নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯
শুদ্ধি অভিযানের মতো বড় ধাক্কার পর কেমন হবে যুবলীগের কমিটি- সেই আলোচনা এখন সর্বত্র। ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। অনেক অনেক প্রশ্ন এখন এই কংগ্রেসের প্রাক্কালে ঘুরছে। যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসের প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলা ইনসাইডারের।
বাংলা ইনসাইডার: যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের প্রস্তুতি কেমন?
হারুনুর রশিদ: যুবলীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। যুবলীগকে দেশ গঠনের কারখানা বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রচিন্তা এবং তার যে রাজনৈতিক দর্শন সেই আলোকে যুবলীগকে দেশ গঠন এবং গঠনমূলক রাজনীতিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুবলীগ আজকের এই অবস্থানে। সেই সংগঠনের কংগ্রেসে স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হতে চাইবেন। তাদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য রয়েছে। এদেশের যুব সমাজ যারা তারা এই সংগঠনটিকে ভালোবাসে। কারণ যুবলীগ লাখো যুবকের স্বপ্নের ঠিকানা। কারণ যুবলীগ যুবদের ধ্যান ধারণা আকাঙ্খাকে ধারণ এবং লালন করে। তার আলোকেই আমাদের নেত্রীর যে রাজনীত তা এগিয়ে নিয়ে যায় যুবলীগ। বর্তমান যুবরাইতো এক সময় এদেশের নেতৃত্ব দেবে। কাজেই তাদের বিষয়টা আমরা যেমন মাথায় রাখি তেমনি নেত্রীও মাথায় রাখেন। সেই আলোকেই আমরা কংগ্রেসে যুবলীগকে সাজাতে চাই। এ কারণে যুব সমাজেরও একটা গভীর উৎসাহ রয়েছে এই কংগ্রেসের ব্যাপারে।
এই কংগ্রেসে প্রাণপ্রিয় নেত্রী তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। এটা কিন্তু একটা মাইলফলক। এই কংগ্রেস দৃষ্টিনন্দন সুশৃংখল এবং খুব তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে সেই লক্ষ্যে যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী। আমাদের সিনিয়র নেতা যারা, প্রেসিডিয়াম, জেল, মহানগরের যারা নেতা আছেন সবার মাঝে একটা চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু সেটা দৃশ্যমান হওয়া বাকি।
এবার যুবলীগের কংগ্রেস হচ্ছে একটা সংকটময় মুহূর্তে। যুবলীগের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যুবলীগের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি এখন জেলে। এরকম একটা সংকটময় মুহূর্তে এখন যুবলীগের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত করতে গিয়ে আপনি কি কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি?
না, চ্যালেঞ্জ বলতে যেটি বোঝায় সেটা হলো একটি সফল কংগ্রেস মানেই তো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো রয়েছে, যে সংকট বা সাময়িক যে বিষয়গুলি বিশেষ করে ইমেজ সংকটের যে বিষয়গুলো রয়েছে- আমি মনে করি এগুলো সাময়িক। এগুলো ব্যক্তির দায়। যুবলীগ একটি প্রতিষ্ঠান। এটা কোনো প্রতিষ্ঠানের দায় নয়। ব্যক্তির দায় বলতে ব্যক্তি বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়ও বিদায় হবে। আমার যদি কোনো কালিমা থাকে তার জন্য সংগঠন দায়ী নয়। যে নেতৃত্ব আসবে, তার জন্য আলোর দিগন্ত উন্মোচিত হবে এই কংগ্রেস।
আপনার কি মনে হয় না এর জন্য যুবলীগের ইমেজ সংকট হয়েছে? আপনি বললেন লাখো তরুণ যুবলীগ করে, তাদের কাছে যুবলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি?
ইমেজ সংকট যে কালিমার কারণে, সেই কালিমা এবং ইমেজ সংকট যাদের কারণে হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাজেই মানুষ কি চায়? মানুষ দেখে যে অপরাধ করলে তার শাস্তি হয় কি না। শাস্তি যেহেতু নিশ্চিত হয়েছে সংগঠন এবং সরকারের পক্ষ থেকে, কাজেই আমরা মনে করি এই কংগ্রেসের যে ঢেউ উঠবে, সবকিছুর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস একটা মাইলফলক হিসেবে যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, পিছনের যত কালিমা রয়েছে তা ধুয়েমুছে যাবে।
যুবলীগের নেতৃত্ব নিয়ে অনেক রকম আলোচনা হচ্ছে, পুরো দেশবাসীর আগ্রহ যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসছেন। আপনি যুবলীগের জেনারেল সেক্রেটারি, আপনি কি মনে করেন, কি রকম নেতৃত্ব আসতে পারে?
যারা সংগঠনটিকে ভালোবাসে, এই সংগঠনে যাদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ, শ্রম, ভালোবাসা রয়েছে, সেখান থেকেই নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন। তবে সব কথার শেষ কথা, এই সংগঠন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার চিন্তাচেতনাকে লালন করে এবং তার আদর্শে পতাকা বহনকারী সংগঠন। কাজেই এই সংগঠনে যারা নেতৃত্বে আসবে, তাদেরকে অবশ্যই এই বিষয়ে অর্থাৎ যে নেত্রীর সেন্টিমেন্ট বুঝবে, নেত্রীর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, নেত্রীর আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে পারবে- এমন নেতৃত্বই এই কংগ্রেসের মাধ্যমে আসা উচিৎ।
এবার এই কংগ্রেসে কতজন আসবেন, কাউন্সিলে কতজন আসবে, এই ব্যাপারে আপনারা কি ভাবছেন/জানেন?
আমাদের তো অনেকেই আসতে চায় সারা বাংলাদেশ থেকে। কিন্তু আমাদের তো আয়োজনে সীমাবদ্ধতা আছে। সেখানে যে প্যান্ডেলটা করা হয়েছে, সব মিলিযে সেখানে যে আসন সংখ্যা, সেখানে লক্ষ যুবক আসতে চাইলেও আমি তো তাদের সেখানে অ্যাকোমোডেট (স্থান সংকুলান) করতে পারবো না। কাজেই দূর-দূরান্ত থেকে লোকগুলো এসে একটা কষ্টের ভিতরে পড়বে। কাজেই যেই আয়োজন আছে, সেই আয়োজনকে ছাপিয়ে সেখানে আমাদের ২৫-৩০ হাজার যুবক কংগ্রেসে আসতে পারবে।
সারাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব কি রকম হবে?
সেখানে প্রথমে তো উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন, তারপরে যখন কাউন্সিল শেষ হবে, সেখানে সাড়ে ২২শ এর মতো কাউন্সিলর থাকবেন।
কতজন কাউন্সিলর থাকবেন? কীভাবে এটা ঠিক করা হয়েছে?
এটা হচ্ছে প্রতি গ্যালারি ২৫ জন করে কাউন্সিলর। আমাদের যে জেলার ইউনিটগুলো রয়েছে, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর, আমাদের যে ইউনিট কোর্ড আছে জেলা, প্রতি জেলায় ২৫ জন করে কাউন্সিলর। এবং এই কাউন্সিলর নির্ধারণে জেলায় যদি নেতৃত্বের মধ্যে কোনো সংকট তৈরি হয় সেটারও পথনির্দেশ করা আছে আমাদের গঠনতন্ত্রে। সেটা হলো ১-২৫ এর মধ্যে যার মান থাকবে তারা কাউন্সিলর হয়ে যাবে। যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয় কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে তাহলে গঠনতন্ত্র নির্দেশ করে দিয়েছে তোমাদের মতবিরোধ থাকলেও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে যাবো অটোম্যাটিকালি ১-২৫।
আপনার কি মনে হয় এবার যুবলীগের নেতৃত্ব হবে কি ভোটের মাধ্যমে নাকি সর্বসম্মত ভিত্তিতে? প্রত্যেকবারই তো আমরা দেখি এটা একটা আলোচনার মাধ্যমে হয়। এবার কিভাবে হবে। যেহেতু এবার কংগ্রেসটা একটা অন্য রকম তাৎপর্য নিয়ে আসছে?
যুবলীগ প্রতিষ্ঠার পর ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। এর আগে ছয়টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা সপ্তম কংগ্রেস। কোনো কংগ্রেসেই যুবলীগের কর্মীরা সেখানে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক, এটা যুবলীগের কর্মীদের মানষিকতার মধ্যে নেই। কারণ তারা মনে করে সংগঠনের মালিক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তার সংগঠন কিভাবে সুচারুভারে পরিচালিত হবে সবার চেয়ে তিনিই ভালো বুঝবেন। এবং যারা উনার কাছে আকাঙ্খা প্রকাশ করে তাদের মধ্যে থেকে তাদের সার্ভিস রেকর্ড, তাদের ভূমিকা, তাদের সাহসিকতা, সংগঠন পরিচালনায় তাদের অভিজ্ঞতা, তাদের দক্ষতা, তাদের বুদ্ধিমত্তা তাদের মেধা সবকিছু বিবেচনায় এনেই নেত্রী সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এমন ধরণের আকাঙ্খা প্রকাশ করে নেত্রী যতদিন জীবিত আছেন তিনিই নির্ধারণ করবেন যুবলীগের নেতৃত্বে কে আসবেন।
আপনি তো দীর্ঘদিন যুবলীগের সঙ্গে আছেন। নতুন নেতৃত্বের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
নতুন নেতৃত্বে যারা আসবে তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা রাজনীতিকে যেন সৎভাবে গ্রহণ করা। এটি একটি সততার পেশা। এটা মানুষের কল্যাণে কাজ করে। কাজেই আমি সংগঠনে আসবো কিছু নেওয়ার জন্য নয় কিছু দেওয়ার জন্য এমন চিন্তা থাকতে হবে। আমরা জাতিকে, তরুণ প্রজন্মকে তাদেরকে দেওয়ার মানষিকতা নিয়েই। প্রথম শর্ত হলো দেওয়ার মানষিকতা, ত্যাগী মনোভাব থাকতে হবে, সাহস থাকতে হবে যে মনোভাব প্রেষণ করি তা বাস্তবায়নে কোনো বাধা প্রতিবন্ধকতা যদি সামনে এসে দাঁড়ায় তাহলে সেটা অতিক্রমের একটি সাহস থাকতে হবে। কাজেই নতুন নেতৃত্বের কাছে এটিই প্রত্যাশা করব যে, এই দেশের যুব সমাজের যে চিন্তা চেতনা ধ্যান-ধারণা আকাঙ্খা সেটা ধারণ করে, লালন করে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের, আমাদের আদর্শিক নেতা, আমাদের পথপ্রদর্শক তার যে চিন্তা চেতনা সেটা যেন নতুন নেতৃত্ব ধারণ করে একটা পরিচ্ছন্ন্য সংগঠন, একটা আদর্শ সংগঠন। যেই সংগঠনে শুধু প্রশংসায় থাকবে বা সেই সংগঠনে যেন কোনো অপবাদ পিছু না নেয় সেই ধরণের কর্মসূচি তাদের গ্রহণ করতে হবে। সংগঠনকে সেভাবেই সাজাতে হবে, যেনো কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি সংগঠনে আসতে না পারে। যার জন্য সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এমন ব্যক্তি যেন সংগঠনের কোনো স্তরে যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেটি নতুন নেতৃত্বকে নিশ্চিত করতে হবে।
আপনি কি মনে করেন এই কংগ্রেস সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কোনোরকম কোন্দল বা বিভাজন থাকবে না?
আমি এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। কারণ এই কংগ্রেস নিয়ে যেহেতু লক্ষ লক্ষ লোকের একটা প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্যই সুশৃঙ্খল হবে কারণ যুবলীগ সুশৃঙ্খল একটি সংগঠন। এখানে উৎশৃঙ্খলতার কোনো সুযোগ নেই। যুবলীগ উৎশৃঙ্খল কোনো নেতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কাজেই অনেক সুন্দর একটা কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা মনে করি। চাওয়া পাওয়া নিয়ে অনেকের ভেতরেই আকাঙ্খা থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার যে মানষিকতা বা এ রকমের দু:সাহস তাদের সংখ্যা হয়তো মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে। যেটা কংগ্রেসের খ্যাতি, যে লোকসমাগম, যে নান্দনিকতা, যে শৃঙ্খলা এই সব কিছুর কাছে এ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়গুলি থাকে সেগুলো ধুয়ে মুছে বিদায় হয়ে যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।