ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেসবল খেলার খুঁটিনাটি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০২ এএম, ৩০ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

খেলার জনপ্রিয়তা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন রকম। যেমন নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তায় পুরো পৃথিবীতে ফুটবলের রাজত্ব। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা ফুটবলের তুলনায় বেশিই হবে। ঠিক তেমনি ক্রিস্টোফার কলম্বাসের আবিষ্কৃত দুই আমেরিকায় দু’ধরনের উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। দক্ষিণ আমেরিকায় আধিপত্য ফুটবলের। বৈশ্বিকতার কারণে ফুটবল জনপ্রিয় হলেও উত্তর আমেরিকাতে এগিয়ে বেসবল। আবার ফুটবল প্রবণ অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে বেসবল।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় খেলা এই বেসবল। শুধুমাত্র মার্কিন মুলুকেই প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ বেসবল খেলে থাকেন। প্রায় একই রকম খেলা হলেও ক্রিকেটের তুলনায় বেশ ভিন্নতা রয়েছে বেসবলে।

বেসবলের মাঠ ও খেলার নিয়ম:

ক্রিকেট ফুটবল এগার জনের খেলা হলেও বেসবলে এক দলের খেলোয়াড় সংখ্যা থাকে ৯ জন করে। ৯০ ফুটের রম্বস আকৃতির মাঠে চারকোণায় চারটি বেস স্পর্শ করে রান নেওয়া হয়। যারা ব্যাট করে তাদের বলা হয় ‘অফেন্স’ দল। আর যারা ফিল্ডিং করে তাদের বলা হয় ‘ডিফেন্স’ দল। এই খেলায় ডিফেন্স দলের হয়ে যিনি বল ছোঁড়েন তাকে বলা হয় পিচার। আর অফেন্স দলের হয়ে যে ব্যাটিং করেন তাকে বলা হয় হিটার। ক্রিকেটে বোলার-ব্যাটসম্যানদের মতো, হিটারের কাজ হচ্ছে পিচারের ছোঁড়া বলগুলো মোকাবিলা করা।

অফেন্স দলের হিটাররা চার কোণের যেকোনো বেসে ইচ্ছে করলে থামতে পারবে। যদি দলের কোনো হিটার বল হিট করে, নিজেদের মধ্যে জায়গা পরিবর্তন করে রান নিয়ে থাকেন। ডিফেন্স দল যদি অফেন্স দলের তিনজন হিটারকে আউট করতে পারে, তাহলে একটি ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। মোট নয় ইনিংসে এই খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এই নয় ইনিংসের মধ্যে দুই দলের মধ্যে যে দল বেশি রান করে সেই দল বিজয়ী হয়।

বেসবল খেলার সরঞ্জাম: বেসবল খেলার প্রধান সরঞ্জাম হলো চারটি। ব্যাট, বল গ্লাভস ও হেলমেট। কাঠের তৈরি ব্যাটের দৈঘ্য ৪২ ইঞ্চির বেশি হয় না। যে জায়গা দিয়ে বলকে হিট করা হয় এর ব্যাস থাকে ২.৭৫ ইঞ্চি। আর ওজন হয়ে হয় ৩৪ আউন্স থেকে ৩৬ আউন্সের (৯৬৩ গ্রাম থেকে ১,০২১ গ্রাম) মধ্যে।

পেশাদার বেসবলে বলের রং হয় সাদা। এর পরিধি সাধারণত ৯ থেকে ৯.২৫ ইঞ্চি হয়। এর ওজন ১৪১.৭৫ থেকে ১৪৮.৮৩ গ্রাম হয়ে থাকে। ব্যাট-বল ছাড়া এক ধরনের বিশেষ গ্লাভস ব্যবহার করা হয়। এছাড়া হেলমেটের প্রচলন আছে বেশ আগে থেকেই।

সাধারন তিন বিভাগ রয়েছে ব্যাটিং, পিচিং এবং ফিল্ডিং।

বেসবলে ব্যাটিং: পিচারদের ছোঁড়া বলগুলো মোকাবিলা করে রান তোলাই ব্যাটিং দলের কাজ। খেলা শুরুর আগে হিটারদের মাঠে নামানোর একটি লাইন আপ জমা দিতে হয়। সেই লাইন আপ অনুযায়ী অফেন্স দলকে হিটারদের মাঠে নামাতে হয়। এই লাইন আপ পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। হিটার যদি টানা তিনবার বল হিট করতে ব্যর্থ হন তাহলে তাকে বলা হয় স্ট্রাইক বা আউট। সে ক্ষেত্রে নতুন হিটার আসবেন।

বেসবলে পিচিং: ডিফেন্স দল পিচারদের পরিবর্তন করতে পারবে। চাইলে প্রত্যেকেই পিচিং করতে পারবে। পিচারদের কাজ বিভিন্ন কৌশলে হিটারদের পরাস্ত করা। অভিজ্ঞ পিচাররা সাধারণত গতির দিকেই নজর দেন বেশি। ঘণ্টায় প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল ছুঁড়তে পারেন পিচাররা। আবার ভিন্নতা আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন পিচাররা। স্লোয়ার কিংবা সিম কাট, সিম স্ক্রুর মতো ডেলিভারিও ছোঁড়েন তারা।

বেসবলে ফিল্ডিং: ডিফেন্স দলই ফিল্ডিংয়ে থাকে। সাতজন বিভিন্ন মাঠের বিভিন্ন পজিশনে ফিল্ডিং করে। একজন পিচার অন্যজন হিটারের পেছনে থেকে বল ক্যাচ করেন। অনেকটা উইকেট কিপারের মতো। বেসবলে আম্পায়ারের অবস্থান থাকে হিটার এবং কিপারের পেছনে।

খেলার অবস্থা এবং হিটার হিটিং মান বুঝে ফিল্ডারদের অবস্থান পরিবর্তন হয়। ক্রিকেটের মতো দুই ধরণের ফিল্ডিং লক্ষ্য করা হয়। আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক।

খেলার ধরণ এবং নিয়মে খেলাটি অনেকটা ক্রিকেটের মতো হলেও খুব কমই মিল রয়েছে। উত্তর আমেরিকায় এর জনপ্রিয়তা তুমুল। বর্তমানে খেলাটি প্রায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি বাংলাদেশে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত একটি অ্যাসোসিয়েশনও রয়েছে। যদিও এর কার্যকারিতা নেই বলেই চলে।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ/এমআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

শেষ মুহুর্তের গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ আশা বাচিয়ে রাখলো ভিলা

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফুটবলে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে আনা নতুন কোন বিষয় নয়। রিয়াল মাদ্রিদ, লেভারকুসেন এই ঘটনাটি ঘটায় নিয়মিতই। তবে দুই গোলে পিছিয়ে থেকে এস্টন ভিলাও যে পয়েন্ট কেড়ে নিতে পারে তা তারা দেখিয়ে দিলো লিভারপুলের বিপক্ষে।

গতকাল রাতে নিজেদের মাঠে পিছিয়ে পড়েও শেষ ৫ মিনিটের নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভিলা। ম্যাচটি শুরু থেকেই ছিলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। এদিন লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে পড়া লিভারপুলের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নামে ভিলা। ম্যাচের শুরুতে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে যায় ভিলা।

ম্যাচের মাত্র ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের মাথায় মোহাম্মদ সালাহ ক্রসের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান উইঙ্গার হার্ভি এলিয়টের দিকে। কিন্তু বলটি সোজা চলে যায় ভিলা গোলরক্ষক মার্টিনেজের দিকে। কিন্তু তিনি বলটি তালু বন্দি করতে পারেননি। উল্টো তার ডান হাতের টোকায় জালে জড়ায় বলটি। এতে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে দলটি।  

এরপর ম্যাচের ১২ তম মিনিটে ইউরি টিয়েলম্যানস এর গোলে সমতায় ফিরে এস্টন ভিলা। ম্যাচের ২৩ মিনিটে জো গোমেজের ক্রস থেকে ডাচ তারকা কোডি গেকপো এক দুর্দান্ত গোল করেন। এতে ২-১ গোলে লিড নেই সফরকারীরা। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ফ্রি-কিক পাই লিভারপুল। হার্ভে এলিয়টের নেওয়া শট দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করেন সেন্টারব্যাক জারেল কুয়ানশা। এতে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

ম্যাচের ৪৮ তম মিনিটে অবশ্য একটি গোলের দেখা পায় ভিলা। কিন্তু লিওন বেইলি অফসাইডে থাকলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ৫৯ মিনিটে করা মোহাম্মদ সালাহর গোলও অফসাইডে বাতিল হয়ে যায়।  

এখানেই হয়তো শেষ হতে পারতো ম্যাচের নাটকীয়তা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮৫ এবং ৮৮ মিনিটে দুই গোল হজম করে লিভারপুল। এর মধ্যে লিভারপুল স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ ভিলার জালে বল পাঠালেও তা বাতিল হয় অফসাইডে।

এরপর শেষ অতিরিক্ত সময়ে দারুণ একটি সেভ করেন এই ব্রাজিলিয়ান। এতে ম্যাচ শেষ হয় ৩-৩ গোলের সমতায়।

৩৭ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ভিলা। ৩৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে টটেনহাম। লিভারপুলকে হারাতে পারলে চতুর্থ স্থান নিশ্চিত হতো ভিলার।

আর্সেনাল ৩৭ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। ৩৬ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।

লীগে আগামী রোববার উলভসের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে লিভারপুল।


লিভারপুল   এস্টন ভিলা   অফসাইড   ড্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নিলামের আগেই আইকন হিসেবে দল পেলেন মুস্তাফিজ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। যা চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।

আর এই বৈশ্বিক আসরের দুদিন পরেই শ্রীলংকায় গড়াবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল)। আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া এ আসরের আগে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। তবে নিলামের আগেই আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভিড়িয়েছে ডাম্বুলা থান্ডার্স।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুস্তাফিজকে দলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডাম্বুলা। ফ্যাঞ্চাইজিটি লিখেছে, ‘বিদেশি আইকন ক্রিকেটার হিসেবে মুস্তাফিজকে পরিচিত করে দিতে পেরে ডাম্বুলা থান্ডার্স গর্বিত।’

সম্প্রতি ডাম্বুলার মালিকানায় পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইম্পেরিয়াল স্পোর্টস গ্রুপ এই ফ্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা কিনেছে। শ্রীলংকার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির গত আসরে রানার্সআপ হওয়া ডাম্বুলা অরা এখন নাম বদলে ডাম্বুলা থান্ডার্স।

এলপিএলের পরবর্তী আসর শুরু হবে আগামী ১ জুলাই। আর ২১ জুলাই ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে আসরটির।


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, নেই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কিছুদিন পরেই আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের নবম আসরে এবার অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। যার মধ্যে ১৭টি দল ইতোমধ্যেই নিজেদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। বাকি ছিল নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

তবে এবার বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। সোমবার আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দিয়ে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নেদারল্যান্ডস। ফলে বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার রোয়েলফ ফন ডার মারওয়ে ও ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। তাদের পরিবর্তে বাঁহাতি স্পিনার টিম প্রিঙ্গেল, তরুণ পেসার কাইল ক্লেইন এবং হার্ড-হিটিং ওপেনার মাইকেল লেভিটকে বেছে নিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালে খেলা একটি টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে একটি ঝলমলে সেঞ্চুরি করেছিলেন লেভিট। ৬২ বলে ১১টি চার ও ১০টি ছক্কায় খেলেছিলেন ১৩৫ রানের ইনিংস।

নিয়মিত অধিনায়কের ভূমিকায় আবারো নেদারল্যান্ডসকে নেতৃত্ব দেবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার স্কট এডওয়ার্ডস। তারকা অলরাউন্ডার বাস ডি লিডে ডাচ দলের প্রধান খেলোয়াড়।

দল নিয়ে প্রধান কোচ রায়ান কুক বলেছেন, ‘আমরা একটি সুন্দর ভারসাম্যপূর্ণ দল নির্বাচন করতে পেরেছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে কন্ডিশনে মুখোমুখি হব তাতে পারফর্ম করতে সক্ষম হব।’

বিশ্বকাপে এবার বাংলাদেশের গ্রুপে পড়েছে নেদারল্যান্ডস। যেখানে তাদের সঙ্গে আরো রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, এবং নেপাল। আগামী ৪ জুন নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ডাচদের বিশ্বকাপ। তাদের ম্যাচটি গড়াবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে।

নেদারল্যান্ডসের টি-২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াড: স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), আরিয়ান দত্ত, বাস ডি লিড, ড্যানিয়েল ডোরাম, ফ্রেড ক্লাসেন, কাইল ক্লেইন, লোগান ফন বেক, ম্যাক্স ও’দৌদ, মাইকেল লেভিট, পল ফন মিকারেন, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, তেজা নিদামানুরু, টিম প্রিঙ্গেল, বিক্রম সিং, ভিভ কিংমা এবং ওয়েসলি বারেসি।


নেদারল্যান্ডস   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার কোপায় আলবিসেলেস্তেদের স্কোয়াড যেমন হবে

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের শীর্ষ টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। যার জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। আর সবমিলিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে কেমন হবে আলবিসেলেস্তাদের কোপার স্কোয়াড।

টুর্নামেন্টের ১৫বারের শিরোপাজয়ীদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এখনো স্কোয়াড ঘোষণা করেনি বিশ্বজয়ীরা। দেরি হওয়ার মূল কারণ কয়েকজন ফুটবলারের ইনজুরি।

কোপা আমেরিকার স্কোয়াড ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনার মাঝে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির জনপ্রিয় গণমাধ্যম টিওয়াসি স্পোর্টস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বকাপজয়ী ৭ ফুটবলারকে দলে নিয়ে আসছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। এর মধ্যে রয়েছেন রদ্রিগো ডি পল, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, এজেকুয়েল প্যালাসিওস, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো এবং অবশ্যই লিওনেল মেসি।’

আর গোলকিপার হিসেবে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ফ্রাঙ্কো আরমানি এবং ওয়াল্টার বেনিতেজের সঙ্গে বিবেচনায় আছেন জেরোনিমা রুল্লি। রক্ষণে থাকতে পারেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, জার্মান পাজেল্লা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, নাহুয়েল মলিনা ও মার্কাস আকুনা। আর মিডফিল্ডে থাকতে পারেন এনজো ফার্নান্দেজ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, জিওভান্নি লো সেলসো এবং এজেকুয়েল প্যালাসিওস, গুইডো রদ্রিগেজ।

আক্রমণভাবে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার সঙ্গে থাকতে পারেন লাউতারো মার্টিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ, পাওলো দিবালা, নিকো গঞ্জালেস এবং আলেহান্দ্রো গারনাচো।


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   কোপা আমেরিকা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিটন-সৌম্য: বিশ্বকাপে কে হবেন তামিমের সঙ্গী?

প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি।
 
সর্বশেষ টাইগারদের ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজে সুযোগ পাওয়া প্রথম তিন ম্যাচে লিটন দাসের রান ছিল যথাক্রমে- ১, ২৩, ১২। টানা অফ ফর্মে থাকা এই ওপেনার এমন পারফরম্যান্সের কারণে পরের দুই ম্যাচের একাদশেই ছিলেন না। তার জায়গায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করেছেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার।

আর লিটনের এমন বাজে ফর্মের কারণে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাদশ থেকে লিটন বাদ পড়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে। ফলে দলে তার জায়গা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন।

তবে গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। শান্ত বলেছেন, ‘আমাদের টপ অর্ডারে ভালো ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে। আমরা এই সিরিজে সব কিছু ট্রাই করেছি। এটা পরিকল্পনাই ছিল লিটনকে দুটি ম্যাচ বিরতি দিয়ে সৌম্যকে সুযোগ দেওয়া। ৩ জনেরই একাদশে থাকার সুযোগ আছে, প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে বেছে নেব।’

এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। আমরা কোনো ম্যাচ হারতে চাইনা। আমাদের টপ অর্ডার ভালো শুরু করলে, দল ভালো অবস্থায় থাকবে। ছন্দ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বিশ্বকাপের আগে ছন্দ ফিরে পাবে তারা।’

ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গে শান্তর বক্তব্য, ‘আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। এই জিনিসটাতে সময় দিতে হবে। আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলা শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর... তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে।’

অধিনায়ক শান্তর এমন বক্তব্যের পর ক্রীড়াঙ্গনে একটা গুঞ্জন উঠেছে যে, এবারের বিশ্বকাপে লিটন হয়তো ধারাবাহিক হবেন না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, কিছু ম্যাচে লিটনকে খেলানো হতে পারে, আবার কিছু ম্যাচে সৌম্যকে দিয়ে ট্রাই করা হতে পারে।

আর লিটন-সৌম্যের অন্য প্রান্তের প্রশ্ন উঠলে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে সেখানে তানজিদ তামিমই থাকছেন। কারণ সম্প্রতি সময়ে তার পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মত এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে উড়ন্ত সূচনাও করেছিলেন তিনি। স্ট্রাইক রেটও ছিল ১৪০ এর আশেপাশে। আর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন তামিম ওপেনিংয়ে ফিক্সড থাকছেন। তার সাথে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় লিটন বা সৌম্যকে খেলানো হতে পারে।

এদিকে এরই মধ্যে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ১৭টি দল স্কোয়াড প্রকাশ করেছে। তবে বাকি তিনটি দল এখনো তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেনি। আর সেই তিনটি দলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। যদিও আইসিসিকে একটি স্কোয়াডের তালিকা ইতোমধ্যেই পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা থাকলেও, আজ সেটি হচ্ছে না। আর তার কারণ হচ্ছে তাসকিন আহমেদের এমআরআই রিপোর্ট। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায় বহুল প্রতিক্ষিত বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। সোমবার দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ।

টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাব্য দল:

লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক),  সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন/তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ/হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।


লিটন কুমার দাস   সৌম্য সরকার   বাংলাদেশ   বিসিবি   তানজিদ তামিম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন