ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনা যাদের কাছে ঋণী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ জুন, ২০১৯


Thumbnail

১১ জুন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস। ২০০৮ সালের এইদিনে ১০ মাস ২৫ দিন কারাভোগের পর তিনি মুক্ত হয়েছিলেন। সেনা সমর্থিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ওয়ান ইলেভেন সরকার মাইনাস ফর্মূলা বাস্তবায়ন করার জন্য ১৬ জুলাই ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে তার সূধাসদনের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে কিছু সাজানোর মামলা দায়ের করে তাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার চেষ্টা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের আগে তাকে দেশত্যাগের জন্যও প্ররোচিত করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে কারাগারেই যেতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগে সবসময়, বিশেষ করে দুর্যোগের সময় দেখা যায় যে শীর্ষ নেতারা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে না। তৃনমূল যৌক্তিক ভূমিকা পালন করে। ওয়ান ইলেভেনও তার ব্যতিক্রম নয়। ওয়ান ইলেভেনে দলের শীর্ষ নেতারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার কটুচালে লিপ্ত হয়েছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা কারারুদ্ধ হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা কারারুদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন ব্যক্তি জোড়ালো ভূমিকা পালন করেছেন তার মুক্তির উদ্দেশ্যে। যাদের জোরালো ভূমিকার জণ্য শেখ হাসিনার বেশিদিন কারান্তরীন থাকা সম্ভব হয়নি এবং তাদের ভূমিকার জন্যই দেশে বিদেশে শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য গণজাগরণ তৈরী হয়েছিল। আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় শেখ হাসিনা নি:সন্দেহে তাদের কাছে ঋণী। আসুন দেখে নেয়া যাক শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য কারা সেদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছিলেন।

আইনগত

১৬ জুলাই বৃষ্টিমুখর ভোররাতে শেখ হাসিনার সুধাসদন বাসভবন থেকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন শেখ হাসিনা প্রথম যে কয়েকজনকে কল দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। আওয়ামী লীগ সভাপতির টেলিফোন পেয়ে তিনি সরাসরি চলে এসেছিলেন সুধাসদন। শেখ হাসিনার গাড়ির পেছনে তিনি আদালত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এই কেসের আইনী লড়াইয়ে তিনিই ছিলেন প্রথম আইনজীবি। সাহারা খাতুন পরে একটি আইনজীবি প্যানেল তৈরী করেছিলেন। যাদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ। এছাড়াও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে অ্যডভোকেট ফজলে নূর তাপস শেখ হাসিনার আইনী দিকগুলো তদারকি করেছিলেন। এদের সঙ্গে পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছিলেন আরো অনেক আইনজীবি। এই আইনজীবি প্যানেল শেখ হাসিনার পক্ষে জনমতকে প্রবল করেছিল। তারা আদালতকে এটা প্রমাণ করতে পেরেছিলেন যে এই মামলাগুলো ছিল উদ্দেশ্যমূলক, শেখ হাসিনাকে হয়রানি করার জন্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপ্রসূত।

রাজনৈতিক

এসময় আওয়ামী লীগ বিভক্ত হলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে অটুট রাখা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের কারণে আওয়ামী লীগ সেই সময়ে ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছিল এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল বিভক্ত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যারা শেখ হাসিনার পক্ষে সোচ্চার থেকে তৃণমূলের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছিল তাদের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কথা। শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিল্লুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত তার অভিভাবকত্বেই আওয়ামী লীগ একটা নিশ্চিত ভাঙন থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও সেসময় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে মতিয়া চৌধুরীও আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

চিকিৎসা

শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার মুক্তির বিষয়টি সর্বপ্রথম আলোচিত হয়েছিল চিকিৎসকদের মধ্য দিয়ে। চিকিৎসকরাই প্রথম বলেছিলেন শেখ হাসিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার বিষয়টি। এই উচ্চারণটি করে যিনি অনন্য এবং শেখ হাসিনার মুক্তির পথের সূচনা করেছিলেন যিনি, তিনি হলেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। তিনিই প্রথম কেন্দ্রীয় কারাগারে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছিলেন যে শেখ হাসিনা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, তিনি একাই তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টার সামনে প্রতিকী অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন শেখ হাসিনার উন্নত চিকিৎসা এবং মুক্তির দাবিতে। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী পরবর্তীতে অন্যান্য চিকিৎসকদেরকেও সাহস যোগান এবং তাদেরকে শেখ হাসিনার চিকিৎসার করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করেন। তার নেতৃত্বে যেসব চিকিৎসকরা এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন ডা. শাহ আলম, ডা. শাহলা খাতুন এবং ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর কারণেই তারা শেখ হাসিনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।

সমঝোতা

শেখ হাসিনার মুক্তিটি কোনো আন্দোলনের ফসল নয় বরং সমঝোতার ফসল। এই সমঝোতার ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেনাসমর্থিত সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহলের সঙ্গে দেন-দরবার করে তাদের সঙ্গে একটি সমঝোতা আনার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মূল নেতারা অসমর্থ হলেও শেখ হাসিনার কিছু প্রিয়ভাজন ব্যক্তি সফল হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এবং তার পুত্র তানভীর ইমাম। তারা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্ন আপসরফার বৈঠক করেছিলেন। এছাড়া সকলের অজান্তে সেনাসমর্থিত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় ভূমিকা রেখেছিলেন ড. গওহর রিজভী। সেসময় গওহর রিজভীর সুবিধা ছিল যে তিনি তেমন আলোচিত ছিলেন না বলে তাকে কেউ চিনতো না, সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল সবার অগোচরে।

বিশ্ব নেতৃবৃন্দ

শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য কেবল জাতীয়ভাবে প্রক্রিয়া যথেষ্ট ছিল না, আন্তর্জাতিক সম্মতিরও প্রয়োজন ছিল। এবং এই আন্তর্জাতিক সম্মতির ক্ষেত্রে প্রায় একক ভূমিকা রেখেছিলেন তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি এবং কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা প্রণব মূখার্জি। মূলত প্রণব মূখার্জির উদ্যোগের কারণেই আন্তর্জাতিক মহল থেকে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকারের ওপর রীতিমতো চাপ সৃষ্টি হয়েছিল শেখ হাসিনার মুক্তির জন্য। এক্ষেত্রে প্রণব মূখার্জিকে সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন।

এই বিভিন্নমূখী প্রক্রিয়ার কারণেই ১১ জুন শেখ হাসিনা মুক্তিলাভ করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বাইরে শেখ হাসিনার একটা একান্ত বিশ্বস্ত অসংখ্য সহযাত্রী রয়েছে যাদের জন্য শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন এবং ২০০৮ এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবার নবযাত্রা শুরু করতে পেরেছিলেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জাপুরে বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রউফ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আরিফ এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হয়রত আলী মিঞা সম্পাদক এসএম মহসীন স্বাক্ষরিত পৃথক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানানো হয়।

সতর্ক বার্তাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, সদস্য আলী হোসেন রনি, প্রচার সম্পাদক সাঈদ আনোয়ার, গোড়াই ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অকরাম মল্লিক ভাওড়া ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক তপন হাসান খানসহ ২০ নেতা।


টাঙ্গাইল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন