ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে অপপ্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৯


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি, সঠিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ যখন উর্ধ্ব গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে অগ্রসর হচ্ছে, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ প্রকল্প সম্পর্কে সাম্প্রতিককালে অপপ্রচার শুরু করেছে একটি মহল। গত ২দিন আগে এরূপ একটি অশনি সংকেতের কথা বলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের। দেখা গেল অপপ্রচার সম্পর্র্কে তার ধারনা সঠিক। পরদিনই র‌্যাব পদ্মা সেতু নিয়ে অপপ্রচার চালানোর দয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর কোন স্বপ্ন নয়। ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে অনেক অংশ। নিজ অর্থায়নে এত বড় অংকের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বক্ষমতার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। স্বাধীনতা লাভের পরপরই এ দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ ছিল শূন্য, এখন প্রায় ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনীতির আকার ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার, এখন প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগের হার ছিল জিডিপির প্রায় ৯ভাগ, এখন ৩২ ভাগের বেশী এবং রপ্তানী আয় ছিল ০.৭ বিলিয়ন ডলার, এখন তা ৪৭ বিলিয়ন ডলার। জিডিপি প্রবৃদ্ধি (৭.৮৬), গড় আয়ু (৭২.৮ বছর), শিক্ষার হার (৭২.৮%), নবজাতক মৃত্যু প্রতি হাজারে (২৮.২ জন), নারীর ক্ষমতায়ণসহ মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের উপরে। কর্মক্ষম জনশক্তির প্রাপ্যতা, দক্ষতা, প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং উন্নয়নের অন্যান্য উপাদানের উপর ভিত্তি করে লন্ডনের প্রখ্যাত অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান Pricewaterhousecoopers(Pwc) আগামী দিনের বিশ্ব কেমন হবে এ বিষয়ে `World in 2050’ শীর্ষক প্রতিবেদনে পেশ করেছে, সেখানে উল্লেখ্য করা হয়েছে যে আগামী বছরগুলোতে পৃথিবীতে যে ০৩টি দেশ দ্রুত গতিতে উন্নতি করবে, তার একটি হচ্ছে বাংলাদেশ।

উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুত গতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বহুমুখী বিভিন্ন কর্মসূচী/প্রকল্পের মধ্যে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প অন্যতম। বর্তমান নাম আমার বাড়ী আমার প্রকল্প। প্রায় ৬০ লক্ষ দরিদ্র পরিবারের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা সৃষ্টি, স্বল্প সুদে মৌসুমী ঋণ প্রদান, কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতি বাড়ীকে আধুনিক কৃষি খামারে রূপান্তর ও দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে প্রকল্পের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের গতি এসছে। সদস্যবৃন্দ প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা সঞ্চয় করেছেন। পকল্পের কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। প্রকল্পের কার্যক্রমের পাশাপাশি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক পরিচালনার জন্য জুন/২০১৬ সালের পূর্বে গঠিত ৪০২১৫ টি সমিতি, জনবল ও সম্পদ ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক ৪৮৫ টি শাখায় অন-লাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তৃণমূল পর্যায়ে ডিজিটাল লেনদেন পরিচালনার জন্য প্রত্যেক সমিতিতে ২ জন করে লেনদেন ম্যানেজার (সমিতির সদস্য) নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। জনবলের ঘাটতি থাকায় খেলাপী ঋণের হার বেড়েছিল। জনবল সমস্য সমাধান হওয়ায় সে হারও নামছে সন্তোষজনক গতিতে। স্থানান্তরিত জনবলের পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাংকের ও প্রকল্পের এ উন্নয়নের সময়ে হঠাৎ করে কিছু কর্মকর্তা ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করে ঢাকায় এসে স্থায়ী হওয়ার দাবীসহ ৭ টি দাবী নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। ফেসবুকে আবার এ আন্দোলনে গতি প্রদানের জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারী পাশাপাশি কিছু অনাকাঙ্খিত ব্যাক্তি সংযুক্ত, যা সঙ্গত কারনেই প্রশ্নের সৃষ্টি করে।

