নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজের অংশগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু রাজনীতিবিদরাই নন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরও যেন জাতীয় ঐক্যে অংশগ্রহণ থাকে এ প্রত্যাশায়ই এমন উদ্যোগ। জানা গেছে, শিগগিরই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধিরা। অবশ্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঐক্য গড়তে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের উদ্যোগের ফলাফল হতাশাজনক বলেই জানা গেছে।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঐক্য প্রক্রিয়ার অন্যতম নেতা ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সুশীল সমাজের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব নেন। দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বলে পরিচিত কয়েকজন বড় মাপের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তবে প্রায় সবারই সায় নেই জাতীয় ঐক্যে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তবে ঐক্য নিয়ে অনাগ্রহের কথা জানিয়ে স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তিনি যুক্ত হতে চান না। এছাড়া নিজের ব্যস্ততার কারণে এজন্য সময় বের করাও দুরূহ বলে জানিয়ে দিয়েছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বর্তমান সরকারের ঘোর সমালোচক বলেই পরিচিত। এরপরও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি এতে যোগ দেওয়ায় অপারাগতা প্রকাশ করেন। সুলতানা কামাল বলেন, এমন কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি যোগ দিতে ইচ্ছুক নন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সুলতানা কামাল জানিয়ে দেন, সিভিল সোসাইটির কাজ হলো জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করা। সরকারের ভুল ত্রুটিগুলো দেখা। কোনো রাজনৈতিক পক্ষ অবলম্বন সিভিল সোসাইটি ও মানবাধিকার কর্মীদের কাজ নয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হয়েছিল। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। অধ্যাপক সোবহানও জাতীয় ঐক্যে নিজের অনীহার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, এটি আমাদের কাজ নয়। সিভিল সোসাইটির হলো সমাজের মূল চালিকাশক্তি। সুশীল সমাজের অন্য অনেক দায়িত্ব আছে। অধ্যাপক রেহমান সোবহানের স্ত্রী অধ্যাপক রওনক জাহানও জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। তবে সম্মানিত এই অধ্যাপকও না করেছেন তাঁদের। ইমেরিটাস এ অধ্যাপক বলেন, এই প্রক্রিয়ার মধ্যে অনেক উগ্র ধর্মান্ধ মৌলবাদী আছে। বিএনপি দলটিই অগণতান্ত্রিক বলে মত ড. আনিসুজ্জামানের। এসব কারণেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কোনো সংশ্লিষ্টতায় রাজি নন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের সমালোচক। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। তবে সাবেক এই সচিবের কাছ থেকেও আশাহত হতে হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগে নিজের অনীহার কথা জানিয়েছেন আকবর আলি খান।
আরেকজন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. সাদাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। তবে তিনিও ফিরিয়ে দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহকে। ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সুশীল সমাজের সম্মানিত এই প্রতিনিধিরাই শুধু নন, এমন সমাজ সচেতন, স্বচ্ছ ইমেজের সুশীল সমাজের অনেক প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেই ব্যর্থ হয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। আর এর মধ্যে দিয়ে সুশীল সমাজের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারীদের কাছ থেকে জাতীয় ঐক্যে তাঁদের অনাস্থার বিষয়টিও স্পষ্ট হলো।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।