নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯
নানা অনিশ্চয়তার মাঝে অবশেষে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির জাহিদুর রহমান জাহিদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার দপ্তরে জাহিদুর রহমান জাহিদকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) তারেক মাহমুদ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্য দিকে এই ঘটনায় বিএনপি’র রিজভি আহমেদ খুব শক্ত আঙ্গুল তুলেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন যে, বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে এই ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির জাহিদুর রহমান জাহিদকে শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। বাকীরাও নাকি এভাবে শপথ নেবেন।
বিএনপি’র মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও সরকারের কাছ থেকে টাকা খাওয়ার অভিযোগ আছে বিএনপির বড় বড় অনেক নেতার বিরুদ্ধে। এই তালিকায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহামেদ, মীর্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু ছাড়াও অনেকে। আরও অভিযোগ আছে যে, ড. কামাল হোসেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী খেলার দক্ষ নাটক সফলভাবে মঞ্চায়নের মাধ্যমে সরকার আর তারেক জিয়ার কাছ থেকে টাকা খেয়েছেন। কারণ এতে নমিনেশন বানিজ্য করে তারেক জিয়া কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা যার ভাগ পেয়েছেন ড. কামাল তার জামাতার মাধ্যমে লন্ডনে আভিজাত এলাকায় বাড়ি পেয়ে। আর সরকারের কাছে মোটা অংক পেয়েছেন বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নিনির্বাচন করে দিয়ে এমন অভিযোগ আকাশে বাতাসে। অভিযোগ আছে যে বঙ্গবন্ধুর তথাকথিক এই সৈনিক পাকিস্তানী জামাত হবার সুবাদে কাকের মত চক্ষু বুজে থেকে জামায়াতকেও নির্বাচনে এনে ভিড়িয়েছেন পাকি সহায়তায়।
সবচেয়ে মজার অভিযোগ এসেছে বিএনপি’র ‘গৃহ পালিত’ যুগ্ম মহাসচিব রিজভি আহমেদ সাহেবের বিরুদ্ধে। নানাভাবে তাঁকে বারংবার নিষেধ করার পরেও তিনি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করেন। নানা রকম ফানি কথা বলে মিডিয়ায় প্রচার পেয়ে থাকেন। আসলে এটা তার নতুন কৌশল যার নাম ‘সংবাদ সম্মেলন বানিজ্য’। বাতাসে চাউর হয়ে আছে যে, তিনি ১০ থেকে ২০ জনকে সাথে নিয়ে কখনো কখনো আরও কম সংখ্যক নেতা কর্মীকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, যাদের অধিকাংশই নতুন মুখ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বাদে মাথা গুনে তিনি ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে তারেক জিয়ার কাছে নিজেদেরকে অ্যাকটিভ বিএনপি কর্মী প্রমান করতে। যাতে আগামীতে বড় পদ নেওয়ার ক্ষেত্রও প্রস্তুত হয়। যুগ্ম মহাসচিব রিজভি আহাম্মেদ সাহেবের ঝটিকা মিছিলেও নাকি টাকার খেলার তেলেসমাতি আছে।
অভিযোগ সত্যি হলে টাকার তেলেসমাতিতে বাকী অবশেষে বিএনপির থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ একে একে সবাই অবশেষে শপথ নেবেন তেমন সম্ভাবনাই উজ্জল হচ্ছে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হিসেবে শপথ নির্বাচিত বিএনপির জাহিদুর রহমান জাহিদের শপথ নেওয়ার পর থেকে। ড. কামাল এখানে কোন বাধা হবেন না, মাঝে মাঝে আন্দোলনের হুমকি দিলেও আসলে তিনি অবসরের চিন্তায় আছেন বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।
ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।
এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।