নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯
জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্চ করে সংসদ সচিবালয়ে চিঠি দিচ্ছে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সদ্যবিদায়ী বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। বেশ কিছুদিন যাবতই বিবৃতি দিয়ে এরশাদের বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এরশাদ-রওশন দম্পতির মাঝে গৃহবিবাদ চরমে ওঠে। দশম জাতীয় সংসদে বেগম রওশন এরশাদ দাপটের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার আসন ধরে রাখলেও একাদশ জাতীয় সংসদে পদটি রওশন এরশাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। কৌশলী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নির্বাচনের পরপরই স্পিকার বরাবর চিঠি দিয়ে নিজেকে বিরোধী দলীয় নেতা এবং সহোদর জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার স্বীকৃতি দেয়ার চিঠি দেয়। আর এ চিঠি দেয়ার মধ্য দিয়েই এরশাদ এবং রওশন এরশাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বৈঠক করেন। বৈঠকে ঐ সংসদ সদস্যরা বলেন, জাতীয় পার্টির সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনভাবেই বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতার পদ এককভাবে দলীয় চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারেন না। তাদের মতে, এ ধরনের একক সিদ্ধান্ত সংসদীয় রীতি-নীতির পরিপন্থী। সভায় সিদ্ধান্ত হয় এরশাদের এমন একক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পিকার বরাবরে চিঠি দেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, গত সরকারে ঠাঁই পাওয়া ৩ মন্ত্রীর মধ্যে দুজন সম্মানজনক কোন পদ না পাওয়ায় পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তারা বেশ প্রভাব বিস্তার করছে। আর এর সঙ্গে পুরাতন ঢাকা থেকে নির্বাচিত এক সংসদ সদস্য এরশাদ বিরোধী অবস্থান নিয়ে রওশন এরশাদকে উস্কে দিচ্ছেন।
সূত্রটি জানায়, ঐ সংসদ সদস্য বিরোধী দলীয় উপনেতার ব্যাপারে বেশ আগ্রহী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে জাপা ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এদিকে, পর্দার অন্তরালে থাকা বেগম রওশন এরশাদ হঠাৎ করেই জাপার রাজনীতিতে সরব হচ্ছেন। গুঞ্জন রয়েছে যে কোন সময় জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠক আহ্বান করতে পারেন রওশন এরশাদ। আর বৈঠককে সফল করতে প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নেপথ্যে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, বেগম রওশন এরশাদের এমন পরিকল্পনা আঁচ করতে পেরে এ সপ্তাহেই এরশাদ জাতীয় পার্টির জরুরী প্রেসিডিয়াম সভা আহ্বান করতে পারেন। আর ঐ সভাতেই বেগম রওশন এরশাদের কূট পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জাপার অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, পার্টিতে অনেক কিছুই হতে পারে। অপেক্ষা করুন। নতুন চমক থাকতেও পারে।
তবে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টি নিয়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পদ না পেয়ে অনেকেই আবোল-তাবোল বকছেন। তিনি বলেন, পার্টি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তেই জাপা পরিচালিত হবে। অন্য কোন নেতৃত্ব এরশাদ জীবিত থাকাবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হবে না। রাঙ্গা বলেন, এবার সংসদে জাপা প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবেই ভূমিকা রাখবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।