ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারের সমালোচনা করতে সুশীল প্ল্যাটফর্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর রাজনীতি বিরোধী দলশুন্য হয়ে গেছে। সংসদে যেমন শক্তিশালী বিরোধী দল নেই, সংসদের বাইরেও শক্তিশালী বিরোধী দলের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকমহল, দাতা দেশ ও সাহায্যকারী সংস্থা মনে করছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী দলশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। গণতন্ত্রে যদি বিরোধী দল বা গোষ্ঠী না থাকে তাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না এবং গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতির যে অবস্থা তাতে যে কোন একটি দলের পক্ষে বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা সহজসাধ্য নয়।

আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহল এবং বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীনপ্রায়। বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের মতো সেরকম শক্তি এখন আর বিএনপির নেই। দলটিতে নেতৃত্বশূন্যতা তৈরি হয়েছে, নেতাকর্মীরা হতাশাগ্রস্ত। রাজনৈতিকভাবেও তারা দিগভ্রান্ত। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা বাস্তবসম্মত হবে না বলে মনে করেন তারা।

একইভাবে সংসদীয় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকেও ক্ষয়িষ্ণু এবং বিলোপপ্রায় একটি দল হিসেবে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। তারা মনে করছে, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ। তারা ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত সে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা সেসময় ব্যর্থ হয়েছিল। নতুন সংসদেও তারা বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও তারা ক্ষয়িষ্ণু ও অত্যন্ত দুর্বল এবং তাদের অস্তিত্ব বিপন্নপ্রায়। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পর এই দলের নেতৃত্ব কে নিবেন এবং তার নেতৃত্বে দলটি কতটুকু সফলতা পাবে তা নিয়েও কূটনীতিক মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্তর্জাতিক অনেক মহলই আশাবাদী ছিল এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতাও দিয়েছিল। বিশেষ করে ড. কামাল হোসেনের উপস্থিতির কারণে ইউরোপ এবং আমেরিকা ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহী ছিল। কিন্তু নির্বাচন ও নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল হতাশ। ঐক্যফ্রন্টের মূল সমস্যা-নীতি ও আদর্শগত কোন ঐক্য নয় এটি ছিল একটি নির্বাচনী ঐক্য। তাছাড়াও এই ফ্রন্টের মধ্যে নানা রকম মতপার্থক্যের কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে আত্মপ্রকাশ করা এই মোর্চার জন্য প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এছাড়াও বাম ফ্রন্ট ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি যারা আছে তারা একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপাতত চটজলদি কোন বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা তাদের জন্য অসম্ভব ব্যাপার।

আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে দাতা দেশ এবং কূটনীতিকরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে একটি শক্তি হিসেবে দেখছিল। যেন গণমাধ্যম বিরোধী শক্তি হিসেবে সরকারের সমালোচনা করে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনগত কারণে গণমাধ্যমও সরকারের সমালোচনা করা ও সরকারকে জবাবদিহিকতার আওয়তায় আনার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল একটি সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্স বা সুশীল সমাজের একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাচ্ছে যেটা সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখে সমালোচনার প্ল্যাটফর্ম হবে। তারা মনে করে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী সুশীল সমাজ রয়েছে যাদেরকে একটু ঐক্যবদ্ধ করতে পারলেই বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ‍সুশীল সমাজের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাদের কথায় মানুষ আলোড়িত হয় এবং বিশ্বাস করে। সেজন্যই গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের সুশীল সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার একটি উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নানা রকম বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এটা বিক্ষিপ্তভাবে না করে তারা যেন একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম থেকে করে সেজন্য তাদেরকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনার কাজ চলছে।

বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেকের সঙ্গে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, টিআইবির চেয়ারপার্সন ড. সুলতানা কামাল, সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানসহ আরও কয়েকজন। তারা বলেছেন যে, বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি অ্যালায়েন্স করা অবশ্যই জরুরি যাদের রাজনৈতিক কোন অভিপ্রায় নেই। যেহেতু সুশীল সমাজ নিজেরা ক্ষমতায় আসতে চায় না কাজেই তাদের বক্তব্য এবং সমালোচনাগুলো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হবে। কাজেই তাদের কথাগুলো মানুষ শুনবে। এজন্য তারাও এ ব্যাপারে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করছেন।

তবে তারা মনে করছেন এই প্ল্যাটফর্মের জন্য একজন নেতা দরকার। এক্ষেত্রে সুশীল সমাজের যাদের সঙ্গে কূটনীতিকরা কথা বলেছেন তাদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন, এটা নেতা হতে পারেন ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। কিন্তু অনেকে মনে করছেন ড. ইউনূসের সঙ্গে সরকাররে সম্পর্ক খুবই শীতল এবং নাজুক পর্যায়ে। তাকে নেতৃত্বে নেয়া হলে সরকার তাতে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং অ্যালায়েন্সটা গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে না। তারা মনে করছে এমন একটি অ্যালায়েন্স করা উচিৎ যাদের প্রতি সরকারের কোন নেতিবাচক মনোভাব থাকবে না, কিন্তু তাদের সমালোচনা ও উপদেশ সরকারের গ্রহণের মানসিকতা থাকবে। এরকম বিবেচনায় তারা স্যার ফজলে হোসেন আবেদের নাম প্রস্তাব করছেন। কিন্তু ফজলে হোসেন আবেদ এ ধরনের কর্মতৎপরতা থেকে সবসময় নিজেকে দূরে রাখেন। অনেকে সুলতানা কামালকে প্ল্যাটফর্মের প্রধান করার চিন্তাভাবনা করছে। তবে কূটনীতিকরা মনে করছেন এই প্ল্যাটফর্মের কোন নেতা দরকার নেই। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, দারিদ্র বিমোচন, সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান হবে এই প্ল্যাটফর্ম যেখানে তারা নিজেরা আলোচনা করবেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত আসবে।

তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধরা বলছেন বাংলাদেশে নেতৃত্ব ছাড়া কোন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা বাস্তবসম্মত নয়। সেটা টেকসই হয় না এবং ভবিষ্যতে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অনেকে অ্যালায়েন্সের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক রেহমান সোবহানের নাম প্রস্তাব করছেন। তবে এসবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কূটনীতিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই তৎপরতা আরও দৃশ্যমান হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। এই প্ল্যাটফর্মই সরকারের সবচেয়ে বড় সমালোচক এবং সরকারক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিলুপ্তির পথে জাতীয় পার্টি?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

কাগজে কলমে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল তারা। কিন্তু দলটি সাংগঠনিক অবস্থা এত নাজুক যে, এই দলটি কবে বিলুপ্ত হবে তার দিনক্ষণ এখনও গননা হচ্ছে। জাতীয় পার্টি এখন অস্তিত্বের সংকটে। আওয়ামী লীগের কৃপায় বেঁচে থাকা এই দলটি এখন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে কোন রকমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে মনে করছে না সরকারি দলের না বিরোধী দলের! সবকিছু মিলিয়ে একটি বিভ্রান্ত আদর্শিক অবস্থা জাতীয় পার্টিকে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু করতে করতে এখন বিলীন প্রায় করে ফেলেছে।

স্বৈরাচারী হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টি গঠন করেছিলেন ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা গ্রহণ করে। তার পর আস্তে আস্তে ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার সুযোগ সুবিধা ভোগ করে বিভিন্ন দলছুট উচ্ছিষ্টভোগীদের কে নিয়ে এই জাতীয় পার্টি গঠন করেছিলেন। জাতীয় পার্টি গঠিত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল এবং ক্ষমতার হালুয়া রুটি খাওয়াই জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। ৯০ এর দশকে স্বৈরাচার পতনের পর অনেকে ধারণা করেছিলেন যে জাতীয় পার্টি কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময় অস্তিত্বের পরীক্ষায় নাটকীয়ভাবে জয়ী হয় জাতীয় পার্টি। বিশেষ করে জাতীয় পার্টি সেই সময়ে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মিজানুর রহমান চৌধুরী অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। তার কারণেই স্বৈরাচারের পতনের পর ১৯৯১ এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি তৃতীয় স্থান লাভ করে এবং সকলকে চমকে দেয়। এর পর জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ, বিএনপি যখন যায়, তখন তারা এই নীতি অনুসরণ করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।

বাংলাদেশে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি একটা ফ্যাক্টর হয়ে ওঠে। জাতীয় পার্টিকে ছাড়া ক্ষমতা গঠন করা, কোনও দলের পক্ষে সরকার গঠন করা প্রায় অসম্ভব এ রকম একটি রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়। যে সমীকরণের সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টি এখনও টিকে আছে। ২০০১ সালে নির্বাচনে দলটি সমর্থন দেয় বিএনপিকে। বিএনপি ক্ষমতায় আসে। আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট গঠণ করে। সেই থেকে মহাজোটেই আছে জাতীয় পার্টি। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রধান নেতা এরশাদের মৃত্যুর পর জতীয় পার্টি এখন শুধু মাত্র নেতৃত্বের সংকট নয় অস্তিত্বের সংকটই হচ্ছে। এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির হাল ধরেছেন তার ছোট ভাই জিএম কাদের। জিএম কাদের একজন সৎ পরিচ্ছন্ন মানুষ কিন্তু রাজনীতির অভিজ্ঞতায় তিনি একেবারেই কাঁচা পরিপক্ক এবং অদূরদর্শী বটে। রাজনীতিতে তার অবস্থান কি সেটি সুস্পষ্ট নয়। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেই জাতীয় পার্টি ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা করেছে। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে জাতীয় পার্টি সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নেয় এবং সরকারের বিরোধিতার একটা আবরণ পড়ে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এই আবরণ গ্রহণযোগ্যতা হয়নি। জাতীয় পার্টি ২০২৪ নির্বাচন বর্জন করার কথাও ভেবেছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনে হতাশাজনক ফলাফল পায়।

