ইনসাইড পলিটিক্স

জিয়া পরিবারকে পুনর্বাসনের রোডম্যাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

নির্বাচনের আগে নাটকীয়ভাবে ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে বিএনপি। তবে নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন যতটা না জরুরি ছিলো, তাঁর চেয়ে বেশি জরুরি ছিলো খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা। মূলত এই সংকট কাটাতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে বিএনপি, সেটি ক্রমশ. স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রাজনীতি পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, ঐক্যফ্রন্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত জিয়া পরিবার রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পেল। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির যে সমঝোতা হয়েছে, সেই সমঝোতার মূল উপজীব্য বিষয়ই হলো জিয়া পরিবারকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই জিয়া পরিবারের রাজনীতিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ স্পষ্ট হয়ে আসছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রোডম্যাপ দৃশ্যমান হলো এ রকম।

১. রোডম্যাপ অনুযায়ী জিয়া পরিবারের বেগম খালেদা জিয়া মূল সদস্য। তিনি কারাগারে। তারেক পলাতক আসামী হয়ে লন্ডনে রয়েছেন। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। কাজেই, এই নির্বাচনে বিএনপি-জামাত নিয়ন্ত্রিত ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন। বিএনপি-জামাতের নেতা হিসেবে নির্বাচনী মাঠে থাকবেন তিনি।

২. নির্বাচনে যদি বিএনপি নিয়ন্ত্রিত ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্ট বিজয়ী হয়, তাহলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম কাজ হবে জিয়া পরিবারকে পুনর্বাসিত করা। ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, সেটির মূল উপজীব্যই হলো জিয়া পরিবারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।

৩. নির্বাচনে জয়ী হলে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াও তারেক জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করা হবে অন্যতম পদক্ষেপ। এর পরই দু’টি আসনে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে তাদেরকে সংসদে নিয়ে আসা এবং তাদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে এ পরিকল্পনার অংশ।

৪. খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারকে আইনগতভাবে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার ক্ষেত্রে যে বাঁধা রয়েছে, সেটি দূর করা কঠিন আইনী চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রোডম্যাপ অনুযায়ী ঐক্যফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে মামলা দু’টি নিয়ে উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণিত করে সাজা মওকুফ করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা মওকুফ করার চেষ্টা করা হবে।

৫.  ‍শুধু সাজা মওকুফ করলেই হবে না, পুনর্বাসনের আরও কিছু কার্যক্রম রয়েই যাবে। বিশেষ করে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কি হবে সেটিও এই রোডম্যাপের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে । বিএনপির হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে দুই বছর সময় লাগবে।

বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দু’জনকেই আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত করাই ড. কামাল হোসেনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এজন্যই বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র মনে করছে। 

বেগম খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাভোগ করছেন। একটি মামলায় হাইকোর্ট বেগম জিয়ার দন্ড বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তাঁর শেষ ভরসার স্থান হলো আপিল বিভাগ। শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগের রায়ের পর যদি এই দু’টি মামলায় দন্ড বহাল থাকে, সেক্ষেত্রে দন্ড শেষ হওয়ার আরও ৫ বছর পরে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে পুনর্বহাল হতে পারবেন। তবে, তাঁর বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে পুনর্বহাল হওয়ার আর কোনো সুযোগই থাকছে না। কাজেই, এই আইনী লড়াইয়ে ড. কামাল কিভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে সহায়তা দেবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

তবে খালেদা জিয়ার চেয়েও বেশি আইনী জটিলতা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার ক্ষেত্রে। মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক জিয়াকে দন্ড দেওয়া হয়েছে ও গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। মানি লন্ডারিং মামলায় আপিল আবেদনের সুযোগ হারিয়েছেন তারেক। কাজেই তাঁর জন্য এখন সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো আপিলের সুযোগ কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন? আপিলের মাধ্যমে তিনি আদৌ মুক্ত হতে পারবেন কিনা সেটি এখন বড় প্রশ্ন। এখানেও ড. কামাল হোসেনের আইনী পরামর্শের প্রয়োজন পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, এক্ষেত্রে তারা মালয়েশিয়ার রোল মডেল অনুসরণ করা হবে। মালয়েশিয়ায় আনোয়ার ইব্রাহিম যেমন দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হয়েছিল, পরে তাকে কারামুক্ত করা হয়। দুই বছর পর তিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তেমনি বাংলাদেশেও দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত জিয়া পরিবারের সাজা মওকুফ করিয়ে তাদের সংসদে বসানোই হবে কামাল হোসেনের প্রধান দায়িত্ব। এটিই হলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে মূল রাজনীতিক এজেন্ডা। 

 

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকন ইস্যু 'নিষ্পত্তি' করল বিএনপি

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।

তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও  কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
 
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
 
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।

তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয় আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
 
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’ 

এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।


ব্যারিস্টার খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন