ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে যেভাবে নিয়োগ পান আইএসআইপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা করলে সেরা ৫-এর একটি অবশ্যম্ভাবী নাম আসবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সর (আইএসআই)। সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে সারা বিশ্বের মাঝে প্রশ্ন থাকলে সবাই এক সুরে স্বীকার করে নিতে বাধ্য আইএসআইয়ের সমকক্ষ বিশ্বে খুব কম আছে। সেই ক্ষমতাশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন শুরু হয়েছে বিতর্ক।

প্রতিবার আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে দেশটিতে তর্ক-বিতর্ক হলেও এবারের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন রূপে মোড় নিয়েছে। গোয়েন্দা প্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দেশটির বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সামরিক শাখা আইএসপিআর ঘোষণা দেয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদকে নতুন আইএসআই প্রধান করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং থেকে তাঁকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বার্তা আসেনি। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হয় ও হচ্ছে। তার মধ্যে এ ইস্যুতে প্রথমবার পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী বক্তব্য দেন। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসআই প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি সংবিধান বা সামরিক আইনে উল্লেখ করা হয়নি। অতীতের সব নিয়োগ ঐতিহ্য অনুসারে করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি নাম প্রস্তাব করেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

২০ বছর পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবান যখন জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় আকস্মিক কাবুলে গিয়েছিলেন আইএসআইয়ের প্রধান ফাইজ হামিদ। সেখানে তিনি বলেন, সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তাঁর ওই সফরের কয়েক দিনের মধ্যে তুলনামূলক রক্ষণশীল নেতাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এরপর ফাইজ হামিদের বদলে নাদিম আহমেদকে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মহাপরিচালক পদে আনার কথা জানানো হয়।

বিতর্কের মধ্যেও জেনে নেওয়া যাক আসলে কোন প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের গুরুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডনের সাংবাদিক উরুহ ইমরান ও সানা চৌধুরী সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, তিনি চান বর্তমান প্রধান লে. জেনারেল ফাইজ হামিদ আরও কিছুদিন দায়িত্ব চালিয়ে যান। আর তাঁর এ চাওয়ার কারণ হলো আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি।

এ সবকিছুর মধ্যে বর্তমানে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। কীভাবে আসলে আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। আসলে কে আইএসআই মহাপরিচালক নিয়োগ দেন, মহাপরিচালক কার কাছে রিপোর্ট করবেন, আইএসআইয়ের প্রধান কি বেসামরিক কেউ হতে পারবেন?

আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত, অতীতের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি ঘেঁটে বিশ্লেষকেরা বলেন, আসলে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগে শতসিদ্ধ কোনো নিয়ম বা প্রক্রিয়ার কথা তাঁরা চেষ্টা করেও জানতে পারেননি। অন্তত কোনো প্রকাশ্য লিখিত ডকুমেন্টও তাঁরা পাননি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন আইএসআই মহাপরিচালক পদের প্রার্থীদের নাম এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সম্প্রতি বৈঠক করেন। এ বৈঠকের বিবরণ প্রকাশের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের চিফ হুইপ আমির ডোগারকে তিরস্কার করেছেন। তিনি দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পেয়েছেন।

ডনের আবাসিক সম্পাদক ফাদ হুসেন বলেন, আমির ডোগার আসলে প্রক্রিয়াটি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমির ডোগার ব্যাখ্যা করেন, তিনটি নাম প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাতে আছে। এখান থেকে তিনি সম্ভাব্য যোগ্য একজনকেই বেছে নেবেন। আইএসআই নানা কাজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে আর তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের নামটি আসে।

ডনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ বাকিরও বলেন, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের কোনো সাধারণ প্রক্রিয়া নেই। সেনাপ্রধান এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কথা বলেন। সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেরাদের নামগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যখন সেরা দুজনের মধ্য একজনকে বেছে নিতে হয়, তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠান আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে।

সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদ হুসেইন ডনকে বলেন, আইএসআইয়ে কোনো কর্মকর্তার বদলি বা পদায়নের ক্ষমতা সেনাপ্রধানের হাতে থাকলেও সাধারণ চর্চা হচ্ছে যে গোয়েন্দাদের প্রধান প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। কারণ, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করেন। আইএসআইয়ের প্রধান কে হবেন, তা হয়তো প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেনাপ্রধান আবার আইএসআইয়ের প্রধানসহ যে কারও বদলি ও পদায়ন করে থাকেন। তিনি জানান, ফাইজ হামিদের বদলির সিদ্ধান্ত সেই নিয়ম মেনে হয়েছে। তাই ইমরান খানের ইচ্ছায় আইএসআইয়ে প্রধান হিসেবে ফাইজ হামিদের থাকার আর কোনো অধিকার নেই।

আইএসআইয়ের মহাপরিচালক কি বেসামরিক কেউ হতে পারেন?

বিশ্লেষকদের মতে, আইএসআই প্রধানের পদে একজন বেসামরিক লোক নিয়োগে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বা কোনো বিধিনিষেধ নেই। গোয়েন্দা সংস্থায় কতজন সামরিক এবং কতজন বেসামরিক লোক থাকবে, নিয়োগ বা পদায়ন করা হবে তারও কোনো শতসিদ্ধ নিয়ম নেই।

জাহিদ হুসেইন জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো অবসরে যাওয়া জেনারেল শামসুর রহমানকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। তিনি বেশি দিন সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। শামসুর রহমান নিয়োগের সময় বেসামরিক ব্যক্তিই ছিলেন।

সাঈদ বাকির জানান, বেসামরিক ব্যক্তির গোয়েন্দাদের প্রধান হওয়ার পথে কোনো বাধা নেই।

আইএসআই আসলে কার অধীন

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল শাহজাদ চৌধুরী সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেন, আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানতে বাধ্য। কিন্তু সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সেনাপ্রধানের নির্দেশনা মানেন। এর অর্থ দাঁড়াল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করে। আবার এটাও ঠিক যে প্রধানমন্ত্রীর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির ওপরও মহাপরিচালকের পদে বেশি দিন থাকা না থাকা নির্ভর করে।

গুপ্তচরদের প্রধান নিয়োগে আইনি প্রক্রিয়াটি আসলে কী

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দাদের নতুন প্রধান নিয়োগের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতামত থেকে এটা স্পষ্ট যে আসলে এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।

এর আগে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নতুন আইএসআই প্রধানকে নিয়োগ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আমরা এ উপসংহারে আসতে পারি যে আইনি প্রক্রিয়াটি এখন অনুসরণ করা হবে’। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আগে কি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি?

সাঈদ বাকির যোগ করেন, এ নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত কথা বলতে হবে না। তবে, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের জন্য তাঁর সম্মতি প্রয়োজন। আইএসআই প্রধান নিয়োগ পদ্ধতির জন্য লিখিত কোনো আইন আছে বলে তিনি জানেন না। তিনি এমন কিছু দেখেননি।

আইএসআইয়ের প্রধান কীভাবে নিয়োগ হয়, এটা নিয়ে বিতর্ক প্রথমবার হচ্ছে, ব্যাপারটি এমন নয়। সুনির্দিষ্ট নিয়মের অভাবে সশস্ত্র বাহিনীর পেস্টিং এবং নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে।

২০১৯ সালের আগস্টে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান হিসেবে মেয়াদ শেষের তিন মাস আগেই তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় এক দশকে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের শীর্ষ জেনারেলের মেয়াদ এভাবে বাড়ানো হয়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত সাময়িকভাবে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান পদে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। তখন আদালত পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিল।

এরপর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট তিনটি বিল পাস করেছে। সেই বিলে অনেক দিনের দীর্ঘ এবং বিতর্কিত নানা সমস্যার অবসান হয়। এ তিন বিলের ফলে প্রধানমন্ত্রীর সেনাপ্রধান, জয়েন্ট স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানসহ কয়েক পদে নিয়োগ এবং মেয়াদ বাড়ানোর পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।

তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান মিলে আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের আলোচনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তথ্যমন্ত্রীর মতে, বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব আবারও প্রমাণ করেছে যে দেশের স্থিতিশীলতা, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য সব ঐক্যবদ্ধ।

তবে নানা বিতর্ক, আলোচনা ও সমালোচনার পরে রাজনৈতিক মহলে যাঁরা আছেন, তাঁরা এখন আইএসআইয়ের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় আছেন।

 

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের বেআইনি নথি মামলা স্থগিত

প্রকাশ: ১০:৩৭ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে গোপনীয় নথি রাখার মামলা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

আগামী ২০ মে এই মামলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক ক্যানন তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন। 

বিচারক জানিয়েছেন, তার আদালতে প্রচুর মামলা জমা রয়েছে। তাই তিনি ২০ মে ট্রাম্পের মামলার শুনানি শুরু করতে পারছেন না। কবে এই মামলা শুরু হবে তার কোনও তারিখও তিনি দেননি। ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখনই ক্যাননকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ট্রাম্প সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী। তার আগে এই মামলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

ক্যানন তার পাঁচ পাতার নির্দেশে বলেছেন, এখন নতুন তারিখ জানানো অবিবেচকের মতো কাজ হবে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা চাইছেন, তার বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা পিছিয়ে যাক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যেন কোনও মামলা না ওঠে।

নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটা মামলা চলছে। সেখানে অভিযোগ হল, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে তার একটি সম্পর্কের কথা গোপন রাখার জন্য স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার ম্যানহাটনের আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে। সেখানে স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, তার অর্থ পেতে দেরি হচ্ছিল। তাই তিনি চুক্তি ভেঙে দেন। তারপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাম্পের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিবৃতি দেন। আদালতে ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন। 


ট্রাম্প   বেআইনি নথি   মামলা   স্থগিত   আদালত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ এখন ইউরোপেও, নেদারল্যান্ডসে ১৪০ শিক্ষার্থী আটক

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের পর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকি, গ্রিসে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (৭ মে) নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের রাস্তায় নেমে আসেন শত শত মানুষ। এদিন দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন তারা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। আন্দোলনকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে নতুন করে হামলা ও মানবিক সহায়তা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে প্যারিসের সাইন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান তারা।

একইদিন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ক্যাম্প ভেঙে দেয় ডাচ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় প্রায় অর্ধশত বিক্ষোভকারীকে। এছাড়া অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে প্রায় ২০টি তাঁবু গেড়ে বসেন বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনদের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন তারা।

বিক্ষোভে উত্তাল স্পেনও। গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি তেল আবিবের সঙ্গে মাদ্রিদের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান কম্পুলটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন হয়েছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক এমনকি অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও।

গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে। এই সময়ে ইসরায়েলকে সহায়তা বন্ধের দাবি জানাতে গিয়ে আটক হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। তবুও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। পুলিশের দমন-পীড়ন, ধরপাকড় উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   ইউরোপ   নেদারল্যান্ডস   শিক্ষার্থী   আটক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অর্থনৈতিক সংকটে ভারতকে যে আহ্বান জানাল মালদ্বীপ

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী।

এরপর থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় দুই দেশের। এরপর দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। অন্যদিকে,মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন ভারতীয়রা। ফলে মালদ্বীপে বেড়াতে যাওয়া ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। পর্যটক সংকটে ভারতীয়দের কাছে মালদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার অনুরোধ জানালেন মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল।

মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল বলেন, আমাদের একটা ইতিহাস আছে। আমাদের নবনির্বাচিত সরকারও ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। আমরা সবসময় শান্তি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করি। আমাদের জনগণ এবং সরকার ভারতীয়দের আগমনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে আমি ভারতীয়দের মালদ্বীপের পর্যটনের অংশ হতে অনুরোধ করছি। কারণ, আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।

মালদ্বীপের একটি রিপোর্ট জানিয়েছে, সেদেশে ৪২ শতাংশ কমেছে ভারতীয় পর্যটক। ২০২৩ সালে প্রথম চার মাসে (৪ মে অবধি) মালদ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন ভারতীয়। চলতি বছরের চার মাসে তা কমে গিয়ে ৪২ হাজার ৬৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩১ হাজার ১৪৭ জন পর্যটক কমেছে চলতি বছরে। শুধু তাই নয়, ওই পর্বে গত বছর দেশভিত্তিক পর্যটকের পরিসংখ্যানে ভারত ছিল দ্বিতীয় স্থানে। চলতি বছরে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গিয়েছে মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা।

ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা কমতেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প। মালদ্বীপের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো সেদেশের পর্যটন। এজন্য প্রভাব পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। 

এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়া আউট প্রচারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় এসে মুইজ্জু মালদ্বীপকে ভারত কর্তৃক উপহার দেওয়া তিনটি বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্ম পরিচালনাকারী ৮৮ জন ভারতীয় সামরিক কর্মীকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল।


ভারত   মালদ্বীপ   প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি   পর্যটনমন্ত্রী   ইব্রাহিম ফয়সাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় দফায়ও কম ভোট চিন্তায় ফেলছে বিজেপিকে

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। 

মঙ্গলবার(৭ মে) ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ভোট দেন। এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়েরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে।

আর এই তৃতীয় দফার ভোট থেকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ দফায় ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কম ভোট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। 

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় ১৯০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়। দুই দফায় ভোটের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১ ও ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯ শতাংশ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আসামে ৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া গোয়ায় ৭২ দশমিক ৫২ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে ভোটের হার ছিল অনেক কম। এগুলোতে যথাক্রমে ৫৬, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে থাকবে, নাকি  বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যাবে এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেগুলোতে বিজেপি কম আসন পেয়েছে।

তৃতীয় দফার ৯৩টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চারটির পাশাপাশি গুজরাটে ২৫, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারের ৫, আসামে ৪, গোয়ায় ২, দাদরা ও নগর হাভেলির একটি এবং দমন ও দিউয়ের একটি আসন রয়েছে। 

এনডিটিভি অনলাইন জানায়, এ দফার ভোটে কর্ণাটকে বিজেপি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সেখানে দলটি জোটসঙ্গী জনতা দল সেক্যুলারের নেতা প্রজোয়াল রাবান্নাকে নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকশ নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এক সমাবেশে রাবান্নার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ায় বিজেপি দলটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে। এদিকে মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরের বিরোধিতায় বিজেপি চাপে রয়েছে। 

এছাড়াও, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি কোণে তরুণরা বেকারত্বে ধুঁকছে, নারীর প্রতি নৃশংসতা হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তাঁর বিজেপির সৃষ্টি। তাদের লক্ষ্য শুধু ক্ষমতায় যাওয়া। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তারা ঘৃণা উস্কে দেয়।  

ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি পালন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ চোখে দেখে না নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতারা প্রচারণায় নেমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েই চলেছেন; নির্বাচন কমিশনের 'মডেল কোড অব কন্ডাক্ট' কে 'মোদি কোড অব কন্ডাক্ট'এ পরিণত করেছেন। 

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেওয়া নানা বক্তব্যে মোদি রাজনৈতিক মেরূকরণ করছেন, বিশেষ করে তিনি মুসলিমদের টার্গেট করছেন। ভোটের প্রচারণায় অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাদ দিয়ে সম্প্রতি তিনি ও তাঁর দল বিজেপি হিন্দুত্ববাদী প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছেন। গত এক দশকে ক্ষমতায় থেকে মোদি বেশ কিছু বিভাজন সৃষ্টিকারী বক্তব্য দিয়েছেন।

তৃতীয় দফায় ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও বিরোধীরা নানা অভিযোগ করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বয়কটও হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের শরিক ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে বুথ লুটের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। চতুর্থ দফায় ৯৬টি আসনে ভোট হবে ১৩ মে। 


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) মসজিদটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফা সিটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ওই মসজিদে একটি ড্রোন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। মসজিদটি একটি মার্কেটের পাশে অবস্থিত। ওই সময় সেখানে মানুষের অনেক জটলা ছিল। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। মূলত হামলার পুর্ব সতর্কতা হিসেব এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার পর সেখান থেকে সাধারণ মানুষ সরে যান।

আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, হামলার পরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।

মসজিদটিতে কখন বড় হামলা চালানো হবে এখন সেটিই দেখার বিষয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

মঙ্গলবার সকালে রাফার মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাফাতে এখন অভিযান চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। সেখানে তারা তিনটি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে। ইসরায়েলিদের দাবি, এসব টানেলের মাধ্যমে মিসর হয়ে হামাসের কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম যায়।

এদিকে আন্তর্জাতিক আইনে ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদি যুদ্ধরত কোনো পক্ষ এমন স্থাপনায় হামলা চালায় তাহলে এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

মঙ্গলবার রাফাতে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে প্রবেশের আগে সোমবার রাতে সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো।


রাফা   মসজিদ   ক্ষেপণাস্ত্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন