
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দুই দফা ডোনাল্ড লু’র সফর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের চার মাস পর ফের ঢাকায় এলেন লু। তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন ডোনাল্ড লু।  বিমানবন্দরে লু’কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলের ভেতরের কোন্দল, বিভক্তি এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দলকে ব্যবহার করা, দলের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করা এই সমস্ত বিষয়গুলোকে একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। 

তিনি বলেন, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ব্যস্ত। এবার আওয়ামী লীগ তাঁর প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর বার্ষিকী পালন করবে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের আবেগ অনুভূতি রয়েছে। ইতোমধ্যে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণভাবে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এখন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক পরপরই আওয়ামী লীগের ভেতর যারা কোন্দল সৃষ্টি করছেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় মাই ম্যান তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ লঙ্ঘন করছেন এবং দলের ভেতর নানা রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এই তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যে সমস্ত মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন উপজেলা নির্বাচনে এবং জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকায় কোন্দল জিইয়ে রেখেছেন তাদের সঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, সতর্ক করবেন এবং কোন্দল মিটিয়ে ফেলার জন্য একটি আল্টিমেটাম দেবেন। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা কোন্দল না মেটায় এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন গ্রহণ করা হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি অনেক সহ্য করেছেন। নির্বাচনের পর থেকে তিনি বারবার বলছেন যে, দলের ভেতরে যেন কেউ বিভক্তি সৃষ্টি না করে, নির্বাচনের পর এখন সকলে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে কিন্তু বাস্তবতা হল যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তারা কারও কথাই শুনছেন না। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আহ্বানও সাড়া দেয়নি মন্ত্রী-এমপিরা। এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন যে, কোন কোন মন্ত্রী, এমপির আত্মীয়রা চর দখলের মতো এলাকা দখলের জন্য আধিপত্য বিস্তার করছেন এবং আত্মীয়করণ করছেন। যারা এটির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের নামের তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। তবে যারা দলের ভেতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন এবং কোন্দল সৃষ্টি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু বলেননি। তারা মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ক্ষমতাসীনদের চীন সফর: নজর রাখছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন। 

রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এখন চীন সফর করছেন। রাশেদ খান মেনন ছাড়াও আওয়ামী লীগের শরিক এই জোটের অন্যান্য নেতারাও এই সফরে রয়েছেন। চীনপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত দিলীপ বড়ুয়া, শিরীন আখতার সহ শরিকদের প্রায় সবাই এই সফরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর এই সফরের পরপরই আওয়ামী লীগের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের একটি ৫০ সদস্যের বিশাল দল যাচ্ছে চীন সফরে। সেই সফরে নেতৃত্ব দেবেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি তানভীর শাকিল জয়। এর পরপরই কাজী জাফরউল্লাহ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে যাবেন। 

পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চীন সফর নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। আর এই ব্যাপারে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টি রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

হঠাৎ করে আওয়ামী লীগে চীন সফরের হিড়িক কেন এই নিয়ে নানামূখী আলোচনা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলছেন, এটি হঠাৎ করেই নয়। আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে ভারত সফরও করেন। ভারতেও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের আলাপ আলোচনার জন্য মতবিনিময় করা হয়। ভারতীয় প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দল নিয়মিতভাবে যায়। কিন্তু এবার চীনের সফরগুলো সব পাশাপাশি সময় এসেছে। আমন্ত্রণ গুলো কাছাকাছি সময়ে এসেছে। এই জন্য বিষয়টিকে বড় করে দেখা হচ্ছে৷ এটি আসলে একটি রুটিন কাজ। 

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আর এই রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেই আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন, চীনের আগ্রহেই এই সফরগুলো হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বলয়ে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হিসেবে এই সফরকে দেখছেন অনেকে। 

তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নিকটতম বন্ধু হল প্রতিবেশী ভারত। চীন তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পার্টনার। আর এই কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, ভারতের সাথে তাদের এক ধরনের রাজনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কের বন্ধন রয়েছে, যা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্টি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীনের অর্থনৈতিক বলয় বিস্তার এবং আওয়ামী লীগ এবং শরিকদের নেতৃবৃন্দের চীন সফর নিয়ে ভারত কোন মন্তব্য না করলেও বিষয়টি নিয়ে তারা দৃষ্টি রাখছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গেও এক সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষাৎ করেছেন। কাজেই আওয়ামী লীগ যেন চীনমুখী রাজনীতির দিকে ঝুঁকে না পরে সে বিষয়ে  ভারতের নজর আছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ   চীন সফর   ভারত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় আরও ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আছেন ১৭, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি। শুরুতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। জবাব দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে তাদের।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৫২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ৫২ জনের মধ্যে রংপুর বিভাগের ২২ জন। রাজশাহী বিভাগর আট জন। বরিশাল বিভাগে ৫ জন, ঢাকা বিভাগে চারজনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, কুমিল্লায় ছয়জন, খুলনায় চারজন এবং চট্টগ্রামে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত ১৯৩ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করায় ৮০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে বহিষ্কার করা হয় ৬১ জনকে।

প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় বিএনপির ২৮ জন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ৭ জন।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।


বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন