ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির রাজনীতিতে ১০ ভুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়াউর রহমান একবার বলেছিলেন, ‘আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দ্য পলিটিশিয়ান।’ অর্থ্যাৎ ‘আমি রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতিকে কঠিন করে তুলবো।’ কিন্তু কালের কী অদ্ভুত বিচার। প্রতিষ্ঠার ৪০ তম বার্ষিকীতে এসে বিএনপি দেখতে পাচ্ছে, অন্যদের জন্য রাজনীতি কঠিন করতে গিয়ে তাঁদের নিজেদের জন্যই রাজনীতিটা এখন কঠিন হয়ে গেছে। নিজেদের রাজনৈতিক ইতিহাসে এত সঙ্কটময় কাল বিএনপির জন্য আর আসেনি। এই সঙ্কটের জন্য বিএনপির ১০টা ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।

১। জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি গঠন করেন তখন তিনি জামায়াতে ইসলামী, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। বিএনপির প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান। এই শাহ আজিজ ছিলেন একজন স্বীকৃত রাজাকার। এই থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে জিয়ার দহরম-মহরম কেমন তা বোঝা যায়। জিয়াউর রহমান জামাতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রচিত যে সংবিধান সে সংবিধান কাটাছেড়া করে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র বাদ দিয়েছিলেন এবং গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে প্রথমেই স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির পৃষ্ঠপোষক দল হিসেবে এই দলটির একটি চরিত্র দাঁড়িয়ে যায়। স্বাধীনতা বিরোধী রাজনীতির যে ধারা বিএনপি চালু করেছিল, বিএনপিকে আজকে তার মূল্য দিতে হচ্ছে।

২। বিএনপি বাংলাদেশে টাকা দিয়ে কেনাবেচার রাজনীতি চালু করে। দল কেনাবেচা, দল ভাঙা, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভেঙে নিজেদের দল ভারী করার ধারার প্রবর্তন করে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের ভূক্তভোগী হয়। টাকা দিয়ে আদর্শ কেনাবেচা করে দল গঠন করার মূল্য এখন বিএনপিকে দিতে হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

৩। বিএনপির রাজনীতির আরেকটি বড় ভুল ছিল ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সমর্থন করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি থেকে রক্ষা করার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করেন। মোশতাক অধ্যাদেশ জারি করলেও জিয়াউর রহমানই ছিলেন তখন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু উনি এই অধ্যাদেশ বাতিল করেননি। ওই সময় যদি জিয়া ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করতেন তাহলে বিএনপি রাজনৈতিক আদর্শের একটি উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতো। কিন্তু তা না করে জিয়া কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদের মতো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করলেন, পৃষ্ঠপোষকতা দিলেন। এর মাধ্যমে বিএনপি নিজেদের পচাত্তরের খুনিদের রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রমাণ করলো। ওই সময়টাতে রাজনৈতিক বিভাজনের যে ধারা বিএনপি সূচনা করেছিল তার প্রতিফল এখন তারা ভোগ করছে।

৪। বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি কলুষিত করার দায়টিও নিতে হবে বিএনপিকে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হিজবুল বাহার নামক একটি জাহাজে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়ে ভ্রমণে যেতেন। সেই ভ্রমণগুলোতেই শিক্ষার্থীদের ব্রেইন ওয়াশ করে বিএনপির ভ্রষ্ট আদর্শে তাদের দীক্ষা দেওয়া হতো। গোলাম ফারুক অভি, নীরুর মতো অনেক মেধাবী ছাত্র এই হিজবুল বাহারের বলি। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, আদর্শের বদলে অর্থ দিয়ে রাজনীতি করার ধারা শুরু করেছিল বিএনপি। রাজনীতিতে অস্ত্র, পেশীশক্তি, কালো টাকার ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনীতিকে কলুষিত করার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বিএনপি আজকে তার মূল্যই বিএনপিকে দিতে হচ্ছে। দলের ক্রান্তিকালীন সময়ে যে বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে না তার কারণ তাদের কোনো ত্যাগী, আদর্শিক কর্মী নেই। একটি রাজনৈতিক দলের যদি কোনো আদর্শ না থাকে তবে শুধু টাকা পয়সা দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করা যায় না। নিজেদের আদর্শহীন রাজনীতির কারণেই এখন ভুগছে বিএনপি।

৫। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। তখনো তাদের সামনে সুযোগ ছিল জিয়ার অপকর্ম, রাজনৈতিক ভ্রষ্টাচারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন বিএনপি গড়ার। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বিএনপির সামনে এমন একটি পথ সৃষ্টিও হয়েছিল। এর ফলেই একটি দিনবদলের  প্রত্যাশা থেকে ’৯১ এর নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে জনগণ। কিন্তু ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়ার বিএনপিও জিয়াউর রহমানের বিএনপির ধারাবাহিকতাই রক্ষা করলো। যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে থাকা, স্বাধীনতাবিরোধীদের মদদ দেওয়া, পচাত্তরের খুনিদের সঙ্গে মিত্রতা করার কাজগুলো নব উদ্যমে শুরু করলো বিএনপি। ফলে স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির বদনাম আর ঘুচলো না। গণতান্ত্রিক পথে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেও গণতান্ত্রিক দল হিসেবে নিজেদের পুনর্গঠন করার সুযোগটি না নিয়ে বিএনপি আরও একটি ভুল করলো।

৬। ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির রাজনীতিতে অভ্যুদয় ঘটলো জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার। তারেক জিয়ার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বিএনপির রাজনীতিকে আরও কলুষিত করলো। বিএনপি হয়ে গেল দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও কালো টাকার আখড়া। সেবার বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ পরপর তিনবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। তারেকের বাসভবন হাওয়া ভবন থেকে আসতে থাকলো সরকারি গুরুত্বপুর্ন অনেক সিদ্ধান্ত, দুর্নীতির মচ্ছব বসলো সেখানে। দুর্নীতিবাজ হিসেবে ব্র্যান্ডিং হয়ে গেল তারেক জিয়ার। তাঁকে মানুষ চিনতে লাগলো দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে। তারেক জিয়ার কর্মকাণ্ডে তাঁর পিতা জিয়াউর রহমানের সময় বিএনপির অর্থনৈতিক সততার যে একটা প্রলেপ ছিল সেটিও ধ্বংস হয়ে গেল। বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী-সমর্থক আদর্শ ছাড়াই শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সততা দেখে বিএনপিকে পছন্দ করতেন তাদের কাছেও দলটি আস্থা হারিয়ে ফেললো।

৭। জামাত নির্ভরতা বিএনপির আরেকটি বড় ভুল। জিয়াউর রহমান জামাতকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন আর খালেদা জিয়া শুরু করেছিলেন পুরোপুরি জামাত নির্ভর রাজনীতি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একাত্তরের রাজাকার-আলবদরদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিলেন বেগম জিয়া। এসব ঘটনায় জামাত থেকে বিএনপিকে আর আলাদা করার সুযোগ রইলো না, জামাত-বিএনপি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। এর ফলে দেশের তরুণ সমাজ, সেক্যুলার সমাজ, মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী সমাজের আস্থাও হারিয়ে ফেললো বিএনপি।

৮। বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতিও শুরু হয় বিএনপির হাত ধরে। বিএনপির কর্মকাণ্ডে মনে হতে থাকলো, ক্ষমতায় থাকা মানেই তাঁরা সবরকম আইন ও বিচারের উর্ধ্বে। বিএনপি দলের দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের কোনো বিচার করলো না। এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত আসার পর তাও তাঁরা আপিল বিভাগে আটকে দিল। বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করার নজির গড়লো বিএনপি। জিয়ার আমলে কর্নেল তাহের থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার সময় সাবের হোসেন চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীরদের সবাইকেই বিনা বিচারে আটক করেছে বিএনপি। যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপি চালু করেছিল তার ফলই এখন ভোগ করছে দলটি। এ যেন অন্যের জন্য পাতা ফাঁদে নিজেই পড়ে যাওয়া।

৯। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সবচেয়ে বড় বিভাজন রেখাটি তৈরি করেছিল ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। ওই হামলার মাধ্যমে যে  সন্ত্রাস ও প্রতিপক্ষকে নির্মূলের রাজনীতি চালু করেছিল বিএনপি তাই দলটিকে সবচেয়ে বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

১০। বিএনপির সর্বশেষ ভুল হচ্ছে ২০১৩-১৪ তে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহন না করা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিএনপি যদি ওই নির্বাচনে যেত তাহলে আজকে তাঁদের ৪০ বছর পূর্তির দিনটি এতটা বিবর্ণ, এতটা সংকটময় হতো না।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান,নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস,মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয়, আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ, মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছেন আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব) কে। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন।

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিবকে। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছেন এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমানকে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল।

এর আগে ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহমেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীকে সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিরাই আসল খেলোয়াড়

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবার উপজেলা নির্বাচনে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথমত, উপজেলা নির্বাচনে তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করেননি। দ্বিতীয়ত, দলের পক্ষ থেকে এবার নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে তারা দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে পারবে না- এমন ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। চতুর্থত, উপজেলা নির্বাচনে যেন কোন আত্মীয়স্বজন অংশগ্রহণ না করে সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কেউ মানেনি। যার ফলে উপজেলা নির্বাচনে এখন একটি আতঙ্কের অবস্থা বিরাজ করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে। 

এই উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিএনপির বেশ কিছু প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। আবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহ ছিল। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ যেহেতু দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সেহেতু এটি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিরা। 

নির্বাচন কমিশন গতকাল তাদের বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের এই আশঙ্কা যে ভুল নয় তা এখন নির্বাচনের মাঠে দেখা যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপি-মন্ত্রীদেরকে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এমপিরা নির্বাচনী প্রচারে সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন না বটে কিন্তু তাদের লোকজন এবং সমর্থকরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন।এটি প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও এমপি-মন্ত্রীরা সরাসরি নিজের আত্মীয়কে প্রার্থী করেছেন। আবার কোথাও কোথাও মাইম্যানদেরকে বসিয়েছেন। আত্মীয়দের চেয়ে  মাইম্যানদের সংখ্যা বেশি। 

আওয়ামী লীগের একজন সদস্য বলছেন যে, আত্মীয়দেরকে চেনা যায় কিন্তু  মাইম্যানদেরকে চেনা যায় না। কোন কোন ক্ষেত্রে  মাইম্যানরা আত্মীয়দের চেয়েও ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত  মাইম্যানদেরকে জেতানোর জন্য মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন বলেও বিভিন্ন এলাকার মাঠের খবর থেকে পাওয়া যাচ্ছে। আর মন্ত্রী-এমপিদের এই প্রভাবের ফলে অবাধ, সুষ্ঠু এবং একটি প্রভাবমুক্ত উপজেলা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কি না সে নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। 

তবে আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রভাবমুক্ত, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর একটি নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর এবং এ ব্যাপারে তিনি ছাড় দিবেন না। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা যেন কারও পক্ষ অবলম্বন না করে। অন্যান্য যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তারাও যেন এই নির্বাচনে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নির্বাচন করে সে রকম একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলে যারা প্রভাবশালী তারা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না এ রকম প্রত্যাশা এখন করা যাচ্ছে না। কারণ প্রভাবশালীরা কারও নির্দেশই মানে না। বিশেষ করে স্বজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ যেভাবে অমান্য হয়েছে তাতে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করার জন্য সতর্কবার্তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খোকনের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে পারল না বিএনপি?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে। 

একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, স্কাইপে তারেক জিয়ার উপস্থিতিতেই মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং কায়সার কামাল একের অপরের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। এ সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নুল আবদিন ফারুক, আহমদ আজম খান উপস্থিত ছিলেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মাহবুব উদ্দিন খোকন অংশগ্রহণ করেছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে। এই নির্বাচনে মাহবুব উদ্দিন খোকন বিজয়ী হলেও অধিকাংশ পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রার্থীরা পরাজিত হন। এরপর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, মাহবুব উদ্দিন খোকন যেন সুপ্রিম কোর্টের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ না করেন। কিন্তু ফোরামের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেই মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আর এই দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দেয় এবং দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে এমন গুঞ্জন উঠেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। যত বড় নেতাই হোক না কেন, তিনি যদি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের একটা রীতি চালু হয়েছে। আর এ রকম কারণে বিএনপির বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা শেষ পর্যন্ত দলে থাকতে পারেননি। তৈমুর আলম খন্দকার তার একটি বড় উদাহরণ। এ রকম বহু উদাহরণ বিএনপিতে এখন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই বিবেচনা থেকে অনেকে মনে করেছিলেন যে, মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধেও হয়তো বিএনপি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে আদর আপ্যায়ন করেই দলের মধ্যে রাখা হল এবং মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও গণমাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়নি। 

প্রশ্ন উঠেছে কেন খোকনের ব্যাপারে বিএনপির নেতারা নমনীয় হলেন? এর কারণ হিসেবে কেউ কেউ বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি এখানে ভূমিকা রেখেছেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে মাহবুব উদ্দিন খোকনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার তিনি আইনজীবীও বটে। এই বৈঠক শেষ করেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বেগম খালেদা জিয়াকে মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিষয়টি অবহিত করেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকনকে বিএনপিতে রাখার পিছনে বা খোকনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান বিএনপির না নিতে পারার প্রধান কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপ। দ্বিতীয়ত, কেউ কেউ মনে করছেন যে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে মাহবুব উদ্দিন খোকন একটি বড় ফ্যাক্টর। সুপ্রিম কোর্টে তিনি একজন জনপ্রিয় আইনজীবী। তার নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি বিরাট অংশ রয়েছেন। এই মুহুর্তে যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্ট বিএনপির হাত ছাড়া হয়ে যাবে। কারণ কায়সার কামালের আইনজীবীদের মধ্যে সে রকম কোন অবস্থান নেই। সবকিছু মিলিয়ে খোকনকে বহিষ্কার করা হলে সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি বড় ধরনের একটি ধাক্কায় পড়বে বলে বিএনপির নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তৃতীয়ত, মাহবুব উদ্দিন খোকনের যে যুক্তি ছিল যে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি থাকলে দলের জন্য অনেক কাজ করা যাবে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ অন্যান্য ইস্যুতে কথা বলার সুযোগ থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টে বিএনপির একটা অবস্থান থাকবে। এ সমস্ত বক্তব্য গুলোই শেষ পর্যন্ত বিএনপির নীতি নির্ধারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আর এ কারণেই খোকনের ব্যাপারে বিএনপি শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে। 

মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি   সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ৭৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন-

চট্টগ্রাম বিভাগ: ১. মোসা. শিরীন আক্তার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, বান্দরবান জেলা মহিলা দল, বান্দরবান জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ২. মো. রিটন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক, আলীকদম উপজেলা বিএনপি, বান্দরবান জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৩. মোসা. জাহানারা জাহাঙ্গীর, সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা মহিলা দল, জেলা কক্সবাজার (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৪. জাহাদুল হুদা, সভাপতি, মহেশখালী উপজেলা যুবদল, জেলা কক্সবাজার (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)।

রাজশাহী বিভাগ: ১. কায়সার আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ২. মো. কামাল উদ্দীন, সদস্য, ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৩. মোসা. রেশমাতুল আরস রেখা, মহিলা দলনেত্রী, ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৪. মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৫. বাবর আলী বিশ্বাস, সদস্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী)। ৬. আতাউর রহমান খসরু, আহ্বায়ক, মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি, কালাই উপজেলা, জয়পুরহাট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. শামীমা আক্তার (বেদেনা), সদস্য, জয়পুরহাট জেলা মহিলা দল ও সহসভাপতি, ক্ষেতলাল উপজেলা মহিলা দল, জয়পুরহাট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. ইমতিয়াজ আহমেদ হীরা, সাবেক ভিপি, নাটোর সদর উপজেলা, নাটোর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. আফজাল হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি, নলডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, নাটোর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১০. মোসা. মহুয়া পারভিন, সভাপতি, নলডাঙ্গা উপজেলা মহিলা দল, নাটোর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

ময়মনসিংহ বিভাগ: ১. এ বি এম কাজল সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. মোসা. সুমি বেগম, সহকুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দল (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. মোসা. মনোয়ারা বেগম, সহসভাপতি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা মহিলা দল (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. অ্যাড. হাসনাত তারেক, সদস্য, আইনজীবী ফোরাম, হালুয়াঘাট উপজেলা, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. জাহাঙ্গীর আলম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. শামসুর রশিদ মজনু, সাবেক সহসভাপতি, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. ইমরান হাসান পল্লব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ফুলপুর পৌর বিএনপি, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. কামাল উদ্দীন, যুগ্ম আহ্বায়ক, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. নাজমুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি ও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক, সদর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১০. নাজমুল আলম, সদস্য, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি, কিশোরগঞ্জ জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১১. ফরিদ আল-রাজি, সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদল (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১২. হুমায়ুন কবির, সদস্য, হালুয়াঘাট উপজেলা যুবদল, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৩. এ বি এম সাইফুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,

কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি, শ্রীবর্দী উপজেলা, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৪. আব্দুর রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক, ০১ নং ওয়ার্ড, শ্রীবর্দী শহর বিএনপি, শেরপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

১৫. সাদমান সৌমিক মুন, সভাপতি, গোসাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল, শ্রীবর্দী উপজেলা, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৬. জোবায়দুল ইসলাম রাজন, আহ্বায়ক, শ্রীবর্দী উপজেলা ছাত্রদল, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৭. মোঃ আমিনুল ইসলাম বাদশা, সদস্য, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি ও সদস্য, শেরপুর জেলা বিএনপি (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১৮. মেহেদী হাসান মামুন, আহ্বায়ক, ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, শেরপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

সিলেট বিভাগ: ১. সেবুল মিয়া, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, যুক্তরাজ্য বিএনপি, বিশ্বনাথ উপজেলা, সিলেট জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. গৌউছ খান, সাবেক আহ্বায়ক, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি, সিলেট জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. ছবি চৌধুরী, সহসভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দল ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, দিরাই উপজেলা বিএনপি, সুনামগঞ্জ জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. রাহেলা বেগম হাসনা, সাংগঠনিক সম্পাদক, বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার জেলা মহিলা দল, মৌলভীবাজার জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. গোলাপ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক, দিরাই উপজেলা বিএনপি, সুনামগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সভাপতি, শাল্লা উপজেলা বিএনপি, সুনামগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. স্বপ্না শাহীন বেগম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি, সিলেট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. আব্দুল রব সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক, খাজানজি ইউনিয়ন বিএনপি, বিশ্বনাথ উপজেলা, সিলেট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. কাউছার খান, যুগ্ম সম্পাদক, বিশ্বনাথ উপজেলা, স্বেচ্ছাসেবক দল, সিলেট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

বরিশাল বিভাগ: ১. ফায়জুল কবির তালুকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জিয়ানগর উপজেলা বিএনপি, পিরোজপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

ঢাকা বিভাগ: ১. আফরোজা রহমান লিপি, সভাপতি, সিঙ্গাইর উপজেলা মহিলা দল, মানিকগঞ্জ জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. জাহিদুর রহমান তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক, হরিরামপুর উপজেলা যুবদল, মানিকগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. তোফাজ্জল হোসেন তোফাজ, সিনিয়র সহসভাপতি, সিঙ্গাইল উপজেলা বিএনপি, মানিকগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. মোশারফ হোসেন মুসা, সদস্য, হরিরামপুর উপজেলা বিএনপি, মানিকগঞ্জ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. এজাদুর রহমান মিলন, সহসভাপতি, গাজীপুর জেলা বিএনপি ও সদস্য, সদর উপজেলা বিএনপি, গাজীপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

কুমিল্লা বিভাগ: ১. সাজ্জাদ মোর্শেদ, সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল, নাসিরনগর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. ওমরাহ খান, সাবেক সহ-সভাপতি, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. শামীম ইস্কান্দার, সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জিয়া পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. হানিফ আহমেদ সবুজ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, সরাইল উপজেলা যুবদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. মাজহারুল ইসলাম, সদস্য, লাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. হালিমা আক্তার শিমু, সহনারী অধিকার বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দল, মেঘনা উপজেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. দিলারা শিরীন, সহসাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দল, মেঘনা উপজেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. রমিজ উদ্দীন লন্ডনী, যুগ্ম আহ্বায়ক, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও আহ্বায়ক, মেঘনা উপজেলা বিএনপি, কুমিল্লা উত্তর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

খুলনা বিভাগ: ১. মোসা. রোমানা আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, মেহেরপুর জেলা বিএনপি ও সদস্য, সদর উপজেলা বিএনপি (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. ইশরাত জাহান পুনম, সহসভাপতি, কুষ্টিয়া জেলা মহিলা দল, খোকসা উপজেলা, কুষ্টিয়া জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. মেহেদী হাসান মিন্টু, সদস্য, রামপাল উপজেলা বিএনপি ও আহ্বায়ক, বাগেরহাট জেলা তাঁতী দল, বাগেরহাট জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

রংপুর বিভাগ: ১. সরোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি, ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপি, দিনাজপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. মো. সেলিম, যুববিষয়ক সম্পাদক, ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবদল, দিনাজপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. মোসা. পারুল নাহার, সহসভাপতি, হাকিমপুর উপজেলা বিএনপি, দিনাজপুর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিরামপুর পৌর বিএনপি, দিনাজপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. মোসা. উম্মে কুলসুম বানু, সাধারণ সম্পাদক, বিরামপুর উপজেলা মহিলা দল, দিনাজপুর জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. মোসা. লতিফা আক্তার, সাবেক সভাপতি, পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা দল, লালমনিরহাট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৭. মোসা. মাকতুফা ওয়াসিম বেলী, আহ্বায়ক, হাতিবান্ধা উপজেলা মহিলা দল, লালমনিরহাট জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৮. ইমান আলী, সহসভাপতি, রৌমারী উপজেলা বিএনপি, কুড়িগ্রাম জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৯. সেকেন্দার আলী চাঙ্গা, সদস্য, রৌমারী উপজেলা বিএনপি ও সদস্য, কুড়িগ্রাম উপজেলা কৃষক দল, কুড়িগ্রাম জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১০. মোসা. তাজমিন নাহার (শাপলা), সহসভাপতি, রৌমারী উপজেলা মহিলা দল, কুড়িগ্রাম জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ১১. শাহ মো. ফরহাদ হোসেন অনু, যুগ্ম আহ্বায়ক, পীরগাছা উপজেলা বিএনপি, রংপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

ফরিদপুর (সাংগঠনিক) বিভাগ: ১. জানে আলম, সদস্য সচিব, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষক দল, ফরিদপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ২. ফারুক মৃধা, প্রাথমিক সদস্য, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৩. শাহিদ আল-ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক, ফরিদপুর জেলা কৃষক দল, সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৪. একেএম নাজমুল হাসান, সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৫. রউফ উন-নবী, সাবেক সভাপতি, সদর উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা (উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী)। ৬. শারমিন আক্তার টুকটুকি, সহসভাপতি, রাজবাড়ী জেলা মহিলা দল, সদর, রাজবাড়ী জেলা (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী)।

বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীরা?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে ভ্রুকুটি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের শতাধিক মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

 প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর দেখা গেছে, ১৫০ টি উপজেলার মধ্যে অন্তত ৩৭ টিতে সরাসরি আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। দ্বিতীয় দফা, তৃতীয় দফাতেও বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেটি এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। 

আওয়ামী লীগ আগামী ৩০ এপ্রিল এই বিষয়টি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছে। সেই বৈঠকে এদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক সময়ের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে ধারণা করা যায় যে, আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারবে না। আইনের নানা ফাঁকফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যাবেন বলেও অনেকের ধারণা। কারণ আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তটির মধ্যে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। বিশেষ করে স্বজনদের প্রার্থী করা যাবে না- এই ঘোষণার পর কতগুলো শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন- যারা এখন উপজেলা চেয়ারম্যান আছেন, তারা প্রার্থী হতে পারবেন। যারা আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে আছেন, তাদেরকে স্বজন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না ইত্যাদি নানা ফাঁক আবিষ্কার হচ্ছে এবং এই ফাঁকগুলো দিয়ে শেষ পর্যন্ত যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা প্রার্থী দিয়েছেন, তারা বেরিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

যেমন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি গতবার উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন এবং বিজয়ী হয়েছেন। তিনি যখন গতবার উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন, এবারও তিনি প্রার্থী হতে পারেন। এতে কোন অসুবিধা নেই বলেই আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানিয়েছেন। আর ড. রাজ্জাককে বাঁচানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে অন্তত ১৭ জন বেঁচে যাচ্ছেন। যারা এখন মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজন কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে তারা প্রার্থী হয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, আওয়ামী লীগের যে সমস্ত স্বজনরা নিজ যোগ্যতায় দলের বিভিন্ন পদে আছেন, তাদেরকে স্বজন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন যে, এরা নিজের যোগ্যতায় দলের পদ নিয়েছে, নিজেরাই দলে নেতৃত্ব পেয়েছে। এখানে পরিবারের বা মন্ত্রী এমপিদের কোন ভূমিকা ছিল না। আর একারণেই হবে তারা যদি নিজ পরিচয়ে প্রার্থী হন তাহলে সেটাকে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। 

আওয়ামী লীগের নোয়াখালীর এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান যদি সাবালক হয় তাহলে তার একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। একই রকম মনোভাব ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। শাজাহান খানের ছেলে সেখানে সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এ কারণেই এ সমস্ত ব্যক্তিরা শেষ পর্যন্ত কোন শাস্তির কোপানলে পড়বে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে কেউ কেউ বলেছেন যে, স্বজনরা যখন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কমিটিতে ছিল তখন তাদেরকে বাঁধা দেয়া হয়নি। যিনি জনপ্রিয় তিনি প্রার্থী হবেন, তিনি স্বজন না দুর্জন সেটি বিবেচনার বিষয় নয়। এ সমস্ত নানা যুক্তির মারপ্যাচে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীরা পার পেয়ে যাবে বলে অনেকে মনে করছেন।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন