নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯
আজ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ খালেদার জামিন নাকচ করে দিয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মূলত স্বাস্থ্যগত কারণেই এই আবেদন করা হয়েছিল এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি জামিন পেয়ে যাবেন।
আপিল বিভাগ এই জামিন শুনানির জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট দিয়েছিলেন। মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতেই আপিল বিভাগ তাকে জামিন না দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নততর চিকিৎসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্তে বিএনপি ক্ষুব্ধ হলেও তারেক জিয়া উল্লসিত। লন্ডন থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, আদালতের রায় তারেককে যখন টেলিফোনে জানানো হয় তখন তারেক জিয়অ খুশিতে বলে ওঠেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। যদিও তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে সরকার বিএনপিকে আন্দোলন করার সুযোগ করে দিলো। এরফলে বিএনপি সংগঠিত হয়ে আন্দোলন করবে এবং সেভাবেই মুক্তি হবে। খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে তারেকের উল্লসিত হওয়ার ভিন্ন কারণ রয়েছে বলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন।
কারণ গত বছরের ৭ ফ্রেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারেক জিয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন। তখন থেকে বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য কিংবা কর্তৃত্ব তারেকের হাতেই। এর মাধ্যমে তারেক জিয়া বিএনপিকে তার পকেটস্থ সংগঠনে পরিণত করেছেন। স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোরও নেতৃত্ব তার ইচ্ছাতেই হচ্ছে।
এখন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপিতে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বে খালেদাপন্থীরা মনে করেন যে, খালেদা জিয়ার যদি জামিন হতো তাহলে খালেদা জিয়ার একক কর্তৃত্ব খর্ব হয়ে যেত। তখন খালেদা জিয়ার নির্দেশেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে পরিগণিত হতো। কারণ বিএনপিতে এখনও বেগম খালেদা জিয়াই সবচেয়ে জনপ্রিয়। দলের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনিই অবিসংবাদিত নেতা। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির কারণেই খালেদা জিয়াকে তারা মেনে নিচ্ছেন। যদিও বিএনপির তৃনমূলে একসময় তারেক জিয়ার জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে তারেকের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকে। তার একের পর এক সিদ্ধান্ত বিএনপিতে নানারকম বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।
এখন বিএনপি স্পষ্টত দ্বিধা বিভক্ত। খালেদাপন্থী বিএনপি এবং তারেকপন্থী বিএনপি এই দুটি ধারা তৈরী হয়েছে বিএনপিতে। এ কারণেই বিএনপির মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন যে, খালেদা জিয়ার মুক্তি না পাওয়ার পেছনে তারেকের হাত রয়েছে। কারণ বিএনপির এমপি হারুন অর রশিদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করেছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বলেছিলেন যে, তোমাদের যে নেতা লন্ডনে বসে আছেন, তিনি তার মায়ের মুক্তি চান কিনা এটা আগে আমাকে জানাও। এর জবাবে হারুন কিছু বলতে পারেননি। ধারণা করা হচ্ছে যে, তারেক জিয়া আইনজীবীদেরকে খালেদা জিয়ার মামলাগুলোকে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন না করার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। আবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিকে রাজপথে যেন বিএনপি জোড়ালো আন্দোলন করতে না পারে সেজন্যই তারেক জিয়া নানা রকম নির্দেশনা বা পরামর্শ দিচ্ছেন বলে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন। এরকম বাস্তবতায় খালেদা জিয়ার মুক্তি তারেকের অনাগ্রহে আটকে আছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
বিএনপির একটি অংশ মনে করছে যে, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্যারোলেও হতে পারে কিন্তু প্যারোলের জন্য যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সরকারের সঙ্গে সমঝোতার দরকার তারেকের জন্য সেটা আটকে গেছে। আর এসব থেকে যেটা উপসংহার টানতে চান বিএনপির অনেক নেতা তা হলো তারেক জিয়া খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে নেতৃত্ব থেকে তারেক জিয়াকে সরে যেতে হবে।
আর গত দুই বছরে তারেক জিয়া যে অপকর্মগুলো করেছেন সেই অপকর্মগুলোর সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়া ওয়াকিবহাল হবেন। কাজেই এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে বাইরে নিয়ে এসে বিপদে পড়তে চান না তারেক জিয়া। আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে আছে বলে অনেকেই মনে করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। তা হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রোববার
(১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
গত
বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে বিএনপি।
বিএনপি
মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর
তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা কারাগারে
রয়েছেন। বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসারস্থল হচ্ছে
কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
সাংবাদিকের
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে
একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখন
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে যায়, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট
হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার
ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে, অথচ বাংলাদশের
মানুষের অবস্থা খারাপ।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে আসলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চার সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। ওই চার সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কুমিল্লার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
জানতে চাইলে রেহানা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালেও আমি চেয়ারম্যান হয়েছি নৌকা প্রতীক নিয়ে। এবার দল সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালেও আহসানুল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আহসানুল আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আবু তৈয়ব ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন। আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
স্বজনদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারে ভাষ্য, প্রার্থীরা গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাই এবারও তাঁরা প্রার্থী।
সংসদ
সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দল প্রার্থিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। সারা দেশে বড়
নেতাদের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, সন্তানেরা প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যে অনেকে জয়ী হয়েছেন। দেবীদ্বারের
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মামুনুরকে চান। অনেকটা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য এম
এ জাহের।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ নিরসন না হতেই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সহিংসতা। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি দলটি কেন্দ্রীয়ভাবেও কাউকে সমর্থন দেয়নি। এর ফলে নির্বাচনে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন আওয়ামী লীগের কেউই। বরং মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্য বা মাই ম্যানদের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এর ফলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। আর যার ফলে বাড়ছে কোন্দল, বাড়ছে সহিংসতা। সংসদ নির্বাচনের পর পরই দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।