ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোড ৭৫ : ম্যান ফ্রম অ্যানাদার প্ল্যানেট

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

ভীনগ্রহের ক্যালেন্ডারে ২০৮৭ সালের শেষভাগের কোনো একটা সময়! ভীন গ্রহের একটি স্থানে তৈরি হচ্ছে একটি টাইম মেশিন। উদ্দেশ্যে ৭৫ নাম্বার কোডধারী এক যাত্রীকে নিয়ে পৃথিবী নামক দূরবর্তী একটি গ্রহ ভ্রমণ করে আসা। টাইম মেশিনটি তৈরি হবার পর ভ্রমণের দিন তারিখ ঠিক করা হলো, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো পেছনের কোন একটি সময়ে ঘুরে আসবার। টাইম মেশিনের সময়ের ডায়ালে সেট করা হলো ১৯৮৭ ডিজিটটি। যাত্রা শুরু করলো টাইম মেশিন। পৃথিবীর একটি অজ্ঞাত দেশে চুপিসারে এসে থামলো টাইম মেশিন। পৃথিবীর নিয়ম মেনে বিশ্বের একটি উন্নত দেশে ছোট্ট একটা শিশু জন্ম নিলো।

বাবা মায়ের কোলজুড়ে আসা ছেলেটি বড় হতে লাগলো। ছোট্ট শিশুটি যে দেশে জন্মেছিলেন সেই দেশেরই একটি ব্যাংকে চাকরি করতো ছেলেটির বাবা। ছেলেটি বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে একদিন ছেলেটির বাবা আবিষ্কার করলেন যে তার ছেলেটি ক্রিকেটে পারদর্শী। ছেলের এই প্রতিভার কথা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো গোটা দেশেই। ধীরে ধীরে মূলধারার ক্রিকেটে খুব সহজেই তাই ঢুকে পড়লো ছেলেটি। ছেলেটির দুইটি গুন ছিলো, একইসাথে ছেলেটি করতে পারতো ব্যাটিং ও বোলিং। ন্যাচারাল ক্রিকেট প্রতিভার সাথে সে এমন একটি দেশে জন্মেছিলো যে দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বের ধনী ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম।

তাই ক্যারিয়ারের একদম শুরুতেই ছেলেটি বিশ্বের নামকরা সব ক্রিকেট কোচদের সান্নিধ্য পেতে শুরু করলো। যার ফলে তার সহজাত প্রতিভা নিয়মিত ক্রিকেট কোচিং এর বদৌলতে ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলো এক অনন্য উচ্চতায়। এক সময় অভিষেক হলো দেশটির জাতীয় দলে। নতুন অভিষিক্ত সেই ছেলেটির পাশে থাকলো দেশটির ছোট বড় সব মিডিয়া। ছেলেটির ক্রিকেট প্রতিভা এতোটাই মুগ্ধ করতে লাগলো সবাইকে যে একের পর এক ক্রিকেট পরাশক্তিকে হারিয়ে সেই দেশটির সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা লাগাতে শুরু করলো অনেকে। গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম তকমা পাওয়াতে অনেকেই ছেলেটির পূজা করতেও শুরু করলো। চারদিকে শুধুই সেই ক্রিকেটারের বন্দনা। টানটান উত্তেজনায় হুট করে ঘুম ভাঙলো রেজা সাহেবের। হুড়মুড় করে ঘুম ভেঙ্গে লাফিয়ে ওঠাতে ঘুম ভাঙলো পাশে শুয়ে থাকা সন্তান সম্ভবা স্ত্রী শিরীন রেজার। এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়লেন রেজা সাহেব। মনে গেঁথে থাকলো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্নটি।

পৃথিবীতে তখন ১৯৮৭ সাল চলমান। বাংলাদেশের মাগুরা নামক জেলায় বসবাস করা রেজা সাহেব চাকরি করেন একটি ব্যাংকে। অন্যান্য দিনের মতো ব্যাংকের ব্যস্ততার মাঝেই বেড়িয়ে পড়তে হলো রেজা সাহেবকে। বাড়ি থেকে খবর এসেছে তাই রেজা সাহেব ছুটলেন বাড়ির দিকে। রেজা সাহেব খুব চিন্তিত, কারণ প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী। কিছুক্ষণ পরে শোনা গেলো একটি সদ্যজাত শিশুর চিৎকার। রেজা দম্পতির কোলজুড়ে আসলো ফুটফুটে এক শিশু। রেজা সাহেব তার নাম রাখলেন সাকিব আল হাসান। ছোট্ট শিশুটি বড় হতে লাগলো। রেজা সাহেব বিকালে ছেলের সাথে ফুটবল খেলতেন আর মনে করতেন সেই রাতে দেখা সেই স্বপ্নটির কথা।

স্কুল পেরিয়ে ফেলা ছেলেটি একটা সময় ঝুকলো ক্রিকেটের দিকে। রেজা সাহেব প্রথমদিকে অবাক হতেন কিছুটা কিন্তু প্রোক্ষণেই ভাবতেন স্বপ্ন কি আর সত্য হয়। একটা সময় সত্যি সত্যি সাকিব নামের সেই ছেলেটি যুক্ত হলো বাংলাদেশ নামক নড়বড়ে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটির ক্রিকেটের সাথে।

২০০৬ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ের সাথে এক ওয়ানডে ম্যাচে অভিষেক হলো রেজা সাহেবের ছেলে সাকিব আল হাসানের। ওই সময়টায় ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো অনেকটাই পিছনে। কালে ভদ্রে পেছনের সারির কিছু দলের সাথে হারতে হারতে জিতে গেলে উল্লসিত হতো এদেশের ক্রিকেট পাগল জনতা। ওই সময়টায় ক্রিকেট মোড়ল দেশগুলো মাঝে মাঝেও আওয়াজ তুলতো বাংলাদেশের ক্রিকেট সামর্থ্য আর বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে। কিন্তু একজন তো আছেন যিনি হয়তো জন্মেছিলেন ক্রিকেট পাগল এ জাতির কঠিন সময়ের ত্রাণকর্তা হিসাবে।

আস্তে আস্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজের ক্রিকেট সামর্থ্য পৌঁছে দিতে শুরু করলেন সাকিব আল হাসান। মাঝে মাঝে ব্যাটিং বোলিং দুই পাশ থেকে একাই দলকে টেনে তুলতেন সাকিব। ফল আসতে শুরু করলো। নিজের প্রাপ্তির সাথে সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট আগাতে লাগলো সামনের দিকে। সাকিবের এই পথচলায় পাশ থেকে অবদান রাখতে শুরু করলেন তামিম, মুশফিক, মাশরাফি আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো ক্রিকেটাররা।

তবে সবাইকে ছাপিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোষ্টার বয় হয়ে উঠলেন সাকিব। অন্যদিকে দলের অন্যতম ভরসাও হয়ে উঠলেন সাকিব কারণ যেদিন সাকিব বল হাতে জ্বলে উঠতে পারতেন না সেদিন হাসতো সাকিবের ব্যাট। ফলে উন্নতি হতে লাগলো অলরাউন্ডার সাকিবের। বিশ্বের অনেক নামীদামী ক্রিকেটারদের পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে বিশ্বের অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষে উঠে আসলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একটা সময় তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের শীর্ষ অলরাউন্ডারের তকমা নিজের নামের সাথে জুড়ে গেলো জার্সি নাম্বার ৭৫ এর।

কিন্তু বিধি বাম। যে কোনো ইস্যুতে পশ্চাৎ দেশের খাঁজের মতো দুইভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া এ জাতি হয়তো সাকিবের মর্ম বুঝতে শিখবেনা কোনো কালেই। ক্রিকেট পাগল ভক্ত থেকে শুরু করে এ দেশের মিডিয়া কোনোটাই যেন পক্ষে থাকেনা সাকিবের। সাকিব আল হাসানই হয়তো দেশের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দেশীয় দর্শকের কাছে বেয়াদব নামে পরিচিত। যদিও আজকের বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ নিজেকে বাজি রেখেছেন বারবার তাদের মধ্যে প্রথমেই থাকবেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই সাকিবই বাংলাদেশকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে শিখিয়েছেন। এই সাকিব শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে মনস্তাত্ত্বিক খেলায় এগিয়ে থাকতে হয়।

অথচ কোনো ম্যাচে একটু খারাপ করলে, কিংবা ব্যাটে বলে জ্বলে উঠতে না পারলেই শুনতে হয় সাকিবের দিন ফুরিয়ে এসেছে। কিন্তু যার জন্মই হয়তো হয়েছিলো দেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে নিতে সেই সাকিব তো দুয়োধ্বনি শুনে দমে যাবার পাত্র নন। সাকিব বারবার ফিরে আসেন বীরদর্পে। একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গেচুরে নিজের রেকর্ডবুকে যুক্ত করেন রেকর্ডের নতুন নতুন পালক।

কোনো ম্যাচ খারাপ করলে বা টিম বাংলাদেশ হেরে গেলে হয়তো খুব মন খারাপ হয়ে যায় রেজা সাহেবের। কোনো এক মন খারাপের রাতে রেজা সাহেবের হয়তো মনে পড়ে যায় সেই স্বপ্ন অথবা দুঃস্বপ্নের কথা। আফসোস করে হয়তো রেজা সাহেব মাঝে মাঝে ভেবে বসেন যে তার ছেলে সাকিব আল হাসান হয়তো ভুল সময়ে অথবা ভুলদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। পাশের দেশ ভারতের মাঝারি মানের কোনো অলরাউন্ডারকে নিয়ে উন্মাদনা দেখে হয়তো নিজের অজান্তেই আফসোসে ভোগেন রেজা সাহেব। ঠিক ওই সময়ে হয়তো মনে পড়ে যায় রেজুয়া সাহেবের দেখা সেই স্বপ্নটির কথা, কারণ স্বপ্নের শেষটা যেমন দেখেছিলেন সেই সময়টা আসতে হয়তো এখনো বেশ খানিকটা সময় বাকী। হয়তো এ জাতি কোনো একটা সময় বুঝতে শিখবে সাকিব আল হাসানের গুরুত্ব আর উচ্চতা। সেটি মিলে গেলে হয়তো অবাক হবেন না রেজা সাহেব। কারণ মাঝরাতে দেখা রেজা সাহেবের সেই ভিনগ্রহের ক্রিকেটারকে নিয়ে দেখা স্বপ্নটি যে এখনো কাউকে জানাননি তিনি।

ওদিকে ভীনগ্রহ থেকে এ দশকে আসবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি স্পেসশিপ। টাইম মেশিমের সময়ের ডায়াল ফিক্স করার আগে বার কয়েক ভেবে নিচ্ছে ওই গ্রহের বাসিন্দারা। কারণ তাদের ধারনা ৭৫ নাম্বার কোডধারী ভীনগ্রহ থেকে পৃথিবীর বুকে আসা মানুষটির মূল্য দিতে পারেনি পৃথিবীর কোনো এক দেশের বাসিন্দারা। যাত্রা কি তবে শুরু হবে স্পেসশিপের, কে জানে হয়তো হ্যা, হয়তোবা না...

 

বিঃদ্রঃ লেখাটির অনেকটা অংশই কাল্পনিক, বিষয়টি পাঠক দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রাখলেন সিকান্দার রাজা

প্রকাশ: ০৪:২০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোমল পানীয় স্বভাবতই মানুষের শরীরের জন্য হানিকারক। অনেক বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড় সংবাদ সম্মেলনে এসে ডায়াস থেকে কোমল পানীয়র বোতল সরিয়ে রেখেছেন। বার্তা দিয়েছেন সাধারণ ভক্তদের স্বাস্থ্য সচেতনতার। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

শুক্রবার (৩ মে) থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। যার প্রথম ৩ টি অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে আর বাকি ২ টি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত, থাকছেন মাহমুদউল্লাহ-সাইফউদ্দিন

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ম্যাচের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এসময় তার চোখ পড়ে ডায়াসে রাখা কোমল পানীয় এর বোতলে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটা সরিয়ে ফেলেন এবং পাশের একজন তা তার হাত থেকে নিয়ে ক্যামেরা ফ্রেমের বাইরে নিয়ে যান। তারপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানে বেশিরভাগ নেটিজেনরাই তাকে বাহাবা জানিয়েছেন।


সিকান্দার রেজা   জিম্বাবুয়ে   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালের দিকে ডর্টমুন্ড

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক আক্রমণ আর ডর্টমুন্ড রক্ষণে লাগাতার চাপ তৈরি করে ম্যাচের বেশির ভাগ সময় নিয়ন্ত্রণে ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দলই। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ডর্টমুন্ডের মাঠে কাঙ্খিত গোলটাই পায়নি পিএসজি। শুধু গোলটাই পাওয়া হল না পিএসজির।

বিপরীতে প্রথমার্ধে নিকলাস ফুলক্রুগের জাল খুঁজে পাওয়া আর ভাগ্যের সহায়তা ও রক্ষণের দৃঢ়তায় সেই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ডর্টমুন্ড।

সিগনাল ইদুনা পার্কের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি পিএসজি। এর দুটিই পোস্টের বাইরে মারেন উসমান দেম্বেলে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থকদের বলে বলীয়ান ডর্টমুন্ড পাঁচটি শট নিয়ে চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এর মধ্যে ১৪ মিনিটে মার্সেল স্যাবিটজারের শট আটকান জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। ৪৪তম মিনিটেও স্যাবিটজারের আক্রমণ রুখে দেন পিএসজি গোলকিপার।

ডর্টমুন্ড তাদের জয়ের গোলটি পায় ৩৬তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধ থেকে নিকো শ্লটারবেক লম্বা করে বল বাড়ালে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন ফুলক্রুগ। এরপর বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

বিরতির পর নতুন উদ্যমে শুরু করা পিএসজি গোল পেয়ে যেতে পারত ৫১ মিনিটেই। তবে দুর্ভাগ্যবশত পরপর দুইবার বল লাগে পোস্টে। প্রথমে এমবাপ্পের শট লাগে দূরের পোস্টে, ডর্টমুন্ড রক্ষণ বল বিপদমুক্ত করতে না পারার এক পর্যায়ে পেয়ে যান আশরাফ হাকিমি। তাঁর শট লাগে আরেক পোস্টে।

৬০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করার সুযোগ ছিল ফুলক্রুগের সামনে। জোদান সানচোর বাড়ানো বল নিয়ে পুরো জাল সামনে পেলেও বল ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি। একই ভাবে ৮১ মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন পিএসজির দেম্বেলেও।

শেষ দিকে পিএসজি গোলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও ডর্টমুন্ড রক্ষণে বাড়তি মনোযোগ দিয়ে সেটি রুখে দেয়। মাঠ ছাড়ে সেমিফাইনাল লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই। প্যারিসে দ্বিতীয় লেগ আগামী মঙ্গলবার।

ডর্টমুন্ড ১: ০ পিএসজি


পিএসজি   ডর্টমুন্ড   চ্যাম্পিয়নস লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই মাঠে গড়াবে খেলা। বাকি শুধুমাত্র এক মাস। যার জন্য ইতোমধ্যেই আয়োজক দেশগুলো শুরু করেছে প্রস্তুতি। ব্যস্ত সময় পার করছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোরর ক্রিকেট বোর্ডগুলোও।

ক্রিকেটের এই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ভারত-ইংল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ দল ঘোষণা করে ফেলেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশ স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি।

আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের মহাযজ্ঞে এবারের আসরে সেমিফাইনাল খেলবে কারা, এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ খুবই কম। যদিও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই দলই।

এমনই এক বিশ্লেষণে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এবং তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের পছন্দের চার সেমিফাইনালিস্ট নিয়ে অবশ্য চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনাও। কারণ, এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট মনে করছেন না ভন। তার পছন্দের তালিকাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি এ দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকেরা।

ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে। নিউজিল্যান্ড, ভারতের মতো শক্তিশালী দলকেও সেমি খেলার যোগ্য বলে বিবেচনা করেননি তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম জানিয়ে ভন লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমার চার সেমিফাইনালিস্ট হলো...ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’

ভনের এই পোস্ট সামনে আসতেই সমালোচনায় মাতেন ভারত ও পাকিস্তানের সর্থকেরা। এক ভারতীয় সমর্থক মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘রোহিত শর্মার দল তোমাকে জবাব দেবে। অপেক্ষায় থাক।’

আফজাল মেনন নামের আরেক ভারতীয় সমর্থক লিখেছেন, ‘কেন তোমার মনে হচ্ছে আমরা সেমিতে যেতে পারব না? ভারতের দল কিন্তু দারুণ।’

রজত আগারওয়ালা নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই ভারতকে সেমিফাইনালে দেখছি। তারা সম্ভবত ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার জায়গায় সেমিতে খেলবে।’

কামরান আলী নামে পাকিস্তান ক্রিকেটের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘তোমার মাথায় সমস্যা আছে। গত বিশ্বকাপে যে দল ফাইনালে (সর্বশেষ ২০২২ সালে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ছিল পাকিস্তান) খেলেছে তাদেরকেই তালিকায় রাখনি।’

অনেকে এ সময় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে ভনের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন। ভনের পুরোনো টুইট শেয়ার করে একজন লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ ভন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তুমি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের কথা বলেছিলে, যা ভুল হয়েছিল। তার মানে এবার আমাদের ভালোই (ভারতের) সুযোগ আছে।’

ভনের আগে চার সেমিফাইনালিস্টের নাম বলেছিলেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের মতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানও থাকবে। 

আগামী ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হবে বিশ্বকাপ শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ২৯ জুন।


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ   সেমিফাইনালিস্ট   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ

প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি সম্প্রতি তাদের হালনাগাদকৃত র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। যেখানে টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের ডানহাতি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। সেই সাথে নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সূর্যকুমারের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজমও।

বুধবার (১ মে) আইসিসির প্রকাশিত এই নতুন র‍্যাঙ্কিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এসেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে এগিয়েছেন তিনি। ১০ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তার রেটিং এখন ৭৬৩। শীর্ষে থাকা সূর্যকুমারের চেয়ে এখনও ৯৮ পয়েন্ট পিছিয়ে বাবর। সূর্যকুমারের রেটিং ৮৬১।

৮০২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইংলিশ তারকা ফিল সল্ট। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে বাবরের ওপেনিং পার্টনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেরা পাঁচের শেষ নামটা প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের। তার রেটিং পয়েন্ট ৭৫৫।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তিন ধাপ এগিয়ে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার এখন ১৪ নম্বরে। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পাকিস্তান। সে ম্যাচে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স। ২৯ ধাপ এগিয়ে ৬০ নম্বরে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়া মাইকেল ব্রেসওয়েল ১৩ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫৫ নম্বরে।

সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না গেলেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন লিটন দাস। ব্যাটারদের মধ্যে এখন তিনি ২৯ নম্বরে। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তিনিই সেরা অবস্থানে। ৩২ নম্বরে আছেন অধিনায়ক শান্ত। তবে একধাপ পিছিয়েছেন সাকিব। আছেন ৭০ নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে আফিফ আছেন সাকিবের ঠিক ওপরে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে একধাপ এগিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আছেন ৩২ নম্বরে। দেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থানে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আছেন ২৪ নম্বরে।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

লিগের প্রথম পর্বে ১১টির পাশাপাশি সুপার লিগ পর্বে ৩টিসহ চলতি ডিপিএলে টানা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজের জন্য আবাহনীর প্রথম সারির ১০ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন। এতে শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য একাদশ সাজাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল আবাহনী।

এ অবস্থায় শেখ জামালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তিনজন খেলোয়াড়কে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনুরোধ করে আবাহনী। আফিফ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভির ইসলামকে শেখ জামালের বিপক্ষে খেলার অনুমতি দেয় ক্রিকেট বোর্ড।

অপরদিকে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফেরায় শক্তি বাড়ে শেখ জামালের। এমন ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। জিয়াউর রহমান সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। ৫৬ বলে ৪৯ রান করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা সাকিব।

জবাবে তিন হাফ-সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৩ রান করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নেয় আবাহনী। দলের পক্ষে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৮ বলে ৮৩ রান করেন আফিফ হোসেন। এছাড়া বিজয় ৬৭ এবং সৈকত অপরাজিত ৫৩ রান করেন।


ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ   ক্রিকেট   আবাহনী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন