নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০১৮
জনপ্রশাসন সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট সরকার। কোটা সংস্কার নিয়ে এই দুই সচিবের গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে অবাক হয়েছে সরকার। গণমাধ্যমে দুই সিনিয়র সচিব বলেছেন, ‘কোটা বাতিল সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি।’ প্রধানমন্ত্রীর সংসদের বক্তৃতার পর নতুন করে কি নির্দেশনা তাঁরা চান? এ প্রশ্ন তুলেছে সরকারের নীতি নির্ধারকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণার পরও দুই সচিব কোনো নির্দেশনা পাননি বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ‘অমার্জনীয়’ বলে মনে করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। সূত্রমতে, বিষয়টি নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম এবং অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম ঐ আলোচনায় দুই সিনিয়র সচিবের তীব্র সমালোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
এইচ. টি. ইমাম যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট সচিব ছিলেন, বলেছেন, ‘দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চলছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে পার্লামেন্ট হলো সার্বভৌম। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দেবেন তা প্রতিপালনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সংসদ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য নোট নেওয়ার কথা। এই বিষয়গুলো পুরোনো, সবাই জানে।’
সাবেক এই ক্যাবিনেট সচিব বলেছেন, ‘জনপ্রশাসন সচিবের উচিত ছিল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই কোটা বাতিল বিষয়ে করণীয় নিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা। অথবা কিছু না করলেও সে সংসদ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার কপি সংগ্রহ করে, এ ব্যাপারে করণীয় জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়য়ে চিঠি পাঠাতে পারতো। অথচ তাঁরা মন্ত্রীর মতো গণমাধ্যমে বক্তৃতা দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে এইচ. টি. ইমাম ৭২’র সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া বক্তৃতার আলোকে ক্যাবিনেট ডিভিশন কীভাবে কাজ করেছে তার উদাহরণ দেন।’
দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী এইচ. টি. ইমামের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। ওই আলোচনায় মশিউর রহমানও বলেন প্রধানমন্ত্রী তো কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েই দিয়েছেন, এখন ওই দুই সচিব কি নির্দেশনা চান? এরা সচিব না কেরানি।’ সূত্র মতে, অর্থ উপদেষ্টা এবং সাবেক সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরপরই জনপ্রশাসন সচিবের উচিত ছিল, কোটা বাতিলের প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো। কিন্তু তা না করে তাঁরা যা বলছেন, তা বরং এ নিয়ে আরও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলেই ড. মশিউর রহমান মনে করেন।
বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে যে জনপ্রশাসন সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হতে চেয়েছিলেন। যেটি না হবার কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে মোটেও সিরিয়াস না। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সরকারের সমালোচনা করার অভিযোগও এখানে আলোচনা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে করণীয় ঠিক করতে এইচ. টি. ইমামকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এইচ. টি. ইমাম বিষয়টি নিয়ে আজকালের মধ্যেই জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে এবং পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বসবেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনের আগে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবছে সরকার।
Read In English: https://bit.ly/2Itrcp4
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।