নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে আবার আওয়ামী লীগ ঐক্যমতের সরকার গঠন করবে। জাতীয় সংসদে যেসব রাজনৈতিক দল আসন পাবে, আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলে তাঁদের সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাবে। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সদ্য দায়িত্ব পাওয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারকে এই তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে ড. রিজভীর সঙ্গে মিলারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ড. গওহর রিজভী বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘এটা কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। উনি আমার পূর্ব পরিচিত। বাংলাদেশে নতুন এসেছেন তাই তাঁকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।’ অবশ্য ড. রিজভী বলেছেন, নৈশভোজে বাংলাদেশের নির্বাচনসহ নানা প্রসঙ্গেই কথাবার্তা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, একান্ত বৈঠকে ড. রিজভী আগামী নির্বাচন যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরেন। নতুন যে সরকার ৩০ ডিসেম্বর জয়ী হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে তাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে, যে অগ্রগতি এবং উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে তা এগিয়ে নেওয়া। বাংলাদেশ যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তা ধরে রাখার দায়িত্ব নতুন সরকারের।
ড. রিজভী রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরে বলেছেন, বর্তমান সরকার এই ইস্যুতে বিশ্বজনমতকে একীভূত করেছেন, সেটা ধরে রাখা একটা চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বলেছেন, এসব বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যতবার নির্বাচনে জিতেছেন, ততবারই ঐক্যমতের সরকার গঠনের ডাক দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ১৯৯৬ সালে মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টি এবং জাসদকে নেওয়ার উদাহরণ দেন। ২০০৮ সালেও আওয়ামী লীগ সভাপতি সকলকে নিয়ে সরকার গঠনের ডাক দিয়েছিলেন। সে সময় বিএনপি ছাড়া সব দলই সরকারে যোগ দিয়েছিল। এমনকি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে সরকারে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিএনপি সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে। ড. গওহর রিজভী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক বিভেদ দূর করতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হতেই পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে আমাদের এক থাকতে হবে।
ড. রিজভী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বে উঠে জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন।’
সূত্রমতে মিলার জানতে চান, রাজি হলে ড. কামাল হোসেনকেও কি মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে? জবাবে ড. গওহর রিজভী বলেছেন, কেন নয়? আমাদের আপত্তি শুধু স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গি এবং ধর্মান্ধদের ব্যাপারে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘এমনকি আমরা জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী মির্জা ফখরুলকেও মন্ত্রিসভায় আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তবে তিনি জামাত এবং মৌলবাদী কোনো দলের কোন সদস্যকে মন্ত্রীসভায় নেবেন না।
উল্লেখ্য, ড. গওহর রিজভীর সঙ্গে রবার্ট মিলারের ১৫ বছরের পরিচয় বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।