নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৯
এক বছর হয়ে গেছে ছাত্রলীগের এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় সাধারণত সর্মনিম্ন ২৭১ জন থেকে সর্বোচ্চ ৩০১ জনের। গতকাল শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪২ জনের নাম চূড়ান্ত করেছেন। এই ৪২ জনের নাম যেকোনো সময় ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এটা অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী তিনদিনের সফরে ব্রুনেই যাচ্ছেন। তিনি সেখান থেকে দেশে ফেরার পর বাকি নামগুলো নিয়ে কাজ করবেন বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সুত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে কমিটি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা ঐক্যমত্যে আসতে পারেননি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার নিজস্ব টিম দিয়ে এই ৪২ জনের নাম চূড়ান্ত করেছেন বলে জানা গেছে। যারা এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কমিটিতে নিশ্চিত জায়গা পেয়েছেন, তারা হলেন-
১. সায়েম খান – গোপালগঞ্জ
২. শেখ ওয়ালী হামিদ ইনান – বরিশাল
৩. ইয়াজ আল রিয়াদ – ভোলা
৪. ইশরাত তাসমিয়া ইরা – কিশোরগঞ্জ
৫. মেহেদী হাসান রনি – টাঙ্গাইল
৬. রাকিব হাসান – বগুড়া
৭. রকিব আহমেদ রাসেল- গাজীপুর
৮. আল নাহিয়ান খান – বরিশাল
৯. মো. সোহান খান- ময়মনসিংহ
১০. আমিনুল ইসলাম বুলবুল – গোপালগঞ্জ
১১. শওকাতুল হাসান সৈকত- মাগুরা
১২. আল মামুন – গাইবান্ধা
১৩. মোঃ রনি – ফরিদপুর
১৪. আপেল মাহমুদ – নওগাঁ
১৫. সোলায়মান ইসলাম মুন্না – বরিশাল
১৬. মামুন বিন সাত্তার – পিরোজপুর
১৭. বিদ্যুৎ শাহরিয়ার কবির- ফরিদপুর
১৮. মাহাবুব খান – সুনামগঞ্জ
১৯. শারমিন ইতি – মুন্সীগঞ্জ
২০. আরিফুজ্জামান ইমরান- বরগুনা
২১. ইমরান জামাদ্দার – ঝালকাঠি
২২. বেনজির হোসেন নিশি – মাগুরা
২৩. রকিবুল ইসলাম বাধন- কুষ্টিয়া
২৪. ফুয়াদ হোসেন শাহাদত- শরীয়তপুর
২৫. বরকত হোসেন – পিরোজপুর
২৬. আবু সাইদ কনক – পাবনা
২৭. হায়দার হোসেন জিতু – রংপুর
২৮. খাজা খায়ের সুজন – নোয়াখালী
২৯. মোবারক হোসেন- কিশোরগঞ্জ
৩০. খাদিমুল বাশার জয়- বরিশাল
৩১. শুভ্র জ্যোতি শিকদার – প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
৩২. মিয়া মোহাম্মদ রুবেল – ময়মনসিংহ
৩৩. মাসুদ লিটন – ময়মনসিংহ
৩৪. শ্রাবনী শায়লা – রাজশাহী
৩৫. শহীদ জামান শাহীন- রাজশাহী
৩৬. মহিউদ্দিন- গোপালগঞ্জ
৩৭. শাহাদাত হোসেন- শরীয়তপুর
৩৮. ইশরাত সাদিয়া মিলি- শরীয়তপুর
৩৯. মাহমুদুল রহমান মিঠু- শরীয়তপুর
৪০. তামান্না তাসনিম তমা- শরীয়তপুর
৪১. আসিকুর রহমান রাজীব- ঢা. বি.
৪২. পরশ রহমান- ঢা. বি.
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।