ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোন দেশের সেনাবাহিনী কতোটা শক্তিশালী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানোয় বাংলাদেশে আগত শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। টেকনাফ-উখিয়ায় প্রাণ বাঁচাতে লাখোরোহিঙ্গা শরণার্থীরা জড়ো হয়েছেন। চলমান সংকটের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই হেলিকপ্টার নিয়ে প্রবেশ করেছে। এসেছে সামরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতি বছর বিশ্বের সব দেশের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে র‌্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে।

সিআই এর ফ্যাক্টশিট ও উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তারা তালিকা তৈরি করে। চলতি বছর তাদের র‌্যাংকিং অনুযায়ী মিয়ানমার তালিকায় ৩১তম এবং বাংলাদেশ৫৭তম।

তবে এখানে পরমাণু অস্ত্রকে শক্তি হিসেবে ধরা হয়নি। দেশের আকার, সামরিক খাতে বাজেটের অংক, সেনাসদস্যের সংখ্যা ও যুদ্ধের সরঞ্জামের সংখ্যা অনুযায়ী এখানে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারে মোট সেনাসদস্য পাঁচ লাখ ১৬ হাজার। আর বাংলাদেশের রয়েছে দুই লাখ পঁচিশ হাজার। মিয়ানমারের মোটবিমান রয়েছে ২৪৯টি। যার মধ্যে ৫৬টি ফাইটার বিমান। অ্যাটাক হেলিকপ্টারে আছে নয়টি। যুদ্ধট্যাংক আছে ৫৯২টি। কোনো যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী নেই।ডুবোজাহাজও নেই। ফ্রিগেট রয়েছে পাঁচটি। বছরে তাদের সামরিক বাজেট ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের রয়েছে ১৬৬টি বিমান। এর মধ্যে ফাইটার বিমান ৪৫টি। কোনো অ্যাটাক হেলিকপ্টার নেই। যুদ্ধট্যাংক আছে ৫৩৪টি। বাংলাদেশেরও ডেস্ট্রয়ার, ডুবোজাহাজ ও বিমানবাহী রণতরী নেই। নৌবাহিনীর মাত্র ৮৯টি নৌযান রয়েছে। সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার।

গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকা অনুযায়ী শক্তিশালী দশ সেনাবাহিনী হল-

১. যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে পাঁচ হাজার ৮৭৮ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে যা অন্যান্য দেশের থেকেও বেশি। তাদের ১০টি বড় যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার আছে।অন্য কোনো দেশে এ পরিমাণ ক্যারিয়ার নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্যারিয়ার আছে। আর ভারত তার তৃতীয় ক্যারিয়ার তৈরি করেছে।সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ছয় হাজার আটশটি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

২. রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানের বহর আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি ডুবোজাহাজ আছে। রাশিয়া সামরিকখাতে তাদের বাজেট আরো বড় করেছে। সামরিক শক্তিতে রাশিয়াও যে এগিয়ে আছে তা সিরিয়া সেনাবাহিনী পাঠানোর মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। রাশিয়ারবাজেট চার হাজার ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। ডুবোজাহাজ আছে ৫৫টি এবং ট্যাংকের সংখ্যা ১৫,৩৯৮। রাশিয়ার রয়েছে প্রায় সাত হাজারটি পারমাণবিক ওয়ারহেড।

৩. চীন

গত কয়েক দশকে চীনের সামরিক শক্তি খুব দ্রুত বেড়ে উঠেছে। যদি শুধু সৈন্যদের সংখ্যা ধরা হয় তবে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর অধিকারী।মোট ২৩,৩৩,০০০ সদস্য আছে তাদের সেনা বহরে। রাশিয়ার পর তাদের সবচেয়ে বেশি ট্যাংকের মজুদ আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশিডুবোজাহাজ রয়েছে তাদের। সেনাশক্তি আধুনিকায়নের জন্য চীর দীর্ঘ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ও পঞ্চম প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা আছে। চীনের রয়েছে ২৬০টি ওয়ারহেড।

৪. ভারত

ভারতের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সেনা সদস্য রয়েছে ভারতের। ৬,৪৬৪ টি ট্যাংকও ১,৯০৫টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। ভারতের কাছে পরমাণু অস্ত্রও রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ভারত সামরিক শক্তিতে বিশ্বের চতুর্থশীর্ষ দেশ হবে। দেশটির কাছে ১১০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে।

৫. ফ্রান্স

ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু তারা উচ্চ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ। তাদের নতুন যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার চার্লস ডি গল রয়েছে। তারা প্রায়ইআফ্রিকার দেশগুলোতে সেখানকার সরকারি ব্যবস্থা স্থির রাখতে ও উগ্রবাদ রুখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। ফ্রান্সের সামরিক খাতে বাজেট মোট ৬২৩কোটি মার্কিন ডলার। মোট ৩০০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে দেশটির অধীনে।

৬. যুক্তরাজ্য

২০১০ ও ২০১৮ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য তাদের সেনাবাহিনী ২০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। তাদের নৌবাহিনী এইচএমএস কুইন এলিজাবেথযুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার যোগ করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২০ সালে এটি যুক্ত হবে। এই ৪০টি এফ-৩৫বি ফাইটার বিমান বহন করতে পারে। যুক্তরাজ্যেরসামরিক বাজেট ৬০৫ কোটি মার্কিন ডলার। মোট ২১৫টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে তাদের অস্ত্রভাণ্ডারে।

৭. জাপান

জাপানের সৈন্য সংখ্যা খুবই কম এবং সামরিক সরঞ্জামও তাদের পর্যাপ্ত না। কিন্তু ক্রেডিট সুইস এরপরও জাপানকে চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হিসেবেদেখিয়েছে। ডুবোজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দিয়ে তারা এই দেশকে শক্তিশালী হিসেবে দেখিয়েছে। চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপানে সবচেয়েবেশি হেলিকপ্টার আছে। জাপানের সামরিক বাজেট মোট ৪১৬ কোটি মার্কিন ডলার। তবে জাপানের নিজস্ব কোনো পরমাণু অস্ত্র নেই।

৮. তুরস্ক

পূর্ব ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী রয়েছে তুরস্কের। দেশটির কোনো যুদ্ধবিমান ক্যারিয়ার নেই; কিন্তু ডুবোজাহাজের পরিমাণ অনেকবেশি। তুরস্কের হেলিকপ্টার, ১০২০টি যুদ্ধবিমান ও ৩৭৭৮টি ট্যাংক রয়েছে। সামরিক খাতে তাদের বাজেট ৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সামরিক জোট ন্যাটোর অধিভুক্ত হওয়ায় তুরস্ক ও জার্মানি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরমাণু অস্ত্রের সহায়তা পেয়েছে।

৯. জার্মানি:

জার্মানির কোনো বিমানবাহী রণতরী নেই। মাত্র ৪টি ডুবোজাহাজ রয়েছে। প্রতি বছর সামরিক খাতে ৪০২ কোটি মার্কিন ডলারের বাজেট বরাদ্দ রাখে। মোট৪০৮টি যুদ্ধট্যাংক রয়েছে। সামরিক কর্মকর্তার সংখ্যা মোট দুই লাখ দশ হাজার। সম্প্রতি ইউরোপের ন্যাটো সদস্যদের সামরিক সহায়তা দেয়ার ক্ষমতাপেয়েছে।

১০. মিসর:

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন ও তুলনামূলকভাবে বড় সেনাবাহিনী আছে মিসরের। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। বিশ্বের পঞ্চমবৃহৎ ট্যাংকবাহিনী আছে দেশটিতে। মোট চার হাজার ৬২৪টি যুদ্ধট্যাংক আছে তাদের। শুধু তাই নয় দেশটির রয়েছে অন্যতম বড় বিমানবাহিনী। মোটসামরিক বাজেট ৪৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

লিংক: https://www.globalfirepower.com/countries-listing.asp

বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি/জেডএ




মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৮ জনে। এছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে, কারণ রোববার (৫ মে) ১০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যা আগের দিন প্রায় ৭০ জন ছিল।

উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহরে গত কয়েকদিনের ঝড় ও বর্ষণে বন্যার প্রভাব পড়েছে।

বন্যায় বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিধস এবং একটি বাঁধের আংশিক ভেঙে যায়। ফলে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া, সুপেয় পানির সংকটে পড়েন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।

ব্রাজিলের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা অনুসারে, মূলত পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদ ও এর তীর ভেঙেছে, ফলে বন্যার পানির স্তর অনেক বেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা নৌকা, জেট স্কি, এমনকি সাঁতার কেটে চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন।

পোর্তো আলেগ্রির নিকটবর্তী ক্যানোস শহরের কাইলি মোরেস নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্যার পানি তাদের বাড়ির প্রায় দ্বিতীয় তলায় উঠে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিন সন্তান ও স্বামীর সঙ্গে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। গত ৫২ বছরে এ অঞ্চলে এমন বন্যা দেখেননি তিনি।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, এটিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট। পাশাপাশি এ রাজ্যে যুদ্ধ পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

এর আগে, গত বছর রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে ঘূর্ণিঝড়ে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, এই হামলায় তাদের তিন সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩.৬ কিলোমিটার (২.২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

গাজায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং এতে করে সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে গাজার অসহায় ও দুর্গত মানুষকে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যে কয়েকটি পথ ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে এই ক্রসিংটি অন্যতম।

এদিকে মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আলোচনা করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, সর্বশেষ রাউন্ডের এই আলোচনা রোববার শেষ হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিদল এখন হামাস নেতৃত্বের সাথে পরামর্শ করতে কায়রো থেকে কাতারে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস এই মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন এবং তিনিও এখন দোহায় আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী ত্যাগ করেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দিদের সাথে গাজায় আটক বন্দিদের বিনিময় করা হবে। হামাস বলেছে, তারা বর্তমান প্রস্তাবটিকে ‘ইতিবাচক আলোকে’ দেখেছে, তবে মূল পয়েন্ট হচ্ছে- যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনটি হবে তা নিয়ে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি যে কোনও চুক্তিতে যুদ্ধের অবসানের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিচ্ছে, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র (হামাসের এই দাবি) মেনে নিতে পারে না, আমরা এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত নই যেখানে হামাস ব্রিগেডগুলো তাদের বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে, তাদের সামরিক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করবে এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

ইসরায়েলের এই কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হবে ভয়ঙ্কর পরাজয়।’


হামাস   রকেট   হামলা   ইসরায়েল   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন কি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন!

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতা নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এটি যে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘরোয়া ইস্যুতে পরিণত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় মাস আগে তাকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে, তা বোধ হয় বুঝতে পারেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠেছে তাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনে এর বড় খেসারত দিতে হতে পারে বাইডেনকে। দেশটিতে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘বাইডেনের ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। এদিকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলো বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামনের দিনগুলোতে ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছে দশকের পর দশক ধরে। নিজভূমে পরবাসী হয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলি গোলার মুখে বসবাস করতে হচ্ছে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর গাজাজুড়ে যে বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী আর যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে তেল আবিবকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, তাতে খোদ ইসরায়েলি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও তাদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই ইসরায়েলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছে।

অনেকেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণাও দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও দমছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন যদি অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে ইসরায়েলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায় তার পাশে থাকবেন না বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। গত রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার পার্টি বর্জন করেন তারা। এর মধ্য দিয়ে তাকে কঠোরভাবে একটি বার্তা দেয় সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের বেশিরভাগ ভোট বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যায়। কিন্তু নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক সেই মুসলিম ভোট বাইডেন হারাতে যাচ্ছেন বলে ডেমোক্র্যাট শিবিরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর সেরকমটা হলে হোয়াইট হাউসে তার দ্বিতীয়বারের মতো যাওয়ার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভ। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যে ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে তারপর আর যুদ্ধের বিরোধিতায় সেরকম বড় ছাত্র বিক্ষোভ দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক এ বিক্ষোভ এক ধরনের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসনযন্ত্রে। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের দাবি দিনের পর দিন আরও জোরালো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। দেশটির তরুণ ও ছাত্রসম্প্রদায় যারা কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের পাশে ছিলেন, তারা এখন দেশটির পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপেও ইসরায়েলের পাশ থেকে মার্কিন ছাত্রসমাজের সরে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে, যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে। এ ছাত্র বিক্ষোভ যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক নতুন করে ঠিক করে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। এরই মধ্যে বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে যেভাবে মারমুখী হতে দেখা গেছে, তা নিয়ে মারাত্মক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। ছাত্রদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাইডেন প্রশাসন কঠোর হাতে দমন করছে বলে খোদ ডেমোক্র্যাট শিবিরেই অভিযোগ উঠেছে। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, বাইডেনের ‘ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনকে তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সঙ্গে, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে শিক্ষার্থী-বিক্ষোভের জেরে ১৯৬৮ সালে পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্যান্ডার্স বলেছেন, এবার ইসরায়েল নিয়ে তার অবস্থানের জন্য যুব সম্প্রদায় ও ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশের সমর্থন খুইয়ে বাইডেনের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

এদিকে গত বুধবার দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আবার কিছু কিছু ক্যাম্পাসে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেদিনই বলেছিলেন যে, এটাই শেষ নয়। তারা আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। এদিনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এখানে পুলিশকে বেশ সংযমী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তবে শনিবার শার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৫ বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। সামনের দিনগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন