ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোন দেশের সেনাবাহিনী কতোটা শক্তিশালী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানোয় বাংলাদেশে আগত শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। টেকনাফ-উখিয়ায় প্রাণ বাঁচাতে লাখোরোহিঙ্গা শরণার্থীরা জড়ো হয়েছেন। চলমান সংকটের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই হেলিকপ্টার নিয়ে প্রবেশ করেছে। এসেছে সামরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতি বছর বিশ্বের সব দেশের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে র‌্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে।

সিআই এর ফ্যাক্টশিট ও উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তারা তালিকা তৈরি করে। চলতি বছর তাদের র‌্যাংকিং অনুযায়ী মিয়ানমার তালিকায় ৩১তম এবং বাংলাদেশ৫৭তম।

তবে এখানে পরমাণু অস্ত্রকে শক্তি হিসেবে ধরা হয়নি। দেশের আকার, সামরিক খাতে বাজেটের অংক, সেনাসদস্যের সংখ্যা ও যুদ্ধের সরঞ্জামের সংখ্যা অনুযায়ী এখানে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারে মোট সেনাসদস্য পাঁচ লাখ ১৬ হাজার। আর বাংলাদেশের রয়েছে দুই লাখ পঁচিশ হাজার। মিয়ানমারের মোটবিমান রয়েছে ২৪৯টি। যার মধ্যে ৫৬টি ফাইটার বিমান। অ্যাটাক হেলিকপ্টারে আছে নয়টি। যুদ্ধট্যাংক আছে ৫৯২টি। কোনো যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী নেই।ডুবোজাহাজও নেই। ফ্রিগেট রয়েছে পাঁচটি। বছরে তাদের সামরিক বাজেট ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের রয়েছে ১৬৬টি বিমান। এর মধ্যে ফাইটার বিমান ৪৫টি। কোনো অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই। যুদ্ধট্যাংক আছে ৫৩৪টি। বাংলাদেশেরও ডেস্ট্রয়ার, ডুবোজাহাজ ও বিমানবাহী রণতরী নেই। নৌবাহিনীর মাত্র ৮৯টি নৌযান রয়েছে। সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী শক্তিশালী দশ সেনাবাহিনী হল-

১. যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে পাঁচ হাজার ৮৭৮ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে যা অন্যান্য দেশের থেকেও বেশি। তাদের ১০টি বড় যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার আছে।অন্য কোনো দেশে এ পরিমাণ ক্যারিয়ার নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্যারিয়ার আছে। আর ভারত তার তৃতীয় ক্যারিয়ার তৈরি করেছে।সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ছয় হাজার আটশটি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

২. রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানের বহর আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি ডুবোজাহাজ আছে। রাশিয়া সামরিকখাতে তাদের বাজেট আরো বড় করেছে। সামরিক শক্তিতে রাশিয়াও যে এগিয়ে আছে তা সিরিয়া সেনাবাহিনী পাঠানোর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। রাশিয়ারবাজেট চার হাজার ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। ডুবোজাহাজ আছে ৫৫টি এবং ট্যাংকের সংখ্যা ১৫,৩৯৮। রাশিয়ার রয়েছে প্রায় সাত হাজারটি পারমাণবিক ওয়ারহেড।

৩. চীন

গত কয়েক দশকে চীনের সামরিক শক্তি খুব দ্রুত বেড়ে উঠেছে। যদি শুধু সৈন্যদের সংখ্যা ধরা হয় তবে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর অধিকারী।মোট ২৩,৩৩,০০০ সদস্য আছে তাদের সেনা বহরে। রাশিয়ার পর তাদের সবচেয়ে বেশি ট্যাংকের মজুদ আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশিডুবোজাহাজ রয়েছে তাদের। সেনাশক্তি আধুনিকায়নের জন্য চীর দীর্ঘ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও পঞ্চম প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা আছে। চীনের রয়েছে ২৬০টি ওয়ারহেড।

৪. ভারত

ভারতের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সেনা সদস্য রয়েছে ভারতের। ৬,৪৬৪ টি ট্যাংকও ১,৯০৫টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। ভারতের কাছে পরমাণু অস্ত্রও রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ভারত সামরিক শক্তিতে বিশ্বের চতুর্থশীর্ষ দেশ হবে। দেশটির কাছে ১১০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে।

৫. ফ্রান্স

ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু তারা উচ্চ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ। তাদের নতুন যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার চার্লস ডি গল রয়েছে। তারা প্রায়ইআফ্রিকার দেশগুলোতে সেখানকার সরকারি ব্যবস্থা স্থির রাখতে ও উগ্রবাদ রুখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। ফ্রান্সের সামরিক খাতে বাজেট মোট ৬২৩কোটি মার্কিন ডলার। মোট ৩০০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে দেশটির অধীনে।

৬. যুক্তরাজ্য

২০১০ ও ২০১৮ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য তাদের সেনাবাহিনী ২০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের নৌবাহিনী এইচএমএস কুইন এলিজাবেথযুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার যোগ করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২০ সালে এটি যুক্ত হবে। এই ৪০টি এফ-৩৫বি ফাইটার বিমান বহন করতে পারে। যুক্তরাজ্যেরসামরিক বাজেট ৬০৫ কোটি মার্কিন ডলার। মোট ২১৫টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে।

৭. জাপান

জাপানের সৈন্য সংখ্যা খুবই কম এবং সামরিক সরঞ্জামও তাদের পর্যাপ্ত না। কিন্তু ক্রেডিট সুইস এরপরও জাপানকে চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হিসেবেদেখিয়েছে। ডুবোজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দিয়ে তারা এই দেশকে শক্তিশালী হিসেবে দেখিয়েছে। চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপানে সবচেয়েবেশি হেলিকপ্টার আছে। জাপানের সামরিক বাজেট মোট ৪১৬ কোটি মার্কিন ডলার। তবে জাপানের নিজস্ব কোনো পরমাণু অস্ত্র নেই।

৮. তুরস্ক

পূর্ব ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী রয়েছে তুরস্কের। দেশটির কোনো যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার নেই; কিন্তু ডুবোজাহাজের পরিমাণ অনেকবেশি। তুরস্কের হেলিকপ্টার, ১০২০টি যুদ্ধবিমান ও ৩৭৭৮টি ট্যাংক রয়েছে। সামরিক খাতে তাদের বাজেট ৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সামরিক জোট ন্যাটোর অধিভুক্ত হওয়ায় তুরস্ক ও জার্মানি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরমাণু অস্ত্রের সহায়তা পেয়েছে।

৯. জার্মানি:

জার্মানির কোনো বিমানবাহী রণতরী নেই। মাত্র ৪টি ডুবোজাহাজ রয়েছে। প্রতি বছর সামরিক খাতে ৪০২ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট বরাদ্দ রাখে। মোট৪০৮টি যুদ্ধট্যাংক রয়েছে। সামরিক কর্মকর্তার সংখ্যা মোট দুই লাখ দশ হাজার। সম্প্রতি ইউরোপের ন্যাটো সদস্যদের সামরিক সহায়তা দেয়ার ক্ষমতাপেয়েছে।

১০. মিসর:

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন ও তুলনামূলকভাবে বড় সেনাবাহিনী আছে মিসরের। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। বিশ্বের পঞ্চমবৃহৎ ট্যাংকবাহিনী আছে দেশটিতে। মোট চার হাজার ৬২৪টি যুদ্ধট্যাংক আছে তাদের। শুধু তাই নয় দেশটির রয়েছে অন্যতম বড় বিমানবাহিনী। মোটসামরিক বাজেট ৪৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

লিংক: https://www.globalfirepower.com/countries-listing.asp

বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি/জেডএ




মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটেনে শিশুপুত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম 'মোহাম্মদ'

প্রকাশ: ১০:৩২ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এখন ব্রিটেনেও  সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মোহাম্মদ। মোহাম্মদ নামটি যেন মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে।

শনিবার (১৮ মে) সরকারি তথ্য ঘেঁটে এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির নতুন রাজা চার্লসের নাম মাঝখানে ছেলে শিশুদের জনপ্রিয় ১০০ নামের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল। কিন্তু এখন, আর আগের অবস্থানে নেই এই নামটি। ব্রিটেনে ইউরোপীয় স্টাইলের নামের পাশাপাশি ধর্মীয় নাম রাখার প্রবণতাও বাড়ছে। 

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শিশুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামের তালিকায় এখনো শীর্ষে রয়েছে অলিভিয়া ও নোয়া। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ নাম ওটিলিয়ে ও এলোডিয়ে, গ্রিক অফেলিয়া ও আইরিশ মেইভের মতো নাম মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২২ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জনপ্রিয় নামের তালিকা ঘেঁটে এমন চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালের মে মাসে নতুন রাজার অভিষেক হওয়ার পর চার্লস নামটির জনপ্রিয়তা বেশ বেড়ে যায়। তবে তা ছিল সাময়িক। ইংল্যান্ডে এবং ওয়েলসে মেয়ে শিশুদের পছন্দনীয় ১০টি নাম হচ্ছে- অলিভিয়া, আমেলিয়া, ইসলা, আভা, লিলি, আইভি, ফ্রেইয়া, ফ্লোরেন্স, ইসাবেলা ও মিয়া। আর ছেলে শিশুদের শীর্ষ ১০ নাম হচ্ছে- নোয়া, মুহাম্মদ, জর্জ, অলিভার, লিও, আর্থার, অস্কার, থিওডোর, থিও ও ফ্রেডি।


