নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০১৮
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম দল জামাত। গত দুই দশক ধরেই বিএনপি-জামাত একে অপরের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিল। বাংলাদেশের রাজনীতির নানা ঘটনাপ্রবাহেও এক ছিল দুটি দল। কিন্তু সম্প্রতি সিটি নির্বাচনের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তাঁদের এই ভাতৃপ্রতীম সম্পর্কে বিমাতাসুলম আবহাওয়ার হানা। সেই থেক এখন প্রশ্ন উঠেছে দুই সম্পর্কের সম্পর্ক, তথাপি জামাতের রাজনীতিরই ভবিষ্যৎ নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
সম্প্রতি সিটি নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে বিরোধীতা করেই সিলেটে প্রার্থী দেয় জামাত। একইভাবে তারা প্রার্থী না দিলেও রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী স্থানীয় জামাতের কোনো সহযোগিতা পায়নি নির্বাচনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জয়ের জন্য সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি জামাত। বরং আগামী জাতীয় নির্বাচনে আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষিতে জোর বাড়াতেই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু জামাতের জন্য তা হিতে বিপরীত হয়েছে।
সিলেটে জামাত প্রার্থী দিয়ে পেয়েছে মাত্র ১০ হাজার ২৫৪ ভোট। অথচ তারা দাবি করেছিল এখানে তাদের ভোট ৫০ হাজারের বেশি। এই সিটিতে জামাতের চরম অসহযোগিতার পরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে হারিয়ে মাত্র ৪,৬২৬ ভোটে হারিয়ে জয় পেয়েছে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। রাজশাহীতে জামাতের সহযোগিতা না পেলেও বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৭৮,৪৯২ ভোট। ১,৬৬,৩৯৪ ভোট পেয়ে বুলবুলের চেয়ে ৮৭,৯০২ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে নগরপিতা হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। কিন্তু বরিশালে জামাতের সহযোগিতার পরও চরম ভরাডুবি হয়েছে বিএনপির। বিএনপির প্রার্থী জামাতকে সঙ্গে নিয়েও পেয়েছেন মাত্র ১৩০৪১ ভোট। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ১০৯৮০৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। জামাতের সমর্থন পেয়ে বরিশালে জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিএনপি প্রার্থীর।
তিন সিটির ফল একটি বিষয়ই প্রমাণ করেছে বিএনপির জন্য জামাত আর কোনো ফ্যাক্টর না। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা সময় জামাতের নির্দিষ্ট কিছু ভোট ছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে যুদ্ধাপরাধে জামাত নেতাদের বিচার। স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে জামাতের প্রচার পাওয়া সহ নানা কারণেই দলটির এখন গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। আর তরুণ ভোটারদের কাছে জামাতের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোথায় বলেই মনে করা হয়।
তিন সিটিতে জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে গিয়ে এখন নিজেদের বর্তমান অযোগ্যতাই প্রমাণ করেছে। যেখানে তারা মনে করেছিল তিন সিটিতে ভালো ফল করে জোটে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াবে সেখানে এখন তাদের জোটে থাকাই অর্থহীন প্রমাণ করল।
এখন থেকে বিএনপি জামাতকে তুচ্ছ করতেই পারে। তাদের বাতিলের খাতায় রাখলেও এখনো কিছু যাবে আসবে না। এখন জোট থেকে বাদ দিলেও কিছু বলার থাকবে না জামাতের। আর জোট থেকে বাদ দিলেও যে বিএনপির বর্তমান অবস্থার কোনো হেরফের হবে না তা দলটির নেতারা তিন সিটি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে স্পষ্টভাবেই বুঝতে পেরেছে। তিনি সিটি নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই জামাতের অস্তিত্ব বিলীনের সূচনা হলো বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।