নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১
বাংলাদেশ আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনে যাচ্ছে। প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল থেকে যে লকডাউন দেয়া হয়েছিলো কার্যত সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। জন চাপে কোনো লকডাউন হয়নি। এখন সরকার কঠোরভাবে লকডাউন আরোপ করবেন বলে সরকারের অন্তত দুইজন মন্ত্রী গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। এই লকডাউন নিয়ে জনমনে ইতিমধ্যেই অস্থিরতা এবং অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। গত বছরের শুরু থেকেই বিশ্বকে নাস্তানাবুদ করছে করোনা। করোনা মোকাবেলায় লকডাউনই সেরা উপায় বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তবে দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে লকডাউন এর বিকল্প নিয়েও এখন কাজ করছেন এবং অনেকগুলো দেশ লকডাউন না দিয়েও করোনা মোকাবেলায় সফল হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে দেশগুলো উন্নত দেশ, অর্থনৈতিকভাবে মজবুত ভিত্তি আছে এবং জনসংখ্যা কম, তারা লকডাউনে যায় এবং লকডাউনে গিয়ে তাদের জনগণের তেমন কোনো কষ্ট হয় না। কারণ যে পরিমাণ আর্থিক প্রণোদনা তাদের দেয়া হয়, সেটা দিয়ে তারা ঘরে বসে
স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য লকডাউন এক ধরনের নাজুক পরিস্থিতি তৈরি করে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা বাড়িয়ে দেয়, জীবন-জীবিকাকে দুর্বিষহ করে তোলে। এই জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে লকডাউন এর ব্যাপারে তীব্র নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।
সাধারণ মানুষ মনে করে যে, না খেয়ে মরার চেয়ে করোনায় মরা ভালো। মানুষ শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে চায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে এরকম মনোভাব ক্রমশ তীব্র হচ্ছে যে, করোনায় অসুস্থ হলে সুস্থ হওয়ার পথ আসবে, কিন্তু জীবিকা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ এমনিতেই মারা যাবে এবং সেখান থেকে উদ্ধারের কোনো পথ থাকবে না। আর এই কারণেই লকডাউনের বিকল্প চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাজ করছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দেশ লকডাউন এর বদলে বরং স্বাস্থ্যবিধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন তার লকডাউন এর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বরং স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। একাধিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করে যে পাঁচটি কারণ পাওয়া গেছে যা দিয়ে লকডাউন ছাড়াই করোনা মোকাবেলা করা যায়। সেগুলো হলো,
১. কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা: স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের মাধ্যমেই করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব এবং এটি করোনা মোকাবেলার সবচেয়ে ভালো উপায়, এটি মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। একজন মানুষ যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করে, মাস্ক ব্যবহার করে এবং বার বার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে, তাহলেই তিনি করোনা থেকে বাঁচতে পারেন। এই ধারণাটা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের চেয়ে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. জনসমাগমের বিষয়গুলো বন্ধ করা: পৃথিবীর বহু দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লকডাউনে যায় নি। কিন্তু জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মকাণ্ড গুলো বন্ধ করেছে। যেমন, বিয়ের অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মহাফিল, সামাজিক সম্মেলন, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক সমাবেশ ইত্যাদি বন্ধ করে এসবের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে অনেকখানি সাফল্য আসতে পারে। পাবলিক গ্যাদারিং হয় বা জনসমাগম হয় এমন বিষয়গুলোর ওপর শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞা করে সবকিছুকে সচল রাখা যায়।
৩. দোকানপাট এবং বাজার-হাটের সময়সীমা পৃথক পৃথক করে দেওয়া: ব্রিটেন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে অত্যন্ত সফল হয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দোকানপাট খোলা রাখা, ব্যাংক খোলা রাখার পদ্ধতি চালু করেছিল। টিআর-ফোর এর আওতায় তারা এলাকাভিত্তিক দোকানপাট খোলা সময়সূচী দিয়েছিলো এবং এক এলাকার মানুষ অন্য দোকানে যেন না যায় সেটি নিশ্চিত করেছিলো। এর ফলে করোনা সংক্রমণ অনেক কমে এসেছিলো।
৪. কন্টাক্ট ট্রেসিং: করনা মোকাবেলার সবচেয়ে ভালো পথ হল কন্টাক্ট ট্রেসিং করা। যখন একজন ব্যক্তি আক্রান্ত হলো, তখন তার সংস্পর্শে যারা আসছে তাদেরকে চিহ্নিত করা এবং তাদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকে পৃথক করে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যায়। এটি যদি বাংলাদেশে করা যায় তাহলে করোনার সংক্রমণ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা সম্ভব হবে বলে মানুষ মনে করছে।
৫. এলাকা স্থানান্তর বন্ধ করা: এক এলাকার মানুষ যেন অন্য এলাকায় যেতে না পারে সেটি যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, বিশেষ করে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেই এলাকাগুলোতে অন্য এলাকার মানুষ যেনো প্রবেশ করতে না পারে এরকম বিধি-বিধান করে করোনা মোকাবেলা করা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে যে লকডাউন এর চিন্তাভাবনা করছে তার বিকল্প হিসেবে সরকার এগুলাে বিবেচনা করতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদের ‘পিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছে’ বলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে একটি নির্বাচনি সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- “যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিটাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।”
গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।”
এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। সমস্যা কী? এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি।”
২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।
হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপর চেয়াম্যান প্রার্থী হলেন- ব্যবসায়ী ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না- যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়।”
মন্তব্য করুন
৪৩ বছরের পুরনো বাস সড়কে কীভাবে চলে? বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারকে এমন প্রশ্ন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কী করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল? বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সমন্বয় সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
এ সময় বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার কথা বলার চেষ্টা করলে ওবায়দুল কাদের উচ্চস্বরে বলেন, ৪৩ বছর, ফোর্টিথ্রি ইয়ার্স। চট্টগ্রামে যে গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে, তার বয়স ৪৩ বছর। সেটা কি আপনাদের নজরে আসে না?
উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বেলা সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগর এলাকায় বাসের ধাক্কায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দু’জন শিক্ষার্থী। পরে জানা যায়, ওই বাসটি ছিল ৪৩ বছরের পুরনো, কোনো ধরনের ফিটনেস ছাড়া লক্কড়ঝক্কর বাসটি রাস্তায় চলছিল।
সমন্বয় সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এই শহরের গাড়িগুলোর দিকে তাকানো যায় না। আমি টেলিভিশনে লক্ষ্য করি, আফ্রিকার ছোট ছোট দেশগুলোর রাজধানীতেও গাড়ি চলে। এ রকম লক্কড়ঝক্কর, গরিব-গরিব চেহারার গাড়ি নেই। এর চেয়ে মফস্বলের গাড়িগুলো বেটার। এই কথাটা আমি কত যে, বললাম! আপনারা একটা কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না, সেটা হলো ডাম্পিং করার জায়গা নাই। আজকে ডাম্পিং করলে পরের দিন দেখা যাবে ওই সমস্ত গাড়ি রাস্তায় নাই।
যারা এবার এই সমস্ত কথা বলেন, তারাই পরের দিন বলেন- জনদুর্ভোগ হচ্ছে। বিআরটিএ’র অনেক প্রোগ্রাম, অনেক প্ল্যান তারপর রেজাল্টটা কী? তিনি বলেন, আমি রেজাল্ট চাই তিনটা। একটা হচ্ছে- যানজটমুক্ত, আরেকটা হচ্ছে- দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ এবং সড়কে পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরানো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিনিয়ত আমাকে এগুলোর জন্য কথা শুনতে হয়। গত ঈদে আগের চেয়ে ঈদের পরে দুর্ঘটনা বেশি এবং সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলো তো মন্ত্রী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেই আমার কাছে কষ্ট লাগে। এই বছরের চাইতে আগামী বছর দুর্ঘটনা কম হবে- এটাই তো হওয়া উচিত। না হলে আমরা টিম হিসেবে কাজ করছি কেন। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা ডিজিটালাইজেশন করেছেন, নানা কিছু করে ফেলেছেন। আসলে এগুলোর তো রেজাল্ট কোনো কিছু পাচ্ছি না। রেজাল্ট না পেলে এগুলো করে কী লাভ? কথা তো শুনতে হয় আমাকে। বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে তো কেউ কিছু বলে না।
সভায় রাজধানীর ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে স্ক্র্যাপ বা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে একমত প্রকাশ করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
৪৩ বছরের পুরনো বাস সড়কে কীভাবে চলে? বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারকে এমন প্রশ্ন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সড়কে ৪৩ বছরের পুরনো গাড়ি কী করে চলে? এতদিন কি তাহলে বিআরটিএ ঘুমিয়ে ছিল? বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সমন্বয় সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।