জাতীয় পার্টির এই দিকবদল এবং বার বার অবস্থান পরিবর্তন সাধারণ মানুষের কাছে একটা নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করেছে। আর এ কারণেই সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রওশন এরশাদের পৃথক অবস্থান জাতীয় পার্টির নেতাদেরকে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। দলটিতে নতুন কর্মীর আগমণ ঘটছেনা। পুরোনো নেতারা নানা রকম সুযোগ সুবিধার আসায় দিনের বেলায় সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন। রাতের বেলায় তাদেরকে দেখা যাচ্ছে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে। জাতীয় পার্টিতে এখন পার্ট টাইম রাজনীতির প্রধান্য আর এ সমস্ত রাজনীতিবিদরা দলের চেয়ে নিজের স্বার্থরক্ষার জন্যেই বেশি ব্যস্ত।

এখন জিএম কাদের জাতীয় পার্টিকে কোন রকমের টেনে তোলার চেষ্টা করছেন বটে কিন্তু এরশাদের যেরকম সারা দেশ জুড়ে একটা আলাদা ইমেজ ছিল, একটা জনপ্রিয়তা ছিল জি এম কাদেরের তা নেই। তার একমাত্র পরিচয় তিনি হোসেন মুহাম্মাদ এরশাদের ছোট ভাই। আর এ কারণেই জাতীয় পার্টির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ এখন আর নেই। এই রাজনৈতিক দলটিযে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল তা এখন বিলীন হওয়ার পথে।


জাতীয় পার্টি   জি এম কাদের   রওশন এরশাদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে চাঙ্গা বিএনপি: কাদের

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু’ ঢাকায় সফর করায় আবারও ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে চাঙ্গা বিএনপি।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আরে বেকুবের দল, লু আসছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকাও আর আসবে না, কেউ আসবে না।

তিনি বলেন, ‘গয়েশ্বর রায় কোথায় পালিয়ে ছিলেন, ভারতে? মাথায় তো একটা গান্ধী টুপি দিয়েছেন। তিনি আমাদের বলেন ভারতের দালাল। এই অপবাদ আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ার সময় থেকে অনেক শুনেছি। দালালি কারা করে? ভারতে নরেন্দ্র মোদির বিজয়ের পরে ভোর হওয়ার আগে ফুল আর মিষ্টি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। দালালি কারা করে? ভারত সফরের সময় খালেদা জিয়া তিস্তা চুক্তির কথা ভুলে গিয়েছিল। দালাল কারা?’ 

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু। ৪২ শতাংশ লোক আমাদের ভোট দিয়েছিল। শেখ হাসিনার অর্জন, উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দেশের ৪২ শতাংশ জনগণ। নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আমরা ক্ষমতা চাই না, বন্ধুত্ব চাই। শত্রুতা আমাদের ক্ষতি করেছে। আমরা সেই অবস্থা আর ফিরে পেতে চাই না।’

বিএনপির উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের দাবি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, যে ৩৬ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের ‘ফ্রি স্টাইল’ নেতারা নজরদারীতে

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ যারা অমান্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমন কোন ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত কারণে ৩০ এপ্রিল দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপনই করেননি। কিন্তু যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তারা যে পার পেয়ে যাবেন বা ছাড় পাবেন এমনটি নয়। এরকম দাবী করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় নেতা। যেসমস্ত নেতারা দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘণ করেছেন এবং ‘ফ্রি স্টাইলে’ কাজ-কর্ম করছেন তারা নজরদারিতে আছেন এবং শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা দেখা যাবে বলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের-একরাম চৌধুরীর নোয়াখালীর বিরোধ: যেখান থেকে শুরু

তবে আওয়ামী লীগ বহিষ্কার বা দল থেকে বের করে দেয়ার মতো অবস্থানে যাবে না। আওয়ামী লীগের শাস্তি হবে কৌশলগত এবং সুদূর প্রসারী। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে ৩ ধরনের নির্দেশনা ছিল।

প্রথমত, উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে দলগতভাবে সমর্থন করা যাবে না। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে।

দ্বিতীয়ত, মন্ত্রী এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং মাই ম্যান’দের জিতিয়ে আনার চেষ্টা করা যাবে না।

তৃতীয়ত, নির্বাচনে যেন কেউ প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর যেসমস্ত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই সমস্ত নির্দেশনা ভঙ্গ করেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে তারা নজরদারীতে আছেন।

আরও পড়ুন: ভারত বিরোধীতা সামনে আনছে বিএনপি

লক্ষ্য করা গেছে, তারা শুধু এবার নয় অতীতেও দলের অবস্থানের বিপরীতে ফ্রি স্টাইলে’ নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করতেন। তারা যা বিবেচনা করতেন সেটি বলতেন এবং এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে দলের স্বার্থ লঙ্ঘিত হতো।

শাজাহান খান

শাজাহান খান এমন একজন ব্যক্তি যিনি দলের নির্দেশ অমান্য করে তার পুত্রকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। শাজাহান খান এর আগেও আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থানের বিপরীতে বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। শাজাহান খানের বিষয়টি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এবং তিনি আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নজরদারীর মধ্যে আছেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক

ড. আব্দুর রাজ্জাক তার ভাইকে এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। যদিও আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, তার ভাই আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু এবার যেহেতু পরিস্থিতি ভিন্ন সেহেতু এবার তার ভাইয়ের প্রার্থী হওয়াটা দলগতভাবে পছন্দ করা হয়নি। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ড. রাজ্জাকের ভাইয়ের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিরোধীতা করেছিলেন এবং এ নির্বাচনে ড. রাজ্জাকের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও করা হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। ড. রাজ্জাক নির্বাচনের আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় ছিলেন। অনেকে মনে করেন, এই বিতর্কিত মন্তব্যের কারণেই এবার তিনি মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন। আর একারণেই ড. আব্দুর রাজ্জাক এখন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের নজরদারীতে আছেন। ভবিষ্যতে যদি ড. রাজ্জাক বা শাজাহান খানের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ চলে যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

একরামুল করিম চৌধুরী

একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি। এবার তিনি তার ছেলে সাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। ঐ উপজেলায় চেয়ারম্যান ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে হারিয়ে দিয়ে নিজের পুত্রকে নির্বাচিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হয়নি। তারা বিষয়টিকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল বলে মনে করছেন। একরামুল করিম চৌধুরীর পরিণতি কি হয় তা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে।

গাজী গোলাম দস্তগীর

গাজী গোলাম দস্তগীর পুরো রূপগঞ্জকে গাজীগঞ্জ বানিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার নিজস্ব আত্মীয় স্বজন সর্বত্র সবকিছু দখল করে নিয়ে এমন অভিযোগও রয়েছে। গাজী গোলাম দস্তগীর এবার মন্ত্রীত্ব পাননি। ভবিষ্যতে তিনি নতুন রাজনৈতিক সংকটে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।   


আওয়ামী লীগ   শাজাহান খান   ড. আব্দুর রাজ্জাক   একরামুল করিম চৌধুরী   গাজী গোলাম দস্তগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বৈষম্যে নোবেল পুরস্কার থাকলে সরকার পেত: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে কোনো সময় এত বেশি বৈষম্য ছিল না। বৈষম্য তৈরি করার জন্য যদি নোবেল পুরস্কার থাকতো, তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সেই নোবেল পুরস্কার পেত।'

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

জিএম কাদের আরও বলেন, ‌'আমি একটা দেশ পেলাম। আমার দেশের প্রজারা বলবেন- আমিই চালাব, আমিই সরকার গঠন করব, আমিই সরকার পরিবর্তন করব। কিন্তু এখন দেখেন, সেই অর্জন, প্রজাদের সেই মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। মালিকানা তাদের হাতে নেই! এটা হলো বাস্তব কথা।' 

এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, 'এখন জনগণের কথায় যে চলবে, জনগণের কথায় যে সরকার পরিবর্তন হবে—এ রকম কোনো বিষয় ঘটছে না। জনগণের কথা বলারই অধিকার নেই।’ বলতে গেলেই নানা ধরনের সমস্যা। কথা শোনারও কোনো দরকার নেই।'


জিএম কাদের   জাপা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ভারত বিরোধীতা সামনে আনছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। তৃতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে, চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ মে। এই নির্বাচন নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে একটা অনিশ্চয়তা চলছে। নির্বাচনের আগে যেমনটি মনে করা হয়েছিল যে, বিজেপির নিরঙ্কুশ বিজয় হবে। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৪০০ আসনের আশা করেছিলেন কিন্তু নির্বাচন যতই এগিয়ে যাচ্ছে ততই সে আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। আর এর মধ্যেই বিএনপি এখন তাদের আন্দোলনের কৌশল পাল্টেছে। ভারত বিরোধীতার রাজনীতি আবার নতুন করে শুরু করেছে। 

কিছুদিন আগে অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে যে ভারত বিরোধী রাজনীতির সূচনা হয়েছিল। সে সময় রুহুল কবির রিজভী একটি ভারতীয় শাল গা থেকে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলে ভারত বিরোধী রজনীতির সূত্রপাত করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, বিএনপি আপাতত প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী রাজনীতি করবে না। রুহুল কবির রিজভীর শাল পোড়ানোর ঘটনাকে একটি ব্যাখ্যাও দেয়া হয়। তখন বলা হয়, এটি তার ব্যক্তিগত অবস্থান, দলীয় অবস্থান নয়। ঐ সময় বিএনপি আবার ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসে। এরপর বিএনপির ডাকা ইফতার পার্টিতে ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদের-একরাম চৌধুরীর নোয়াখালীর বিরোধ: যেখান থেকে শুরু

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে নাকি ভারত বিরোধী রাজনীতি করবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন, দ্বিধা এবং বিভ্রান্তি ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ বিভ্রান্তি কেটে গেছে। গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকায় সমাবেশ করা হয়। এ সমাবেশে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব নেতাই ভারত বিরোধীতা করেছেন। তারা দাবি করেছেন, বর্তমান সরকার ভারতের সহযোগীতা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং এ এটি তারা বেশিদিন থাকবে না। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির এই ভারত বিরোধী অবস্থান তাদের সুনির্দিষ্ট চিন্তাধারার ফসল এবং দলগতভাবে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিক কারণে তারা ভারত বিরোধী অবস্থানে গেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রথমত, ভারতের সঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি সুসম্পর্ক। যেকারণে বিএনপি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সরকারের বিরুদ্ধে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না বলে তারা মনে করে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ভারত যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মনোভাব পাল্টাতে প্রভাব রেখেছে সেটি বিএনপির জন্য একটি বড় আঘাত বলেই তারা মনে করে। আর একারণে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল এখন ভারত বিরোধীতাকে ঘিরে আবর্তিত হতে শুরু করেছে। 

দ্বিতীয়ত, বিএনপি মনে করে যে, ভারতের নির্বাচনে যেই ফলাফলই হোক না কেন, তাতে বাংলাদেশ নীতির কোন পরিবর্তন হবে না। ভারতে কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোট আসুক কিংবা বিজেপির নেতৃত্বের জোট আসুক না কেন উভয় দলই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি চেষ্টা করবে। আর এটি যদি হয় প্রধান দু’টি দলের রাজনৈতিক কৌশল তাহলে বিএনপির জন্য ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর নয়। আর তাই তারা ভারতকে নিশানা করছে এবং ভারতের সমালোচনা করছে। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশে ভারত বিরোধী আবহ। বাংলাদেশে একটি ভারত বিরোধী আবহাওয়া রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ ভারত বিরোধীতা পছন্দ করে। আর একারণেই রাজনীতিতে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বিএনপি এখন ভারত বিরোধীতাকে পুঁজি করে এগুচ্ছে তাতে ৭৫’ পরবর্তী রাজনীতি আবর্তিত হতো। 

চতুর্থত, এই অঞ্চলে ভারতের একাকিত্ব। ভারত পুরো অঞ্চলে ক্রমশ একলা হয়ে পড়ছে। মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা সব গুলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রই ভারতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে চীনের দিকে ঝুঁকেছে। সেখানে যদি বিএনপি এখন ভারত বিরোধীতার রাজনীতি শুরু করে তাহলে সেটি এ অঞ্চলে চীনের জন্য আশির্বাদ হিসেবে দেখা দেবে এবং চীন বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিবে। বিশ্ব রাজনীতি চীনের প্রভাব এখন অনেক বেশি। 

পঞ্চমত, বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা। বিএনপি মনে করছে যে, ভারত বিরোধীতার রাজনীতি করেই জনগণের কাছে যাওয়া যাবে। জনগণের কাছে সমর্থন আদায় করা যাবে। আর এসমস্ত কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে এখন ভারত বিরোধী রাজনীতির নব যাত্রা শুরু হয়েছে। যেটি গতকালের সমাবেশে স্পষ্ট হলো।


বিএনপি   রুহুল কবির রিজভী   ভারত বিরোধীতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন