ইনসাইড পলিটিক্স

ভারতের আস্থা অর্জনই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৬ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

দীর্ঘদিন ধরেই কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী নেই বিএনপির। বিএনপির কর্মসূচী বলতে বক্তৃতা-বিবৃতি এবং টক শোতে এসে সরকারের সমালোচনা করা। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে ২৫ মাস জেলে ছিলেন সেই সময়ে দলটির রাজনীতি ছিল খালেদা জিয়ার মুক্তিকেন্দ্রিক। এখন সেই রাজনীতিও নেই, বেগম খালেদা জিয়া চার মাসের বেশি সময় ধরে ফিরোজাতে অবস্থান করছেন।

অনেকেই যেটা মনে করেছিল যে, বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হলে বিএনপির রাজনীতিতে চাঞ্চল্যতা ফিরবে, কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। বিএনপির রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তো দূরের কথা, বিএনপি আরো রাজনীতিহীন হয়ে পড়েছে এই সময়ে। বিশেষ করে করোনা সঙ্কটের সময়ে বিএনপিকে পাওয়া যায়নি জনগণের পাশে, বন্যার সময় বিএনপি নেতাদের কোন ত্রাণ তৎপরতা চোখে পড়েনি, এমনকি আম্ফানের সময়েও বিএনপির নেত্রীবৃন্দকে জনগণের পাশে দেখা যায়নি। এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপি কোন পথে এগোচ্ছে, লক্ষ্য কি বিএনপির? বিএনপি কি তাঁদের রাজনৈতিক দল হিসেবে গুটিয়ে ফেলেছে নাকি বিএনপি এখন জিয়ার কবর জিয়ারত ছাড়া অন্য কোন কর্মসূচী পালনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে?

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় যে, বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিবর্তিত হয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক প্রধান লক্ষ্য এখন ভারতের আস্থা অর্জন করা। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, বিএনপি মনে করছে যে, ভারতের আস্থা অর্জন করতে না পারলে বাংলাদেশে কোন রাজনীতি করাই সম্ভব নয়। আর এই কারণেই বিএনপি ভারতের কাছে এক রকমের আত্মসমর্পন করেছে এবং ভারতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ক্রীতদাস হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পূণর্বাসিত হতে চাইছে।

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, বিএনপির ভেতরে বেশকিছু অনুশাসন জারি করা হয়েছে এবং এই অনুশাসনের মোদ্দা কথা হলো ভারত বিরাগভজন হয় এরকম কোন বক্তব্য, মন্তব্য, বিবৃতি যেন না দেওয়া হয়। গত ২৫ মার্চের পর থেকে এই পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতা একটাও ভারতবিরোধী কোন মন্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করেনি। প্রকাশ্যে বিএনপি ভারতের ব্যাপারে খুব নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করছে, এমনকি যে বিষয়গুলো বিএনপির গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত রয়েছে, যেমন কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিএনপির গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট ভারতবিরোধী অবস্থান রয়েছে, সেই ব্যাপারেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য রাখা হয়নি।

১ বছর আগেও অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে বিএনপি নেতারা অনেক গরম বক্তৃতা দিয়েছিলেন, এবার যখন রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হলো তখন বিএনপি নেতারা মুখে কুলূপ এঁটে বসেছিলেন। তাঁরা এই নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। তাহলে কি বিএনপি ভারত বিরোধী রজনীতি থেকে সরে আসছে? বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে ইতিবাচক উত্তর পাওয়া গেছে।

বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা ভারতপন্থী হিসাবে পরিচিত তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিনির্মাণের জন্য। ভারত যেন বিএনপিকে বিশ্বাস করে সেটি পুন:প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এই দায়িত্ব পালনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খানসহ আরো কয়েকজন।

উল্লেখ্য যে, ২০০১ সালে ভারতের আশ্রয় নিয়েই ভারতের সঙ্গে দেনদরবার করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। এ সময় বিএনপি ভারতের সঙ্গে গ্যাস বিক্রীসহ বেশকিছু বিষয়ে মুচলেকা দিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে বিএনপি ভারতের সঙ্গে একরকম চুক্তি ভঙ্গই করেছে বলে মনে করে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে উলফাসহ ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছন্নতাবাদীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়াসহ বাংলাদেশের ভূখন্ডে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো কাজগুলো করে বিএনপি- জামাত জোট সরকার।  এইসবের নেপথ্যে তারেক জিয়া ছিলেন বলেও মনে করে ভারতীয় কূটনৈতিকরা। আর এ কারণেই ভারতের সঙ্গে এক অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরী হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। বিশেষ করে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা যে সরাসরি তারেকের তত্বাবধানে হয়েছে এ ব্যাপারে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা মোটামুটি নিশ্চিত।

২০০৭ সালের পটপরিবর্তনের আগে থেকেই ভারত বিএনপি থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। এরপর বেশকিছু ঘটনায় ভারতের সঙ্গে বিএনপির আরো দূরত্ব তৈরী হয়। বিশেষ করে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করলে খালেদা জিয়া তার সঙ্গে সাক্ষাত বাতিল করে, এরফলে ভারত- বিএনপি সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, ভারত যতক্ষণ না পর্যন্ত বিএনপিকে আশ্রয় না দেবে, ভারত যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপিকে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে স্বীকৃতি না দেবে, ততক্ষণ বাংলাদেশে বিএনপির কোন সম্ভাবনা নেই। আর এ কারণেই এখন বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো আগে ভারতকে বশীভূত করা, ভারতের আস্থা অর্জন করা। ভারতের আস্থা অর্জন না করে বাংলাদেশে যা কিছুই করা হোক না কেন তাতে কিছু ফল হবে না এমনটি মনে করেন বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতারা।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাঁচ সংকট

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যথারীতি বিরোধী দল বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। আওয়ামী লীগের নেতারাই অধিকাংশ উপজেলায় নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সন্তুষ্টি নেই। আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরক্তি কাজ করছে।

নানা কারণে উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারেনি বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। তারা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে উদ্বিগ্ন এবং দল ও গণতন্ত্রের জন্য সামনের দিনগুলোতে আরও সংকট অপেক্ষা করছে বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা।

প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সামনে পাঁচটি সংকটকে উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে-


১. ভোটার উপস্থিতি কম: উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার এবার সর্বনিম্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো উপজেলা নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে এবার ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম। ২০০৮ এর ভূমিধস বিজয়ের পর প্রথম আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হয় ২০০৯ সালে। সেই উপজেলা নির্বাচনে ৬৮ ভাগের বেশি ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ৬১ ভাগ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৪০ শতাংশের বেশি।

কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। এটি কখনোই স্বস্তি দেওয়ার খবর নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাধারণত ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেয়। কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা উৎসাহ নেয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের যে রিজার্ভ সমর্থক বলে যারা পরিচিত সেই ভোটাররাও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত ছিল না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতা কর্মীদেরকে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যায় সে জন্য উৎসাহিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। ভোটার উপস্থিতি কম থাকার ফলে আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তির কারণ।

২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল:
আওয়ামী লীগের জন্য এই নির্বাচন ছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর মাধ্যম। এ কারণেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, দলীয় প্রতীক উপজেলা নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যে কোন্দল এবং বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছিল তার কিছুটা হলেও অবসান ঘটবে।

কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগকে আরও বিভক্ত করেছে। বিশেষ করে যে সমস্ত স্থানে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ছিল, সেই বিরোধে গুলো আরও সহিংস রূপ নিয়েছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি অশনী সংকেত।

৩. কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতা: আওয়ামী লীগের জন্য উপজেলা নির্বাচনে একটি বড় অস্বস্তির বিষয় ছিল কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ মাঠে প্রতিফলিত হয়নি। দু একজন মন্ত্রী-এমপি ছাড়া অধিকাংশই তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন এবং প্রভাব বিস্তার করে জিতিয়ে এনেছেন। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি সতর্কবার্তা। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার এই প্রবণতা যদি বাড়তে থাকে সেটি ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।

৪. এলাকায় এলাকায় জমিদারতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র কায়েম: এবার উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন, তারা এলাকায় এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় একটি গোষ্ঠীতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র বা জমিদারতন্ত্র কায়েম হচ্ছে। এটিও আওয়ামী লীগের জন্য একটি খারাপ সংবাদ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

৫. অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে অনীহা: আওয়ামী লিগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার নেতাকর্মীদেরকে বলেছিলেন যে- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, নির্বাচনে যারা শক্তিশালী প্রার্থী হয়েছেন তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। পেশিশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, কালো টাকা ছড়িয়েছেন। আর এগুলো আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করেছে এবং জনগণের কাছে ভুল বার্তা দিয়েছে। এই সমস্ত অস্বস্তিগুলো উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে। এখন ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ কীভাবে এই সংকটগুলো কাটিয়ে উঠবে, সেটাই দেখার বিষয়।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচনে আসে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়, তাই নির্বাচনে আসে না। এই ভয় থেকে নির্বাচন বয়কট করে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতা, এই ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। অনেকে বলেন- পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি। আজ কিন্তু আমরা কোনো সমাবেশ করিনি। সমাবেশ আমরা করব, কারণ বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা, রক্তপাত। বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে যদি ছেড়ে দিই, তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যাও হতে পারে। এ কারণে আমাদের থাকতে হয়।

সমাবেশ থেকে এ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মারামারি, সংঘর্ষ, বিরোধ কিছু হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা নাম দিয়েছি শান্তি সমাবেশ, আমরা সেভাবেই শুরু ও শেষ করেছি। আমরা যদি মাঠে না থাকি তাহলে অতীতের অভিজ্ঞতা বলে বিএনপির সমাবেশ মানেই নৈরাজ্য, পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হাসপাতালে হামলা। এটা ২৮ অক্টোবর লক্ষ্য করেছি। আন্দোলন করেছে, আমরা নাকি পালানোর পথ পাব না। আর সেদিন দেখলাম কত যে দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে অলিগলি খুঁজে পাচ্ছিল না, পালাচ্ছিল। পালায় বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৭ সালে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই নেতার আজও দেশে ফেরার সৎ সাহস হয়নি। যে নেতার নির্দেশে বিএনপি চলে সেটা রিমোট লিডারশিপ। নেতৃত্ব যদি দেশে না থাকে সে আন্দোলন কোনো দিন সফল হয় না। আন্দোলনে ব্যর্থ হলে নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকাল (শনিবার) মোহাম্মদপুরে আমরা শান্তি উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেটি বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিজয়ীদের ফিরিয়ে আনবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ গুলোতে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ২৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এদের মধ্যে সাতজন বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদেরকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, সবগুলো নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করবে। যারা বহিষ্কৃত হয়েছে, তাদের মনোভাব যাচাই করবে এবং তারা যদি ক্ষমাপ্রার্থনা করে দলে ফিরতে চান তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে। 

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বলেছেন, যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে বিএনপির নেতিবাচক অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ফলাফল অনুযায়ী বিএনপির যে সাত জন নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের আশরাফ হোসেন আলিম, ভোলাহাটে আনোয়ার হোসেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আমিনুল ইসলাম বাদশা, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, গাজীপুর সদরে ইজাদুর রহমান মিলন, বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুছ ও সিলেট বিশ্বনাথের সোহেল আহমেদ চৌধুরী। এই সাতজনই বিএনপির জনপ্রিয় নেতা এবং এলাকায় তাদের প্রভাব রয়েছে। 

সরজমিনে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে সমস্ত উপজেলাগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা নেমেছিল সেই সমস্ত স্থানে তারা বিজয়ী হয়েছেন। আর যে সমস্ত স্থানে বিএনপির বহিষ্কৃত প্রার্থীদের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা নামেননি, তারা ভীত ছিলেন এবং দলের নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাদেরকে পরাজয়বরণ করতে হয়েছে। 

বিএনপির মধ্যে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ইতিহাসে সর্বনিম্ন। আর এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল। এটিকে তিনি বিএনপির জন্য একটি বিজয় হিসেবে দেখছেন। একই রকম মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাঁর মতে, উপজেলা নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি। বিএনপি যে ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছিল তাতে জনগণ সাড়া দিয়েছিল বলেই বিএনপির এই নেতা মনে করেন। 

তবে বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করার সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত ভোট হয়েছে এবং উপজেলাগুলোতে এখন আওয়ামী লিগের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 

বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কম ভোট হলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে। আমাদের প্রার্থীদেরকে যদি আমরা সমর্থন দিতাম, প্রার্থীরা যদি মাঠে কাজ করতে পারত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। তার মতে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচন করেছেন তারা সকলে নিজ দায়িত্ব করেছেন। একদিক থেকে তারা যেমন দলের পৃষ্ঠপোষকতা পাননি অন্যদিক কর্মী সমর্থকেরা তাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে এক ধরনের আড়ষ্ট ছিলেন। আর এ কারণেই তারা নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছেন।

বিএনপির কোনো কোনো নেতা অবশ্য দাবি করেন যে, এই নির্বাচনের ফলাফল পূর্বনুমতি ছিলো। কারণ ক্ষমতাসীন দল যে তাদের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আসবে এটি আগে থেকে জানা ছিলো। আর এ কারণেই বিএনপি ভোট বর্জনের সুযোগ নিয়েছিলো। তবে নির্বাচনের পর বিএনপি দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলেই বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যারা নির্বাচনে পরাজিত হবে তাদের আপাতত বিএনপিতে ফেরা সম্ভাবন নাই। আর যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে নানারকম কৌশলে বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। অত্যন্ত ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ। টানা তিন বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। কিন্তু তিনি এখন তাঁর এলাকায় পরবাসী হয়ে গেলেন। এলাকায় তার কর্তৃত্ব নড়বড়ে হয়ে গেল। নিজ এলাকায় তিনি এখন আগন্তুক এবং অপাংক্তেয় হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করছেন এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

১৩৯ টি উপজেলায় প্রথম ধাপের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচর ছিল অন্যতম। এই সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী তাঁর ছেলে শাবাব চৌধুরীকে সুবর্ণচর উপজেলার প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। আর এই উপজেলাতেই প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা অধ্যক্ষ সেলিম। অধ্যক্ষ সেলিম আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আশীর্বাদপুষ্ট ছিলেন বলে এলাকার সকলে জানেন। তিনি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বটে। কিন্তু তরুণ শাবাব চৌধুরী, একরামুল করিম চৌধুরী এবং তাঁর মার নির্বাচনী প্রচারণার বদৌলতে আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতাকে পরাজিত করেছেন। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর রাজনীতিতে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী কবিরহাটের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছেলে সুবর্ণচরের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। ফলে নোয়াখালীতে একরামুল চৌধুরীর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ল। 

নোয়াখালীর রাজনীতিতে ওবায়দুল কাদের এবং একরামুল করিম চৌধুরীর বিরোধ নতুন নয়। ওবায়দুল কাদের তাঁর নিজের লেখা গ্রন্থে এই বিরোধের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন এবং এই বিরোধের কারণেই তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলেও ওই বইয়ে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনী বিরোধের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন, রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য) এবং সাবের হোসেন চৌধুরী (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী) দুই জনের মধ্যস্থতায় একরামুল করিম চৌধুরীর সাথে ওবায়দুল কাদেরের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেন এবং এরপর থেকে দুজন মোটামুটি একটা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রেখে আসছিলেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। এসময় কাদের মির্জা একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করতে থাকেন। এটি একরামুল করিম চৌধুরীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। এ নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছেও অভিযোগ করেছিলেন। এই বিরোধের জেরে নোয়াখালীর রাজনীতি আবার একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। 

শুধু নোয়াখালীর রাজনীতি না, কাদের মির্জার কারণে পুরো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড প্রশ্নের মুখোমুখো হয়। সেই পরিস্থিতি ওবায়দুল কাদের দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর একরামুল করিম চৌধুরী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং তিনিও বিভিন্ন ভাবে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে নানা রকম বক্তব্য রেখেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরকম বাস্তবতায় একরামুল করিম চৌধুরী এবার উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তাঁর ছেলেকে নির্বাচনে প্রার্থী করলেন এবং বিজয়ী করে আনলেন। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়ল সেটা পরের কথা। নোয়াখালীর রাজনীতিতে কাদের পরিবারকে অনেকটাই কোণঠাসা করে ফেললেন একরামুল করিম চৌধুরী।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন