নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০১৮
অন্তত আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদনে ড. কামাল হোসেনকে বেগম জিয়ার আইনজীবী হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এমন খবর দিয়েছে। আজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের দুই দফা টেলিফোনে কথা হয়েছে। বিএনপির নেতারা দাবি করছেন, ড. কামাল ‘নীতিগত ভাবে’ রিভিউ মামলায় খালেদার পক্ষে লড়তে রাজি হয়েছেন। সম্প্রতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়াকে জামিন দেন। তবে ঐ আদেশে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চ, হাইকোর্টকে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে পাঁচবছরের সাজা দেয় বিচারিক আদালত। ঐ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনও সাজা বাড়ানোর আবেদন করে পৃথক আপিল দায়ের করে। বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জামিন আবেদনও করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জামিন দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে আপিল করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগ জামিন মঞ্জুর করলেও আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা বেধে দেয়।
বিএনপির আইনজীবীরা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই আপিল নিষ্পত্তি হলে বেগম জিয়ার মুক্তি এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে। আগামী নির্বাচনের জন্য তিনি অযোগ্যও বিবেচিত হতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকেই, বিএনপি হাইকোর্টে আপিল শুনানি নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে করতে আগ্রহী নয়। বিএনপি নেতারা চাইছেন, আপিল বিভাগ যেন ৩১ জুলাইয়ের ডেডলাইন পুনর্বিবেচনা করে। বিএনপির নেতা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেছেন, ‘আপিল বিভাগের এই আদেশ ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। সময় বেঁধে দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’ এই রিভিউ আবেদনে বিএনপি একটি জাতীয় আবহ তৈরি করতে চায়। এজন্যই মহাসচিব ড. কামাল হোসেনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. কামাল হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং তাঁকে এতিমখানা মামলা লড়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্নীতি মামলা বোঝেন না, এই অজুহাতে তিনি সেসময় মামলা নেননি। এবার মির্জা ফখরুল ড. কামাল হোসেনকে বলেছেন, এটি একটি সাংবিধানিক বিষয়। এরকম আদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ড. কামাল নীতিগতভাবে এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে আরও পড়াশুনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
অবশ্য অন্য একটি সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি সর্বদলীয় জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ড. কামাল বেগম জিয়ার মামলার আইনজীবী হতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।