নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২০ মার্চ, ২০১৯
জাতীয় নির্বাচন এলেই গুটিকয়েক ইসলামী দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ধর্মকে পুঁজি করে এসব নামসর্বস্ব ইসলামী দলগুলো বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি করতে মরিয়া হয়ে উঠে। আবার নির্বাচন গেলে তাদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে ঘিরে গড়ে উঠে সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোট। আর জোটে প্রায় অর্ধ-শতাধিক নামসর্বস্ব এবং সাইনবোর্ডধারী ইসলামী দলের আবির্ভাব হয়।
নির্বাচনের আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী উদ্যানে শুধু একটি মহাসমাবেশ করতে দেখা যায়। এরপর জাপা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের নানা নাটকে সেইসব দলগুলো দলছুট হয়ে বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতীয় পার্টির সাথে তারা নির্বাচনী জোট গড়লেও শেষ অবধি জাতীয় পার্টিকে গুডবাই জানিয়ে কয়েকটি দল পৃথক জোট করে নির্বাচনে অংশ নেয়। আবার ঐ দলগুলো এরশাদকে বিশ্ব বেঈমান আখ্যা দেয়।
আর এসব কিছু মিলিয়ে নির্বাচনের আগে ইসলামী দলগুলোর নানামুখী বিভ্রান্তি চোখে পড়ে। জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস এন্ড পলিটিক্যাল সচিব সুনীল শুভরায় এসব ইসলামী দলগুলোর সাথে লিয়াঁজো করে এরশাদের নেতৃত্বাধীন একটি পৃথক জোট করে। যদিও এ জোট গঠন নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় নানামুখী গুঞ্জন রয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মিশন নিয়ে এজোট গঠনে সুনীল শুভরায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠনের আগে্ উভয় পক্ষ মিলে একটি প্রস্তাবনা তৈরী করলেও তা কোন পক্ষই মানেনি।
নির্বাচনের পর এসব দলগুলোর অস্তিত্ব কোথায় এমন প্রশ্নে জাতীয় পার্টির অনেক নেতাই তাজ্জব বনে যান। নেতাদের সরল স্বীকারোক্তি রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে ঐক্য করলে তা তো এমনই হবে। যেসব দলের নাম কোনদিন মানুষ শোনেনি সেসব দল নিয়ে নির্বাচনী মোর্চা করা হলো। কার নির্দেশে করা হলো? কে করলো তার অনেক প্রশ্নই জানা নেই জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, সাবেক মহাসচিব এবং প্রেস এন্ড পলিটিক্যাল সচিব সব জানেন, কেন তাদের সাথে জাতীয় পার্টি ঐক্য করেছিলো? তবে তিনি জানান, সেই ঐক্য জাতীয় পার্টির জন্য বুমেরাং হয়েছে। এক-দুটি দল হয়তোবা আছে বাকিগুলোর কোন নাম-নিশানা আমরা খুঁজে পাইনি। তার মতে, আওয়ামী লীগের মহাজোটে তো আমরা ছিলাম কেন এবং কার স্বার্থে ভূইফোঁড় দলগুলো নিয়ে ঐক্য করা হলো।
এবিষয়ে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপাতত আমি রাজনীতির বাইরে আছি। যখন রাজনীতিতে সক্রিয় হবো তখন এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া যেতে পারে। তবে তিনি বলেন, আমরা যাই করেছি পার্টি চেয়ারম্যানের নির্দেশ মেনেই করেছি। তাতে কে কী মন্তব্য করলো সেসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।
এদিকে, হারিয়ে যাওয়া জোটের অস্তিত্ব নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি জাতীয় পার্টির বর্তমান মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।