ব্রিটেন   শিশুপুত্র   মোহাম্মদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

প্রকাশ: ১০:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার পর এবার মঙ্গল যাত্রায় মন দিয়েছে ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল যাত্রার জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো। আর এতেই লাল গ্রহে অবতরণকারী তৃতীয় দেশ হতে যাচ্ছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলযানের প্রথম অভিযান আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় অভিযান অনেকটাই আলাদা হবে। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল টেকনোলজি ডে- দিন এই বিষয়ে একটি প্রোজেক্ট প্রেজেন্টেশন করে ইসরো। সেখানেই প্রকাশ পেয়েছে পরিকল্পনাটি।

জানা গেছে, মঙ্গলযানের জন্য স্কাই ক্রেন, সুপারসনিক প্যারাসুট, হেলিকপ্টার রোভারের ব্যবস্থা করবে ইসরো। এর আগে মঙ্গলে অবতরণ করতে এই পদ্ধতি বা প্রযুক্তির অবলম্বন করেছিল আমেরিকা চীন। এবার আমেরিকা চীনের মতোই প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।


মঙ্গল যাত্রা   ভারত   ইসরো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা ভোটে যে কারণে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী হননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তবে দাদা রাহুল গান্ধী লড়ছেন নির্বাচনে। গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দলের হয়ে প্রচার চালানোর জন্যই তিনি প্রার্থী হননি। প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুল গান্ধী দুজনেই ভোটে প্রার্থী হলে সেটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক হয়ে যেতো বলে মনে করেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কা জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত ১৫ দিন ধরে রায়বেরিলিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে রায়বেরিলির সম্পর্ক অনেক দিনের। তাই এখানকার জনগণ আশা করে, আমরা এখানে আসব। তাদের সঙ্গে দেখা করব। ভালোমন্দের খবর নেবো। আমরা এখানে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে জিততে পারি না।

গান্ধী পরিবারের ঘাঁটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়ছেন রাহুল। এর আগে আসনে প্রার্থী হতেন তার মা, সোনিয়া গান্ধী। চলতি বছরের শুরুতে সোনিয়া রাজ্যসভায় চলে যান। মায়ের ছেড়ে আসা আসনেই লড়ছেন রাহুল।

প্রিয়াঙ্কা বলেন, দুই ভাইবোন ভোটে লড়লে, দুজনকেই নিজেদের কেন্দ্রে অন্তত ১৫ দিন থাকতে হত। তাই আমরা ঠিক করি, একজন পুরো দেশে প্রচার চালাবে। সেটা দলের জন্য খুব ইতিবাচক হবে। দলীয় স্তরে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভবিষ্যতে ভোটে লড়বেন কী না জানতে চাইলে কৌশলে তা এড়িয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, আমি কখনই সংসদীয় রাজনীতি করা কিংবা ভোটে লড়ার কথা ভাবিনি। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে, সেটাই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো। যদি মানুষ চায় তাহলে আমি অবশ্যই ভোটে লড়ব।


লোকসভা   ভোট   প্রিয়াঙ্কা গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পর্যটকসহ নিহত ৬

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় বামিয়ান প্রদেশে বন্দুকধারীদের গুলিতে স্পেনের ৩জন পর্যটক ও ৩ জন আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। তালেবান সরকার এই তথ্য জানিয়েছে। 

তিন আফগান ও তিন স্প্যানিশ পর্যটকের মরদেহ রাজধানী কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার কাবুল থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি শহর বামিয়ানের একটি বাজারের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, নিহত ও আহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। মৃতদেহগুলো কাবুলে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে। আহতরাও কাবুলে রয়েছেন। 

আহত আটজনের মধ্যে চারজন বিদেশি। একজন বয়স্ক বিদেশি নারীর অবস্থা গুরুতর। বামিয়ানের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতরা নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং স্পেনের বাসিন্দা।

আবদুল মতিন কানি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে একজন তালেবান সদস্যও রয়েছেন। কোনো অস্ত্রধারী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। 

সাতজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজন আহত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কানি। 


আফগানিস্তান   গুলি   পর্যটক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

এদিকে শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে এবং শনিবার কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে আমাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।

এর মধ্যে উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় ২৮ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রের গেটে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ফালুজাহতে পানির জন্য লাইনে দাঁড়ানো একদল লোকের ওপর ইসরায়েল আর্টিলারি হামলা চালালে আটজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের একটি বাড়িতে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসের পূর্বে অবস্থিত আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-ফারহিন এলাকায় হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের একটি বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিম রাফাতে একটি গাড়িতে পৃথক হামলায় শনিবার আরও একজন নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


গাজা   শরণার্থী   শিবির   হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন