নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২৯ অগাস্ট, ২০১৮
বেইলি রোডে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত হলো ঐক্য প্রক্রিয়ার এক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন নিজে এবং যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অনেকেই। বিএনপির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত এমন কেউ ওই বৈঠকে ছিল না। তবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
ড. কামালের বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি সরাসরি রাজনীতিতে থেকে দূরে। অনেকেরই জানা, ডা. জাফরুল্লাহ সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। তবে বিএনপি পন্থী এই বুদ্ধিজীবীর ডা. কামালের বাড়ির বৈঠকে উপস্থিত থাকা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এরপরও প্রশ্ন উঠেছে ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপির জন্যই ওই বৈঠকে ছিলেন নাকি অন্য কোনো কারণে। ডা. জাফরুল্লাহর তিনটি বিষয়ের কারণেই এমন প্রশ্ন উঠেছে।
প্রথমত, ডা. জাফরুল্লাহ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ড. মুহম্মদ ইউনূসের নোবেল জয়ের পর তাঁকে প্রথম অভ্যর্থনা জানান এই জাফরুল্লাহ। সম্প্রতি ড. কামাল-বি. চৌধুরী ঐক্যের নেতৃত্বে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নাম বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। তবে কি ড. ইউনূসের বিষয়টি দেখতেই তিনি গতকালের বৈঠকে হাজির হন।
দ্বিতীয়ত, ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, ড. মাহবুব উল্লাহ, আসিফ নজরুল সহ বিএনপির সুশীল ও বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত গ্রুপটির মধ্যে এখন নেতৃত্বাস্থানীয় পর্যায়ে আছেন ডা. জাফরুল্লাহ। তাহলে ড. কামালের বাড়ির গতকালের বৈঠকে ডা. জাফরুল্লাহ বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
তৃতীয়ত, বিএনপির রাজনীতি সরাসরি না করলেও, থিংক ট্যাংক হিসেবে দলটিতে তিনি বেশ প্রভাবশালী। বিএনপির মধ্যে যাঁরা দলটি থেকে জামাতকে আলাদা করতে চায় তাঁরাই মূলত জাফরুল্লাহর কথা শোনেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বরাবরই সেক্যুলার, উদারনৈতিক দল হিসেবে চান বিএনপিকে। তিনি কি বিএনপির ওই অংশটিরই প্রতিনিধিত্ব করলেন কাল।
এখন ডা. জাফরুল্লাহর এত বৈশিষ্ট্যের ভিড়ে তিনি কী জন্য, কাঁর প্রতিনিধি হিসেবে গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। আর এই প্রশ্নটি বড় হয়ে উঠেছে গতকালের বৈঠক শেষে বিবৃতি পাঠের পর। বৈঠক শেষে বি. চৌধুরী বিবৃতি পড়েন, সম্মতি দেন ড. কামাল। ওই সময় নির্বাচনে সবাই মিলে কাজ করার কথা বলা হয়। আন্দোলনে যাওয়ার কোনো কথা সেখানে ছিল না। কিন্তু এরপর ডা. জাফরুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্য কি ওই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে নাকি বিএনপির?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।