নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১০ জানুয়ারী, ২০১৯
শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হচ্ছে ২০ দলীয় জোট। তবে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নয়, আপনা আপনি এই জোটকে অকার্যকর করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জোটের মধ্যে থেকে এলডিপি, বিজেপি, কল্যাণ পার্টিসহ কয়েকটি দলকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে নেওয়া হবে। নির্বাচনের পর ২০ দলীয় জোটের একটি মাত্র বৈঠক হয়েছে। ২০ দলীয় জোটের অধিকাংশ শরীক জোটের ব্যাপারে বিএনপির নেতিবাচক অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। ২০ দলের অনেক নেতাই একই সঙ্গে দুই জোট করার ‘নৈতিকতা’ নিয়েও বিএনপিকে প্রশ্ন করেছে। তাছাড়া ২০ দলের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জামাতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে নির্বাচনের পর। এইসব বিবেচনায়, ২০ দল এগিয়ে না নেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েচেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তবে বিএনপির অন্য একটি সূত্র বলছে, জামাত থেকে আলাদা হওয়ার জন্য আগে থেকেই বিএনপির জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চাপ ছিল। বিএনপি এখন বুঝতে পেরেছে যে জামাতকে সঙ্গে রেখে বিএনপি কোনো সহযোগিতাই কারো কাছ থেকে পাবে না। এ কারণেই ২০ দলকে নিস্ক্রিয় করা হচ্ছে। নির্বাচনের পর বিএনপি ঐক্যফ্রন্টগত ভাবেই নতুন কর্মসূচি দিযেছে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘তারেক জিয়াও চাইছেন ঐক্যফ্রন্টকেই এগিয়ে নিতে। ২০ দল নয়।’ বিএনপির অন্য একজন নেতা বলেছেন, ‘এই মেয়াদে সরকার সম্ভবত জামাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে ২০ দল রাখা বিএনপির জন্য আত্মঘাতি হবে।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় আমরা স্পষ্ট অবস্থান নিতে পারিনি। সাধারণ মানুষ এটাকে ভালোভাবে নেয়নি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মহলেও এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’ এ কারণে জামাতকে আনুষ্ঠানিক নিষিদ্ধ ঘোষণার আগেই তার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলা প্রয়োজন।
নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপি নেতারা যতোবার কূটনীতিকদের সাথে বসেছে, ততোবারই জামাতের সঙ্গে সম্পর্কের ইস্যুটি সামনে এসেছে। বিএনপির প্রায় সব শীর্ষ নেতারাই বলছেন, নির্বাচন বাতিলের ব্যাপারে তারা যে আন্তজার্তিক সমর্থন চাইছেন, তা জামাত থাকলে আদায় করা অসম্ভব। এ জন্য কৌশলগত কারণে ২০ দলকে বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ২০ দলে যদি জামাত না থাকে তাহলে ঐ জোট হবে অস্তীত্বহীন। জামাতের বাইরে দলগুলো খুবই ছোট। এদের নিয়ে জোটের কোন মানে হয় না বলেই বিএনপির নেতারা মনে করছেন। অবশ্য বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ’২০ দল বিলোপের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।’ তবে তিনি বলেন, ’২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে একটা সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে।’ এ ক্ষেত্রে জামাতের অবস্থান কি হবে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছেন, ‘এটা সময়ই বলে দেবে।‘ অবশ্য অন্য একটি সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বিএনপিকে ‘জামাত’ ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছে। নির্বাচনের আগে এই পরামর্শকে আমলে না নিলেও এখন বিএনপি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। বিশেষ করে, জামাত নিষিদ্ধ হলে ২০ দল নিয়ে প্রশ্ন আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিএনপির অনেক নেতা।
অবশ্য ২০ দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাই ২০ দলকে সক্রিয় করতে চাইছেন না। ২০ দলের নেতারা বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তাদের (বিএনপির) পরিকল্পনা কি? ২০ দলের একজন নেতা বলেছেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটা এডহক ব্যবস্থা। নির্বাচনের পর এটা থাকবে না। অন্তত আমাদের সেরকম ধারণা দেওয়া হয়েছিল। এখন দেখছি বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের ব্যাপারেই আগ্রহী। তাহলে ২০ দলের দরকার কি?’
মূলতঃ মান অভিমান আর জামাত ছাড়তেই বিলুপ্ত হচ্ছে ২০ দল।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।