দাবীর মধ্যে আছে ব্যাংকে জনবলের স্থায়ী নিয়োগ। ব্যাংক সূত্রে জানা যায় জুন/২০১৬ মাসের পূর্বে নিয়োগকৃত ৫৩৬৮ জন জনবলের মধ্যে ৪৭৫৬ জন ব্যাংকে স্থানান্তরিত হয়ে স্থায়ী নিয়োগ হয়েছে। অবশিষ্ট ৬১২ জনের শৃঙ্খলাজনিক কারণে ও লো-পারফরমেন্সে কারণে স্থানান্তরিত হয়নি। তারা পর্যায়ক্রমে স্থানান্তরিত হবেন। পদোন্নতির কার্যক্রমও বাস্তবায়ন পর্যায়ে। পদোন্নতি নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অন্য দাবীসমূহের মধ্যে প্রধান হচ্ছে চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদারের পদত্যাগ বা অপসারণ। আন্দোলনকারীগণের প্রতিনিধিবৃন্দ গত ১০/০৭/১৯ তারিখ এসব দাবী নিয়ে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এম.ডি জনাব আকবর হোসেনের সাথে আলোচনা করেছেন। তাদের দাবী চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবী মানা হলে তাদের অন্য দাবীর প্রতি আগ্রহ নেই।

অর্থাৎ দাবী হচ্ছে, চেয়ারম্যানের অপসারণ বা পদত্যাগ। কিন্তু কি কারনে তা বোধগম্য নয়। ফেসবুকে এ আন্দোলন বেগবান করার জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে যাদের পোষ্ট দেখা যায়, এর মধ্যে একজন হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, যিনি এ প্রকল্প ও ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার একাধিক পোষ্টে এ আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান আছে। সাথে আছে এ্যডভোকেট সিদ্দিক নামের একজন। প্রকল্প সূত্রে জানা যায় এ্যডভোকেট সিদ্দিকের প্রযোজনায় প্রকল্পের নামে “কিস্তির জ¦ালা” নামে একটি পূর্নদৈর্ঘ চলচ্চিত্র তৈরী করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া প্রকল্প থেকে কোন অর্থ না নিয়ে কিভাবে এ চলচ্চিত্র তৈরী করেছেন তা অজানা। চলচ্চিত্র মাঠ পর্যায়ে সিনেমা হলে মুক্তি প্রদানের পূর্বক্ষণে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা যায়। কিস্তির জ¦ালা সিনেমার কিছু অংশ ইউটিউবে আছে। দেখা যায় সেখানে এনজিওদের কার্যক্রম সম্পর্কে অনেক নেতিবাচর কথা বলা হয়েছে এবং পুলিশ দরিদ্র মানুষের বাড়ীঘর ভেঙ্গে এনজিওদের ঋণ আদায় করছে। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ এসব কাজ করেনা এবং এনজিওদের উন্নয়ন কার্যক্রমে দৃশ্যমান অবদান আছে। কাজেই এই সিনেমা প্রচার করতে না দেওয়াই যৌক্তিক ছিল। প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এ সিনেমার আর্থিক উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন আছে, আর এসব কারণেই এ আন্দোলনে এ্যডভোকেট সিদ্দিক সম্পৃক্ত হয়েছেন।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা আন্দোলন করতে পারেন না বা ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেন না। কিন্তু গত ০৮/০৭/১৯ তারিখের ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যাংকের ৪৮৫ টি শাখার মধ্যে ১৬৬ টি শাখার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং খোলা হয়নি। অন-লাইনে ব্যাংকিং খোলার পাসওয়ার্ড আছে শুধুমাত্র শাখা ব্যাবস্থাপকের কাছে। তিনি অন-লাইন কার্যক্রম খোলেননি বলে এসব শাখায় কোন লেনদেন করা সম্ভব হয়নি বা  হচ্ছেনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দরিদ্র মানুষ যাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজেই পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও আমার বাড়ী আমার খামার প্রকল্পসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বিশেষ উদ্যেগ বিঘ্নিত করার জন্য কারা কি কারনে কাজ করছেন তা জরুরী ভিত্তিতে সনাক্ত করে এখনই বন্ধ করা প্রয়োজন।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন